মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর
দশম শ্রেণি ভূগোল প্রথম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik Geography first chapter 2 marks question answer | Class 10 Geography first chapter 2 marks question answer
আসসালামু আলাইকুম,
তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।
আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ভূগোল প্রথম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ভূগোল 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ । দশম শ্রেণির ভূগোল প্রথম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik Geography chapter 1 1 number question answer, মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে ।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ভূগোল ১ নম্বর অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর, গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ভূগোল প্রশ্ন উত্তর প্রথম অধ্যায় pdf download, class 10 Geography first chapter 2 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।
YouTube Link - . OUR ONLINE SCHOOL SUBSCRIBE
আরও পোস্ট দেখো B
এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।
Madhyamik Geography Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X Geography Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2024
দশম শ্রেণির ভূগোল বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ভূগোল বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর
1.. উপনদী ও শাখানদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উপনদী: প্রধান নদীর গতিপথের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে অনেক ছোটো ছোটো নদী এসে মূল বা প্রধান নদীতে মিলিত হয়, এগুলিকে বলা হয় উপনদী।
উদাহরণ—গঙ্গার উপনদী যমুনা |
শাখানদী: মূলনদী থেকে যেসব নদী শাখা আকারে বের হয়, সেগুলিকে বলা হয় শাখানদী |
উদাহরণ— গঙ্গার শাখানদী ভাগীরথী-হুগলি |
3. আদর্শ নদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে নদীর গতিপথে ক্ষয়কার্য প্রধান পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতি, বহনকার্য- প্রধান সমভূমি প্রবাহ বা মধ্যগতি এবং সঞ্চয়কার্য প্রধান বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতি সুস্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়, সেই নদীকে আদর্শ নদী বলা হয়।
উদাহরণ—ভারতের প্রধান নদী গঙ্গার গতিপথে এই তিনটি অবস্থাই বিদ্যমান বলে গঙ্গা একটি আদর্শ নদী।
4. কার্য অনুসারে নদীর প্রবাহকে কী কী ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর: উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত নদী তার গতিপথে তিনটি কাজ করে— ক্ষয়সাধন, বহন এবং অবক্ষেপণ বা সঞ্চয় | আর, এই তিন প্রকার কাজের ভিত্তিতে নদীর প্রবাহকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়— ক্ষয়কার্য-প্রধান উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহ, 2 বহনকার্য-প্রধান মধ্যগতি বা সমভূমি প্রবাহ এবং 3 সঞ্চয়কার্য-প্রধান নিম্নগতি বা বদ্বীপ প্রবাহ।
5/ নদীর কাজ কী কী?
উত্তর: নদীর কাজ তিনটি—ক্ষয়সাধন, বহন এবং অবক্ষেপণ | পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতিতে নদী প্রধানত ক্ষয়কার্য করে। তা ছাড়া, ওই অংশে নদী ক্ষয়জাত পদার্থ বহনও করে। সমভূমি প্রবাহ বা মধ্যগতিতে নদীর প্রধান কাজ বহন| তবে এই অংশে নদী কিছু ক্ষয় (পার্শ্বক্ষয়) এবং অবক্ষেপণ ও করে। 3 আর বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতিতে নদীর প্রধান কাজ সঞ্চয় | তবে এই অংশে নদী অল্প পরিমাণে বহনও করে। নদীর
6. নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র কী?
উত্তর: নদীবাহিত ক্ষয়জাত পদার্থের পরিমাণ নদীর গতিবেগের ষষ্ঠঘাতের সমানুপাতিক | এই সূত্রটিকে নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলে | কোনো-একটি নদীর গতিবেগ, জলের পরিমাণ, বোঝার পরিমাণ অথবা ভূমির ঢালের বৃদ্ধির কারণে নদীর বহনক্ষমতাও ওই একই অনুপাতে বেড়ে যায় | যেমন, ঘণ্টায় 2 কিমি বেগে প্রবাহিত নদী যে পরিমাণ বোঝা বহন করতে পারে, সেই নদী দ্বিগুণ বেগে অর্থাৎ ঘণ্টায় 4 কিমি বেগে প্রবাহিত হলে 64 গুণ বেশি পরিমাণ বোঝা বহন করতে সক্ষম হবে।
7. নদী অববাহিকা ও জলবিভাজিকা বলতে কী বোঝ?
উত্তর:
নদী অববাহিকা: একটি নদী এবং তার বিভিন্ন উপনদী ও শাখানদী যে অঞ্চলের জল গ্রহণ ও পরিবাহিত করে, সেই অঞ্চলকে বলা হয় সেই নদীটির অববাহিকা।
⇒ জলবিভাজিকা: কাছাকাছি অবস্থিত দুই নদী ব্যবস্থাকে যে উচ্চভূমি পৃথক করে, সেই উচ্চভূমিকে বলা হয় জলবিভাজিকা । সাধারণত পাহাড় বা পর্বত জলবিভাজিকার কাজ করে।
৪. ধারণ অববাহিকা কাকে বলে?
উত্তর: নদীর উৎস অঞ্চলে হিমবাহের বরফগলা জল, ঝরনার জল অথবা বৃষ্টির জল অসংখ্য ছোটো ছোটো জলধারার আকারে প্রবাহিত হয়ে বড়ো নদী তৈরি করে। এই জলধারা-সহ মূল বা বড়ো নদীটি উৎস অঞ্চলের যে অংশের ওপর দিয়ে বয়ে যায়, সেই অঞ্চলটাকে ধারণ অববাহিকা বলে |
9. নদী উপত্যকা কাকে বলে?
উত্তর: দুই উচ্চভূমির মধ্যবর্তী দীর্ঘ ও সংকীর্ণ নিম্নভূমিকে বলা হয় উপত্যকা। আর সেই সংকীর্ণ নিম্নভূমির মধ্যে দিয়ে যখন নদী প্রবাহিত হয়, তখন তাকে বলা হয় নদী উপত্যকা | অর্থাৎ নদী যে অংশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকেই নদী উপত্যকা বলে।
10. পরিখাত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: বৃষ্টিবহুল পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে নদীর গতিবেগ খুব বেশি হয়। এই অংশে নদী পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি করে। এর ফলে নদীখাত যথেষ্ট গভীর হয়| নদীখাত খুব গভীর ও সংকীর্ণ হতে হতে যখন ইংরেজি অক্ষর ‘V’-আকৃতির হয়, তখন তাকে বলা হয় গিরিখাত।
উদাহরণ—দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর এল ক্যানন দ্য কল্কা বিশ্বের একটি গভীরতম (3270 মি) গিরিখাত।
11 কিউসেক ও কিউমেক কী?
কিউসেক: নদীর একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট জল প্রবাহিত হয়, তাকেই কিউসেক (cubic feet per second) বলা হয় ।
কিউমেক: নদীর একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনমিটার জল প্রবাহিত হয়, তাকে কিউমেক (cubic metre per second) বলা হয়।
12 নদীবাঁক বা মিয়েন্ডার কাকে বলে?
উত্তর: সমভূমিতে ভূমির ঢাল খুব কম থাকে বলে নদীর গতিবেগও কমে যায়। এই সময় নদীর জলস্রোত খাতের বাইরের দিকে ক্ষয় করে উপত্যকাকে চওড়া করে | অন্যদিকে, জলস্রোতের গতিবেগ কম থাকায় খাতের ভেতরের অংশে নদী সঞ্চয় করে| এইভাবে ক্রমাগত নদীর খাতের বাইরের অংশে ক্ষয় হলে ও ক্ষয়জাত পদার্থ নদীর খাতের ভেতরের দিকে সঞ্চয় হতে থাকলে নদী সাপের মতো এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। এই বাঁকগুলিকেই নদীবাঁক বলে|
13. অন্তর্বদ্ধ শৈলশিরা কী?
উত্তর: পার্বত্য অঞ্চলে শৈলশিরাসমূহ নদীর গতিপথে এমনভাবে বাধার সৃষ্টি করে যে, সেই বাধা এড়াতে নদীকে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হতে হয়। এর ফলে শৈলশিরাগুলিকে দূর থেকে পরস্পর আবদ্ধ দেখায় এবং নদী ওই শৈলশিরাগুলির মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেছে বলে মনে হয়। একে অন্তর্বদ্ধ শৈলশিরা বলা হয়।
14.কাসকেড কী?
উত্তর: যখন কোনো জলপ্রপাতের জল অজস্র ধারায় বা সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে নীচের দিকে নামে, তখন সেই জলপ্রপাতকে কাসকেড বলে। যেমন— ঝাড়খণ্ডের জোনা জলপ্রপাত |
15/ ক্যানিয়ন কাকে বলে।
উত্তর: কোনো নদী যখন বৃষ্টিহীন শুক অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন তার দুই পাড়ের ক্ষয় (পার্শ্বক্ষয়) খুব কম থাকে। এই অবস্থায় নদীর গতিপথে যদি কোমল শিলাস্তর থাকে তাহলে নদীজলের স্বল্পতার জন্য নদীর উপত্যকায় নিম্নক্ষয় বেশি হয় | এর ফলে ইংরেজি অক্ষর ‘I’-আকৃতির অত্যন্ত গভীর ও সংকীর্ণ যে গিরিখাতের সৃষ্টি হয়, তাকে ক্যানিয়ন বলা হয় । যেমন—গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।
16. নদীগ্রাস কাকে বলে?
উত্তর: কোনো জলবিভাজিকা থেকে নির্গত পাশাপাশি প্রবাহিত দুটি নদীর মধ্যে যে নদীটি বেশি শক্তিশালী, সেই নদীটি অন্য নদীটির মস্তকদেশের অংশবিশেষ গ্রাস করে। এই ঘটনাকে বলা হয় নদীগ্রাস (river capture)।
দশম শ্রেণির ভূগোলের প্রথম অধ্যায়ের 2 নং কোশ্চেন|মাধ্যমিক ভূগোল ধারণা 2 নং প্রশ্ন উত্তর
1. মহাদেশীয় হিমবাহ বলতে কী বোঝ ? উদাহরণ দাও ।
উত্তর: উচ্চভূমি-নিম্নভূমি নির্বিশেষে মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল যখন বরফ ক্ষেত্র দ্বারা অথবা বরফের চাদর দ্বারা ঢাকা থাকে, তখন তাকে বলা হয় মহাদেশীয় হিমবাহ” | উদাহরণ—বর্তমানে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকায় বরফে ঢাকা যে বিস্তীর্ণ অঞ্চল দেখা যায়, তা মহাদেশীয় হিমবাহের উদাহরণ।
2. হিমশৈল কাকে বলে?
উত্তর: সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতি বরফের স্তূপকে হিমশৈল (iceberg) বলা হয়।
সাধারণত মহাদেশীয় হিমবাহ থেকে বিশাল বরফের স্তূপ আলাদা 1/10 ভাগ জলের ওপর দেখা যায় | বিশ্ববিখ্যাত জাহাজ টাইটানিক হয়ে সংলগ্ন সমুদ্রে হিমশৈলরূপে ভেসে বেড়ায়। হিমশৈলের কেবল তার প্রথম সমুদ্র যাত্রাতেই এরকম একটি হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গভীর সমুদ্রে ডুবে যায়।
2. এসকার কী?
উত্তর: পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ এবং জলধারা পর্বতের পাদদেশে বা নিম্নভূমিতে সঞ্চয়কার্যের ফলে যেসব ভূমিরূপ গড়ে তোলে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল এসকার (esker) । হিমবাহের তলা দিয়ে অথবা হিমবাহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদী দ্বারা সঞ্চিত, স্তরে স্তরে বিন্যস্ত বালি ও নুড়ি যে শাখা- প্রশাখাযুক্ত আঁকাবাঁকা শৈলশিরা গঠন করে, তাকে এসকার বলা হয়। এসকার স্বল্প উঁচু (প্রায় 15 মিটার) হয় এবং প্রায়শই জলাভূমির মধ্যে অবস্থান
3.পিরামিড শৃঙ্গ কাকে বলে?
উত্তর: পার্বত্য হিমবাহের উৎসমুখে ক্ষয়কার্যের ফলে পর্বতগাত্রে যেসব সার্কের সৃষ্টি হয় সেগুলি দেখতে হাতল লাগানো ডেক চেয়ারের মতো হয়। একটি পর্বতের বিভিন্ন দিকে পাশাপাশি তিন-চারটি ‘সার্ক’ তৈরি হলে মাঝখানের তীক্ষ্ম শিরাযুক্ত শৃঙ্গটি খাড়া এবং পিরামিডের মতো দেখতে হয়। তাই এই ধরনের শৃঙ্গকে পিরামিড শৃঙ্গ বা হর্ন বলা হয় । আল্পস পর্বতের ম্যাটারহর্ন একটি বিখ্যাত পিরামিড শৃঙ্গ।
4. বোল্ডার কে কী ?
উত্তর: পার্বত্য হিমবাহ বা উপত্যকা হিমবাহ পর্বতের পাদদেশে বা নিম্নভূমিতে সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভূমিরূপ গড়ে তোলে এবং সেইসব ভূমিরূপকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। যেমন, হিমবাহ গলে যাওয়ার পর হিমবাহবাহিত বালি, কাদা ও পাথর একসঙ্গে সঞ্চিত হলে, তাকে বোল্ডার ক্লে বা হিমকর্দ বলা হয়।
5. ড্রামলিন কী?
উত্তর: পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ এবং জলধারা সম্মিলিতভাবে পর্বতের পাদদেশে বা নিম্নভূমিতে সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে ড্রামলিন (drumlin) ভূমিরূপ তৈরি করে। হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে যখন বালি, কাদা ও পাথর একসাথে সঞ্চিত হয়ে টিলার মতো উঁচু হয়ে থাকে, যা দূর থেকে ওলটানো নৌকার মতো দেখতে লাগে, তাকে ড্রামলিন বলা হয়।
6. ইরাটিক বা আগামুক কী?
উত্তর: হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে সৃষ্ট বিভিন্ন ভূমিরূপের মধ্যে অন্যতম হল কটি আগামুক বা ইরাটিক| হিমবাহের সঙ্গে বহুদূর থেকে বিভিন্ন আকৃতির শিলাখণ্ড এসে কোনো স্থানে সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপ গঠন করে, তাকে আগামুক বা ইরাটিক বলা হয় | এই ভূমিরূপ গঠনকারী শিলার সঙ্গে স্থানীয় শিলার বৈশিষ্ট্যগত কোনো মিল থাকে না। কাশ্মীরের পহেলগাম-এর উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে আগামুক দেখতে পাওয়া যায়।
7. হিমবাহ কী? কোন্ কোন্ হিমবাহ থেকে গঙ্গা ও যমুনার উৎপত্তি হয়েছে?
উত্তর: বছরের পর বছর হিমরেখার ঊর্ধ্বে ভূপৃষ্ঠে জমা হতে থাকা তুষার এক সময় বিশাল বরফের চাঁইতে পরিণত হয় এবং মাধ্যাকর্ষণের টানে নীচের দিকে নামতে থাকে। একেই বলা হয় হিমবাহ (glacier) বা বরফের নদী।
গঙ্গার উৎপত্তি গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে এবং যমুনার উৎপত্তি যমুনোত্রী হিমবাহ থেকে।
8. আইস শেল্ফ কাকে বলে?
উত্তর: ভূমিভাগের সাথে সংযুক্ত পুরু ও সমুদ্রে ভাসমান বরফের সোপানকে আইস শেলফ্ (ice shelf) বলে | উদাহরণ—অ্যান্টার্কটিকার রস ও রনি আইস শেল্ফ |
9. ‘ডিমের ঝুড়ি’ ভূমিরূপ কাকে বলে?
উত্তর: উপত্যকায় হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে অনেক সময় কাদা ও পাথর অর্থাৎ বোল্ডার ক্লে বা হিমকর্দ সারিবদ্ধভাবে টিলার আকারে এমনভাবে অবস্থান করে যে দূর থেকে ওগুলি দেখতে ঠিক ওলটানো নৌকা বা ওলটানো চামচের মতো মনে হয়, এগুলিকে ড্রামলিন বলে | যেসব জায়গায় একসঙ্গে অনেক ড্রামলিন অবস্থান করে সেই জায়গাকে দূর থেকে ডিম ভরতি ঝুড়ির মতো দেখতে লাগে। এজন্য ড্রামলিন অধ্যুষিত অঞ্চলকে ‘ডিমের ঝুড়ি’ ভূমিরূপ বলা হয়। আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে এই ধরনের ভূমিরূপ দেখা যায় |
10. ‘ডিমের ঝুড়ি’ ভূমিরূপ কাকে বলে?
উত্তর: উপত্যকায় হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে অনেক সময় কাদা ও পাথর অর্থাৎ বোল্ডার ক্লে বা হিমকর্দ সারিবদ্ধভাবে টিলার আকারে এমনভাবে অবস্থান করে যে দূর থেকে ওগুলি দেখতে ঠিক ওলটানো নৌকা বা ওলটানো চামচের মতো মনে হয়, এগুলিকে ড্রামলিন বলে | যেসব জায়গায় একসঙ্গে অনেক ড্রামলিন অবস্থান করে সেই জায়গাকে দূর থেকে ডিম ভরতি ঝুড়ির মতো দেখতে লাগে। এজন্য ড্রামলিন অধ্যুষিত অঞ্চলকে ‘ডিমের ঝুড়ি’ ভূমিরূপ বলা হয়। আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে এই ধরনের ভূমিরূপ দেখা যায় |
11. বরফ-আস্তরণ কী?
উত্তর: → অবস্থান অনুসারে পৃথিবীর সব হিমবাহকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় উপত্যকা হিমবাহ, 2 মহাদেশীয় হিমবাহ এবং 3 পর্বতের পাদদেশীয় হিমবাহ | এই তিন ধরনের হিমবাহের মধ্যে মহাদেশীয় হিমবাহের আর-এক নাম বরফ-আস্তরণ (ice sheet) | উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরুর বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বরফের স্তূপ বা বরফ-ক্ষেত্র আছে | যেহেতু বরফের এই স্তূপ পাত বা চাদরের (sheet) মতো দুই মেরু অঞ্চল, বিশেষত উত্তর মেরুপ্রদেশের অন্তর্গত গ্রিনল্যান্ড এবং দক্ষিণ মেরুপ্রদেশের অন্তর্গত অ্যান্টার্কটিকাকে আবৃত করে রেখেছে, তাই তাকে বরফ-আস্তরণ বলা হয়ে থাকে।
12. U-আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণি কাকে বলে?
উত্তর: সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে দুই পার্শ্বদেশ খাড়া ও তলদেশ সমতল হয়ে যে উপত্যকা গঠিত হয় তার আকৃতি ‘U’-এর মতো হয়। তাই একে U-আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণি বলা হয় । এই জাতীয় উপত্যকায় বৈষম্যমূলক ক্ষয়কার্যের ফলে ছোটো ছোটো হ্রদ ও হিমসিঁড়ি বা ধাপের সৃষ্টি হয়।
13. ফিয়র্ড কী?
উত্তর: ফিয়র্ড (fiord) হল সমুদ্রোপকূলে অবস্থিত হিমবাহ উপত্যকা।
সমুদ্রোপকূলে হিমবাহ তার উপত্যকাকে এমন গভীরভাবে ক্ষয় করে যে,উপত্যকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকেও নীচু হয়ে যায় | এরপর হিমবাহ অপসারিত হলে সেই গভীর উপত্যকাগুলি সমুদ্রের জলে ভরে যায়। হিমবাহের ক্ষয়কার্যের দ্বারা সৃষ্ট, কিন্তু বর্তমানে সমুদ্রের জলে পূর্ণ এই ধরনের উপত্যকাকে বলা হয় ফিয়র্ড। উদাহরণ— নরওয়ে, সুইডেন এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আলাঙ্কা উপকূলে অনেক ফিয়র্ড দেখা যায় ৷
14. করি বা সার্ক কাকে বলে?
উত্তর: সংজ্ঞা: হিমবাহের উৎসমুখী ক্ষয়কার্যের কারণে উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে সার্ক (cirque) বা করি (Corrie) সৃষ্টি হয় |
প্রক্রিয়া: হিমবাহ যখন উঁচু পার্বত্য অঞ্চল থেকে নীচের দিকে নামে, তখন একইসঙ্গে হিমবাহের অবঘর্ষ ও উৎপাটন প্রক্রিয়ার দরুন পর্বতের চালের
15. এরিটি কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: পার্বত্য উপত্যকা দিয়ে হিমবাহ নীচের দিকে নামার সময় অবঘর্ষ ও উৎপাটন প্রক্রিয়ায় পর্বতগাত্রে হাতল-দেওয়া ডেক চেয়ারের মতো অর্ধবৃত্তাকার গর্ত সৃষ্টি করে। একে বলা হয় সার্ক বা করি। এইভাবে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে যখন একটি পর্বতের দুই পাশে দুটি করি গঠিত হয়, তখন তার মাঝখানের উঁচু খাড়া ছুরির ফলার মতো পর্বতশিরাকে বলা হয় এরিটি (arete) বা সেরেটেড (serrated) শৈলশিরা।
16.কেম কাকে বলে?
উত্তর: হিমবাহের শেষ প্রান্তে বা প্রান্ত গ্রাবরেখায় যখন বরফ গলে যায়, তখন হিমবাহের মধ্যে থাকা পাথর, নুড়ি, কাঁকর, কাদা প্রভৃতি স্তূপাকারে সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণাকার বদ্বীপের মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি করে। এই ভূমিরূপকে বলা
হয় কেম।
17 প্যাটারনস্টার হ্রদ কাকে বলে?
উত্তর: উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে হিমদ্রোণির নিম্ন অংশে অসংখ্য সিঁড়ি বা ধাপের সৃষ্টি হয়| যখন এই ধাপগুলির ভূমিতলের ঢাল উপত্যকার দিকে না হয়ে বিপরীত দিকে অর্থাৎ পর্বতগাত্রের দিকে হয়, তখন হিমবাহ-গলা জল ধাপ বেয়ে উপত্যকার মধ্যে না এসে সেই ধাপ বা সিঁড়িতেই জমে গিয়ে হ্রদের সৃষ্টি করে।
এই ধরনের পুতির মালার মতো গ্রথিত ছোটো ছোটো হ্রদগুলিকে প্যাটারনস্টার হ্রদ বলা হয়।
1.ওয়াদি কাকে বলে?
উত্তর: মরু অঞ্চলের ক্ষীণকায়, অনিত্যবহ ও ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতির নদীগুলির নাম ওয়াদি (wadi)। ওই নদীগুলির খাত প্রায় থাকে না বললেই চলে এবং বর্ষাকাল ছাড়া অন্য সময় শুষ্ক থাকে। হঠাৎ বৃষ্টি হলে ওয়াদিগুলি কিছুদূর প্রবাহিত হওয়ার পর বালির মধ্যে হারিয়ে যায় | সৌদি আরবের আল বাটন (Al-Batin) একটি বিখ্যাত ওয়াদি।
2.পেডিমেন্ট বলতে কী বোঝ?
উত্তর: মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে মরু সমপ্রায়ভূমির ওপর মূলত ক্ষণস্থায়ী নদী পাতের আকারে প্রবাহিত হয়ে ক্ষয় করে। এই জলধারা ও কিছুটা বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে যে সামান্য ঢালু (ঢাল 1°-7°) প্রস্তরগঠিত ভূপৃষ্ঠের সৃষ্টি হয়, তাকে পেডিমেন্ট (pediment) বা পর্বত পাদদেশের সমভূমি বলে ।
3. বালিয়াড়ি কাকে বলে?
উত্তর: বালিপূর্ণ বায়ুর গতিপথে গাছপালা, প্রস্তরখণ্ড, ঝোপঝাড় বা অন্য কোনো বাধা থাকলে অথবা না থাকলে বায়ুবাহিত বালির কিছু অংশ সেখানে সঞ্চিত হয়ে উঁচু ঢিপি বা স্তূপের মতো অবস্থান করে। এই ধরনের বালির স্তূপকে বালিয়াড়ি (sand dune) বলা হয়।
4. বারখান কী?
উত্তর: প্রবহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে আড়াআড়িভাবে একেবারে আধখানা চাঁদের আকারে যেসব বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে, সেগুলিকে বারখান (barchan) বলা হয়। বারখান প্রকৃতপক্ষে তির্যক বালিয়াড়ির একটি রূপ। এগুলি সাধারণত চলমান বা ভ্রাম্যমাণ হয় এবং উচ্চতা 15 থেকে 30 মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
5. হামাদা কী?
উত্তর: কোনো মরুভূমিতে বায়ুর অপসারণ প্রক্রিয়ায় বালিকণা প্রায় সম্পূর্ণরূপে অপসারিত হলে ভূপৃষ্ঠে কঠিন শিলাগঠিত একটি উন্মুক্ত মালভূমি প্রায় সমতলভূমিতে পরিণত হয়। একে হামাদা বলে। সাহারা মরুভূমির আলজেরিয়ায় হামাদা দেখা যায় ।
6. কোন্ কোন্ অঞ্চলে বালিয়াড়ি দেখা যায় ?
উত্তর: কোনো স্থানে বালিয়াড়ি গড়ে ওঠার প্রধান দুটি শর্ত হল—বালিপূর্ণ বায়ুপ্রবাহ এবং মাঝে মাঝে কাঁটাগাছ বা ঝোপঝাড়সমৃদ্ধ বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত স্থান | সাধারণত এই ধরনের অনুকূল অবস্থা উয় মরু অঞ্চল, শুষ্ক অঞ্চল এবং সমুদ্রোপকূলে পাওয়া যায় বলে এই তিনটি অঞ্চলে বালিয়াড়ি দেখা যায়।
7. গৌর কী?
উত্তর: মরুভূমিতে বায়ুর ক্ষয়কার্যের জন্য যত ধরনের ভূমিরূপ গঠিত হয়, তার মধ্যে গৌর অন্যতম। সাধারণত মরু অঞ্চলে বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের জন্য বৃহদাকৃতি শিলাখণ্ডের নিম্নাংশের কোমল শিলা যত বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, ঊর্ধ্বাংশের কঠিন শিলা ততটা হয় না। এর ফলে ব্যাঙের ছাতার মতো আকৃতিবিশিষ্ট শিলাখণ্ডের সৃষ্টি হয়। একে গৌর বা গারা বা ব্যাঙের ছাতার মতো শিলা বলা হয়।
8.লোয়েস কী?
উত্তর: বায়ুবাহিত পীত রঙের চুনময় প্রবেশ্য সূক্ষ্ম কণাসমূহ লোয়েস (loess) নামে পরিচিত। এরূপ সূক্ষ্ম কণাসমূহ মরুভূমি অথবা বহিঃধৌত সমভূমি থেকে বহু দূরে সঞ্চিত হয়ে সমভূমি গঠন করে, যাকে লোয়েস সমভূমি বলে।
উদাহরণ— উত্তর চিনের হোয়াংহো নদীর অববাহিকায় লোয়েস সমভূমি দেখা যায়।
9. মরূদ্যান কী?
উত্তর: অনেক সময় মরু অঞ্চলে বায়ুর ক্ষয়কার্যে বিরাট এলাকা জুড়ে অপসারণের ফলে অবনমিত অংশের গভীরতা ভূগর্ভের জলস্তর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এর ফলে সেখানে তখন সহজেই জলের সন্ধান পাওয়া যায় এবং (আর্দ্র মাটি এবং জলের সুবিধার জন্য) নানাধরনের গাছ জন্মায় | এইভাবে ধু-ধুমরুভূমির মাঝে গাছপালায় ঢাকা যে সবুজ ভূমিটি গড়ে ওঠে, তাকে মরুদ্যান (oasis) বলা হয় ।
10. ডেন্টিফ্যাক্ট ও ড্রেইকান্টার কী?
উত্তর: 'ভেন্টিফ্যাক্ট: একদিক থেকে বায়ুপ্রবাহের জন্য বায়ুবাহিত বালিকণা অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে । এইভাবে বায়ুপ্রবাহের দিকটি মসৃপ
11.. সিফ বালিয়াড়ি কাকে বলে ?
উত্তর: অর্থ: সিফ শব্দটির আরবি অর্থ তলোয়ার | মরুভূমিতে গঠিত তলোয়ারের মতো সুদীর্ঘ বালিয়াড়ি হল সিফ বালিয়াড়ি। এইপ্রকার বালিয়াড়ি প্রায় 100 মি উঁচু, 600 মি প্রশস্ত এবং 100 কিমি দীর্ঘ হয়।
গঠন প্রক্রিয়া: মরু অঞ্চলে দুই বা তিনটি বায়ু পরস্পরের সূক্ষ্মকোণে প্রবাহিত হলে এই বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে। এই বালিয়াড়ি প্রকৃতপক্ষে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি | বিজ্ঞানী ব্যাগনল্ডের মতে, বারখান থেকেই সিফ বালিয়াড়ি গঠিত
12. ব্লো আউট কাকে বলে?
উত্তর: মরু অঞ্চলে বায়ুর অপসারণ প্রক্রিয়ায় গঠিত কয়েক মিটার গভীর, কিন্তু বিশাল আয়তনের গর্তকে ব্লো আউট বলে। এগুলি সাধারণত বালিয়াড়ি অথবা বালির সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত অঞ্চলে দেখা যায় | বায়ুর অপসারণ- সৃষ্ট অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রাকার গর্তগুলিকে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বাফেলো গর্ত এবং বৃহৎ গর্তগুলিকে মঙ্গোলিয়ায় প্যাং কিয়াং গর্ত বলে।
13. পায়া কী?
উত্তর: মরু অঞ্চলের লবণাক্ত জলের হ্রদগুলির নাম প্লায়া (playa) | এই জাতীয় হ্রদগুলি আফ্রিকার অ্যাটলাস পর্বতে শটস এবং ভারতের থর মরুভূমিতে ধান্দস নামে পরিচিত। অনেক সময় মরু অঞ্চলের অনিত্যবহ ও ক্ষণস্থায়ী নদীগুলি এসে প্লায়ায় পতিত হয়। উদাহরণ—মিশরের কাতারা অবনমিত অঞ্চলে এইরকম অনেক নদী দেখা যায়।
14. বাজাদা কী?
উত্তর: পেডিমেন্টের নীচের মৃদু ঢালযুক্ত সমতল অংশকে বাজাদা বা বাহাদা (bajada or bahada) বলে | পর্বতের পাদদেশের পললশঙ্কুগুলি বিস্তৃত ও পরস্পর সংযুক্ত হয়ে বাজাদা তৈরি করে। বাজাদার ঢাল ½° থেকে 10° পর্যন্ত হয় | এগুলি পলি, কাদা ও নুড়ি দিয়ে গঠিত হয়। আফ্রিকার আটলাস পর্বতের পাদদেশে বাজাদা গড়ে উঠেছে।
15.. পুচ্ছ বালিয়াড়ি কাকে বলে?
উত্তর: মরুভূমি অঞ্চলে প্রধান বালিয়াড়ির পিছনে যে বালিয়াড়ি তৈরি হয়, তাকে পুচ্ছ বালিয়াড়ি বলে | প্রধান বালিয়াড়ি অংশ থেকে বালি উড়ে এসে ওই ধরনের বালিয়াড়ি গঠিত হয়। পুচ্ছ বালিয়াড়ির সামনে থাকে প্রধান বালিয়াড়ি।
16. উত্তর গোলার্ধের দুটি উষ্ণ মরুভূমির নাম বলো।
উত্তর: আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি এবং ← দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আরবীয়মরুভূমি (ভারত-পাকিস্তানের ও থর মরুভূমিও উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত)।
17. মরুকরণ কাকে বলে?
উত্তর: ধারাবাহিকভাবে মরুভূমির সম্প্রসারণ তথা আয়তন বৃদ্ধিকে বাংলায়মরুকরণ এবং ইংরেজিতে ডেজার্টিফিকেশন বলে | সাধারণত মরুভূমি-সংলগ্ন অঞ্চলে ধুলোবালির ঝড়, তীব্রগতির বায়ুপ্রবাহ, অতিরিক্ত বাষ্পীভবন, কৃষিভূমি ও তৃপভূমিতে বালিয়াড়ি গড়ে-ওঠা, খরা, ভূমিক্ষয় প্রভৃতির মাধ্যমে মরুকরণ ঘটে। বর্তমানে সাহারা ও থর মরুভূমি-সংলগ্ন অঞ্চলে মরুকরণের সমস্যা বিশেষভাবে লক্ষ করা যায় |
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ভূগোল প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ২ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ভূগোল প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 2 marks pdf / ক্লাস 10 বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ভূগোল 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X Geography 1st chapter 2 marks question answer pdf / Class ten Geography 1st chapter 1 marks question answer / বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
তোমরা যারা মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য - বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ভূগোল এর প্রথম অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography 2 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো।
‘‘ মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য। বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে ।
মাধ্যমিক ভূগোল বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ প্রথম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ প্রথম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography 2 marks Question and Answer pdf
বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-
File Details:-
File Name:- Madhyamik Geography 1st chapter 2 number questions answers in bengali pdf download
File Format:- PDF
File Size:- Mb
File Location:- Google Drive
Download: Click Here to Download
আরও পোস্ট দেখো B
A. মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here
B. Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন
C. Madhyamik Geography Suggestion Click here
D. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন PDF Download
অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি আমাদের এই ” মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্টভূমি রূপ 2 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography first chapter LAQ Question and Answer ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।
এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।
_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________