মাধ্যমিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | বায়ুমণ্ডল 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik Geography second chapter 2 marks question answer | Class 10 Geography second chapter 2 marks question answer

 

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ভূগোল 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর বায়ুমণ্ডল । দশম শ্রেণির ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik Geography chapter 2 2 number question answer, মাধ্যমিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় বায়ুমণ্ডল 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।



তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ভূগোল ২ নম্বর অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ভূগোল প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় pdf download, class 10 Geography second chapter 2 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE      

 :    আরও পোস্ট দেখো   :B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik Geography Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X Geography Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2024


দশম শ্রেণির ভূগোল বায়ুমণ্ডল ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ভূগোল বায়ুমণ্ডল ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর


1. বায়ুমণ্ডল কাকে বলে?

উত্তরঃ- পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 10000 কিমি উচ্চত পর্যন্ত বিস্তৃত যে অদৃশ্য গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, তাকেই বলা হয় বায়ুমণ্ডল | বায়ুমণ্ডল নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, অক্সিজেন হিলিয়াম, নিয়ন, জেনন, ক্রিপটন, ওজোন প্রভৃতি গ্যাস, জলীয়বাষ্প এব এরোসল বা বিভিন্ন ধরনের কণার একটি যান্ত্রিক মিশ্রণ।


2.ট্রপোপজ কাকে বলে?

উত্তরঃ- বায়ুমণ্ডলের একেবারে নীচের স্তরের নাম ট্রপোস্ফিয়ার। এই ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বসীমায় (নিরক্ষরেখার ওপর প্রায় 18 কিমি উচ্চতায় এবং মেরু অঞ্চলের ওপর প্রায় ৪ কিমি উচ্চতায়) যেখানে তাপমাত্রা কমেও না বা বাড়েও না অর্থাৎ প্রায় ধ্রুবক থাকে, তাকে ট্রপোপজ বলা হয়। ট্রপোস্ফিয়ারের ওপর ট্রপোপজের বিস্তৃতি প্রায় আড়াই-তিন কিলোমিটার | 


3.ওজোনস্তর কাকে বলে? 

উত্তরঃ- ঊর্ধ্বমন্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে 20 থেকে 40 কিমি উচ্চতার মধ্যে ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব খুবই বেশি। ওজোন-সমৃদ্ধ এই বলয়টিকে তাই ওজোনস্তর বা ওজোনোস্ফিয়ার নামে অভিহিত করা হয়। সূর্য থেকে ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি এই ওজোনস্তরে শোষিত হয় বলে এই স্তরের উন্নতা খুব বেশি |


উপাদান: বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক গঠন, বিশেষ করে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, আর্গন, হিলিয়াম প্রভৃতি বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত প্রায় একই ধরনের থাকে। এজন্য বায়ুমণ্ডলের এই স্তরটিকে হোমোস্ফিয়ার বা সমমণ্ডল বলা হয়।


4 . ছেটেরোস্ফিয়ার বা বিষমমণ্ডল কাকে বলে?

অর্থ: ইংরেজি শব্দ হেটেরোস্ফিয়ার-এর বাংলা প্রতিশব্দ বিষমমণ্ডল।


বিস্তার: হোমোস্ফিয়ারের পর থেকে বায়ুমণ্ডলের পরবর্তী অংশে (90 কিমি থেকে প্রায় 10000 কিমি পর্যন্ত) বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় উপাদানসমূহের অনুপাত সমান থাকে না। তাই এই অংশকে হেটেরোস্ফিয়ার বা বিষমমণ্ডল বলা হয়।


উপাদান: উপাদানগুলির অনুপাত অনুসারে এই স্তরটিকে চারটি উপবিভাগে ভাগ করা যায়—আণবিক নাইট্রোজেন স্তর (প্রায় 90-200 কিমি), পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর (প্রায় 200-1100 কিমি), হিলিয়াম স্তর (প্রায় 1100-3500 কিমি) এবং হাইড্রোজেন স্তর (প্রায় 3500-10000 কিমি)।


5.ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্বমণ্ডল কী?

উত্তরঃ- বায়ুমণ্ডলের একেবারে নীচের স্তরের যে অংশটিতে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমতে থাকে, তাকে ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমণ্ডল বলা হয়।


বিস্তৃতি: নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় 16-18 কিমি এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় 8-9 কিমি ।


বৈশিষ্ট্য: সাধারণভাবে দেখা যায়, এখানে প্রতি 1000 মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে 6.4 °সে হারে উন্নতা কমে এবং এইভাবে কমতে কমতে ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বসীমায় বায়ুর তাপমাত্রা প্রায় – 57 °সে থেকে – 60°সে পর্যন্ত নেমে যায়। বায়ুমণ্ডলের এই অংশে বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান, জলীয়বাষ্প, ধূলিকণা ইত্যাদি যথেষ্ট পরিমাণে থাকে এবং এখানে মেঘের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।


11. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডল কাকে বলে?

অবস্থান ও বিস্তৃতি: ট্রপোপজের ঊর্ধ্বে যে বায়ুস্তর আছে, তার নাম স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। ট্রপোপজের ঊর্ধ্বে (ভূপৃষ্ঠ থেকে) প্রায় 50 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত এই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরটি বিস্তৃত।


বৈশিষ্ট্য: এই স্তরের মধ্যে দিয়ে যতই ওপরে ওঠা যায় তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং প্রায় 50 কিমি উচ্চতায় বায়ুর তাপমাত্রা প্রায় - 4°সে-এর সামান্য বেশি হয়। ® স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বসীমার নাম স্ট্র্যাটোপজ। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মধ্যে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ বায়ুমণ্ডলের এই অংশে ওজোনস্তরের অস্তিত্ব।


12. মেসোস্ফিয়ার কী?

অবস্থান ও বিস্তৃতি: স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বের বায়ুস্তরের নাম মেসোস্ফিয়ার। স্ট্রাটোপজের ওপর (ভূপৃষ্ঠ থেকে) প্রায় ৪০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত মেসোস্ফিয়ারের বিস্তৃতি।


বৈশিষ্ট্য: এই স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর তাপমাত্রা কমতে থাকে। @ মেসোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বসীমাকে মেসোপজ বলে। এখানে বায়ুর তাপমাত্রা কমে হয় প্রায় – 93 °সে। মহাকাশ থেকে যেসব উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে, সেগুলি বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে এই মেসোস্ফিয়ারের মধ্যে এসে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।


13. আয়নোস্ফিয়ার কাকে বলে?

উত্তরঃ- মেসোপজের ওপর বায়ুমণ্ডলের যে স্তর আছে তার নাম থার্মোস্ফিয়ার। বায়ু এখানে খুব হালকা এবং প্রখর সূর্যরশ্মির জন্য ওই বায়ু আয়নিত হয়ে আছে। অসংখ্য তড়িৎগ্রস্ত কণা বা আয়ন (ion)-এর অস্তিত্বের জন্য এই স্তরটির নিম্নাংশ আয়নোস্কিয়ার নামে পরিচিত।


14. আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব কী?

উত্তরঃ- আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব হল— সূর্য থেকে প্রতিনিয়ত বিচ্ছুরিত ক্ষতিকারক স্বল্পদৈর্ঘ্যের তরঙ্গগুলি আয়নোস্ফিয়ারে শোষিত হয়। এই স্তরের জন্যই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে বেতার সংযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয়। 3 আয়নোস্ফিয়ারে চৌম্বক বিক্ষেপজনিত কারণে সৃষ্ট অসংখ্য মুক্ত ইলেকট্রন কণা দ্বারা প্রতিফলিত তরঙ্গ সুমেরুতে সুমেরুপ্রভা এবং কুমেরুতে কুমেরুপ্রভা নামের মেরুজ্যোতির সৃষ্টি করে। 


15.থার্মোস্ফিয়ার কী?

উত্তরঃ- মেসোপজের ঊর্ধ্বে 80 থেকে 640 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরে তাপমাত্রা অত্যন্ত দ্রুতহারে বাড়ে। এজন্য এই স্তরের নাম থার্মোস্ফিয়ার। এই স্তরের নিম্নসীমায় (অর্থাৎ 80 কিমি উচ্চতায়) তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে এই স্তরের ঊর্ধ্বসীমায় (অর্থাৎ 640 কিমি উচ্চতায়) তাপমাত্রা হয় প্রায় 1200 ° সেলসিয়াস। এই স্তরে হিলিয়াম, পারমাণবিক অক্সিজেন ও আণবিক নাইট্রোজেন গ্যাস পাওয়া যায়। 


16. বায়ুমণ্ডলের উপাদানসমূহ কী কী?

উত্তরঃ- বায়ুমণ্ডলে তিন ধরনের উপাদান আছে— গ্যাসীয় উপাদান, 2 জলীয়বাষ্প এবং 3 ধূলিকণা। বায়ুমণ্ডলে যেসব গ্যাসীয় উপাদান আছে সেগুলির মধ্যে নাইট্রোজেন (শতকরা 78.08 ভাগ) এবং অক্সিজেন (শতকরা 20.94 ভাগ) প্রধান। এইদুটি গ্যাসীয় উপাদান ছাড়া বায়ুমণ্ডলে খুব অল্প মাত্রায় আর্গন (শতকরা 0.93 ভাগ), কার্বন ডাইঅক্সাইড (শতকরা 0.033 ভাগ), হিলিয়াম, হাইড্রোজেন, ক্রিপটন, মিথেন, নিয়ন, ওজোন, জেনন প্রভৃতি গ্যাসীয় উপাদান আছে। এ ছাড়া জলীয়বাষ্প, সামান্য ধূলিকণা, লবণের কণা, উল্কাভস্ম, ধাতব কণা প্রভৃতি বায়ুমণ্ডলে ভাসমান অবস্থায় থাকে।


28 . নিম্ন বায়ুমণ্ডল কী?

ধারণা: ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় উপাদানের অনুপাত প্রায় একই থাকে | তাই একে নিম্ন বায়ুমণ্ডল বলে।


বৈশিষ্ট্য: এখানে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টান বেশি বলে এখানে বায়ুর ঘনত্ব সবথেকে বেশি। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মোট ভরের প্রায় 97 ভাগ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 29 কিমি উচ্চতার মধ্যে অবস্থান করে।


29. উন্নতা হ্রাসের স্বাভাবিক হার কী?

উত্তরঃ- উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে প্রতি কিমিতে 6.4 °সে উন্নতা কমতে থাকে।একে স্বাভাবিক উন্নতা হ্রাসের হার বলে।


30. এরোসল কী?

উত্তরঃ- বায়ুতে ভাসমান বিভিন্ন প্রকার ধূলিকণাকে এককথায় এরোসল বলে।


দশম শ্রেণির ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শর্ট কোশ্চেন|মাধ্যমিক ভূগোল ধারণা 2 নং প্রশ্ন উত্তর


31. ইনসোলেশন কী?

উত্তরঃ- ইংরেজিতে incoming solar radiation-কে সংক্ষেপে ইনসোলেশন (insolation) বলে। সূর্য থেকে আগত রশ্মির প্রভাবে প্রধানত ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয়। সূর্য থেকে বিকিরিত শক্তির মাত্র 200 কোটি ভাগের এক ভাগ ক্ষুদ্র আলোক তরঙ্গরূপে পৃথিবীতে এসে পৌঁছোয়। একে সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বা ইনসোলেশন বলে।


32. সমোয়রেখা কাকে বলে?

উত্তরঃ- কোনো নির্দিষ্ট সময়ে ভূপৃষ্ঠের যে সকল স্থানের উন্নতা এক রকম থাকে, সেই স্থানগুলিকে আবহ-মানচিত্রে যে রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয়, তাকে সমোয়রেখা বলে ।


33.বায়ুমণ্ডল কী কী পদ্ধতিতে উত্তপ্ত হয় ?

উত্তরঃ- বায়ুমণ্ডল প্রধানত পরিবহণ, পরিচলন, বিকিরণ—এই তিনটি পদ্ধতিতে উত্তপ্ত হয়। এ ছাড়াও অ্যাডভেকশন, প্রত্যক্ষ ও প্রতিফলিত সৌরবিকিরণ শোষণ, ভূগর্ভস্থ তাপ, লীনতাপ সংযোজন, আগ্নেয়গিরির তাপ প্রভৃতির কারণে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয়।


34. উয়তার নিয়ন্ত্রক আসলে কী?

উত্তরঃ- পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা সর্বত্র সমান নয়। অনেকগুলি বিষয়ের ওপর  পৃথিবীর নানাস্থানের তাপমাত্রা নির্ভরশীল। এইসব বিষয়গুলিকে একত্রে উন্নতার নিয়ন্ত্রক বলে।


35. অ্যালবেডো কী?

উত্তরঃ- সূর্য থেকে আগত সৌর বিকিরণের শতকরা 34 ভাগ বৃহৎ তরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যায় এবং এর দ্বারা ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হতে পারে না, একে পৃথিবীর অ্যালবেডো বলে।


36. কার্যকরী সৌর বিকিরণ কী?

উত্তরঃ-  সূর্যতাপের শতকরা 34 ভাগ পৃথিবীতে এসে আবার মহাশূন্যে ফেরত যায়। বাকি 66 ভাগের 19 ভাগ বায়ুমণ্ডল প্রত্যক্ষভাবে শোষণ করে এবং 47 ভাগ ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছলে ভূপৃষ্ঠ-সংলগ্ন বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয়। একেই কার্যকরী সৌরবিকিরণ বলে।


37. সৌর ধ্রুবক কী?

উত্তরঃ- সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্বে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল প্রতি একক ক্ষেত্রফলে সূর্য থেকে যে পরিমাণ বিকিরিত শক্তি গ্রহণ করে, তাকে সৌর ধ্রুবক বলে।


38. সৌরকলঙ্ক কী?

উত্তরঃ- সূর্য একটি জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড | পৃথিবী থেকে মাঝে মাঝে এই সূর্যপৃষ্ঠে কিছু কালো দাগ দেখা যায়। এদেরই বলে সৌরকলঙ্ক | সূর্যের অভ্যন্তরের উন্নতা প্রায় 1.5 কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পৃষ্ঠদেশের উন্নতা প্রায় 5600°


39. এল নিনো কী?

উত্তরঃ- দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে পেরু ও ইকুয়েডরের উপকূলে কোনো কোনো বছর ক্রিসমাসের সময় উত্তরমুখী শীতল পেরু স্রোতের পরিবর্তে যে দক্ষিণমুখী উগ্ন সমুদ্রস্রোতের আবির্ভাব ঘটে, সেই ঘটনাকে ‘এল নিনো’ বলে। এল নিনোর প্রভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের আবহাওয়ায় অস্বাভাবিক গোলযোগ দেখা যায়। করলে যে কাল্পনিকরেখা পাওয়া যায় তাকে তাপ বিষুবরেখা বলে। এই রেখাটি 5° উত্তর অক্ষরেখা বরাবর অবস্থান  করে।


40. সিক্সের লঘিষ্ঠ ও গরিষ্ঠ থার্মোমিটার কী?

উত্তরঃ- সিক্সের লঘিষ্ঠ এবং গরিষ্ঠ থার্মোমিটারের সাহায্যে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং দিনের গড় তাপমাত্রা নির্ণয় করা যায়।


41. গ্রিনহাউস প্রভাব কী?

উত্তরঃ- বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন প্রকার গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতির জন্য পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনাকে গ্রিনহাউস প্রভাব বলে। বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন প্রভৃতি। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত দীর্ঘতরঙ্গের পার্থিব রশ্মিগুলিকে শোষণ করে এবং তারই প্রভাবে নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে


42. কয়েকটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম করো।

উত্তরঃ- কয়েকটি গ্রিনহাউস গ্যাস হল— কার্বন ডাইঅক্সাইড,মিথেন,ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, 4 কার্বন মনোক্সাইড, 6 নাইট্রাস অক্সাইড,© জলীয়বাষ্প, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন প্রভৃতি। এর মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রিনহাউস গ্যাস।


43. বিকিরণ পদ্ধতি কাকে বলে?

উত্তরঃ- কোনো মাধ্যম ছাড়াই বা মাধ্যম থাকলেও তাকে উত্তপ্ত না করে তাপ এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে চলে গেলে, তাকে বিকিরণ পদ্ধতি বলে | উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠ দীর্ঘ তরঙ্গরূপে তাপ বিকিরণ করে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে। মেঘহীন পরিষ্কার আকাশে তাপ বিকিরণ দ্রুত হয় |


44. পরিবহণ পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ- যে পদ্ধতিতে কোনো পদার্থের উন্নতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে তাপসঞ্চালিত হয়, কিন্তু পদার্থের অণুগুলি স্থান পরিবর্তন করে না, তাকে পরিবহণ বলে। এই প্রক্রিয়ায় উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠ-সংলগ্ন বায়ুস্তর থেকে ক্রমান্বয়ে ওপরের বায়ুস্তরে তাপ সঞ্চালিত হয় | পরিবহণ প্রক্রিয়া মূলত দিনের বেলায় ঘটে থাকে।


45. পরিচলন পদ্ধতি বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- ভূপৃষ্ঠ-সংলগ্ন উম্ন বায়ু প্রসারিত ও হালকা হয়ে ওপরে উঠে যায় এবং চারপাশের শীতল ভারী বায়ু ওই শূন্যস্থান পূরণ করতে এসে উম্ন ও হালকা হয়ে পুনরায় ওপরে উঠে যায়। এইভাবে বায়ুর চক্রাকার আবর্তনের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয়, একেই পরিচলন পদ্ধতি বলে। পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ায় এই প্রক্রিয়া নিরক্ষীয় অঞ্চলে বেশি দেখা যায়।


46. বিশ্ব উষ্বায়ন কী?

উত্তরঃ- বিশ্ব উন্নায়ন হল পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনা | ক্ষুদ্র তরঙ্গরূপে যেসব সৌর বিকিরণ পৃথিবীতে এসে পৌঁছোয় তারাই পৃথিবীকে উম্ন করে আর কিন্তু ওই তাপ দীর্ঘ তরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যায় | এর ফলে তাপের একটা সমতা তৈরি হয়। কিন্তু মানুষের অবিবেচনা প্রসূত কাজের জন্য বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ওই তাপতরঙ্গ ফিরে যেতে পারে না। এতে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় | পৃথিবীর স্বাভাবিক উন্নতা অপেক্ষা এরূপ ক্রমবর্ধমান উন্নতা বৃদ্ধির ঘটনাকে পরিবেশবিদরা বিশ্ব উস্নায়ণ নামে অভিহিত করেছেন।


46. কলকাতা থেকে লন্ডনের উন্নতা কম হয় কেন?

উত্তরঃ- কলকাতার অক্ষাংশগত অবস্থান 22°34′ উত্তর এবং লন্ডনের অক্ষাংশগত অবস্থান 51°30´ উত্তর | লন্ডন কলকাতা শহরের তুলনায় উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থিত হওয়ায় লন্ডনে কলকাতার তুলনায় তির্যকভাবে সূর্যরশ্মি পতিত হয়। সেই কারণে লন্ডনের উন্নতা কলকাতার উন্নতার তুলনায় কম হয়।



47.ডোলড্রাম বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর বেশি উন্নতা থাকে বলে বায়ু অনবরত উয় ও হালকা হয়ে ওপরে উঠে যায়। এজন্য এখানে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে বায়ুর প্রবাহ বা গতি বোঝা যায় না। ফলে সর্বদা ভূপৃষ্ঠ-সংলগ্ন বায়ুমণ্ডলে শান্তভাবে বিরাজ করে। তাই নিরক্ষীয় নিম্নচাপ অঞ্চলের অপর নাম নিরক্ষীয় শান্তবলয় বা ডোলড্রাম।


48. কোরিওলিস বল কাকে বলে? 

উত্তরঃ- আবর্তন গতির জন্য পৃথিবীতে একটি কেন্দ্রাতিগ বা কেন্দ্ৰবহির্মুখী শক্তি সৃষ্টি হয়, যার প্রভাবে পৃথিবীর সব প্রবহমান পদার্থেরই দিকবিক্ষেপ ঘটে। 1835 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি অঙ্কশাস্ত্রবিদ গাসপার্ড গুস্তাভ কোরিওলিস পৃথিবীর আবর্তনঘটিত এই শক্তি বা বলের তত্ত্বটি আবিষ্কার করেন বলে একে কোরিওলিস বল নামে অভিহিত করা হয়। এই বলের প্রভাবে পৃথিবীর সব পদার্থই পৃথিবী থেকে ছিটকে বেরিয়ে যেতে চায়। তবে তার মধ্যে বেশিরভাগ পদার্থই এই বলকে এড়িয়ে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে আটকে থাকলেও বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি প্রবহমান বস্তুসমূহের দিকবিক্ষেপ ঘটে। কোরিওলিস বলের জন্যই এরকমটি ঘটে।


49. জেট বায়ু কী?

উত্তরঃ- ঊর্ধ্ব ট্রপোস্ফিয়ারে পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন, সংকীর্ণ, সর্পিলাকার বায়ুকে জেট বায়ু বলে। এর গতিবেগ 100-500 কিমি/ঘণ্টা। জেট বায়ু দু প্রকারের—মেরুদেশীয় জেট বায়ু ও উপক্রান্তীয়


50. আয়ন বায়ু কাকে বলে?

অর্থ: ‘আয়ন' কথাটির অর্থ ‘পথ'।


ধারণা: উভয় গোলার্ধের উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে যে বায়ু সারাবছর ধরে নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট পথেনিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়, সেই বায়ুকে বলা হয় আয়ন বায়ু।


অন্য নাম: আগেকার দিনে নির্দিষ্ট পথে প্রবাহিত এই বায়ুপ্রবাহের সাহায্যে পালতোলা জাহাজে বাণিজ্য করার সুবিধা হত বলে এই বায়ুপ্রবাহের নাম হয় বাণিজ্য বায়ু।


51. প্রত্যয়ন বায়ু কাকে বলে?

উত্তরঃ- প্রধানত পৃথিবীর আবর্তন গতির প্রভাবে দুই মেরুবৃত্ত প্রদেশে দুটি নিম্নচাপ বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বায়ুর চাপের সমতা রক্ষার জন্য উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে বায়ু সারাবছর ধরে নিয়মিতভাবে ওই দুই মেরুবৃত্ত প্রদেশের দিকে ছুটে যায়। এভাবে সৃষ্টি হয় পশ্চিমা বায়ু। যেহেতু আয়ন বায়ুর গতিপথের ঠিক বিপরীত দিকে এই পশ্চিমা বায়ু প্ৰৰাহিত হয়, তাই এই পশ্চিমা বায়ুকেই প্রত্যয়ন বায়ু বলে।



52. মৌসুমি বায়ু কাকে বলে?

আরবি শব্দ ‘মৌসিম’-এর বাংলা প্রতিশব্দ ‘মৌসুমি’, যার অর্থ ‘ঋতু। স্থলভাগ ও জলভাগের মধ্যে বায়ুর উয়তা ও বায়ুচাপের পার্থক্যজনিত কারণে যে সাময়িক বায়ু নির্দিষ্ট ঋতুতে নির্দিষ্ট দিক থেকে প্রবাহিত হয়, তাকে মৌসুমি বায়ু বলে। ভারতীয় উপমহাদেশে গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং

শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগ বেশি থাকে বলে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার সময় বেশি বাধা পায়। কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধে জলভাগের পরিমাণ বেশি থাকে বলে এই বায়ু প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। তাই দক্ষিণ গোলার্ধের পশ্চিমা বায়ুকে প্রবল পশ্চিমা বায়ু বলে।


53. গর্জনশীল চল্লিশা কী?

দক্ষিণ গোলার্ধে 40° অক্ষাংশের পর স্থলভাগ বিশেষ না থাকায় পশ্চিমা বায়ুর গতির ওপর ঘর্ষণজনিত বাধা কম পড়ে। এজন্য দক্ষিণ গোলার্ধে 40° থেকে 50° অক্ষাংশের মধ্যে বিস্তৃত জলরাশির ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু সারাবছরই, সশব্দে প্রবলবেগে এবং অপ্রতিহতভাবে চলাচল করে। প্রবল বেগে প্রবাহিত হয় বলে এই অক্ষাংশের দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ুকে গর্জনশীল চল্লিশা বলে।


54. আয়ন বায়ুর অপর নাম বাণিজ্যিক বায়ু কেন?

‘আয়ন’ কথাটির অর্থ পথ | আগেকার দিনে পালতোলা বাণিজ্য-জাহাজ ই আয়ন বায়ুপ্রবাহের সাহায্যে  নির্দিষ্ট পথে চলাচল করে বাণিজ্য করত বলে এই বায়ুর নাম হয়েছে বাণিজ্য বায়ু।


55. পার্বত্য বায়ু কাকে বলে?

● পার্বত্য বায়ু: অর্থ: গ্রিক শব্দ ‘Kata baino’-র অর্থ হল ‘to go down’ বা ‘নীচের দিকে নামা’। সৃষ্টির কারণ: পার্বত্য অঞ্চলে রাতেরবেলা তাপ বিকিরণের ফলে উপত্যকার দুই পাশের ঢাল বেয়ে উপরস্থ শীতল ও ভারী বায়ু নীচের দিকে নেমে আসে ও উপত্যকার তলদেশে অবস্থান করে। এই বায়ুকে পার্বত্য বায়ু বা নিম্নঢালবাহী বায়ু বা ক্যাটাবেটিক বায়ু বলে |


56. উপত্যকা বায়ু বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- উপত্যকা বায়ু : অর্থ: গ্রিক শব্দ ‘Anabatikos’-র অর্থ হল ‘rising' বা ‘ওপরের দিকে ওঠা”। সৃষ্টির কারণ: দিনেরবেলায় সূর্যরশ্মির প্রভাবে উপত্যকার দুই পাশের উপরস্থ বায়ু উম্ন ও হালকা হয় এবং উপত্যকার দুই ঢাল অনুসরণ করে নীচের দিক থেকে ওপরের দিকে প্রবাহিত হয়। এই প্রকার বায়ুকে উপত্যকা বায়ু বা ঊর্বঢালবাহী বায়ু বা অ্যানাবেটিক বায়ু বলে | উপত্যকা বায়ুপ্রবাহের ফলে পর্বতের শীর্ষদেশে স্তূপ মেঘের সৃষ্টি হয়।



57. জেট বায়ুর দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

 ঊর্ধ্ব ট্রপোস্ফিয়ার দিয়ে পশ্চিম থেকে পূর্বে চলাচলকারী বায়ুস্রোত জেট বায়ু নামে পরিচিত। এই বায়ুর দুটি বৈশিষ্ট্য হল— জেট বায়ু অত্যন্ত দ্রুতগামী বায়ু | এই বায়ু ঘণ্টায় 100-400 কিমির অধিক গতিবেগে প্রবাহিত হয়। এই বায়ু অত্যন্ত সংকীর্ণ এবং আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়।


58. বাইস ব্যালট সূত্র কী?

● ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাইস ব্যালট (Buys Ballot) নামে একজন ওলন্দাজ বিজ্ঞানী বায়ুচাপের তারতম্য ও বায়ুপ্রবাহের মধ্যে এক সম্পর্ক নির্ধারণ করে একটি সূত্র প্রদান করেন। এই সূত্রানুযায়ী উত্তর গোলার্ধে বায়ুপ্রবাহের দিকে পিছন করে দাঁড়ালে ডানদিকের তুলনায় বামদিকে বায়ুর চাপ কম অনুভূত হয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থা দেখা যায়। এটিই বাইস ব্যালট সূত্র (Buys Ballot's law) নামে পরিচিত।


59. জলস্তম্ভ ও বালিস্তম্ভ কী?

জলস্তম্ভ: ঘূর্ণবাত যখন সমুদ্রের ওপর দিয়ে অগ্রসর হয়—তখন অনেকসময় ওই ঘূর্ণবাত সমুদ্রের জলরাশিকে এমনভাবে আকর্ষণ করে যে, জলরাশি স্তম্ভের মতো উঁচুতে উঠে পড়ে। একে বলা হয় জলস্তম্ভ।

বালিস্তম্ভ: মরুভূমির ওপর দিয়ে ঘূর্ণবাত অগ্রসর হলে, সেই জায়গার বালিকণাকে আকর্ষণ করে ওপরের দিকে তুলে ফেলে। একে বলা হয় বালিস্তম্ভ।


60. সাময়িক বায়ু কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

দিনের বিভিন্ন সময়ে বা বছরের বিভিন্ন ঋতুতে বায়ুমণ্ডলের উন্নতা এবং চাপের পার্থক্যের জন্য সাময়িকভাবে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে সাময়িক বায়ু বলা হয়। উদাহরণ— সমুদ্রবায়ু, 2 স্থলবায়ু এবং 3 মৌসুমি বায়ু।


61. স্থলবায়ু কাকে বলে?

-উত্তরঃ- স্থলবায়ু একপ্রকার সাময়িক বায়ু | জলভাগের তুলনায় স্থলভাগ দ্রুত উন্ন হয় এবং শীতলও হয় তাড়াতাড়ি। এর ফলে স্থলভাগ ও জলভাগের মধ্যে তাপমাত্রার তারতম্য হয়। যেমন-রাত্রিবেলা স্থলভাগ দ্রুত তাপবিকিরণ করে যখন ঠান্ডা হয়ে যায়, জলভাগ তখনও উস্ন থাকে। এর ফলে জলভাগে নিম্নচাপ ও স্থলভাগে উচ্চাপ বিরাজ করে। তখন, স্থলভাগ থেকে ঠান্ডা ও ভারী বায়ু উম্ন জলভাগের দিকে ছুটে যায়। স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে ছুটে আসায় এই বায়ুকে বলা হয় স্থলবায়ু।



62. সমুদ্রবায়ু কাকে বলে?

উত্তরঃ- সমুদ্রবায়ু একধরনের সাময়িক বায়ু। সমুদ্র-সংলগ্ন অঞ্চলে জলভাগ ও স্থলভাগের মধ্যে তাপমাত্রার তারতম্যে এই বায়ুর উৎপত্তি হয়। দিনেরবেলায় জলভাগ অপেক্ষা স্থলভাগ বেশি উত্তপ্ত হওয়ায় স্থলভাগের ওপর নিম্নচাপ ও জলভাগের ওপর উচ্চচাপ বিরাজ করে। তখন বায়ুচাপের সমতা রক্ষার জন্য জলভাগের ওপর থেকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা ও ভারী বায়ু স্থলভাগের দিকে ছুটে আসে | সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয় বলে একে সমুদ্র বায়ু বলা হয়।


63.. জিওস্ট্রফিক বায়ু বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ- ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বাংশে গড়ে প্রায় 10-12 কিলোমিটারের মধ্যে সমচাপরেখার সাথে সমান্তরালে প্রবাহিত বায়ুকে জিওস্ট্রফিক বায়ু বলে। সাধারণত বায়ুচাপের ঢালের বল ও কোরিওলিস বলের মধ্যে নিখুঁত ভারসাম্য হলে জিও স্ট্রফিক বায়ুর সৃষ্টি হয়। নির্ধারণ করে একটি সূত্র প্রদান করেন। এই সূত্রানুযায়ী উত্তর গোলার্ধে বায়ুপ্রবাহের দিকে পিছন করে দাঁড়ালে ডানদিকের তুলনায় বামদিকে বায়ুর চাপ কম অনুভূত হয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থা দেখা যায়। এটিই বাইস ব্যালট সূত্র (Buys Ballot's law) নামে পরিচিত।



মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ২ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 2 marks pdf / ক্লাস 10 বায়ুমণ্ডল 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ভূগোল 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X Geography 2nd chapter 2 marks question answer pdf / Class ten Geography 2nd chapter 2 marks question answer / বায়ুমণ্ডল LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বায়ুমণ্ডল থেকে অতিসংক্ষিপ্ত, অতিঅতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য -  বায়ুমণ্ডল অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ভূগোল এর  দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography 1 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় বায়ুমণ্ডল প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘ মাধ্যমিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় বায়ুমণ্ডল বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  বায়ুমণ্ডল অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ভূগোল বায়ুমণ্ডল দ্বিতীয় অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল বায়ুমণ্ডল দ্বিতীয় অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography short Question and Answer 


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik Geography 2nd chapter 2 number questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik Geography Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় বায়ুমণ্ডল 2 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography second chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________










Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url