কবি কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী PDF | Kazi Nazrul Islam Biography in Bengali Pdf Download
কবি কাজী নজরুল ইসলাম সংক্ষিপ্ত জীবনী PDF – Kazi Nazrul Islam Biography in Bengali Pdf Download
কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী PDF | Kazi Nazrul Islam Biography Pdf Download |
আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কাজী নজরুল ইসলামের সম্পূর্ণ জীবনী | Kazi Nazrul Islam full Biography in Bengali , যা যেকোন পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বা আগত টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে আপনাকে সাহায্য করবে ।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টটা ভালো করে পড়ে নিন বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী pdf download করে নিতে পারেন। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নিতে পারেন।
YouTube Link - . OUR ONLINE SCHOOL SUBSCRIBE
আরও পোস্ট দেখো B
A.
B.কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী pdf– Kazi Nazrul Islam Short Biography in Bengali Pdf
ইতিহাস এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা সাধারণের ঊর্ধ্বে উঠে তাদের অসাধারণ প্রতিভা এবং অটল চেতনার মাধ্যমে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ছাপ রেখে গেছেন। এমনই একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন বাংলার একজন প্রখ্যাত কবি দার্শনিক এবং বিপ্লবী। তার অদম্য চেতনা সামাজিক ন্যায় বিচারের নিরলস সাধনা এবং কাব্যিক তেজ দ্বারা অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছে।
বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত নজরুল ইসলামের জীবন ছিল ন্যায়ের নিরলস সাধনার প্রমাণ। দারিদ্র ও নিপীড়নের গভীরতা থেকে উঠে এসে তিনি তার কবিতা সংগীত এবং প্রান্তিক অধিকারের প্রতি অটুট অঙ্গীকারের মাধ্যমে সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে একটি বিপ্লব শুরু করেছিলেন। আজকের নিবন্ধে আমরা কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম, শৈশবকাল, শিক্ষা, কর্মজীবন থেকে শুরু করে তার বিভিন্ন রচনা সম্ভার পর্যন্ত সম্পূর্ণ তথ্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম | বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম (Kazi Nazrul Islam’s Birthday in bengali)
বর্ধমান জেলার আসানসোল মহাকুমার অন্তর্গত জামুরিয়া থানার অধীনস্ত চুরুলিয়া গ্রামে 1306 বঙ্গাব্দের 11 জ্যৈষ্ঠ (1899 সালের 24 মে) কবির জন্ম হয়। পিতার নাম ফকির আহমদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। কাজী ফকির আহমেদের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর চার পুত্রের অকাল মৃত্যু হওয়ার পর কাজী নজরুলের জন্ম হয়েছিল, তাই বাল্যকালে কবির ডাকনাম হয় দুখু মিঞা।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের পিতার ও মাতার নাম (Kazi Nazrul Islam’s Father and Mother in Bengali) :
পিতার নাম ফকির আহমদ ও মাতার নাম জাহেদা খাতুন।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী – Kazi Nazrul Islam Short Biography in Bengali
নাম (Name) : 'কাজী নজরুল ইসলাম' (Kazi Nazrul Islam)
জন্ম (Birthday) : 1306 বঙ্গাব্দের 11 জ্যৈষ্ঠ (1899 সালের 24 মে), আসানসোল মহাকুমার অন্তর্গত জামুরিয়া থানার অধীনস্ত চুরুলিয়া গ্রামে
অভিভাবক (Guardian) : পিতার নাম ফকির আহমদ ও মাতার নাম জাহেদা খাতুন।
ছদ্দনাম (Pseudonym): বিদ্রোহী কবি
দাম্পত্যসঙ্গী (Spouse): প্রমীলা দেবীর
পেশা (Career) : কবি, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, গল্পকার
উল্লেখযোগ্য রচনাবলী : ভাঙার গান, কান্ডারী হুঁশি, রক্তের বাঁধন, নতুন চাঁদ, রিক্তের বেদন, শিউলি মালা, সাপুড়ে, যুগবানি, ঝিঙেফুল, দুর্দিনের যাত্রী, রুদ্রমঙ্গল, ধূমকেতু প্রভৃতি
মৃত্যুস্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
মৃত্যু (Death) :১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ (ইংরেজি 29 আগস্ট 1976)
কবি কাজী নজরুল ইসলামের শৈশব জীবন| (Kazi Nazrul Islam’s Childhood in bengali)
কাজী নজরুল ইসলাম দারিদ্র্যের সঙ্গে কঠোর সংগ্রাম করেই কবির শৈশব অতিবাহিত হয়। ছোটবেলায় কবি তার মা জাহিদা খাতুনের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়, তিনি নিজে একজন দক্ষ গায়িকা ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি কবি নজরুলের আরও আগ্রহ প্রকাশ পায়। অনেক ছোটবেলা থেকেই তিনি তার মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী লোক সংগীত ভক্তিমূলক সংগীৎ এবং শাস্ত্রীয় রচনা শিখতে শুরু করেন।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের শিক্ষা জীবন | (Educational Qualification of Kazi Nazrul Islam in bengali ) :
কবি নজরুল ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় তার গ্রামের স্কুলে যেখানে তিনি সাহিত্য কবিতার জগতে পরিচিত হন। ছোটবেলা থেকেই তিনি অনেক প্রতিভাবান ছিলেন। তবে 1908 খ্রিস্টাব্দে পিতার মৃত্যুর পরে আক্ষরিকভাবেই দু-বেলা আহারের সংস্থান কাজীর পরিবারে অসম্ভব হয়ে পড়ে। মক্তবের পড়া শেষ করে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে পড়ার বদলে তাঁকে অর্থোপার্জনের চিন্তা করতে হয়। অর্থের জন্য, পরিবারের গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য গ্রামে গ্রামে মোল্লাগিরি, বাজারে খাদেমগিরি, মসজিদে ইমামগিরি,
লেটোনাচের গান, পালা রচনা প্রভৃতি কাজ তাঁকে করতে হয়।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের কর্মজীবন | Career of poet Kazi Nazrul Islam in bengali
রানিগঞ্জের শিয়ারশোল রাজ হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র নজরুল প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রাক্কালে সৈন্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন। প্রথম মহাযুদ্ধে 49 নং বাঙালি পল্টনের সৈনিকরূপে কাজী নজরুল প্রথমে লাহোরে যান এবং পরবর্তী পর্যায়ে তিনি যান করাচি।
সেনাবাহিনীতে থাকার সময়কালেই তিনি রচনা করতে থাকেন গল্প, কবিতা, গান ইত্যাদি। কবির প্রথম মুদ্রিত কবিতা ‘মুক্তি’ 1919 খ্রিস্টাব্দে 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা'-য় আত্মপ্রকাশ করে। নজরুল কবিতাটির নাম দিয়েছিলেন ‘ক্ষমা’। পরিবর্তিত নামকরণটি করেন পত্রিকা সৈনিক জীবন থেকে সাহিত্যিক জীবনে প্রত্যাবর্তন সম্পাদক মুজাফ্ফর আহমদ। সেনাবাহিনীতে থাকার সময়েই তিনি ‘ব্যথার দান’, ‘হেনা’ নামে দুটি গল্পও রচনা করেন। পরবর্তীকালে বাঙালি পল্টন ভেঙে গেলে তিনি 1920 খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে কলকাতায় চলে আসেন। 1922 খ্রিস্টাব্দে নজরুলের প্রথম গল্পগ্রন্থ 'ব্যথার দান’ প্রকাশিত হয়। এ বছর তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ও প্রকাশ পায়। 1922 খ্রিস্টাব্দের 11 আগস্ট আত্মপ্রকাশ করে কবির সম্পাদিত পত্রিকা ‘ধূমকেতু’। কবিগুরুর আশীর্বাদধন্য এই পত্রিকায় প্রকাশিত হত জাতীয়তাবাদের কথা।
কারাবরণ ‘ধূমকেতু’ যে জাতির অচলায়তন মনকে অহর্নিশি ধাক্কা দিচ্ছে রাজশক্তি তা অনুধাবন করে এবং পত্রিকাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। 1923 খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে নজরুল ‘ধূমকেতু'-র কারণে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। বাংলা সাহিত্যের জগতে নজরুলই প্রথম কবি, যিনি তাঁর সাহিত্যকীর্তির জন্য কারাদণ্ড ভোগ করেন।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের পারিবারিক জীবন |
1921 সালের এপ্রিল-জুন মাসের দিকে নজরুল মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে গ্রন্থ প্রকাশক আলী আকবর খানের সাথে পরিচিত হন। তার সাথেই তিনি প্রথম কুমিল্লার বিরজাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে আসেন। আর এখানেই পরিচিত হন প্রমীলা দেবীর সাথে যার সাথে পরে বিয়ে হয়েছিল।
তবে এর আগে নজরুলের বিয়ে ঠিক হয় আলী আকবর খানের ভগ্নী নার্গিস আসার খানমের সাথে। বিয়ের আখত সম্পন্ন হবার পরে কাবিনের নজরুলের ঘর জামাই থাকার শর্ত নিয়ে বিরোধ বাধে। নজরুল ঘর জামাই থাকতে অস্বীকার করেন এবং বাসর সম্পন্ন হবার আগেই নার্গিসকে রেখে কুমিল্লা শহরে বিরজাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে চলে যান। তখন নজরুল খুব অসুস্থ ছিলেন এবং প্রমিলা দেবী নজরুলের পরিচর্যা করেন। এক পর্যায়ে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের উল্লেখযোগ্য রচনা,কবিতা , জনপ্রিয় গান ,প্রবন্ধ, গল্পগ্রন্থ, |
কাজী নজরুল ইসলামের সৃজনশীল প্রতিভার কোন সীমা ছিল না। তিনি একাধারে কবিতা গান এবং প্রবন্ধ থেকে শুরু করে নাটক বিভিন্ন সাহিত্যিক রচনা সৃষ্টি করেছেন। তার লেখা এই সমস্ত রচনা ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন এবং সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
কাজী নজরুল ইসলামের জনপ্রিয় কবিতা: কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ছন্দে স্পন্দিত হয়ে বিদ্রোহের উচ্ছাস ও স্বাধীনতার চেতনা সৃষ্টি করে। তিনি প্রায় তিন হাজারেরও বেশি কবিতা রচনা করেছেন, যার প্রতিটি তার মাতৃভূমির প্রতি গভীর ভালবাসা এবং সামাজিক ন্যায় বিচারের প্রতি তার অটল প্রতিশ্রুতিতে প্রতিফলিত করে। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কিছু কবিতা হলো ভাঙার গান, কান্ডারী হুঁশি, রক্তের বাঁধন, নতুন চাঁদ, সাম্যবাদী, বিষের বাঁশি, বসন্ত, নির্মাণ, বিদ্রোহী, উন্মাদের গান, সুখ, আগলা, মানস মঙ্গল প্রভৃতি।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা নাম:
মাত্র বাইশ বছর বয়সে নজরুল লিখে ফেললেন তার বিখ্যাত কবিতা ‘ বিদ্রোহী ’ । এই কবিতাটি রচনা করে কাজী নজরুল ইসলাম বিখ্যাত হয়ে গেলেন ‘ বিদ্রোহী কবি হিসাবে ।
কাজী নজরুল ইসলামের জনপ্রিয় গান: কবি হিসেবে তার অসাধারণ দক্ষতা ছাড়াও সঙ্গীতে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অতুলনীয়। তিনি বিভিন্ন দেশাত্মবোধক প্রেমের গান ভক্তিমূলক এবং বিপ্লবী সংগীতের মতো বিভিন্ন ধারাকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রায় দু হাজারেরও বেশি গান রচনা করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য গান গুলির মধ্যে রয়েছে বুলবুল, সন্ধ্যা, চোখের চাতক, নজরুল গীতিকা, নজরুল স্বরলিপি, চন্দ্রবিন্দু, সুরসাকী, বনগীতি, জুলফিকার, গানের মালা প্রভৃতি।
কাজী নজরুল ইসলামের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: কাজী নজরুল ইসলাম দ্বারা রচিত প্রথম উপন্যাস হলো বাঁধনহারা। করাচিতে থাকাকালীন তিনি বাঁধনারা উপন্যাস রচনা শুরু করেছিলেন। এছাড়াও তার অন্যতম একটি জনপ্রিয় উপন্যাস হলো কুহেলিকা, এই উপন্যাসের মধ্য দিয়ে নজরুলের রাজনৈতিক আদর্শ মতবাদ প্রতিফলিত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ: কাজী নজরুল ইসলামের লেখা প্রথম গ্রন্থ হল ব্যথার দান যা ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য গল্প গ্রন্থ গুলির মধ্যে হল রিক্তের বেদন, শিউলি মালা, সাপুড়ে, হক সাহেবের হাসির গল্প প্রভৃতি।
উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ এবং নিবন্ধ : কাজী নজরুল ইসলাম দ্বারা সম্পাদিত প্রবন্ধ এবং নিবন্ধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল যুগবানি, ঝিঙেফুল, দুর্দিনের যাত্রী, রুদ্রমঙ্গল, ধূমকেতু, রাজবন্দীর জবানবন্দি ইত্যাদি
তখনকার সময়ে সারাদেশ জুড়ে অসহযোগ আন্দোলন প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি করে। কবি নজরুলের এ সময়কার কবিতা গান ও প্রবন্ধ প্রবল বিদ্রোহের মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। তার রচিত বিখ্যাত গান গুলির মধ্যে রয়েছে ''এ কোন পাগলা পথিক ছুটে এলো বন্দিনী মা আঙ্গিনায় আজ রক্তনীতি ভোরে/ একি এ শুনি ওরে/ মুক্তি কোলাহল বন্দী শৃংখলে''
সমগ্র ভারতব্যাপী হরতাল উপলক্ষে কবি নজরুল আবার পথে নেমে আসেন এবং অসহযোগ মিছিলের সাথে শহর প্রদক্ষিণ করে আবার গান করেন
''ভিক্ষা দাও! ভিক্ষা দাও! ফিরে চাও ওগো পুরবাসী ''
নজরুল সার্থকভাবে বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার কবি। কোনোরূপ ভৌগোলিক পরিবর্তনে কবির সৃষ্টির অখণ্ডতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে না। তিনি কোনোদিনই গতানুগতিকতার স্রোতে চলেননি। তাঁর সৃষ্টির বৈচিত্র্য বাংলার কোমলকান্ত নিস্তেজ জীবনে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঞ্চার করে বৃহত্তর মুক্ত জীবনের ডাক শুনিয়েছিল। অত্যন্ত আবেগপ্রবণ মানুষ ছিলেন বলেই হয়ত শেষ জীবনে কবি নির্বাক, বোধহীন এবং কিছুটা অস্বাভাবিক হয়ে পড়েন। 1976 খ্রিস্টাব্দের 29 আগস্ট ভারতের বিদ্রোহী স্বাধীন কবি বাংলাদেশের ঢাকা শহরে চিরশান্তির লোকে পাড়ি দেন।
স্বাধীনতা এসেছিল এক বাংলা বিভক্ত হয়ে দুই বাংলারূপে। কিন্তু নজরুলকে বিভক্ত করা যায়নি। কারণ তিনি ছিলেন দুই বাংলার যোগাযোগের একমাত্র সেতু। তাই কবি-সাহিত্যিক অন্নদাশংকর
রায় লিখেছেন :
‘ভুল হয়ে গেছে বিলকুল
আর সব কিছু ভাগ হয়ে গেছে
ভাগ হয়নিকো নজরুল।
কাজী নজরুল ইসলাম এর সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | Nazrul Islam Biography related FAQ
প্রশ্ন: জী নজরুল ইসলামের জন্ম কত তারিখে?
উত্তর : 1306 বঙ্গাব্দের 11 জ্যৈষ্ঠ ইংরেজির 1899 সালের 24 মে তারিখে কবির জন্ম হয়।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম কোথায়?
উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলাম বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম স্থান?
উত্তর : বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহাকুমার অন্তর্গত জামুরিয়া থানার অধীনস্ত চুরুলিয়া গ্রামে কবির জন্ম হয়।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের পিতা মাতার নাম কি?
উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলামের পিতার নাম ফকির আহমদ ও মাতার নাম জাহেদা খাতুন।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতার নাম কি?
উত্তর : ভাঙার গান, কান্ডারী হুঁশি, রক্তের বাঁধন, নতুন চাঁদ, সাম্যবাদী, বিষের বাঁশি, বসন্ত, নির্মাণ, বিদ্রোহী, উন্মাদের গান, সুখ, আগলা, মানস মঙ্গল প্রভৃতি।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলাম কাকে বিবাহ করেন?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৪ সালের ২৪ শে এপ্রিল প্রমীলা সেনগুপ্তাকে বিয়ে করেন ।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গল্পের নাম কি?
উত্তর : ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলি মালা, সাপুড়ে, হক সাহেবের হাসির গল্প প্রভৃতি।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি সৌধ কোথায় আছেন?
উত্তর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামকেজাতীয়
প্রশ্ন: কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবে মৃত্যু হয়?
উত্তর : ১৯৭৬ সালের ২৯ শে আগস্ট চিরবিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলাম ঢাকায় পরলােক গমন করেন ।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের পিতার নাম কি?
উত্তর : পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের মায়ের নাম কি?
উত্তর : জাহেদা খাতুন ।
প্রশ্ন: বিদ্রোহী কবি কাকে বলা হয়?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলামকে।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতার নাম কি?
উত্তর : বিখ্যাত কবিতা ‘ বিদ্রোহী ’ ।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের নাম দুখু মিয়া কেন?
উত্তর : জন্মের কিছুদিন পর পরই তিন ভাই মারা যায় । সন্তান হওয়ার পর – পরই অন্যান্য ছেলেরা মারা যাওয়ায় নজরুলের দাদি তার নাম রেখেছিলাে দুখু মিয়া
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ?
উত্তর : ১৯২৩ খ্রিঃ অক্টোবর মাসে নজরুলের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীনা প্রকাশিত হয় ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে জাতীয় কবি হিসাবে নাম কি?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলামের কবর কোথায়?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি হল বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত একটি সমাধি। এটি বিংশ শতাব্দীর লেখক, কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিকে চিহ্নিত করে।
প্রশ্ন: নজরুলকে কেন সেনাবাহিনী ত্যাগ করতে হলো?
উত্তর : নজরুলকে সেনাবাহিনী ত্যাগ করতে হয়েছিল কারণ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে 1920 সালে রেজিমেন্টটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলাম কিভাবে মারা যান?
উত্তর : 1974 সালে, তার কনিষ্ঠ পুত্র, কাজী অনিরুধ, একজন গিটারিস্ট, মারা যান এবং নজরুল ইসলাম শীঘ্রই 29 আগস্ট 1976 তারিখে তার দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার কারণে মারা যান। তার একটি কবিতায় যে ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন সে অনুযায়ী তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের একটি মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলাম কিভাবে ইন্তেকাল করেন ?
উত্তর : 1939 ই. নজরুলের স্ত্রী জয়া প্রমীলা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন। কয়েক বছর পর, 1942 সালে, কবি নজরুল নিজেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে তার কণ্ঠস্বর হারান।
১৯৫৩ সাল- নজরুলের স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য ইউরোপে পাঠানো হয়। 1972 খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান কবিকে বাংলাদেশে নিয়ে যান এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দেশের দুর্ভাগ্য যে নীরব কবি তার কণ্ঠ ফিরিয়ে নিতে পারেননি।
১৯৭৫ সালে শহীদ দিবসে বাংলাদেশ সরকার নজরুলকে একুশী পদক দিয়ে সম্মানিত করে। বিদ্রোহী নজরুল ১৯৭৬ সালের ২৯ জুন ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে আপনি কি জানেন?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম (24 মে 1899 - 29 আগস্ট 1976) একজন বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ এবং বিপ্লবী ছিলেন। তার ডাক নাম ছিল "বিদ্রোহী কবি"। ফ্যাসিবাদ এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে তীব্র আধ্যাত্মিক বিদ্রোহের কথা বলে এমন কবিতা তৈরি করার জন্য তিনিই প্রথম। নজরুল বাংলাদেশের জাতীয় কবি।
বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
File Details:-
File Name:- Kazi Nazrul Islam Biography in pdf download
File Format:- PDF
File Location:- Google Drive
Adddddd
Download: Click Here to Download
Adddddddd
: আরও পোস্ট দেখো :B
A.
শেষ কিছু কথা :-
বন্ধুরা, আশা করি আপনারা কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের সম্পর্কে কিছু টা হলেও পরিচিতি পাবেন। আপনি অবশ্যই কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী ব্লগটি পছন্দ করেছেন। আপনি যদি আমার এই ব্লগটি পছন্দ করেন তবে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে এবং আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করুন।
যদি আপনার কোন মন্তব্য থাকে, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন, আপনি আমাকে ইমেল করতে পারেন বা আমাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনুসরণ করতে পারেন, আমি শীঘ্রই একটি নতুন লেখা নিয়ে আপনার সাথে দেখা করব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমার ব্লগে থাকুন "ধন্যবাদ"