বহুরূপী গল্প প্রশ্ন উত্তর pdf | মাধ্যমিক বাংলা গল্প বহুরূপী প্রশ্ন উত্তর ।

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি বাংলা গল্প বহুরূপী প্রশ্ন উত্তর | বহুরূপী সুবোধ ঘোষ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali golpo Bahurupi question answer




আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির বাংলা বহুরূপী গল্প প্রশ্ন উত্তর pdf। মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর বহুরূপী । দশম শ্রেণির বাংলা গল্প প্রশ্ন উত্তর বহুরূপী। বহুরূপী প্রশ্ন ও উত্তর |Madhyamik Bengali Bahurupi question answer যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।



বহুরূপী SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বহুরূপী গল্প MCQ প্রশ্ন উত্তর / 

ANS; Click Here PDF


দশম শ্রেণির  বাংলা বহুরূপী ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf / মাধ্যমিক বাংলা গল্প বহুরূপী ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর / বহুরূপী গল্প ১ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / মাধ্যমিক বাংলা বহুরূপী 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণির বাংলা বহুরূপী 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর 


১. লেখক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদার কাছে কোন্ ঘটনা শোনাতে এসেছিলেন?

উত্তর: জগদীশবাবুর বাড়িতে খুব উঁচুদরের এক সন্ন্যাসী এসেছিলেন এবং তিনি সাত দিন ধরে তাঁর বাড়িতে ছিলেন। এই খবরটাই লেখক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদাকে শোনাতে এসেছিলেন।


2. “হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম।” কীসের গল্প-

উত্তর: জগদীশবাবুর বাড়িতে এক সন্ন্যাসী এসেছিলেন। হরিদার কাছে সেই সন্ন্যাসীর গল্পই করা হয়েছিল।


3. “সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস”—দুর্লভ জিনিসটি কী?

উত্তর: দুর্লভ জিনিসটি হল জগদীশবাবুর বাড়িতে উপস্থিত সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো।


৪. হরিদা সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে কী বলা হয়েছিল?

উত্তর: হরিদা সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে বলা হয়েছিল, সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো দুর্লভ জিনিস। একমাত্র জগদীশবাবু ছাড়া কেউই তাই সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পাননি।


5.কীভাবে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পেয়েছিলেন?

উত্তর: জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর জন্য একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে খড়মজোড়া সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরতেই সন্ন্যাসী বাধ্য হয়ে নিজের পা এগিয়ে দেন। সেই সুযোগে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়ে নেন।


৬. সন্ন্যাসী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কী করেছিলেন?

উত্তর: সন্ন্যাসী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে তাঁকে দিয়েছিলেন আর সন্ন্যাসীর ঝোলায় জোর করে একশো টাকার একটা নোট ফেলে দিয়েছিলেন। 


7.“সন্ন্যাসী হাসলেন আর চলে গেলেন” সন্ন্যাসী কী দেখে হাসলেন?

উত্তর: সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর হাতে একশো টাকার একটা নোট দেখে হাসলেন।


8. হরিদার ঘরটা কীরকম ছিল এবং সেখানে কী হত?

উত্তর: সরু এক গলির মধ্যে হরিদার ছোটো একটা ঘর ছিল। সেখানে সকাল- সন্ধ্যা লেখকদের আড্ডা বসত। চা, চিনি, দুধ তাঁরাই আনতেন। হরিদা শুধু আগুনের আঁচে জল ফুটিয়ে দিত।


9.কোন্ ধরনের কাজ হরিদার পছন্দ ছিল না?

উত্তর: কোনো অফিসের কাজ বা দোকানে বিক্রি করার কাজ হরিদার পছন্দ ছিল না।


১০. হরিদা কীভাবে প্রতিদিনের অন্নসংস্থান করে?

উত্তর: হরিদা বহুরূপী সেজে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় | বহুরূপীর সাজ দেখে কেউ কেউ এক-আনা, দু-আনা বকশিশ দেয়। সেই রোজগারেই হরিদার দিন চলে।


১১. হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যটি কী ছিল?

উত্তর: হরিদা ছিল পেশায় বহুরূপী | সে কখনও পাগল সাজত, কখনও বাউল, কোনোদিন কাপালিক, কখনও-বা বোঁচকা কাঁধে বুড়ো কাবুলিওয়ালা। এটাই ছিল তার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য।.


12. “দুটো একটা পয়সা ফেলেও দিচ্ছে"—কারা, কীজন্য পয়সা ফেলে দিচ্ছে?

উত্তর: হরিদা পাগল সাজলে বাসের যাত্রীরা দুটো একটা পয়সা ছুড়ে দিচ্ছিল।


13. “এই বার সরে পড়ো”— কে, কাকে সরে পড়তে বলে?

উত্তর: বাস ড্রাইভার জানত হরি বহুরূপী সাজে। আর তাই সেদিন হরি পাগল সাজলে বাস ড্রাইভার হরিদাকে চিনতে পেরে তাকে সেখান থেকে সরে যেতে বলেছিল।


১৪. পাগলকে বহুরূপী বুঝতে পেরে লোকজন কী করে?

উত্তর: পাগল আসলে বহুরূপী তা বুঝতে পেরে বাসের যাত্রীরা কেউ হাসে, কেউ বিরক্ত হয়, আবার কেউ এই ভেবে অবাক হয় যে লোকটা এমন সেজেছে যে তাকে চেনাই যাচ্ছে না।


15.“কিন্তু দোকানদার হেসে ফেলে—হরির কাল্ড”—হরির কাণ্ডটি কী?

উত্তর: আলোচ্য অংশে হরিদার যে কাণ্ডের কথা বলা হয়েছে তা হল শহরের পথে বাইজি সেজে ঘুঙুরের আওয়াজ তুলে নাচতে নাচতে যাওয়া।


16.কোন্ বহুরূপীবেশে হরিদার রোজগার বেশি হয়েছিল?

উত্তর: রূপসি বাইজি সেজে হরিদার রোজগার বেশি হয়েছিল। বাইজি সেজে দোকানে দোকানে ফুলসাজি এগিয়ে দিচ্ছিল সে। সবাই সেই সাজিতে একসিকি করে দেওয়ায় হরিদা সেদিন আট টাকা দশ আনা পেয়েছিল।


17.এই পুলিশ সেজে হরিদা কী করেছিল?

উত্তর: হরিদা একবার পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে দাঁড়িয়েছিল আর সেখান থেকে চারটে স্কুলের ছেলেকে ধরেছিল।


18. গুলিশ সেজে হরিদা স্কুলের কত জন ছাত্রকে ধরেছিল?

উত্তর: পুলিশ সেজে হরিদা ফুলের চার জন ছাত্রকে ধরেছিল।


১৯. স্কুলের ছেলেদের পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে স্কুলের মাস্টার কী করেছিলেন?

উত্তর: স্কুলের মাস্টার ছেলেদের গুলিশের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বহুরূপী বেশে নকল পুলিশ হরিদাকে আট আনা ঘুষ দিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন।



20. কোন্ সময় এবং কী বেশে হরিদা জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিল?

উত্তর: হরিদা সন্ধ্যার সময় আদুড় গায়ে একটি ধবধবে সাদা উত্তরীয় আর ছোটো থান পরে বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিল।


21. জগদীশবাবুর দুই বিস্মিত চোখ অপলক হয়ে গেল”- কী দেখে জগদীশবাবুর এমন অবস্থা হয়েছিল?

উত্তর: জগদীশবাবু সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে যখন দেখেছিলেন আদুড় গায়ে সাদা উত্তরীয় পরা এক বিরাগী সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন তিনি অপলক দৃষ্টিতে তাঁর দিকে চেয়ে রইলেন।


22. “আমার অপরাধ হয়েছে” –বক্তার অপরাধ কী ছিল?

উত্তর: বিরাগী সাজে হরিদাকে দেখে জগদীশবাবু ওপর থেকে নীচে নেমে আসেননি। এটাই ছিল তাঁর অপরাধ।


23. হরিদার বিরাগী মূর্তি সম্পর্কে লেখক কী মন্তব্য করেছেন?

উত্তর: বিরাগীকে দেখে লেখক মন্তব্য করেছেন সীমার ওপার থেকে সে যেন হেঁটে এসেছে। তার শীর্ণ শরীর যেন অশরীরী সত্তা। উদাত্ত, শান্ত ও উজ্জ্বল দৃষ্টি তার চোখ থেকে ঝরে পড়ছে।



24."তিনি আপনার চেয়ে কিছু কম নয়।” ——'তিনি' বলতে বক্তা কাকে বুঝিয়েছে?

উত্তর: 'তিনি' বলতে বক্তা পরম করুণাময় ঈশ্বরকেই বুঝিয়েছে।


25.বিরাগীর কাছে জগদীশবাবুর প্রাণের অনুরোধটি কী ছিল এবং তা শুনে বিরাগী কী বলেছিলেন?

উত্তর: জগদীশবাবু বিরাগীকে তাঁর বাড়িতে কিছুদিন থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। এই কথা শুনে বিরাগী বলেছিল ধরিত্রীই তার আসল থাকার জায়গা। দালানবাড়িতে সে থাকতে পারবে না।


26.বিরাগী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কী করেছিলেন?

উত্তর: বিরাগী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু নোটের তাড়া ভরতি একটি থলে প্রশামিস্বরূপ বিরাগীর পায়ের কাছে রাখেন। এই টাকা তিনি বিরাগীকে তীর্থভ্রমণ উপলক্ষ্যে দিতে চেয়েছিলেন।


27.“ভ্রমণ করে দেখবার তো কোনো দরকার হয় না।”—কেন ভ্রমণ করে দেখবার দরকার হয় না?

উত্তর: বিরাগী হরিদার মতে, তার বুকের ভিতরেই রয়েছে সব তীর্থ, তাই ভ্রমণ করে দেখবার প্রয়োজন হয় না।


28. বিরাগী জগদীশবাবুর দেওয়া তীর্থভ্রমণের টাকা নিল না কেন?

উত্তর: বিরাগীকে জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের টাকা দেওয়ায় সে বলেন তার বুকের ভেতরই তীর্থ। তাই তার ভ্রমণ করে তীর্থ দেখার কোনো প্রয়োজন হয় না।


29. "আমার অনুরোধ বিরাগীজি...।”—বক্তা বিরাগীজিকে কী অনুরোধ করেছিলেন?

উত্তয়। বক্তা বিরাগীজিকে তীর্থভ্রমণের জন্য কিছু টাকা নিতে অনুরোধ করেছিলেন।


30. জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য কত টাকা দিতে চেয়েছিলেন?

উত্তর: জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য বিরাগীকে একশো এক টাকা দিতে চেয়েছিলেন।


31. জগদীশবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে হরিদার ঘরে গিয়ে গল্পের কথক কী দেখেছিলেন?

উত্তর: জগদীশবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে হরিদার ঘরে গিয়ে কথক দেখে, উনানের গনগনে আগুনে হাঁড়িতে চাল ফুটছে আর হরিদা একটা বিড়ি নিয়ে চুপ করে বসে আছে ।


32.‘এটা কী কাণ্ড করলেন”- কে, কী কাণ্ড করেছিল?

উত্তর: হরিদা বিরাগী সেজেছিল। জগদীশবাবু তাকে তীর্থভ্রমণের টাকা দিতে গেলে সে তা প্রত্যাখ্যান করে। এই কাণ্ডের কথাই এখানে বলা হয়েছে।


33."অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না।"—-হরিদার কোন ভুলের

উত্তর: হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর কাছ থেকে অনেকগুলো টাকা পেয়েও গ্রহণ করেনি | এখানে টাকা না নেওয়াকেই ভুল বলা হয়েছে।


34. হরিদা কী কারণে আবার জগদীশবাবুর বাড়ি যেতে চেয়েছিল?

উত্তর: হরিদা বহুরূপী সেজে নিজের পাওনা বকশিশটুকু নেওয়ার জন্য জগদীশবাবুর বাড়ি আবার যেতে চেয়েছিল।


35. কী পেলে জগদীশবাবু শান্তি পাবেন?

উত্তর: জগদীশবাবু বিরাগীজির উপদেশ পেলে শান্তি পাবেন।




বহুরূপী গল্প ৩ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর  / মাধ্যমিক বাংলা গল্প বহুরূপী 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর  / দশম শ্রেণির বাংলা গল্প বহুরূপী 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

bbbbbbbb

1. “গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা।”—কোন্ গল্প শুনে হরিদা গভীর হয়ে গিয়েছিল?

উত্তর: গল্পের লেখক ও তার বন্ধুরা হরিদাকে জানিয়েছিল যে, জগদীশবাবুর বাড়িতে এক সন্ন্যাসী সাত দিন ধরে ছিলেন। সেই সন্ন্যাসী সারাবছরে একটি হরীতকী খান। তাঁর বয়স হাজার বছরেরও বেশি | সন্ন্যাসী কাউকেই তাঁর পায়ের ধুলো দেন না। সেটি ছিল দুর্লভ জিনিস। জগদীশবাবু তাঁর জন্য কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে তার পায়ের কাছে ধরেছিলেন আর সন্ন্যাসী যখন সেই খড়ম পড়তে গেলেন তখন জগদীশবাবু তাঁর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন | সন্ন্যাসীর এই গল্প শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল।


২. “খুবই গরিব মানুষ হরিদা”—হরিদার দারিদ্র্যের পরিচয় দাও।

উত্তর: শহরে একটা গলির ভিতরে হরিদার ঘর। সে কোনো কাজ করে না। সময় ধরে কোনো অফিসে বা দোকানে কাজ করা তার পছন্দ নয়। তাই তার রোজগারহীন সংসার | তার উনুনে অনেক সময় শুধু জলই ফোটে, ভাত ফোটে না। এই অভাব সে সহ্য করতে পারে, কিন্তু একঘেয়ে কা করতে তার ভয়ানক আপত্তি শুধু জীবনটাকে বাঁচাতে মাঝে মাঝে বহুরূপী সেজে তার সামান্য কিছু রোজগার হয় | তাতেই কোনোদিন একবেলা-আধবেলা খেয়ে হরিদার দিন চলে যায়।


3. কেন হরিদা কোনোদিন চাকরি করেনি?

উত্তর: একঘেয়ে সময় বেঁধে কাজ হরিদার কোনোদিনই ভালো লাগত না। ইচ্ছে করলেই হরিদা যে-কোনো অফিসের কাজ অথবা কোনো দোকানের বিক্রিওয়ালার কাজ পেয়ে যেত। কিন্তু ঘড়ির কাঁটায় সময় ধরে নিয়ম করে রোজই এক চাকরি করতে যাওয়া হরিদার পক্ষে সম্ভব ছিল না। যথেষ্ট অভাব ছিল তার, কোনোদিন হাঁড়িতে ভাত চড়ত, কোনোদিন চড়ত না। এই অভাবটা সহ্য করতে হরিদার আপত্তি না থাকলেও একঘেয়ে কাজ করতে তার ভীষণ আপত্তি ছিল। তাই হরিদা কোনোদিন চাকরি করেনি।


৪. "ঠিক দুপুরবেলাতে একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল আতঙ্কের ছল্লাটি বর্ণনা করো।

উত্তর: একদিন দুপুরবেলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক পাগলকে দেখা গিয়েছিল। কটকটে লাল চোখের সেই পাগলের মুখ থেকে লালা ঝরছিল। কোমরে ছেঁড়া কম্বল আর গলায় টিনের কৌটোর মালা জড়ানো পাগলটা থান ইট হাতে নিয়ে বাসে বসা যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল। তাকে দেখে যাত্রীরা চেঁচিয়ে উঠছিল। কেউ কেউ দু-এক পয়সা তার সামনে ফেলে দিচ্ছিল। এভাবেই বাসস্ট্যান্ডে আতঙ্কের হল্লা শুরু হয়েছিল। তবে কেউ চিনতে না পারলেও বাস ড্রাইভার বুঝতে পেরেছিল লোকটা আসলে বহুরূপী হরিদা, যে কিনা পাগল সেজে সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে।


5. "কিন্তু দোকানদার হেসে ফেলে—হরির কাণ্ড”—হরি কী কাণ্ড ঘটিয়েছিল?

উত্তর: বহুরূপী হরিদা বিভিন্ন বেশ ধারণ করত। একদিন সারাবেলার ব্যস্ততা যখন কমে এসেছে, সন্ধ্যার আলো সবেমাত্র জ্বলেছে, তখন হঠাৎই সবাই মিষ্টি ব্লুমঝুম শব্দ শুনতে পায়। সবাই দেখে এক রূপস বাইজি ঘুঙুর পায়ে নাচতে নাচতে চলে যাচ্ছে। সবাই তার দিকে তাকিয়ে থাকে আর সে ফুলসাজি এগিয়ে দিলে দোকানিরা তাতে পয়সাও ফেলে দেয় | হরিদা-ই বাইজি সেজে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল আর বাইজিটি যে আসলে এক বহুরূপী, সেটা জানতে পেরে দর্শকদের মোহভঙ্গ হয়।


৬. দয়ালবাবুর লিচু বাগানে কী ঘটনা ঘটেছিল?

উত্তর: দয়ালবাবুর লিচু বাগানে স্কুলের চারটি ছেলে এসেছিল লিচু নেওয়ার আশায়। সেখানে হরিদা পুলিশ সেজে দাঁড়িয়েছিল আর সেই চার জন ছেলেকে সে ধরেছিল। সব ছেলে তাকে সত্যিকারের পুলিশ বলেই মনে করেছিল এবং ভয়ে কেঁদে ফেলেছিল। তারপর সেই ছেলেদের স্কুলের মাস্টারমশাই সেখানে এসে ছেলেদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নকল পুলিশের কাছে ক্ষমা চান এবং, তাকে আর্ট আনা ঘুষও দেন। সেই আট আনা ঘুষ পাওয়ার পর নকল পুলিশ হরিদা সেই চার জন ছেলেকে ছেড়েছিল।


7. হরিদা পুলিশ সেজে কোথায় দাঁড়িয়েছিলেন? তিনি কীভাবে মাস্টারমশাইকে বোকা বানিয়েছিলেন? ১+২ ]

উত্তর: হরিদা পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে দাঁড়িয়েছিলেন। দয়ালবাবুর লিচু বাগানে স্কুলের চারটি ছেলে এসেছিল লিচু নেওয়ার আপায়। সেখানে হরিদা পুলিশ সেজে দাঁড়িয়েছিল, আর সেই চার জন ছেলেকে তিনি ধরেছিলেন। ছেলেরা তাকে সত্যিকারের পুলিশ বলেই মনে করেছিল এবং ভয়ে কেঁদে ফেলেছিল। তারপর সেই ছেলেগুলির স্কুলের মাস্টারমশাই সেখানে এসে নকল পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়ে, তাকে আট আনা ঘুস দিয়েছিলেন। ঘুস পাওয়ার পর তবেই নকল পুলিশ হরিদা সেই চার জন

ছেলেকে ছেড়েছিলেন।



8.“সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস।"—দুর্লভ জিনিসটা কী? কে, কীভাবে তা লাভ করেছিল?

উত্তর: দুর্লভ জিনিসটি হল সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো।

• জগদীশবাবুর বাড়িতে একবার এক সন্ন্যাসী এসে সাত দিন ছিলেন। সেইসন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো ছিল অত্যন্ত দুর্লভ। জগদীশবাবু যে-কোনো মূল্যে সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিতে চেয়েছিলেন। তাই জগদীশবাবু একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরেছিলেন। তখন বাধ্য হয়ে সন্ন্যাসী তাঁর পা এগিয়ে দিয়েছিলেন আর সেই ফাঁকে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন।


9. "হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে।'—হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যাটি কী ছিল?

উত্তর: গরিব হরিদা নিজের ছোট্ট ঘরে দিন কাটাত। কোনোদিন তার খাবার জুটত, আবার কোনোদিন জুটতও না। কিন্তু রোজকার এই একঘেয়ে জীবনে হরিদার একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য ছিল। হরিদা মাঝে মাঝে বহুরূপী সেজে রোজগার করত। কোনো কোনো দিন বিচিত্র সব ছদ্মবেশে সে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ত। যারা চিনতে পারত তাদের মধ্যে কেউ কিছুই দিত না অথবা কেউ বিরক্ত হয়ে দু-একটা পয়সা বাড়িয়ে দিত। তবু প্রতিদিন বহুরূপী বেশে রাস্তায় বেরোনোটাই ছিল হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য।


10. “আমাদের দেখতে পেয়েই লজ্জিতভাবে হাসলেন” –কে, কাদের দেখতে পেয়ে হেসেছিল? লজ্জিতভাবে হাসির কারণ কী?

উত্তর: গল্পের কথক এবং তাঁর বন্ধুদের দেখে হরিদা হেসেছিল হরিদা জগদীশবাবুর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করবে বলে বিরাগী সেজেছিল | কথক ও তাঁর বন্ধুদের কাছে সে-কথা হরিদা আগেই জানিয়েছিল | হরিদার বিরাগীমূর্তি দেখে জগদীশবাবু মোহিত হয়ে যান। তিনি হরিদাকে একশো এক টাকা ভরে একটি থলিও দেন। কিন্তু হরিদা সেই টাকার থলি ছুঁয়েও দেখেন না। পূর্বপ্রতিশ্রুতি রাখতে না পারায় সে লজ্জিত হয়েছিল।


11.“অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না।”—হরিদা কী ভুল করেছিল? কেন সেই ভুল অদৃষ্ট ক্ষমা করবে না বলা হয়েছে?

উত্তর: হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর কাছ থেকে একশো এক টাকা পেয়েও গ্রহণ করেনি। এটাকেই ‘ভুল’ বলা হয়েছে।

• হরিদা ছিল খুব গরিব। কোনো নির্দিষ্ট পেশা তার নেই | বহুরূপী সেজে যা রোজগার হয় তাতে সংসার চলে না। বিরাগী সেজে হরিদা একশো এক টাকা পেয়েছিল। এতগুলো টাকা হয়তো তাকে অদৃষ্টই দিতে চেয়েছিল। তা না নিয়ে হরিদা অদৃষ্টের বিরাগভাজন হয়েছে। এই কারণেই বলা হয়েছে অদৃষ্ট তার এই ভুল ক্ষমা করবে না।



দশম শ্রেণির বাংলা বহুরূপী বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf / মাধ্যমিক বাংলা গল্প বহুরূপী বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর / বহুরূপী গল্প ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর /  মাধ্যমিক বাংলা  বহুরূপী 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণির বাংলা বহুরূপী 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর


1.গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা" গল্পটি কী ছিল? হরিদার গম্ভীর হয়ে যওয়ার কারণ কী ছিল?

উত্তর: অবস্থাপন্ন জগদীশবাবুর বাড়িতে এসে সাতদিন ধরে ছিলেন এক সন্ন্যাসী, যিনি হিমালয়ের গুহায় থাকতেন। তাঁর বয়স ছিল হাজার বছরেরও বেশি এবং সারাবছরে একটি হরীতকী ছাড়া তিনি নাকি আর কিছুই খেতেন না। জগদীশবাবু ছাড়া আর কাউকে তিনি পায়ের ধুলো দেননি। জগদীশবাবুও তা পেয়েছিলেন কৌশল করে। একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরেন আর সন্ন্যাসী বাধ্য হয়ে তাতে পা গলাতে গেলে সেই সুযোগে জগদীশবাবু সন্ন্যসীর পায়ের ধুলো নিয়ে নেন। জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর ঝোলার ভিতরে একশো টাকার একটি নোট জোর করে ফেলে দেন। সন্ন্যাসী হেসে সেখান থেকে চলে যান। এই গল্পই হরিদাকে শোনানো হয়েছিল।


সন্ন্যাসী এবং জগদীশবাবুর এই গল্প শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে যান। কথক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদার এই গাম্ভীর্যের কারণ বুঝতে পারেন না। এই সময়েই হরিদা তাঁদের জগদীশবাবুর বাড়িতে খেলা দেখাতে যাওয়ার কথা বলেন। জগদীশবাবুর কাছ থেকে সারা বছরের প্রয়োজনীয় অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। জগদীশবাবুর ধর্মের প্রতি দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েই হরিদা নিজের উদ্দেশ্য সফল করতে চেয়েছিলেন।



2. হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে।”— হরিদার জীবনে নাটকীয় বৈচিত্র্যের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে হরিদা ছিল অত্যন্ত গরিব মানুষ। কিন্তু ধরাবাঁধা ছকে জীবন কাটানো হরিদার পছন্দ ছিল না। তাই অভাবের মধ্যেই  তিনি জীবনের বৈচিত্র্য খুঁজতেন | বৈচিত্র্যের পেশাকে সঙ্গী করতে গিয়েই তিনি বহুরূপী সেজে অন্নসংস্থানের চেষ্টা চালাতেন | হঠাৎ হঠাৎ বিচিত্র ছদ্মবেশে পথে বের হতেন হরিদা। কখনও বাসস্ট্যান্ডের কাছে উন্মাদের বেশে তাকে দেখা যেত, আবার কখনও শহরের রাজপথ ধরে বাইজির বেশে ঘুঙুর বাজিয়ে চলে যেতেন | শহরে নতুন আসা মানুষ যারা হরিদাকে চিনত না, তারা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকত, আর পরিচিতরা তার কাণ্ড দেখে হেসে চলত। কখনও বোঁচকা কাঁধে বুড়ো কাবুলিওয়ালা, কখনও হ্যাট, কোট, প্যান্টালুন পরা ফিরিঙ্গি সাহেব—এরকম অজস্র রূপেই হরিদাকে দেখতে পাওয়া যেত। এমনকি পুলিশ সেজে স্কুলের মাস্টারমশাইকেও তিনি বোকা বানিয়েছিলেন। তার বিচিত্র সব সাজ আর চরিত্রের সাথে তাল মিলিয়ে যথাযথ আচরণে মানুষ কখনও হাসত, কখনও তারিফ করত, কখনও-বা বিরক্ত হত । আর হরিদার যা সামান্য বকশিশ জুটত তাতেই তিনি “তাঁর ভাতের হাঁড়ির দাবি মিটিয়ে দিতে চেষ্টা করেন”। কিন্তু এই দারিদ্র্যের মধ্যেও হরিদা যেন মুক্ত প্রাণের আনন্দ খুঁজে নিতেন। বব জীবনে মাঝে মাঝে বেশ চমৎকার ঘটনা সৃষ্টি করেন বন্ধুরূপী 




3.“আমি এই সৃষ্টির মধ্যে এককণা ধূলি।”—প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা লেখো।

উত্তর: জগদীশবাবু বিরাগীরূপী হরিদাকে ‘মহারাজ’ বলে সম্বোধন করেন। তাঁর কথার উত্তর দিতেই বিরাগী হরিদা এ কথা বলেছে। জগদীশবাবু হরিদাকে ‘মহারাজ' বলে সম্বোধন করেছেন | বিরাগী হরিদার মতে, আসল মহারাজ হলেন ঈশ্বর। মানুষ কখনও মহারাজ হতে পারে না। পৃথিবীর সব কিছুরই সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর। মানুষ সেই সৃষ্টির একটি অংশ মাত্র। সামান্য ধূলিকণার সঙ্গে মানুষকে তুলনা করে বিরাগী হরিদা তাঁর সংসারবৈরাগ্যের পরিচয় দিয়েছেন । আসলে এটি ছিল হরিদার সন্ন্যাসীসুলভ দার্শনিক উক্তি |



4. “ওসব হলো সুন্দর সুন্দর এক একটি বঞ্চনা।”—'ওসব’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? সেগুলোকে বঞ্চনা বলা হয়েছে কেন?

উত্তর: ওসব বলতে ধন, জন ও যৌবনকেই বোঝানে হয়েছে।

●হরিদা বিরাগী সেজেছে। বিরাগী হলেন সংসারত্যাগী মানুষ, পৃথিবীর সব মোহ থেকে মুক্ত | তাঁরা সিদ্ধপুরুষ | তাঁদের কাছে এই জাগতিক সুখ-সমৃদ্ধির কোনো মূল্য নেই | ধন, জন, যৌবন—এগুলিই মানুষের চিত্তকে চঞ্চল করে। আর এসব পাওয়ার নেশায় মানুষ অসহিন্তু হয়ে ওঠে। প্রাপ্তির পরও তাদের লোভের শেষ থাকে না । আরও পাবার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। তাই ওগুলোকে বিরাগী হরিদা বঞ্চনা বলেছে।



5."তবে কিছু উপদেশ শুনিয়ে যান”—বক্তা কে? তিনি কী উপদেশ বলেছিলেন?

উত্তর উল্লিখিত অংশটির বক্তা জগদীশবাবু।

বিরাগী তাঁকে উপদেশ দিয়েছিলেন—এই ধন, জন, যৌবন সব কিছুই অস্থায়ী, কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। এই সমস্ত কিছুই এক-একটি বঞ্চনা। মনপ্রাণের সব আকাঙ্ক্ষা নিয়ে শুধু একজনের আপন হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, যাঁকে পেলে এই সৃষ্টির সব ঐশ্বর্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ ঈশ্বরের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টাকরতে  হবে।




6. জগদীশবাবুর বাড়ি হরিদার বিরাগী সেজে যাওয়ার যে ঘটনা ঘটেছিল তা বর্ণনা করো।

উত্তর: জগদীশবাবুর বাড়িতে হরিদা বিরাগী সেজে গিয়েছিল | হরিদার খালি গায়ে ছিল সাদা উত্তরীয় আর পরনে ছিল সাদা ছোটো থান, পা ছিল ধুলোমাখা আর সঙ্গে একটা ঝোলা এবং তার মধ্যে গীতা রাখা। তার শীর্ণ শরীর দেখে মনে হচ্ছিল যেন অশরীরী। জগদীশবাবুকে বিরাগী বলেন যে তিনি নিজের সম্পত্তি আর অর্থের অহংকারে নিজেকে ভগবানের থেকেও বড়ো বলে মনে করেন | জগদীশবাবু বিরাগীকে রাগ করতে বারণ করায বিরাগী জবাব দেন যে তিনি বিরাগী, তাঁর কোনো রিপুই নেই | বিরাগীকে জগদীশবাবু তাঁর বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বিরাগী তাঁকে বলেন ধরিত্রীর মাটিতেই তাঁর স্থান, তাই তিনি এই দালানবাড়িতে থাকবেন না। খাওয়ার কথা বলা হলে তিনি কোনো কিছু স্পর্শ না করে শুধু এক গ্লাস ঠান্ডা জল খান। বিরাগী জগদীশবাবুকে সবরকম মোহ থেকে মুক্ত হওয়ার কথাও বলেন | বিরাগীর মতে ধন, যৌবন সব কিছুই বঞ্চনাস্বরূপ | যাকে পেলে সৃষ্টির সব ঐশ্বর্য পাওয়া যাবে তাঁর কাছাকাছি যাওয়ার উপদেশ দিয়ে বিরাগী চলে যান | তীর্থভ্রমণের জন্য জগদীশবাবু বিরাগীকে একশো এক টাকা দিতে চাইলে বিরাগী সেই টাকা নেননি | সন্ন্যাসীর মতে, তিনি যেমন ধুলো মাড়িয়ে যেতে পারেন তেমনই অনায়াসে সোনা, টাকা এইসব মাড়িয়েও চলে যেতে পারেন। এই বলে সন্ন্যাসী সেখান থেকে চলে যান।



7. “খাঁটি মানুষ তো নয়, এই বহুরূপীর জীবন এর বেশি কী আশা করতে পারে?” –বক্তা কে? খাঁটি মানুষ নয় বলার তাৎপর্য কী?

উত্তর: সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পের উল্লিখিত অংশটির বক্তা হরিদা।

● হরিদা পেশায় ছিলেন বহুরূপী। জীবিকার প্রয়োজনে কখনও পাগল,কখনও বাইজি, কখনও নকল  পুলিশ এবং আরও অনেক কিছু সেজে তিনি উপার্জন করতেন। যদিও সে উপার্জন ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সামান্য। এই হরিদাই বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়ি থেকে অনেক উপার্জনের আশা করেছিলেন। তার বেশভূষা, কথাবার্তা চমকে দিয়েছিল জগদীশবাবুকে। তিনি হরিদার ছদ্মবেশ বুঝতে পারেননি। ফলে প্রণামি হিসেবে অনেক টাকাই তিনি হরিদাকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হরিদা তখন সন্ন্যাসীর চরিত্রেই নিজেকে একাত্ম করে ফেলেছিলেন। ফলে উদাসীনভাবে সেই অর্থ ফেলে আসেন। কথক ও তাঁর সঙ্গীরা হরিদার এই আচরণকে সমর্থন করতে পারেননি। তখন হরিদা জানান অর্থ নিলে তাঁর ‘ঢং’ নষ্ট হয়ে যেত। একইসঙ্গে জানান যে বকশিশের জন্য তিনি জগদীশবাবুর কাছে যাবেন। বহুরূপী হিসেবে মাত্র আট-দশ আনাকেই তিনি নিজের প্রাপ্য বলে মনে করেন। ‘খাঁটি মানুষ' অর্থাৎ যে নিজের জীবনাচরণ ও জীবনাদর্শনকে  সৎভাবে অনুসরণ করে তার হয়তো অনেক পাওনা হতে পারে, কিন্তু হরিদা নিজেকে বহুরূপী ভাবেন। নকল করাই তাঁর পেশা। পেশার আড়ালে তাঁর ভিতরের মানুষটা যে সমাজের কাছে হারিয়ে গিয়েছে—সেই বিষণ্নতাই প্রকাশ পেয়েছে বহুরূপী হরিদার উচ্চারণে | ‘খাঁটি মানুষ নয়’—এটাই একজন আদ্যন্ত খাঁটি মানুষের বিলাপ হয়ে থাকে।



তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির বাংলা বহুরূপী গল্প থেকে প্রশ্ন উত্তর  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 বাংলা বহুরূপী গল্প প্রশ্ন উত্তর pdf download, class 10 Bengali Bahurupi questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE       

যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool247

      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।  Madhyamik Bengali Suggestion 2024  | মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2024



বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Madhyamik Bengali golpo Bahurupi questions answers pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik bengali Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন PDF Download 


বাংলা গল্প – বহুরূপী প্রশ্ন ও উত্তর | class 10  Bengali unhappy one Question and Answer 


MP বাংলা – বহুরূপী (গল্প) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Bahurupi 3  Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes – বহুরূপী থেকে সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য -  বহুরূপী থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক বাংলা এর গল্প থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik bangla 3 Bahurupi Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া Class 10 বাংলা গল্প বহুরূপী প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 



‘‘মাধ্যমিক বাংলা গল্প বহুরূপী’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  বহুরূপী গল্প থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


দশম শ্রেণি বাংলা বহুরূপী প্রশ্ন উত্তর pdf download / দশম শ্রেণি অসুখী এক জন গল্পর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf / Madhyamik Bengali Bahurupi golpo question answer pdf  / ক্লাস 10 বহুরূপী প্রশ্ন উত্তর বহুরূপী pdf / ক্লাস 10 বাংলা প্রশ্ন উত্তর বহুরূপী pdf download / বহুরূপী প্রশ্ন উত্তর / Madhyamik Bengali golpo Bahurupi question answer pdf / Class ten Bengali golpo Bahurupi question answer,



বহুরূপী মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা গল্প প্রশ্ন ও উত্তর pdf download – বহুরূপী গল্প  pdf download| পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর pdf–| Madhyamik Bengali Question and Answer pdf download, Class 10 Bengali Question and Answer pdf  | Madhyamik Bengali note pdf download  | West Bengal Madhyamik Bengali Question and Answer pdf download. মাধ্যমিক বাংলা questions answers   – বহুরূপী questions answers ,মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ  – Class 10 বহুরূপী প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | Madhyamik বহুরূপী pdf download.



MP Bengali Question answer 2024 pdf  | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  2024 pdf  – বহুরূপী গল্প long Question answer pdf, 

WBBSE Madhyamik Bengali Question pdf, মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর বহুরূপী (গল্প) । বহুরূপী (গল্প) | Madhyamik Bengali Suggestion/ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর pdf – 

 

      তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ,  তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক বাংলা গল্প  বহুরূপী প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Bengali Bahurupi Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________ধন্যবাদ ❤️🤗 ________


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url