জ্ঞানচক্ষু গল্প প্রশ্ন উত্তর pdf | মাধ্যমিক বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন উত্তর । Jnanacaksu golpo

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন উত্তর | জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali golpo Jnanacaksu question answer


আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্প প্রশ্ন উত্তর pdf। মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর জ্ঞানচক্ষু । দশম শ্রেণির বাংলা গল্প প্রশ্ন উত্তর জ্ঞানচক্ষু। জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর |Madhyamik Bengali Jnanacaksu question answer যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।




জ্ঞানচক্ষু SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | জ্ঞানচক্ষু গল্প MCQ প্রশ্ন উত্তর / 

ANS:- Click here


দশম শ্রেণির  বাংলা জ্ঞানচক্ষু ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf / মাধ্যমিক বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর / জ্ঞানচক্ষু গল্প ১ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / মাধ্যমিক বাংলা জ্ঞানচক্ষু 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণির বাংলা জ্ঞানচক্ষু 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর 



1. “অনেক বই ছাপা হয়েছে।-কার অনেক বই ছাপা হয়েছে?

উত্তর: তপনের লেখক ছোটোমেসোর অনেক বই ছাপা হয়েছে।


2.“তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী?" ---তপনের লেখক হতে বাধ্য

উত্তর: তপন মনে করত লেখকরা তার মতো সাধারণ মানুষ নয়, তাঁরা হয়তো অন্য গ্রহের জীব। তাই তার নিজের লেখক হতে বাধা ছিল। অথবা নতুন মেসোকে দেখে তপন বুঝতে পারল তিনি আর পাঁচজনের মতোই সাধারণ মানুষ, আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নন। তাই তপনেরও লেখক হতে কোনো বাধা নেই।


৪. তপনের লেখা গল্প দেখে তার ছোটোমেসো কী বলেছিলেন?

উত্তর: তপনের লেখা গল্প দেখে তার ছোটোমেসো বলেছিলেন যে গল্পটা ভালোই হয়েছে। শুধু একটু সংশোধন করে দেওয়া দরকার। তাহলেই তার লেখা ছাপতে দেওয়া যাবে।


৫. কী কারণে মেসোমশাই তপনের খা ভালো বলেছিলেন?

উত্তর: ছোটোমেসোমশাইয়ের নতুন বিয়ে হয়েছে, তাই শ্বশুরবাড়ির একটি বাচ্চা ছেলেকে খুশি করতেই মূলত তপনের মেসোমশাই লেখা ভালো হয়েছে বলেছিলেন।


6.“মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা কোন্ কাজকে 'মেসোর উপযুক্ত কাজ’ বলে ছোটোয়াসি মনে করেন?

উত্তর: তপন একটা গল্প লিখেছিল। তার লেখক মেসোমশাই সেই গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপার ব্যবস্থা করে দিলে সেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে বলে ছোটোমাসি মনে করেন।


7.লেখার প্রকৃত মূল্য কে বুঝবে বলে তপন মনে করেছিল?

উত্তর: তপনের লেখক ছোটোমেসোই তার লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন বলে। তপন মনে করেছিল।


৮. “লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে।”-লেখার প্রকৃত মূল্য

কেবল নতুন মেসেহি বুঝবেন কেন?

উত্তর: তপনের নতুন মেসো একজন নামকরা লেখক। তাই লেখক মানুষ হিসেবে তিনিই তপনের লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন।


৯. সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় লেখা ছাপা প্রসঙ্গে তপনের মেসোমশাই কাঁ বলেছিলেন?

উত্তর: সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তপনের মেসোমশাইয়ের পরিচিত। তপনের লেখা দেখে মেসোমশাই বলেছিলেন, তিনি যদি সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদককে লেখা ছাপানোর কথা বলেন তাহলে সম্পাদকমশাই না বলতে পারবেন না।


10."তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়। -তপনের এই অবস্থার

উত্তর: নতুন মেসো তপনের লেখাটা 'কারেকশান বা সংশোধন করে ছাপিয়ে দিতে চাইলে তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়।


11."আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন- তপন কী দেখতে

উত্তর: তপনের নিজের ছোটোমেসো একজন লেখক হওয়ায় সে দেখতে পাচ্ছিল, লেখক মানে আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নন, তিনিও তপনদের মতোই সাধারণ মানুষ।


১২. “ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়।” ছোটোমাসি কোন্ দিকে ধাবিত

উত্তর: মেসোমশাই যেখানে দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন সেদিকে ছোটোমাসি ধাবিত


১৩. বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা”—চায়ের টেবিলে কোন্ কথা

উত্তর: তপনের গল্প লেখা আর মেসোমশাইয়ের তা ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথাই চায়ের টেবিলে ওঠে।

*

13."তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়।”- তপনের পুলকের কারণ কী?

উত্তর: তপনের মাসি তপনের লেখা নিয়ে মেসোমশাইয়ের কাছে গিয়ে হইচই করলে সে পুলকিত হয় কারণ তার লেখার মূল্য একমাত্র মেসোমশাইয়ের পক্ষেই বোঝা সম্ভব।


১৫. “এইসব মালমশলা নিয়ে বসে।"~-কীসের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা গল্প লিখতে গিয়ে রাজারানির গল্প, খুন-জখম, অ্যাকসিডেন্ট, না খেতে পেয়ে মরে যাওয়া ইত্যাদি যেসব বিষয়ে লেখে, সেসবের কথা বলা হয়েছে।


16."এটা খুব ভালো।" বস্তার এ কথা বলার কারণ কী ছিল?

উত্তর: তপন তার ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির বিষয় নিয়ে গল্প লিখেছিল বলে প্রশংসা করেই তপনের মেসোমশাই মন্তব্যটি করেন।


1৭.এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা।”—কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: ছোটোমাসি আর মেসোমশাইয়ের সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসার কথা বলা হয়েছে।


18.“বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।”—কেন তপনের বুকের রক্ত ছলকে

উত্তর: তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ছোটোমাসি আর মেসোমশায়ের কাছে সন্ধ্যাতারা পত্রিকাটি দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে, কারণ তাতেই তার গল্প প্রকাশের কথা ছিল।


19.পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?”—কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে?

উত্তর: ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত তপনের গল্প হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরছে, এই ঘটনাকেই অলৌকিক বলা হয়েছে।


20. “তা ঘটেছে, সত্যিই ঘটেছে।”—কী ঘটেছে?

উত্তর: তপনের নিজের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে—এটিই হল ঘটনা।


21.“সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। এই শোরগোলের কারণ কী

উত্তর: সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কারণ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপা হয়েছিল।


22. কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে।”-কোন কথাটা?

উত্তর: তপনের গল্প কাঁচা লেখা হওয়ায় তাতে একটু-আধটু কারেকশান করতে হয়েছে-তপনের মেসোমশাইয়ের এই কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।


23. “আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।"—কোন্ চেষ্টার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: তপনের মেজোকাকু বলেছিলেন যে তপনের মেসোমশাইয়ের মতো কেউ থাকলে তাঁরাও গল্প লেখার চেষ্টা করতেন।


23. “তখন আর পড়তে পারে না।"-কেন তপন আর পড়তে পারে না?

উত্তর: নিজের প্রকাশিত গল্প পড়তে গিয়ে তপন যখন দেখে মেসোমশাই তার পুরোটাই কারেকশান করে দিয়েছেন, তখনই সে আর পড়তে পারে না।

24. “শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন—" তপনের সংকল্প কী ছিল?

উত্তর: তপন সংকল্প করেছিল যে, যদি কখনও লেখা ছাপাতে হয়, তাহলে তপন নিজে গিয়ে তা পত্রিকায় দেবে।


25.“আর কখনো শুনতে না হয় কাকে কী শুনতে না হয়?

উত্তর: তপনকে যেন আর কখনও শুনতে না হয়— “অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে”।


26.. "যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয় তো, তপন নিজে গিয়ে দেবে।” তপনের এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী?

উত্তর: সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার নামে প্রকাশিত গল্পটির সঙ্গে তপন নিজের মূল লেখাটির কোনো মিল পায়নি বলে তার এমন সিদ্ধান্ত।


27. “গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।" --উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কী?

উত্তর: তপনের প্রথম গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হলে তার মেসোমশাইয়ের কৃতিত্বের কথাই বড়ো হয়ে ওঠে। তাই তপন আহ্লাদিত হতে পারে না।


1. “তখন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে।"---তপন কেন কৃতাৰ্থ হয়েছিল?

উত্তর: ছোটোমেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তপনের গল্পটি নিয়ে গিয়েছিলেন বলে তপন কৃতার্থ হয়েছিল।


২. “হঠাৎ ভয়ানক একটা উত্তেজনা অনুভব করে তপন।'—তপন কেন উত্তেজনা অনুভব করেছিল?

উত্তর: একটি সত্যিকারের গল্প লিখে ফেলেছিল বলে তপন উত্তেজনা অনুভব করেছিল।


৩. গল্প লেখার পর তপনের কী মনে হয়েছিল?

উত্তর: একটা গোটা গল্প সে লিখে ফেলেছে এটা ভেবেই তপনের সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল, তার মাথার চুল পর্যন্ত খাড়া হয়ে উঠল । সে ভাবল এখন তাকেও লেখক বলা যায়।


৪. তপন তার লেখা গল্প প্রথম কাকে পড়ে শুনিয়েছিল?

উত্তর: তপন তার লেখা গল্প প্রথম পড়ে শুনিয়েছিল আট বছরের বড়ো ছোটোমাসিকে। কারণ ছোটোমাসি ছিল তার বন্ধুর মতোই।


তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোটোমাসি কী বলেছিল? উত্তর: তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোটোমাসি তাকে বাহবা জানিয়ে

বলেছিল মেসোমশাইকে দেখিয়ে তপনের গল্প পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেবে।


1.এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা।”—কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: ছোটোমাসি আর মেসোমশাইয়ের সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসার কথা বলা হয়েছে।


2.“বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।”—কেন তপনের বুকের রক্ত ছলকে

উত্তর: তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ছোটোমাসি আর মেসোমশায়ের কাছে সন্ধ্যাতারা পত্রিকাটি দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে, কারণ তাতেই তার গল্প প্রকাশের কথা ছিল।


3.পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?”—কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে?

উত্তর: ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত তপনের গল্প হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরছে, এই ঘটনাকেই অলৌকিক বলা হয়েছে।


৪. “তা ঘটেছে, সত্যিই ঘটেছে।”—কী ঘটেছে?

উত্তর: তপনের নিজের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে—এটিই হল ঘটনা।


5.“সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। এই শোরগোলের কারণ কী

উত্তর: সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কারণ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপা হয়েছিল।


৬. *ষণ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে।”-কোন কথাটা?

উত্তর: তপনের গল্প কাঁচা লেখা হওয়ায় তাতে একটু-আধটু কারেকশান করতে হয়েছে-তপনের মেসোমশাইয়ের এই কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।


৭. “আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।"—কোন্ চেষ্টার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: তপনের মেজোকাকু বলেছিলেন যে তপনের মেসোমশাইয়ের মতো কেউ থাকলে তাঁরাও গল্প লেখার চেষ্টা করতেন।


8. “তখন আর পড়তে পারে না।"-কেন তপন আর পড়তে পারে না?

উত্তর: নিজের প্রকাশিত গল্প পড়তে গিয়ে তপন যখন দেখে মেসোমশাই তার পুরোটাই কারেকশান করে দিয়েছেন, তখনই সে আর পড়তে পারে না।


১. “শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন—" তপনের সংকল্প কী ছিল?

উত্তর: তপন সংকল্প করেছিল যে, যদি কখনও লেখা ছাপাতে হয়, তাহলে তপন নিজে গিয়ে তা পত্রিকায় দেবে।


2.“আর কখনো শুনতে না হয় কাকে কী শুনতে না হয়?

উত্তর: তপনকে যেন আর কখনও শুনতে না হয়— “অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে”।


১১. "যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয় তো, তপন নিজে গিয়ে দেবে।” তপনের এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী?

উত্তর: সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার নামে প্রকাশিত গল্পটির সঙ্গে তপন নিজের মূল লেখাটির কোনো মিল পায়নি বলে তার এমন সিদ্ধান্ত।


১২. “গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।" --উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কী?

উত্তর: তপনের প্রথম গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হলে তার মেসোমশাইয়ের কৃতিত্বের কথাই বড়ো হয়ে ওঠে। তাই তপন আহ্লাদিত হতে পারে না।



জ্ঞানচক্ষু গল্প ৩ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর  / মাধ্যমিক বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর  / দশম শ্রেণির বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর


1. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল -কেন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?


উত্তর: তপনের ছোটোমেসোমশাই বই লিখতেন আর তাঁর বই ছাপাও হত। তপনের মনের মধ্যে সত্যিকার লেখককে দেখার একটা সুপ্ত বাসনা ছিল। তার ধারণাই ছিল লেখকরা যেন অন্য জগতের মানুষ। লেখকদের অতিমানবত্ব নিয়ে সে মনের মধ্যে নানারকম আজগুবি ধ্যানধারণা পোষণ করত। একজন লেখককে সামনে থেকে দেখা তার কাছে এক স্বপ্নপূরণের মতো ছিল। তাই ছোটোমেসো বই লেখেন আর সেই বই ছাপা হয় শুনে তপনের চোখ মার্বেলের মতো হয়ে গিয়েছিল।



2. “নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের"-- কীভাবে তপনের নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল?

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে লেখকদের নিয়ে তপনের মনের মধ্যে এক অদ্ভুত ধ্যানধারণা ছিল। সে ভাবত, লেখকদের আচার- আচরণ সবকিছুই বোধহয় সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা। তপনেরছোটোমেসোমশাই একজন লেখক ছিলেন। কলেজে ছুটি উপলক্ষ্যে তিনি তপনদের বাড়িতে এসে কিছুদিন ছিলেন। তপন দেখল, নিছক সাধারণ মানুষের মতোই তাঁর সমস্ত আচার-আচরণ। লেখকরা যে আসলে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষ, ছোটোমেসোকে দেখেই তা সে জানতে পারল আর সেটা জানার পরই তার যেন জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল।


৩. “তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়।"— মাসির হইচই এবং তাতে তপনের পুলকিত হওয়ার কারণ কী?

উত্তর: তপন একটা গল্প লিখেছিল। তার ছোটোমাসি সেই গল্পটা দেখে তপনকে উৎসাহিত করার জন্য হইচই শুরু করে দেন। এরপর গল্পটা তিনি তপনের নতুন মেসোর হাতে দেন। নতুন মেসো একইসঙ্গে কলেজের অধ্যাপক এবং লেখক। তিনি অবশ্যই তপনের গল্পটার ভালোমন্দ বিচার করতে পারবেন—এই ভাবনাতেই তপন রোমাঞ্চে পুলকিত হয়ে ওঠে।


৪. “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই”— কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন একটা গল্প লিখে তার ছোটোমাসিকে শোনায়।ছোটোমাসি লেখাটি হাতে পাওয়ামাত্র তার স্বামীকে পড়ে দেখতে বলে। তপনের ছোটোমেসো বই লিখতেন | জহুরি যেমন কোন্‌টা আসল রত্ন আর কোন্‌টা নয় তা বলতে পারেন, তেমনই একজন লেখকই বলতে পারেন কোন্ লেখাটা ভালো আর কোন্ লেখাটা খারাপ। তাই তপন ভেবেছিল এই লেখার আসল মূল্য শুধু তার মেসোমশাইবুঝবেন।


৫. “মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা।”—কোন্‌টি, কেন মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে বলে বক্তা মনে করেছে?

উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন একটা গল্প লিখেছিল। ছোটোমাসি সেই গল্পটি ছাপাবার উদ্দেশ্যে তপনের মেসোর হাতে দেন। মেসো গল্পটি পড়েন এবং বলেন যে, একটু কারেকশান করে দিয়ে সেটি ছাপতে দেওয়া চলে | তপনের উদ্যোগকে উৎসাহ দিতে ছোটোমাসি তাঁর স্বামীকে গল্পটি ছাপিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। তিনি মনে করেন সেটাই হবে মেসৌর উপযুক্ত কাজ।


৬. সবাই তপনের গল্প শুনে হাসলেও, তপনের ছোটোমেসো তাকে কী বলেছিলেন?

উত্তর: তপনের কাঁচা হাতের লেখার গল্প শুনে সবাই হাসলেও তারছোটোমেসো তাকে উৎসাহইদিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, তপনের বয়সি সমস্ত ছেলে রাজারানির গল্প কিংবা খুন,জখম, অ্যাকসিডেন্ট নিয়ে গল্পলেখে | গতানুগতিক ছকের বাইরে তারা কেউ বেরোতেই চায় না। কিন্তু তপন এত অল্প বয়সেই চেনা গণ্ডির বাইরে বেরিয়েছে | রাজারানি, অ্যাকসিডেন্টের গল্প বাদ দিয়ে সে নিজের স্কুলে ভরতি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা এবং নিজের অনুভূতির বিষয় নিয়ে গল্প লিখেছে, যা প্রশংসার যোগ্য।


৭. “তপন বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকায়।”—তপনের বিহ্বলতার কারণ কী?

উত্তর: স্রষ্টার যাবতীয় আশা পরিতৃপ্তির আনন্দে স্রষ্টা হয়ে পড়েন বিহ্বল ও আত্মহারা। তপনের ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছিল | আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে যে গল্পটি সে লিখেছিল, সেটি তারআশা-আকাঙ্ক্ষার পূণরূপ | সেটি পত্রিকায় ছাপা হবে—এই আশা তপনকে পুলকিত করেছিল। তা ছাড়া তার নতুন মেসো তপনের লেখাটার প্রশংসা করেছিলো। একজন লেখকের মুখে নিজের প্রশংসা শুনে তপন আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়েছিল। 

1. “গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের" তপনের গায়ে কেন কাঁটা দিয়ে ঠল? 

উত্তর: তপন গল্পের বই পড়তে ভালোবাসত। ছোটোবেলা থেকেই তপন রাশি রাশি গল্প শুনেছে আর বস্তা বস্তা বই পড়েছে। একদিন দুপুরে যখন চারিদিক নিস্তব্ধ, সে একটা খাতা আর কলম নিয়ে সারাদুপুর ধরে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে। গল্প লেখার পর সে নিজে গোটা গল্পটা লিখেছে ভেবে নিজেই অবাক হয়ে যায়। গল্প শেষ করার পর আনন্দে, উত্তেজনায় তপনের সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।


4 "বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।”-প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা লেখো।

উত্তর: মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকা দেখে তপনের এরূপ অবস্থা হয়েছিল। তপনের লেখা গল্পটি তার নতুন মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে নিয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন তপন সেই অপেক্ষায় বসেছিল। তারপর একসময় সে ভুলেই গিয়েছিল গল্পটির কথা। এরপর হঠাৎই তার ছোটোমাসি আর মেসো তাদের বাড়ি বেড়াতে এলেন। তপন মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকা দেখতে পেল। তার গল্প ছাপা হয়েছে—এই প্রত্যাশাতেই তার বুকের রক্ত যেন ছলকে উঠল।



4 "বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।”-প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা লেখো।

উত্তর: মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকা দেখে তপনের এরূপ অবস্থা হয়েছিল। তপনের লেখা গল্পটি তার নতুন মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে নিয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন তপন সেই অপেক্ষায় বসেছিল। তারপর একসময় সে ভুলেই গিয়েছিল গল্পটির কথা। এরপর হঠাৎই তার ছোটোমাসি আর মেসো তাদের বাড়ি বেড়াতে এলেন। তপন মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকা দেখতে পেল। তার গল্প ছাপা হয়েছে—এই প্রত্যাশাতেই তার বুকের রক্ত যেন ছলকে উঠল।




দশম শ্রেণির বাংলা জ্ঞানচক্ষু বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf / মাধ্যমিক বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর / জ্ঞানচক্ষু গল্প ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / মাধ্যমিক বাংলা জ্ঞানচক্ষু 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণির বাংলা জ্ঞানচক্ষু 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

১. কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।”—কী কারণে এ কথা বলা হয়েছে? সত্যিই তার জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল কি না আলোচনা করো।


উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে মামার বাড়িতে গিয়ে তপন তার নতুন মেসোমশাইয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়, যিনি একজন লেখক। লেখকরা কতটা সাধারণ মানুষদের মতো, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল তপনের। কিন্তু ছোটোমেসোকে দেখার পরে তার ভুল ভাঙে। তিনি ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতোই দাড়ি কামান, সিগারেট খান, থালা থেকে খাবার তুলতে বলেন, স্নানের সময়ে স্নান করেন, ঘুমানোর সময়ে ঘুমান, খবরের কাগজের সংবাদ নিয়ে তর্কে মাতেন এবং দেশ-বিষয়ে হতাশাপ্রকাশ করে সিনেমা দেখতে চলে যান। তিনি বেড়াতেও বেরোন সেজেগুজে । অর্থাৎ আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর কোনো পার্থক্যই নেই | এই সত্য উপলব্ধি করেই তপন মনে করেছিল যে তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছে। তপন এক দুপুরবেলায় বসে একটা গোটা গল্প লিখে ফেলে। আস্ত একটা গল্প লিখে প্রথমে সে নিজেই বিশ্বাস করতে পারে না। কিন্তু সে-ই গোটা গল্পটা লিখেছে দেখে তার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। গল্পটা সে প্রথমে শোনায় ছোটোমাসিকে, কারণ তপনের ছোটোমাসি ছিল তার বন্ধুর মতো। ছোটোমাসি তার লেখাটা নিয়ে সেটা ছোটোমেসোকে দেখায় | তপন এতে 7- কিছুটা লজ্জিত হলেও মনে মনে এটাই চেয়েছিল সে | তপন ভেবেছিল, সবাই লেখাটা পড়বে কিন্তু লেখার প্রকৃত মূল্য একমাত্র তার ছোটোমেসোমশাই বুঝবেন। কারণ তিনি নিজে একজন লেখক। আর একজন লেখকই আর একজন লেখকের লেখার মূল্য বুঝতে পারেন।


•তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় গল্পের শেষে। তার লেখা গল্পটি ছোটোমাসি জোর করেই ছাপানোর জন্য মেসোকে দিয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখা যায়, লেখাটি সম্পূর্ণ পালটে গেছে। তার প্রত্যেকটি লাইন তপনের অপরিচিত। গভীর দুঃখ ও অপমানের জ্বালায় তপন সংকল্প করে, এরপরে যদি লেখা ছাপাতে দিতে হয় তাহলে তা  সে নিজের হাতেই দেবে। এভাবেই তার জ্ঞানচক্ষুর যথার্থ উন্মীলন ঘটে।



2. “লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে”— এ কথা কার, কেন হয়েছিল তা আলোচনা করো।

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের মনের সুপ্ত ইচ্ছে ছিল কোনো লেখককে সামনে থেকে দেখার । সে ভাবত, লেখকরা হয়তো অন্য কোনো জীব, তাঁরা সাধারণ মানুষ নন। তপনের নতুন মেসোমশাই ছিলেন কলেজের অধ্যাপক এবং লেখক | তিনি অনেক বই লিখেছেন আর সেইসব বই ছেপেও বেরিয়েছে। তাই লেখার মূল্য অন্য সকলের থেকে তিনি বেশি বুঝবেন বলেই তপনের ধারণা ছিল।



2. “লেখার পর যখন পড়ল, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের”।--কোন্ লেখার কথা এখানে বলা হয়েছে? সেই লেখা পড়ে তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠার কারণ কী? 2+0

উত্তর: তপনের ছোটোমেসো তপনের প্রথম লেখা গল্পটি নিয়ে গিয়েছিলেন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার জন্য। সেই থেকে তপনের উৎসাহ বেড়ে যায়। সেই উৎসাহে সে তিনতলার ঘরে একাসনে বসে আরও গল্প লিখে ফেলে। এখানে ওই গল্পটির কথাই বলা হয়েছে। নতুন মেসোকে দেখে তপনের গল্প লেখার উৎসাহ বেড়ে গিয়েছিল। আগে তার ধারণা ছিল, লেখকরা তাদের মতো সাধারণ মানুষ নন, অন্য কোনো অলৌকিক জগতের মানুষ। কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে তার সেই ধারণা বদলে যায়। তখন তার লেখক হতে চাওয়ায় কোনো বাধা থাকে না। উৎসাহভরে হোমটাস্কের খাতা নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে তিনতলায় উঠে যায়। তারপর একান্তে বসে লিখে ফেলে গোটা একটি গল্প । মা যেমন সন্তানকে দেখে খুশি হয়, তপনও তেমনি তার নিজের সৃষ্টিতে আনন্দিত হয়ে ওঠে। সেটি আগাগোড়া পড়ার পর তার শরীরে একটা শিহরণ খেলে যায় । তপন ভাবতেই পারেনি এত সুন্দর একটা গল্প সে নিজেই লিখতে পারবে। নিজস্ব ভাব ও ভাবনার বাপীমূর্তি দেখে তার গায়ে তখন কাঁটা দিয়ে ওঠে।


১. সত্যিই তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি এল আজ?" -কোন্ দিনটির কথা এখানে বলা হয়েছে? দিনটি সম্পর্কে এই উচ্ছ্বাসের কারণ লেখো।

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের তপন তার নতুন মেসোর মাধ্যমে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় একটি গল্প পাঠিয়েছিল। গল্পটি ছাপার অক্ষরে দেখার আশায় তপন দিন গুনতে থাকে। তারপর একদিন  ছোটোমাসি আর মেসো তাদের বাড়ি বেড়াতে আসেন। মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা দেখে চমকে ওঠে তপন | এখানে মেসোর আগমনের এই বিশেষ দিনটির কথাই বলা হয়েছে।


→ লেখক ছোটোমেসোমশাই তপনের গল্পটিকে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে জানান | কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পর সে একপ্রকার নিশ্চিত হয়েছিল যে, গল্পটি আর ছাপা হবে না । তাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা হাতে নিয়ে ছোটোমাসি আর মেসোকে আসতে দেখে তার বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। স্বপ্নপূরণের আশা আর নিরাশার মাঝে দুলতে থাকে তার মন। জীবনের প্রথম লেখা, সর্বোপরি কাঁচা হাতের লেখা সত্যিই ছাপা হয়েছে কি না, তা নিয়ে তার মনে সংশয় দেখা দেয়। যদি সত্যিই ছাপা হয় তাহলে দিনটি তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন হবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেকদিনের ইচ্ছা হয়তো এবার পূরণ হতে চলেছে—এই ভেবেই একটু সংশয়কে সঙ্গী করেই তপনের মন উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছে।



শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন।” দুঃখের কারণ কী? সে কী ধরনের সংকল্প গ্রহণ করেছিল?

উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের তপন ভাবত লেখকরা অন্য জগতের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে তার ছোটোমাসির বিয়ে হয় একজন লেখকের সঙ্গে। তপন দেখতে পায়, মেসোও তার বাবা-কাকুর মতোই একজন স্বাভাবিক মানুষ। তখন থেকেই লেখক হওয়ার জেদ তার মাথায় চেপে বসে। সে লিখেও ফেলে একটি গল্প | লেখক মেসো সেই গল্পটি সন্ধ্যাতারা নামক একটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন। ছাপানো লেখা হাতে পেয়ে তপন হতভম্ব হয়ে যায়। সে দেখতে পায়, পুরো লেখাটাই তার নতুন মেসো সংশোধন করে দিয়েছেন। তপন এই লেখার মধ্যে নিজেকেই আর খুঁজে পায় না। এতে তপন অপমানিত বোধ করে। নিজের সৃষ্টির এই আগাগোড়া পরিবর্তনই তপনের দুঃখের কারণ।

→ নিজের গল্পের এই আমূল পরিবর্তন দেখে লজ্জিত ও দুঃখিত তপন এক দৃঢ় সংকল্প করে। সে বুঝতে পারে, নিজের লেখা কাঁচা হলেও অন্যের দ্বার সংশোধন করানো উচিত নয়। তাই তপন প্রতিজ্ঞা করে, এবার থেকে সে নিজে গিয়ে পত্রিকা সম্পাদকের হাতে লেখা দিয়ে আসবে। নিজের গল্ পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন যেন তাকে আর কখনোই পড়তে না হয়।


৬. “তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের।” – দুঃখ আর অপমানের কারণ কী? এই দুঃখ আর অপমান দূর করতে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী সংকল্প গ্রহণ করেছিল?

অথবা, দুঃখ আর অপমানের কারণ কী? এই দুঃখ আর অপমান থেকে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী শিক্ষালাভ করেছিল? ৩+২

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন লেখক হতে চেয়েছিল। কিন্তু তার ধারণা ছিল লেখকরা সাধারণ মানুষ নন, আকাশ থেকে পড়া অতিলৌকিক কোনো প্রতিভা | তপনের এই ধারণা দূর হয় তার নতুন মেসোকে দেখে। এবার তপন লিখে ফেলে একটা গল্প। মেসো প্রতিশ্রুতি দেন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তিনি সেটা ছাপিয়ে দেবেন | কিন্তু ছাপানো গল্পটা তপন হতবাক হয়ে যায় । গল্পের প্রতিটি লাইন নতুন, আনকোরা । তার মধ্যে তপন নিজেকে একেবারেই খুঁজে পায় না। তার মনে হয় লেখাটা তার নয়। নিজের লেখার আমূল পরিবর্তন দেখে তপন দুঃখ পায় ও অপমানিত বোধ করে।


★ দুঃখ আর অপমান থেকে তপন নতুন এক অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল। তপন সংকল্প করেছিল, ভবিষ্যতে সে যদি কখনও লেখা ছাপতে দেয়, তাহলে সে নিজেই পত্রিকা সম্পাদকের কাছে দিয়ে আসবে। তাতে ছাপা হোক বা না হোক তার দুঃখ নেই। কেউ তো আর বলতে পারবে না, “অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে।” আত্মমর্যাদাসম্পন্ন তপন আরও বুঝেছিল, অপরের সাহায্য নিয়ে কখনোই লেখক হওয়া যায় না।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে প্রশ্ন উত্তর  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্প প্রশ্ন উত্তর pdf download, class 10 Bengali Jnanacaksu questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE      

যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool247

      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।  Madhyamik Bengali Suggestion 2024  | মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2024



বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Madhyamik Bengali golpo Jnanacaksu questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik bengali Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন PDF Download 


বাংলা গল্প – জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর | class 10  Bengali unhappy one Question and Answer 


MP বাংলা – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Jnanacaksu 3  Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes – জ্ঞানচক্ষু থেকে সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য -  জ্ঞানচক্ষু থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক বাংলা এর গল্প থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik bangla 3 Jnanacaksu Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া Class 10 বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 



‘‘মাধ্যমিক বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


দশম শ্রেণি বাংলা জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন উত্তর pdf download, দশম শ্রেণি অসুখী এক জন গল্পর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf / Madhyamik Bengali Jnanacaksu golpo question answer pdf / ক্লাস 10 জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন উত্তর জ্ঞানচক্ষু pdf / ক্লাস 10 বাংলা প্রশ্ন উত্তর জ্ঞানচক্ষু pdf download / জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন উত্তর / Madhyamik Bengali Jnanacaksu golpo question answer pdf / Class ten Bengali golpo Jnanacaksu question answer,


জ্ঞানচক্ষু মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা গল্প প্রশ্ন ও উত্তর pdf download – জ্ঞানচক্ষু গল্প  pdf download| পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর pdf–| Madhyamik Bengali Question and Answer pdf download, Class 10 Bengali Question and Answer pdf  | Madhyamik Bengali note pdf download  | West Bengal Madhyamik Bengali Question and Answer pdf download. মাধ্যমিক বাংলা questions answers   – জ্ঞানচক্ষু questions answers ,মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ  – Class 10 জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | Madhyamik জ্ঞানচক্ষু pdf download.



MP Bengali Question answer 2024 pdf  | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  2024 pdf  – জ্ঞানচক্ষু গল্প long Question answer pdf, 

WBBSE Madhyamik Bengali Question pdf, মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর জ্ঞানচক্ষু (গল্প) । জ্ঞানচক্ষু (গল্প) | Madhyamik Bengali Suggestion/ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর pdf – 

 

      তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ,  তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক বাংলা গল্প  জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Bengali Jnanacaksu Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________ধন্যবাদ ❤️🤗 ________


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url