নদীর বিদ্রোহ গল্প প্রশ্ন উত্তর pdf। মাধ্যমিক বাংলা গল্প নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি বাংলা গল্প নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন উত্তর | নদীর বিদ্রোহ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali golpo Nadira bidroha question answer



আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির বাংলা নদীর বিদ্রোহ গল্প প্রশ্ন উত্তর pdf। মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর নদীর বিদ্রোহ । দশম শ্রেণির বাংলা গল্প প্রশ্ন উত্তর নদীর বিদ্রোহ। নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন ও উত্তর |Madhyamik Bengali Nadira bidroha question answer যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।



নদীর বিদ্রোহ SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | নদীর বিদ্রোহ গল্প MCQ প্রশ্ন উত্তর / 

ANS: Click Here PDF


দশম শ্রেণির  বাংলা নদীর বিদ্রোহ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf / মাধ্যমিক বাংলা গল্প নদীর বিদ্রোহ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর / নদীর বিদ্রোহ গল্প ১ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / মাধ্যমিক বাংলা নদীর বিদ্রোহ 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণির বাংলা নদীর বিদ্রোহ 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর 


1. নদীর বিদ্রোহ’ গদ্যাংশটি কার লেখা?

উত্তর: ‘নদীর বিদ্রোহ’ গদ্যাংশটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা।


২. ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে নদেরচাঁদ পেশায় কী ছিল?

উত্তর: ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে নদেরচাদ পেশায় ছিল একজন স্টেশনমাস্টার।


৩. নদেরচাঁদ স্টেশনমাস্টারি করতে এসে কতদিন তার পরিচিত নদীটিকে দেখতে পায়নি?

উত্তর: নদেরচাঁদ পাঁচ দিন তার পরিচিত নদীটিকে দেখতে পায়নি।


4. নদেরচাদের দেশের নদীটি কীরকম ছিল?

উত্তর: নদেরচাঁদের দেশের নদীটি ছিল ক্ষীণস্রোতা ও নির্জীব


5. “নদেরচাঁদ ছেলেমানুষের মতো ঔৎসুক্য বোধ করিতে লাগিল।” –কেন তার এমন বোধ হয়েছিল?

উত্তর: নদীকে না দেখতে পেয়ে নদেরচাদের অবস্থা ছেলেমানুষের মতো হয়ে গিয়েছিল। সে ছোটো ছেলের মতো উতলা হয়ে উঠেছিল নদীকে দেখার জন্য।


6. নদেরচাদের নদীকে ভালোবাসার কৈফিয়ত কী ছিল?

উত্তর: নদেরচাঁদ নদীর ধারে জন্মেছে, নদীর ধারেই মানুষ হয়েছে, নদী যেন তার চিরপরিচিত আপনজন | তাই নদীকে সে ভালোবেসেছে।


7. নদেরচাদের দেশের ক্ষীণস্রোতা নদীটি শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে তার অবস্থা কীরকম হয়েছিল?

উত্তরঃ নদেরচাদের দেশের ক্ষীণস্রোতা নদীটি শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে সে প্রায় কেঁদে ফেলেছিল। দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরমাত্মীয় মারা যাওয়ার উপক্রম হলে মানুষ যেভাবে কাঁদে সে-ও সেভাবেই কেঁদেছিল।


8. “নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হইয়া গেল।”—নদেরচাদের স্তম্ভিত হওয়ার কারণ কী?

উত্তর: ব্রিজের কাছে এসে নদীর দিকে প্রথমবার তাকিয়ে নদীর উন্মত্ত চেহারা দেখেই নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়ে গেল ।


9. কীভাবে নদীতে আবর্ত রচনা হয়েছিল?

উত্তর: নদীর জল বর্ষায় অনেকটা বেড়ে গেছিল। তাই নদীর স্রোত ব্রিজের ধারকস্তম্ভে বাধা পেয়ে আবর্ত রচনা করছিল।


10. কেন নদেরচাঁদের নদীর জলপ্রবাহকে জীবন্ত মনে হল?

উত্তর: বৃষ্টির জল পেয়ে নদীর জলপ্রবাহ উন্মত্ত হয়ে উঠেছিল। আর এই উন্মত্ততার জন্যই নদেরচাদের নদীর জলপ্রবাহকে জীবন্ত বলে মনে হল।


11. কীসের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নদেরচাঁদ বউকে চিঠি লিখেছিল?

উত্তর: অবিরাম হয়ে চলা বৃষ্টিধারার সঙ্গে সুর মিলিয়ে নদেরচাঁদ বউকে চিঠি লিখেছিল।


12. স্ত্রীকে লেখা চিঠি নদীর জলস্রোতে ফেলার পর নদেরচাঁদের কী মনে হল?

উত্তর: স্ত্রীকে লেখা চিঠি নদীর জলস্রোতে ফেলার পর নদেরচাদের মনে হল নদীর জীবন্ত জলপ্রবাহ চিঠিটাকে যেন তাড়াতাড়ি লুকিয়ে ফেলেছে।


13. নদেরচাঁদের কখন মনে হল তার সর্বাঙ্গ অবশ, অবসন্ন হয়ে আসছে?

উত্তর: নদী থেকে উঠে আসা অশ্রুতপূর্ব একটা শব্দের সঙ্গে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ মিশে যেন একটা সংগত সৃষ্টি করেছিল। তা শুনে নদেরচাদের মনে হল তার সর্বাঙ্গ যেন অবসন্ন হয়ে আসছে।


14. নদেরচাঁদ কেন ভয় পেয়েছিল?

উত্তর: নদীর অবস্থা ভয়ংকর ছিল, নদী যেন রোষে, ক্ষোভে উন্মত্ত ছিল। নদেরচাঁদ নদী থেকে এক হাত উঁচুতেই বসেছিল। তাই বর্ষার জলে ফুলেফেঁপে ওঠা নদী যে-কোনো মুহূর্তে বিপদ ঘটাতে পারে—এই ভেবে নদেরচাঁদ ভয় পেয়েছিল।


15. নদী কী চায় বলে নদেরচাঁদের মনে হল?

উত্তর: ব্রিজ ও মানুষের হাতে-গড়া বাঁধ ভেঙে নদী নিজের স্বাভাবিক গতি ফিরে পেতে চায় বলে নদেরচাঁদের মনে হল।


16. নদীর বিদ্রোহের কারণ নদেরচাঁদ বুঝতে পারল কীভাবে?

উত্তর: শুকনো নদী পাঁচ দিনের বৃষ্টির জলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। উন্মত্ত নদীর তীব্র স্রোতযুক্ত জলধারা দেখে নদেরচাঁদ নদীর বিদ্রোহের কারণ বুঝতে পারল।


17. ব্রিজ ও বাঁধ ভেঙে ফেললেও নদী কেন রেহাই পাবে না বলে নদেরচাঁদের মনে হল?

উত্তর: ব্রিজ ও বাঁধ ভেঙে ফেললেও নদী রেহাই পাবে না বলে নদেরচাঁদের মনে হল । কারণ, মানুষ আবারও সেই ভেঙে ফেলা ব্রিজ ও বাঁধকে গড়ে তুলে নদীকে বন্দি করবে।


18. “নদেরচাঁদ গর্ব অনুভব করিয়াছে” —নদেরচাঁদ কীসের জন্য গর্ব অনুভব করেছে?

উত্তর: স্টেশনের কাছে নতুন রং করা ব্রিজটির জন্য নদেরচাঁদ গর্ব অনুভব করেছিল।


19.কীভাবে নদেরচাঁদের মৃত্যু হয়েছিল?

উত্তর: অন্ধকারে অন্যমনস্কভাবে লাইন ধরে স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নদেরচাঁদের মৃত্যু হয়েছিল।


20. পাঁচ দিন পর নদীকে দেখে নদেরচাঁদ কেন স্তম্ভিত হয়েছিল?

উত্তর: পাঁচ দিন ধরে বৃষ্টির জল পেয়ে নদী যেন ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল, বাঁধ ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছিল | নদীর এই উন্মত্ত রূপ দেখেই নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল।


21.. কোথায় বসে নদেরচাঁদ প্রতিদিন নদীকে দেখত?

উত্তর: নদেরচাঁদ ব্রিজের মাঝামাঝি ইট, সুরকি আর সিমেন্ট দিয়ে গাঁথা ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে বসে প্রতিদিন নদীকে দেখত।


22. “এক একখানি পাতা ছিঁড়িয়া দুমড়াইয়া মোচড়াইয়া জলে ফেলিয়া দিতে লাগিল।”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কীসের পাতা জলে ফেলতে লাগল? [পর্ষদ নমুনা]

উত্তর: নদেরচাঁদ তার স্ত্রীকে লেখা পত্রখানি নদীর জলে ছিঁড়ে ফেলতে লাগল ।


23. “নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে”—নদীর বিদ্রোহের কারণ কী ছিল?

উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ' গল্পে আমরা দেখি, নদেরচাঁদ অনুভব করে নদীর ওপরে ব্রিজ তৈরি করা ও বাঁধ দেওয়ার কারণেই নদী যেন বিদ্রোহ করেছে।



নদীর বিদ্রোহ গল্প ৩ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর  / মাধ্যমিক বাংলা গল্প নদীর বিদ্রোহ 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর  / দশম শ্রেণির বাংলা গল্প নদীর বিদ্রোহ 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

১. নদেরচাদের নদীর প্রতি এত মায়া কেন তার নিজের কাছেই অস্বাভাবিক বলে মনে হয়?

উত্তর: নদেরচাদের নদীর প্রতি ভালোবাসা, মায়া, মমতা একটু বেশিরকম ছিল। এমনকি বেশিদিন নদীকে দেখতে না পেলে, নদীকে দেখার জন্য সে ছেলেমানুষের মতো ছটফট করত। কিন্তু একজন সাধারণ স্টেশনমাস্টার হয়ে চেনা ছক বা চেনা গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে নদীকে ভালোবাসা কিছুটা হলেও তার পক্ষে যেন বেমানান ছিল। তাই নদেরচাঁদের নদীর প্রতি এত মায়া তার নিজের কাছেই অস্বাভাবিক বলে মনে হয়।



2. “নদীর জন্য এমনভাবে পাগলা হওয়া কি তার সাজে?”—কে, কেন এরূপ প্রশ্ন করেছে?

উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ' গল্পের নায়ক নদেরচাঁদ নদীর জন্য পাগল হত। পেশায় সে ছিল স্টেশনমাস্টার | ছোটো হোক, বড়ো হোক, স্টেশনমাস্টারের কাজ দায়িত্বপূর্ণ। দিনরাত মেল, প্যাসেঞ্জার আর মালগাড়িগুলির ছোটাছুটি নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব যাদের, নদেরচাঁদও তাদের মধ্যে একজন। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ভুলে সবসময় নদীর জন্য পাগল হওয়া তার সাজে না| তাই নদেরচাঁদ নিজেকেই এই প্রশ্ন করেছে।



৩. “নদেরচাঁদ সব বোঝে, নিজেকে কেবল বুঝাইতে পারে না।”—নদেরচাঁদ কী বোঝে? সে নিজেকে বোঝাতে পারে না কেন?

উত্তর: নদীর প্রতি নদেরচাদের এত বেশি মায়া একটু অস্বাভাবিক। এই কথাটি সে বোঝে।

→ নদেরচাদ জানে নদীর প্রতি তার এরূপ ভালোবাসাকে কেউ সমর্থন করবে না। এটা তার একান্ত নিজস্ব অনুভূতি। এই অনুভূতি সবার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তা ছাড়া সে যে কাজে নিযুক্ত তাতে নদী সম্পর্কে এত চিন্তা করাটাও বিপজ্জনক | কেননা, সে একজন স্টেশনমাস্টার | তবুও নদেরচাঁদ তার মনকে বোঝাতে পারে না | এক অজানা কারণেই তার চঞ্চল মন সবসময় নদীর কাছে। ছুটে যায়।



4. নদেরচাঁদের দেশের নদী আর স্টেশনমাস্টারি করতে এসে পরিচিত নদী, এই দুই নদীকে ভালোবাসার প্রকৃতি বা স্বরূপ কীরকম ছিল?

উত্তর: নদেরচাদের দেশের ক্ষীণস্রোতা নদী যেন অসুস্থ, দুর্বল আত্মীয়ের মতোই তার মমতা পেয়েছিল। তাই নদীর জল শুকিয়ে এলে নদেরচাঁদ পরমাত্মীয় মারা গেলে মানুষ যেভাবে কাঁদে ঠিক সেভাবেই কেঁদেছিল। অন্যদিকে স্টেশনমাস্টারি করতে এসে পরিচিত গভীর, প্রশস্ত নদী ছিল তার পরমবন্ধু। একদিনও সে ওই নদীকে না দেখে থাকতে পারত না। নদীর স্রোতে নিজের স্ত্রীকে লেখা চিঠি ফেলে এক অদ্ভুত খেলায় নদেরচাঁদ মেতে উঠত। নদীও যেন তার খেলায় যোগ দিয়েছিল । এইরকমই ছিল তার ভালোবাসা।



6.নদেরচাঁদের ভারী আমোদ বোধ হইতে লাগিল।”—কী কারণে পদেরচাদের এমন অবস্থা হয়েছিল লেখো। 

উত্তর: নদেরচাঁদ নদীকে বড়ো বেশি ভালোবাসত | বর্ষায় নদী জলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। সে মুগ্ধ চোখে নদীর সেই রূপ দেখছিল | নদীর উন্মত্ত জলস্রোত পাগলের মতো ছুটে চলেছিল। জলস্তর এত উঁচুতে উঠে এসেছিল যে, নদেরচাদ হাত বাড়িয়ে তা ছুঁতে পারত। নদী যেন তখন পূৰ্ণযৌবনা | কোনো কিছু দিয়েই তার সেই গতি রোধ করা অসম্ভব। জলের কোলাহল যেন প্রাণের কোলাহল | নদীর এই পরিপূর্ণ রূপ দেখে নদেরচাদের ভারি আমোদ বোধ হয়েছিল।



7. সদেরচাঁদ নদীর সঙ্গে যে খেলায় মেতে উঠেছিল, সেই খেলাটি কীরকম ছিল?

উত্তর: এক বর্ষার দিনে নদীর কাছে গিয়ে নদেরচাঁদ দেখল নদীর জল ব্রিজের ধারকস্তম্ভে বাধা পেয়ে এক ফেনিল আবর্ত তৈরি করেছে। সে পকেট থেকে অনেকদিন আগের একটা চিঠি বার করে নদীর স্রোতে ছুঁড়ে ফেলল। চোখের পলকে সেই চিঠি অদৃশ্য হয়ে গেল। গত দুদিন বৃষ্টির সাথে তাল মিলিয়ে অনেক পৃষ্ঠা জুড়ে সে তার স্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছিল | সেই চিঠির এক-একটি পাতা ছিঁড়ে দুমড়ে-মুচড়ে সে নদীর মধ্যে ফেলতে লাগল আর নদীও যেন সেগুলি নিজের মধ্যে লুকিয়ে ফেলতে লাগল | এইভাবে নদেরচাঁদ নদীর সঙ্গে এক অদ্ভুত খেলায় মেতে উঠেছিল।



8. “কী প্রয়োজন ছিল ব্রিজের?”—কোন্ ব্রিজের কথা বলা হয়েছে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির তা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয়েছে কেন?

উত্তর: নদেরচাঁদ যে স্টেশনে স্টেশনমাস্টারির কাজে নিযুক্ত ছিল তার কাছেই ছিল একটি নদী। এই নদীটির ওপর যে কংক্রিটের ব্রিজ ছিল, এখানে সেই ব্রিজটির কথাই বলা হয়েছে।

» আগে নদেরচাদ নদীর ওপর তৈরি নতুন রং করা ব্রিজটিকে নিয়ে গর্ব অনুভব করত। কিন্তু বর্ষায় নদী জলে পরিপূর্ণ হলে নদেরচাঁদের মনে হল ব্রিজটি যেন নদীর পায়ের শেকল। ব্রিজের থামগুলো যেন নদীর প্রবাহে বাধা দিচ্ছে | নদীর স্বাধীন ও স্বাভাবিক গতিকে রুদ্ধ করে এমন কোনো জিনিস নদেরচাঁদ কখনোই চায়নি। তাই নদেরচাঁদের মনে হল ব্রিজটির কোনো প্রয়োজন ছিল না।



দশম শ্রেণির বাংলা নদীর বিদ্রোহ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf / মাধ্যমিক বাংলা গল্প নদীর বিদ্রোহ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর / নদীর বিদ্রোহ গল্প ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / মাধ্যমিক বাংলা  নদীর বিদ্রোহ 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণির বাংলা নদীর বিদ্রোহ 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

bbbbb


1. “নিজের এই পাগলামিতে যেন আনন্দই উপভোগ করে।”—কার, কোন্ পাগলামির কথা এখানে বলা হয়েছে? কীভাবে সে পাগলামিতে আনন্দ উপভোগ করে লেখো

উত্তর: কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে তিরিশ বছর বয়সেও নদীর জন্য নদেরচাদের অতিরিক্ত মায়াকে একটু অস্বাভাবিক বলেই মনে হত | নদেরচাদের নদীর প্রতি এই ভালোবাসাকেই ‘পাগলামি’ বলা হয়েছে।


● নদীর ধারেই নদেরচাঁদের দেশ। নদীই তার আবাল্য বন্ধু। নদীর কলতানের মধ্যে সে যেন বোবা ভাষার স্বরলিপি খুঁজে পেতে চাইত। স্টেশনমাস্টারের কাজে এসে আর-এক নদীর সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। এই নদীটিও তার আপন হয়ে ওঠে। কাজের ব্যস্ততার মাঝেও সে নদীর চিন্তায় মশগুল থাকত। এই নদীটি বর্ষার জলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠলে সে বিস্মিত হয়ে নদীর জলস্রোতের চাঞ্চলতা দেখত । নদেরচাঁদের মনে হত নদীর এই চাঞ্চলতা যেন তার আনন্দেরই প্রকাশ | দিবারাত্রি প্যাসেঞ্জার ও মালগাড়ির তীব্রবেগে

ছোটাছুটি নিয়ন্ত্রণ করা যার কাজ, সে কিনা একজন নদীপাগল! নিজেও সে এ কথা বোঝে, কিন্তু মনকে কিছুতেই বোঝাতে পারে না । আসলে নদেরচাঁদ নিজেও একটি নদী। তার সত্তার গভীরে প্রবাহিত প্রাণের স্রোত যেন এই নদীরই স্রোত | নদীর সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে পেরে সে নিজেকে ধন্য মনে করতো। 



2. জলপ্রবাহের এমন উন্মত্ততা—এই সবকিছু দেখেই নদেরচাঁদের নদীকে জীবন্ত বলে মনে হয়েছিল। জীবন্ত মনে হল? জীবন্ত মনে হওয়ার কারণ কী ছিল তা বর্ণনা করো।

উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নদীর বিদ্রোহ’ ছোটোগল্পে নদেরচাঁদের নদীকে জীবন্ত বলে মনে হয়েছিল।

• ইতিপূর্বে তার দেশের নদীটির সঙ্গে নদেরচাদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠলেও সেই নদীটি ছিল ক্ষীপ, রুগ্ন | স্টেশনমাস্টারি করতে এসে নদেরচাঁদ এক নতুন নদীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল। সে নদী ছিল প্রশস্ত, বর্ষায় তার জলপ্রবাহ হয়ে উঠত উদ্দাম, উন্মত্ত | আর এই নদীর টানে নদেরচাঁদ প্রতিদিন নদীকে দেখতে ছুটে যেত। ব্রিজের ধারে বসে সে নদীকে দেখত। এইরকমই এক বর্ষায় নদীর উদ্দাম জলস্রোত ব্রিজের ধারকস্তম্ভে বাধা পেয়ে ফেনিল আবর্ত রচনা করছিল। নদীর এই আবর্তে নদেরচাঁদ তার স্ত্রীকে লেখা একটি চিঠি ছুঁড়ে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে তার মনে হয় চিঠিটা পেয়েই নদী যেন তার নিজের স্রোতের মধ্যে লুকিয়ে ফেলল। নদীও যেন নদেরচাদের সঙ্গে খেলায় যোগ দিয়েছে | উন্মত্ত হয়ে উঠেছে নদীর জলপ্রবাহ | নদীর এই খেলায় যোগ দেওয়া




3. জনদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়োছে।”—নদী কখন বিদ্রোহ করেছিল লেখো। এই বিদ্রোহের কোন কারণ নদেরচাদের বোধগম্য হয়েছিল


উত্তর: ‘নদীর বিদ্রোহ' গল্পে পাঁচ দিনের অবিরাম বৃষ্টির পরে নদীকে দেখার উৎসাহে নদেরচাদ নদীর কাছে যায় | নদীর বর্ষণপুষ্ট অপরূপ রূপ তাকে মুগ্ধ করে। ব্রিজের কাছাকাছি এসে যে নদীকে সে দেখে, তাতে সে পরিপূর্ণতার বদলে উন্মত্ততা দেখতে পায়। চেনা নদীর এই মূর্তি তার ভয়ংকর লাগে।


ব্রিজের মাঝামাঝি ধারকস্তম্ভের শেষভাগে বসে অন্যদিনের মতোই নদেরচাঁদ নদীকে দেখে, তার সঙ্গে খেলা করতে থাকে। এইসময়ই মুষলধারে বৃষ্টি নামে। তিন ঘণ্টার বিশ্রামে মেঘে যেন নতুন শক্তি সঞ্চার হয়েছে। নদেরচাঁদের মনের ছেলেবেলার আমোদ ক্রমশ মিলিয়ে গিয়ে তার সর্বাঙ্গ অবশ, অবসন্ন হয়ে ওঠে। ক্রমে দিনের আলো মিলিয়ে অন্ধকার গাঢ় হয়ে আসে। বৃষ্টি কিছুক্ষণ থেমে আবার প্রবলভাবে শুরু হয় | নদীর সেই ক্ষোভে উন্মত্ত চেহারা দেখে নদেরচাঁদ ভয় পেয়ে যায়। এই সময়ে নদীর এই রূপকেই তার ‘বিদ্রোহ’ বলে মনে হয়।


→ নদেরচাঁদ নদীর এই বিদ্রোহের কারণ বোঝার চেষ্টা করে। তার মনে হয় নদীকে বাঁধার যে চেষ্টা মানুষ করেছে তার তৈরি করা ব্রিজের সাহায্যে, নদী সেটাকে ভেঙে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়। দু-পাশে মানুষের হাতে-গড়া বাঁধকে চুরমার করে সে স্বাভাবিক গতিতে বয়ে যেতে চায় । আর এজন্যই নদীর এই বিদ্রোহ।



তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির বাংলা নদীর বিদ্রোহ গল্প থেকে প্রশ্ন উত্তর  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 বাংলা নদীর বিদ্রোহ গল্প প্রশ্ন উত্তর pdf download, class 10 Bengali Nadira bidroha questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE      

যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool247

      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।  Madhyamik Bengali Suggestion 2024  | মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2024



বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Madhyamik Bengali golpo Nadira bidroha questions answers pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik bengali Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন PDF Download 


বাংলা গল্প – নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন ও উত্তর | class 10  Bengali unhappy one Question and Answer 


MP বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Nadira bidroha 3  Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes – নদীর বিদ্রোহ থেকে সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য -  নদীর বিদ্রোহ থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক বাংলা এর গল্প থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik bangla 3 Nadira bidroha Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া Class 10 বাংলা গল্প নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 



‘‘মাধ্যমিক বাংলা গল্প নদীর বিদ্রোহ’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  নদীর বিদ্রোহ গল্প থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


দশম শ্রেণি বাংলা নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন উত্তর pdf download / দশম শ্রেণি অসুখী এক জন গল্পর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf / Madhyamik Bengali Nadira bidroha golpo question answer pdf / ক্লাস 10 নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন উত্তর নদীর বিদ্রোহ pdf  / ক্লাস 10 বাংলা প্রশ্ন উত্তর নদীর বিদ্রোহ pdf download / নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন উত্তর / Madhyamik Bengali golpo Nadira bidroha question answer pdf  / Class ten Bengali golpo Nadira bidroha question answer,



নদীর বিদ্রোহ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা গল্প প্রশ্ন ও উত্তর pdf download – নদীর বিদ্রোহ গল্প  pdf download| পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর pdf–| Madhyamik Bengali Question and Answer pdf download, Class 10 Bengali Question and Answer pdf  | Madhyamik Bengali note pdf download  | West Bengal Madhyamik Bengali Question and Answer pdf download. মাধ্যমিক বাংলা questions answers   – নদীর বিদ্রোহ questions answers ,মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ  – Class 10 নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | Madhyamik নদীর বিদ্রোহ pdf download.



MP Bengali Question answer 2024 pdf  | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  2024 pdf  – নদীর বিদ্রোহ গল্প long Question answer pdf, 

WBBSE Madhyamik Bengali Question pdf, মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর নদীর বিদ্রোহ (গল্প) । নদীর বিদ্রোহ (গল্প) | Madhyamik Bengali Suggestion/ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর pdf – 

 

      তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ,  তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক বাংলা গল্প  নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Bengali Nadira bidroha Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________ধন্যবাদ ❤️🤗 ________



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url