মাধ্যমিক বাংলা কবিতা আফ্রিকা প্রশ্ন উত্তর | আফ্রিকা কবিতা প্রশ্ন উত্তর pdf

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি বাংলা কবিতা আফ্রিকা প্রশ্ন উত্তর | Class 10 Bengali kobita Africa question answer | আফ্রিকা প্রশ্ন ও উত্তর দশম শ্রেণি


আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির বাংলা আফ্রিকা কবিতা প্রশ্ন উত্তর pdf। মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর আফ্রিকা । দশম শ্রেণির বাংলা কবিতা প্রশ্ন উত্তর আফ্রিকা। আফ্রিকা প্রশ্ন ও উত্তর |Madhyamik Bengali Africa question answer যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।



আফ্রিকা SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | আফ্রিকা কবিতা MCQ প্রশ্ন উত্তর / 

ANS: Click Here


দশম শ্রেণির  বাংলা আফ্রিকা ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf / মাধ্যমিক বাংলা কবিতা আফ্রিকা ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর / আফ্রিকা কবিতা ১ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / মাধ্যমিক বাংলা আফ্রিকা 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণির বাংলা আফ্রিকা 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর 


১.পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণের প্রকাশকাল উল্লেখ করো।

উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণের প্রকাশকাল ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ।


2.পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি ছিল কি?

উত্তর: পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণে (প্রকাশ ২৫ বৈশাখ, ১৩৪৩ বঙ্গাব্দ) ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি ছিল না।


3.পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ কত সালে প্রকাশিত হয়?

উত্তর: পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ ১৩৪৫ বঙ্গাব্দের ২৫ শ্রাবণ প্রকাশিত হয়।


4.পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে ক-টি কবিতা সংযোজিত হয়?

উত্তর: পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে দুটি কবিতা সংযোজিত হয়,যার একটি হল ‘আফ্রিকা’ |


৫. পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি কত সংখ্যক কবিতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়?

উত্তর: পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি ষোলো সংখ্যক কবিতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়


6.‘আফ্রিকা’ কবিতাটি প্রথম কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় প্রবাসী পত্রিকায়, চৈত্র, ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে


৭. রবীন্দ্রনাথের জীবনকালে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটির ভিন্নতর পাঠ কোথায় প্রকাশিত হয়েছিল?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথের জীবনকালে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটির ভিন্নতর একটি পাঠ প্রকাশিত হয়েছিল কবিতা পত্রিকায়, আশ্বিন, ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে।


8. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর ‘আফ্রিকা' কবিতার আর একটি পাঠ কোথায় প্রকাশিত হয়েছিল?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর ‘আফ্রিকা’ কবিতার আর-একটি পাঠ বিশ্বভারতী পত্রিকা-র শ্রাবণ-আশ্বিন ১৩৫১ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।


9. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কার অনুরোধে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি লেখেন?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবি অমিয় চক্রবর্তীর অনুরোধে ‘আফ্রিকা' কবিতাটি লেখেন।


10. ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি কোন সময়ের রচনা?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আফ্রিকা’ শীর্ষক কবিতাটি ২৮ মাঘ, ১৩৪৭ বঙ্গাব্দ (৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ)-এর রচনা।


11.“উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে...”—‘আদিম যুগ’ বলতে কোন্ সময়পর্বের কথা বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতায় ‘আদিম যুগ’ বলতে বিশ্বসৃষ্টির সূচনাপর্বের কথা বোঝানো হয়েছে।


12. “তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা নাড়ার দিনে...”—কে, কেন অধৈর্যে ঘনঘন মাথা নাড়িয়েছেন?

উত্তর: বিশ্বস্রষ্টা ঈশ্বর সৃষ্টিপর্বের শুরুর দিকে নিজের প্রতি অসন্তোষে তাঁর নতুন সৃষ্টিকে বারবার ধ্বংস করেছিলেন আর অধৈর্যে ঘনঘন মাথা নাড়িয়েছিলেন।


13.“ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে, আফ্রিকা—”—কে আফ্রিকাকে কোথা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল?

উত্তর: আলোচ্য অংশে বলা হয়েছে উত্তাল সমুদ্রের বাহু যেন প্রাচী ধরিত্রী অর্থাৎ পৃথিবীর পূর্বদিকের দেশগুলির থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল |


14. আফ্রিকা মহাদেশ কোন্ কোন্ সাগর দিয়ে ঘেরা?

উত্তর: ‘আফ্রিকা’ মহাদেশ প্রধানত আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগর এবং তাদের বিভিন্ন উপসাগর দিয়ে ঘেরা।


15. “কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে।”—আলো ‘কৃপপ’ কেন?

উত্তর: আফ্রিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলে শক্ত কাঠের খুব লম্বা চিরহরিৎ বৃক্ষের ঘন অরণ্যভূমি | তা লতা ও আগাছাতে পরিপূর্ণ | সূর্যের আলো এই অরণ্যভূমিতে প্রায় ঢুকতেই পারে না। তাই সেখানে আলোকে ‘কৃপণ’ বলা হয়েছে।


16.কালো ঘোমটার নীচে/অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ...” এখানে ‘কালো ঘোমটা’ কী?

উত্তর: ‘কালো ঘোমটা’ বলতে এখানে আদিম অরণ্যে ঘেরা আফ্রিকার যে ছায়া ও অন্ধকারের বিস্তার তার কথা বলা হয়েছে |


17. “...অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ/ উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।”—কার মানবরূপ, কাদের কাছে উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে অপরিচিত ছিল?

উত্তর: আলোচ্য অংশে আফ্রিকা মহাদেশের মানবরূপ যেন তার অরণ্যে- ঢাকা ‘কালো ঘোমটার নীচে’ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির কাছে উপেক্ষা কলুষিত দৃষ্টিতে অপরিচিত ছিল।


18.“এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে”—কাদের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: এখানে উন্নত ইউরোপীয় রাষ্ট্রশক্তিগুলি, যারা আফ্রিকাকে আক্রমণ করেছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে।


19.‘এল মানুষ-ধরার দল।”—এখানে ‘মানুষধরার দল’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: উন্নত ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো, যারা আফ্রিকাকে ক্রীতদাস সরবরাহের কেন্দ্রে পরিণত করেছিল, এখানে তাদের কথা বলা হয়েছে ।

20.এল মানুষ-ধরার দল”—এই ‘মানুষ-ধরার দল’-এর বিশেষত্ব কী ছিল?

উত্তর: হিংস্রতায় এদের নখ ছিল আফ্রিকার অরণ্যচারী নেকড়ের থেকেও ধারালো।


21.“হায় ছায়াবৃতা”——কাকে, কেন ‘ছায়াবৃতা' বলা হয়েছে?

উত্তর: আদিম, ঘন অরণ্যে ঢাকা আফ্রিকায় সূর্যরশ্মি ঢুকতে না পারায় তাকে ‘ছায়াবৃতা’ বলা হয়েছে।


22. 'ছায়াবৃতা’ আফ্রিকার মুখ কোথায় লুকানো ছিল?

উত্তর: ‘ছায়াবৃতা’ আফ্রিকার মুখ লুকানো ছিল কালো ঘোমটার নীচে অর্থাৎ আদিম অরণ্যের অন্ধকারে।


23.“গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।"—তারা কী করল?

উত্তর: উন্নত সভ্যতার গর্বে অন্ধ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি লোহার হাতকড়ি দিয়ে আফ্রিকার মানুষদের কৌশলে বন্দি করল এবং ক্রীতদাস বানাল |


24. “নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।”—কীভাবে নির্লজ্জ অমানুষতা প্রকাশ পেল?

উত্তর: সাম্রাজ্যবিস্তারের লক্ষ্যে মানুষ মানুষকে দীর্ঘকাল ধরে শিকল পরিয়েছে। তথাকথিত সভ্য মানুষের ক্ষমতার প্রতি এই বর্বর লোভের মধ্য দিয়েই তাদের নির্লজ্জ অমানুষতা প্রকাশ পেয়েছে।


25. “পঙ্কিল হলো ধূলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে...”—কীভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হল?

উত্তর: পৃথিবীর নানা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নিজেদের উপনিবেশ গড়ার জন্য স্বাধীন আফ্রিকার মানুষকে শৃঙ্খলিত করল এবং তাদের ওপর বর্বর, অমানুষিক অত্যাচার চালাল ৷ এভাবেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হল |


26.‘চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।।”—কারা চিরচিহ্ন দিয়ে গেল?

উত্তর: তথাকথিত ‘সভ্য’ এবং সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয় রাষ্ট্রশক্তিগুলি চিরচিহ্ন দিয়ে গেল ।


27. “চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।।”—ইতিহাস অপমানিত কেন?

উত্তর: পরাধীনতার গ্লানিতে, মানুষের অপমানে আফ্রিকার ইতিহাস অপমানিত | সেই অপমানের চিহ্নকে চিরস্থায়ী করে দিয়ে গেছে লোভী, হিংস্র বর্বর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি |


28.“কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল...”—কবির সংগীতে কী বেজে উঠেছিল?

উত্তর: কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল সুন্দরের আরাধনা।


29.“এসো যুগান্তের কবি...”—কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘যুগান্তের কবি’র কাছে কোন্ ডাক দিয়েছেন?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যুগান্তের কবিকে আসন্ন সন্ধ্যার শেষে অপমানিত আফ্রিকার পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছেন।


30. “সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।।”—সভ্যতার শেষ ‘পুণ্যবাণী’-টি কী হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে কবি মনে করেন?

উত্তর: ‘আফ্রিকা’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মনে করেন যুগান্তের কবির কণ্ঠে সভ্যতার শেষ ‘পুণ্যবাণী’-টি হওয়া উচিত ‘ক্ষমা করো’ |


31. “প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু/মন্ত্র জাগাচ্ছিল...”—‘প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: ‘প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু’ বলতে মানুষের কাছে অচেনা প্রকৃতির বৈচিত্র্যপূর্ণ নানা দিকগুলির কথা বলা হয়েছে | যার রহস্য আদিম মানুষ তার বুদ্ধি ও জ্ঞান দিয়ে ভেদ করতে পারেনি।↑

 

32.“বিদ্রূপ করছিলে ভীষণকে...”—কে ‘ভীষণ’-কে কীভাবে বিদ্রুপ করেছে?

উত্তর: নবগঠিত আফ্রিকা মহাদেশ নিজের প্রতিকূলতার ছদ্মবেশে প্রাকৃতিক ভয়ংকরতা ও ভীষণতাকে বিদ্রুপ করেছে।


33.“শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে...”—কে, কীভাবে শঙ্কাকে হার মানাতে চেয়েছিল?

উত্তর: দুর্গম দুর্ভেদ্য আফ্রিকা মহাদেশ নিজেকে উগ্র করে তুলে তার ভয়ংকর মহিমায়, বিধ্বংসী তাণ্ডবলীলার প্রচণ্ড শব্দে ভয়কে হার মানতে চেয়েছিল।



আফ্রিকা কবিতা ৩ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর  / মাধ্যমিক বাংলা কবিতা আফ্রিকা 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর  / দশম শ্রেণির বাংলা কবিতা আফ্রিকা 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর


1. “নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধবস্ত...”—কে নতুন সৃষ্টিকে বারবার বিধবস্ত করছিলেন? তাঁর এমন আচরণের কারণ কী?

উত্তর: এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, অর্থাৎ ঈশ্বর নতুন সৃষ্টিকে বারবার ধ্বংস করছিলেন।

● স্রষ্টা সৃষ্টি করেন নিজের খেয়ালে | মনের মতো না হলে তিনি নিজেই নিজের সৃষ্টিকে ধ্বংস করেন এবং আবার গড়ে তোলেন | ভাঙাগড়ার খেলার মধ্য দিয়ে তাঁর সৃষ্টিলীলা চলতে থাকে | ‘উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে’ আফ্রিকা সৃষ্টির


2.“বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়”—‘বনস্পতির নিবিড় পাহারা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: প্রশ্নোদ্ভূত অংশে আফ্রিকার কথা বলা হয়েছে | আফ্রিকা মহাদেশের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল, বিশেষত, মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় নিরক্ষীয় অঞ্চল হওয়ার জন্য ঘন অরণ্য রয়েছে। সেই ঘন অরণ্য ভেদ করে সূর্যের আলোও ঢুকতে পারে না। প্রকৃতি যেন নিবিড়, নিশ্ছিদ্র পাহারায় সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে আফ্রিকাকে। এই ভৌগোলিক সত্যকেই রবীন্দ্রনাথ কাব্যিকভাবে তুলে ধরেছেন।


3. “কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে।”—‘কৃপণ আলো’ বলার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতায় আফ্রিকা ভূখণ্ডের উৎপত্তির ইতিহাসটি বর্ণনা করা হয়েছে। ভয়ংকর সমুদ্রের বাহু প্রাচীন পৃথিবীর বুক থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে আলাদা মহাদেশ গড়ে তুলেছিল। এমন এক ভৌগোলিক অবস্থানে আফ্রিকার জন্ম, যেখানে বেশিরভাগ জায়গাই অরণ্যে ঘেরা। সূর্যের আলো সেই ঘন অরণ্য ভেদ করে সেখানে পৌঁছোতে পারে না। এই কারণেই আফ্রিকাকে কবি ‘কৃপণ আলোর অন্তঃপুর’ বলেছেন।



4."বিদ্রূপ করছিলে ভীষণকে।”—এখানে কার কথা বলা হয়েছে? কেন সে ভীষণকে বিদ্রুপ করছিল?

উত্তর: আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে আদিম আফ্রিকার কথা বলা হয়েছে।

→ এক দুর্গম রহস্যময় স্থানে আফ্রিকার জন্ম হয়েছিল। অরণ্যে ঘেরা এই আফ্রিকার চারপাশের প্রকৃতি ছিল আরও দুর্বোধ্য এবং সংকেতপূর্ণ। প্রকৃতির এই দুর্বোধ্য মায়াবী রহস্য আফ্রিকার চেতনাতীত মনে জীবনধারা গড়ে তোলার মন্ত্র জুগিয়ে চলেছিল। আর আফ্রিকা প্রতিকূলতার ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রকৃতির  সেই ভয়ংকর রূপকে বিদ্রুপ করছিল। নিজে শঙ্কাকে হার মানাতেই ভীষণের বিরুদ্ধে সেও ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল। সমস্ত প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রম করতেই আফ্রিকা এই পথ বেছে নিয়েছিল।


5. “হায় ছায়াবৃতা”—কাকে ছায়াবৃতা বলা হয়েছে? কেন বলা হয়েছে? ১+২

উত্তর: আফ্রিকাকে ‘ছায়াবৃতা’ বলা হয়েছে।

→ আফ্রিকা মহাদেশের এক বিস্তীর্ণ অংশ আদিম অরণ্যে ঘেরা। সেখানে সূর্যের আলো পর্যন্ত ঢুকতে পারে না | প্রকৃতি যেন নিজের মতো করে তাকে অন্ধকার মহাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে | সূর্যের আলোহীন দুর্গম চরিত্রের জন্যই আফ্রিকাকে ‘ছায়াবৃতা’ বলা হয়েছে | এর আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে আফ্রিকার নিজস্ব জীবন ও সংস্কৃতি |



6.“গর্বে যারা অন্ধ তোমার সুর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।”—কারা গর্বে অন্ধ? অরণ্য সূর্যহারা কেন?

উত্তর: সাম্রাজ্যবাদী ঔপনিবেশিক প্রভুদের কথাই এখানে বলা হয়েছে। তারা বর্ণকৌলীন্যে এবং ক্ষমতার অহংকারে অন্ধ।


● আদিম আফ্রিকার ভৌগোলিক অবস্থান ছিল দুর্গম, রহস্যময় | চারিদিকে ঘন বনস্পতি যেন আফ্রিকাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল | এতই ঘন অরণ্যভরা স্থানে আফ্রিকার অবস্থান ছিল যে, সূর্যের আলো সেখানে পৌঁছোতে পারত না। চিরছায়ায় ঢাকা আফ্রিকা যেন কালো ঘোমটার নীচে তার মানবরূপকে ঢেকে রেখেছিল | এইজন্যই অরণ্যকে সূর্যহারা বলা হয়েছে।


7.. “সভ্যের বর্বর লোভ/নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।”—মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।


উত্তর: অরণ্য আর আদিমতার অন্ধকারে থাকা আফ্রিকায় উনিশ শতক থেকে ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপন শুরু হয় | ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, জার্মানি, ইটালি—ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশই আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে এবং উনিশ শতকের শেষে প্রায় গোটা আফ্রিকা ইউরোপের উপনিবেশে পরিণত হয়। আফ্রিকাকে লুণ্ঠন করে সেখানকার আদিম জনজাতিদের শোষণের যে ইতিহাস রচিত হয়, এখানে সেদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।



8. “পঙ্কিল হলো ধূলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে।”—সম্প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা লেখো।

উত্তর: আফ্রিকার জনগণের ওপর ইউরোপের ঔপনিবেশিক প্রভুদের অমানুষিক অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে কবি আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন। সৃষ্টির শুরু থেকেই আফ্রিকা ছিল উপেক্ষিত ও অপমানিত | দুর্গম প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলে অবস্থিত আফ্রিকার মানুষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে উদ্যোগী হয় ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি | তারা সেখানে উপনিবেশ গড়ে তোলে ৷ আফ্রিকার আদিম অধিবাসীরা ক্রীতদাসে পরিণত হয় | শোষণ, অত্যাচার আর অবহেলা হয়ে ওঠে আফ্রিকাবাসীদের ভাগ্যলিপি | কবি মনে করেছেন, অত্যাচারিত আফ্রিকার চোখের জলেই সেখানকার মাটি পঙ্কিল হয়ে উঠেছে।


9.“চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।।”—কার ইতিহাসকে অপমানিত বলা হয়েছে? কোন্ ঘটনাকে কবি ‘চিরচিহ্ন’ বলেছেন’? ১+২

উত্তর: আদিম আফ্রিকার ইতিহাসকে অপমানিত বলা হয়েছে।


→ সাম্রাজবাদী ঔপনিবেশিক প্রভুরা আফ্রিকার মানুষকে ক্রীতদাসে পরিণত করেছিল। ক্ষমতালোভী সেই সাম্রাজ্যবাদীর দল নির্মম অত্যাচার চালাত আফ্রিকার আদিম মানুষদের ওপর | সেইসব তথাকথিত সভ্য মানুষদের বর্বরতা আর অমানুষিক অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত হল আফ্রিকার মানুষ। তাদের রক্ত আর চোখের জলে কর্দমাক্ত হল আফ্রিকার মাটি | সাম্রাজ্যবাদী দস্যুদের কাঁটা-যারা জুতোর নীচে সেই বীভৎস কাদার পিণ্ড চিরচিহ্নরূপে কালোছাপ ফেলে রাখল আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাসে।



10.“সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তেই...” সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তে কী ঘটেছিল লেখো।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে | কবির বর্ণনা অনুসারে আফ্রিকায় যখন ঔপনিবেশিক শোষণ চলছিল, তখন সমুদ্রপারে ইউরোপীয়দের নিজেদের পাড়ায় পাড়ায় দয়াময় দেবতার নামে মন্দিরে পুজোর ঘণ্টা বাজছিল। শিশুরা মায়ের কোলে খেলছিল। আর সেখানে কবিরা মনের বীণায় সংগীতের সুর তুলে সুন্দরের আরাধনা করছিলেন | সমুদ্রপারের এই দৃশ্যে সভ্যতার বিপরীত দিকই ধরা পড়ে রবীন্দ্রনাথের চোখে।



11. “কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল/সুন্দরের আরাধনা।।”—এই বেজে ওঠার তাৎপর্য কী?

উত্তর: আধুনিক সভ্যতার বিপরীত দিককে রবীন্দ্রনাথ এখানে তুলে ধরেছেন । তথাকথিত সভ্য ইউরোপীয় শক্তিরা আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে তীব্র শোষণ চালাত | আফ্রিকানদের পাঠানো হত যুদ্ধক্ষেত্রে, পশুর মতো তাদের নিয়ে কেনাবেচা চলত | একদিকে যখন মনুষ্যত্বের এরকম লাঞ্ছনা, সেই একই সময়ে সভ্য দুনিয়ায় ঈশ্বরের প্রার্থনা চলত, শিশুরা খেলত মায়ের কোলে, কবির সংগীতে বেজে উঠত সুন্দরের আরাধনা। অর্থাৎ জীবন সেখানে থাকত শান্ত ও সুন্দর।



12.“এসো যুগান্তের কবি”—যুগান্তের কবিকে কোথায় আসতে বলা হয়েছে? সেখানে এসে তিনি কী করবেন?

উত্তর: ‘আফ্রিকা’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ যুগান্তের কবিকে আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে অপমানিত আফ্রিকার দ্বারে এসে দাঁড়াতে বলেছেন।

● আফ্রিকার জনগণের ওপর ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের অত্যাচার মানবতার অপমান | শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের উচিত এই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো | যুগান্তের কবিও তাঁদেরই প্রতিনিধি | মানহারা আফ্রিকার দ্বারে দাঁড়িয়ে সত্য ও সুন্দরের পূজারি কবিকেও বলতে হবে ‘ক্ষমা করো”। আর সেটাই হবে ‘সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।


dddddd

দশম শ্রেণির বাংলা আফ্রিকা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf / মাধ্যমিক বাংলা কবিতা আফ্রিকা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর / আফ্রিকা কবিতা ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / মাধ্যমিক বাংলা  আফ্রিকা 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণির বাংলা আফ্রিকা 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর


1. “ছায় ছায়াবৃতা”—‘ছায়াবৃতা’ বলার কারণ কী? তার সম্পর্কে কবি কী বলেছেন সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: নিবিড় অরণ্যঘেরা পরিবেশে আফ্রিকার অবস্থান, সেখানে সূর্যের আলো পৌঁছোতে পারে না। তাই তাকে ‘ছায়াবৃতা’ বলা হয়েছে | 

● মানবতাবাদী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটির মধ্য দিয়ে কবি আফ্রিকার জন্মলগ্নের ইতিহাসটি তুলে ধরেছেন। ঘন অরণ্যঘেরা ভূখণ্ডে আফ্রিকার জন্ম। তাই কবি বলেছেন ‘বনস্পতির নিবিড় পাহারা’ কথাটি। অরণ্য এত ঘন যে, সূর্যের আলোও সেখানে প্রবেশ করতে পারে না | তাই ‘কৃপণ আলোর অন্তঃপুর’ কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে।

আফ্রিকার জন্মলগ্নে ভৌগোলিক পরিবেশ ছিল অত্যন্ত প্রতিকূল। সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর নিজের খেয়ালে ভাঙাগড়ার কাজ করেন। তাঁর সন্তোষের ওপর নির্ভর করে সৃষ্টির স্থায়িত্ব। না হলে তিনি অধৈর্য হয়ে নতুন সৃষ্টিকে ধ্বংস করে আবার গড়তে থাকেন। বিধাতার এই ঘনঘন মাথা নাড়ার দিনে ভয়ংকর সমুদ্রের বাহু প্রাচী পৃথিবীর বুক থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় | অর্থাৎ আফ্রিকা ভূখণ্ডের জন্ম হয় | ভৌগোলিক দিক থেকে আফ্রিকার অবস্থান নিরক্ষীয় অঞ্চলে। এই কারণে অঞ্চলটি ঘন অরণ্যে ঘেরা। সূর্যের আলো এখানে পৌঁছোতে পারে না। প্রকৃতি যেন যাবতীয় বাধার প্রাচীর গড়ে তুলে আফ্রিকাকে পাহারা দিয়ে রেখেছে। এই প্রসঙ্গেই কবি আলোচ্য উদ্ধৃতিটি করেছেন




2. এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে”—কারা এল? তারা কীভাবে অত্যাচার করেছিল ‘আফ্রিকা’ কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আফ্রিকা’ কবিতার প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে আফ্রিকার বুকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির আসার কথা বলা হয়েছে।


●→ রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিতায় ইতিহাসের এক ধারাক্রমকে তুলে ধরেছেন, যা থেকে মনে হয় কবি পঞ্চম শতক থেকে প্রায় আধুনিককাল পর্যন্ত প্রচলিত দাসব্যবস্থার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

সভ্যতার শুরুতে আফ্রিকা ছিল আদিম অরণ্যে ঘেরা দুর্গম এক ভূখণ্ড | পরবর্তী সময়ে দীর্ঘকাল জুড়ে আফ্রিকার প্রতি উদাসীন ছিল সভ্য দুনিয়া। “কালো ঘোমটার নীচে/অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ/উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।” কিন্তু যখন এই আফ্রিকার দিকে উন্নত বিশ্বের চোখ পড়ল তখন এই মহাদেশ তাদের অত্যাচারের শিকার হল । নেকড়ের থেকেও ধারালো এদের নখ | এই ইউরোপীয় শক্তিরা আফ্রিকাকে ব্যবহার করল ক্রীতদাস সরবরাহের কেন্দ্র হিসেবে | সভ্য জাতির বর্বর লোভ নিজেদের অমানবিক রূপটি প্রকাশ করল। অসহায় আফ্রিকার ধূলি কান্নায়, রক্তে এবং চোখের  জলে মিশে কাদায় পরিণত হল। দস্যুবৃত্তির নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত রেখে গেল সভ্য দুনিয়া। তাদের অত্যাচার যেন ‘চিরচিহ্ন' দিয়ে গেল অপমানিত আফ্রিকার ইতিহাসে। শুধু মানবসম্পদ নয়, প্রাকৃতিক সম্পদও সভ্য ইউরোপীয় শক্তিগুলির লোভের লক্ষ্য হল। উদ্ধত এইসব দেশের অত্যাচার আর অমানবিকতায় এভাবেই বারেবারে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে আফ্রিকাকে।



3.. “দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে;”—কাকে এই আহ্বান করা হয়েছে? তাঁর প্রতি কবির এরূপ আহ্বানের কারণ কী? ১+২

উত্তর: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতায় যুগান্তের কবিকে এই আহবান জানানো হয়েছে ।


» আফ্রিকা অত্যাচারিত হয়েছে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা। দস্যু- পায়ের কাটা-মারা জুতোর তলায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সেই ভূখণ্ডের মাটি। নিরীহ আফ্রিকাবাসী মুখবুজে সহ্য করেছে লাঞ্ছনা | সভ্য মানুষ কখনও ফিরেও তাকায়নি এই মানহারা আফ্রিকার দিকে। যুগান্তের কবি সভ্য মানুষের প্রতিনিধি| তাই মানহারা আফ্রিকার দ্বারে দাঁড়িয়ে সমগ্র সভ্য মানুষের হয়ে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। এই কারণেই কবি তাঁকে আহবান জানিয়েছেন।



4. “সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।”—মন্তব্যটির প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।

উত্তর: ইউরোপের রাজনৈতিক অস্থিরতা আর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে স্বাধীনতার চাহিদা—এই দুই-এ মিলে আফ্রিকায় এক পালাবদলের সম্ভাবনা কবির কাছে স্পষ্ট হয়েছিল। তাই কবি এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে যুগান্তের নবীন কবিকে আহবান করেছেন অপমানিত আফ্রিকার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার জন্য; তার এই অপমানের ইতিহাসকে মনে রেখে নতজানু হয়ে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। হিংস্র প্রলাপের মধ্যে এই ক্ষমাপ্রার্থনার তাৎপর্য বোঝাতেই কবি মন্তব্যটি করেছেন।



5. “এসো যুগান্তের কবি”—কোন্ পরিস্থিতিতে যুগান্তের কবিকে আহবান জানানো হয়েছে? তার কাছে কবির কী প্রত্যাশা?]

উত্তর: ‘আফ্রিকা’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ উন্নত ইউরোপীয় দেশগুলির দ্বারা আফ্রিকাকে শোষণ ও লাঞ্ছনার এক করুণ ছবি তুলে ধরেছেন | ‘সভ্যের বর্বর লোভ’ কীভাবে নিজেদের ‘নির্লজ্জ অমানুষতা’-কে প্রকাশ করে তার দৃষ্টান্ত কবি তুলে ধরেছেন | আফ্রিকাকে এই লাঞ্ছনার হাত থেকে মুক্তি দিতে কবি ‘যুগান্তরের কবি’-কে আহ্বান করেছেন।



6. “দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে,/বলো ‘ক্ষমা করো” —“মানহারা মানবী' কথাটি ব্যাখ্যা করো। কাকে, কেন তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা' কবিতায় কবি আফ্রিকাকেই‘মানহারা মানবী’ বলেছেন। কারণ উন্নত ইউরোপীয় সভ্যতা আফ্রিকাকেশোষণ করলেও আফ্রিকার জীবনধারা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দেয়নি উপেক্ষা আর অপমানের অন্ধকারে কলঙ্কিত আফ্রিকাকে ডুবে থাকতে হয়েছে | দাসব্যবস্থা থেকে ঔপনিবেশিকতা—বঞ্চনার ইতিহাস আফ্রিকাকে ঘিরে আছে। ‘মানহারা মানবী' কথাটির দ্বারা এই বঞ্চনার দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।


→ যুগান্তের কবিকে এখানে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছে | কারণ সৃষ্টিশীল কবিমাত্রই সত্য এবং সুন্দরের কথা বলেন। তাই যে শোষণ-লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে আফ্রিকাকে—একজন কবিই তাঁর সংবেদনশীলতা দিয়ে তা উপলব্ধি করতে পারেন| ‘আফ্রিকা’ কবিতা রচনার সময়কালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শাসনক্ষমতার পরিবর্তন হতে থাকে। 


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির বাংলা আফ্রিকা কবিতা থেকে প্রশ্ন উত্তর  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 বাংলা আফ্রিকা কবিতা প্রশ্ন উত্তর pdf download, class 10 Bengali Africa questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE        

যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool247

      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।  Madhyamik Bengali Suggestion 2024  | মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2024



বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Madhyamik Bengali Africa kobita questions answers pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik bengali Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন PDF Download 


বাংলা কবিতা – আফ্রিকা প্রশ্ন ও উত্তর | class 10  Bengali unhappy one Question and Answer 


MP বাংলা – আফ্রিকা (কবিতা) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Africa 3  Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes – আফ্রিকা থেকে সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য -  আফ্রিকা থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক বাংলা এর কবিতা থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik bangla 3 Africa Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া Class 10 বাংলা কবিতা আফ্রিকা প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 



‘‘মাধ্যমিক বাংলা কবিতা আফ্রিকা’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  আফ্রিকা কবিতা থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


দশম শ্রেণি বাংলা আফ্রিকা প্রশ্ন উত্তর pdf download / দশম শ্রেণি অসুখী এক জন কবিতার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf / Madhyamik Bengali Africa kobita question answer pdf / ক্লাস 10 আফ্রিকা প্রশ্ন উত্তর আফ্রিকা pdf / ক্লাস 10 বাংলা প্রশ্ন উত্তর আফ্রিকা pdf download / আফ্রিকা প্রশ্ন উত্তর / Class ten Bengali kobita Africa question answer



আফ্রিকা মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা কবিতা প্রশ্ন ও উত্তর pdf download – আফ্রিকা কবিতা  pdf download| পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর pdf–| Madhyamik Bengali Question and Answer pdf download, Class 10 Bengali Question and Answer pdf  | Madhyamik Bengali note pdf download  | West Bengal Madhyamik Bengali Question and Answer pdf download. মাধ্যমিক বাংলা questions answers   – আফ্রিকা questions answers ,মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ  – Class 10 আফ্রিকা প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | Madhyamik আফ্রিকা pdf download.



MP Bengali Question answer 2024 pdf  | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  2024 pdf  – আফ্রিকা কবিতা long Question answer pdf, 

WBBSE Madhyamik Bengali Question pdf, মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর আফ্রিকা (কবিতা) । আফ্রিকা (কবিতা) | Madhyamik Bengali Suggestion/ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর pdf – 

 

      তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ,  তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক বাংলা কবিতা  আফ্রিকা প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Bengali  Africa Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________ধন্যবাদ ❤️🤗 ________





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url