মাধ্যমিক ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল ভারত 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik Geography fifth chapter 2 marks question answer | Class 10 Geography fifth chapter 2 marks question answer

 

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ভূগোল 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর ভারত । দশম শ্রেণির ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । ভারত (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik Geography chapter 5 2 number question answer, মাধ্যমিক ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় ভারত 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ভূগোল ২ নম্বর অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ভূগোল প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায় pdf download, class 10 Geography fifth chapter 2 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE         

      আরও পোস্ট দেখো    : B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik Geography Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X Geography Question and Answer Suggestion 1022, মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 1022


দশম শ্রেণির ভূগোল ভারত ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ভূগোল ভারত ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

1.গঙ্গার দুটি উপনদী ও দুটি শাখানদীর নাম করো।

উত্তর: গঙ্গার দুটি উপনদী হল যমুনা ও রামগঙ্গা।

গঙ্গার দুটি শাখানদী হল ভাগীরথী-হুগলি এবং পদ্মা |


2. দক্ষিণ ভারতের কোন্ কোন্ নদীর মোহানায় বদ্বীপ আছে?

উত্তর:দক্ষিণ ভারতের গোদাবরী, মহানদী, কৃষ্ণা এবং কাবেরী নদীর মোহানায়

বদ্বীপ আছে ।


3. ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি কোথায়? এর দুটি উপনদীর নাম করো।

উত্তর: তিব্বতের রাক্ষসতাল-মানস সরোবরের প্রায় 90 কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে চেমায়ুং দুং নামে একটি হিমবাহ থেকে ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তি | 

ব্রহ্মপুত্র নদের দুটি উপনদী হল সুবনসিরি এবং লোহিত।


4.ভারতের দুটি পশ্চিমবাহিনী নদীর নাম করো। 

উত্তর: ভারতের দুটি পশ্চিমবাহিনী নদীর নাম যথাক্রমে নর্মদা এবং তাপি বা তাপ্তী |


5. অন্তবাহিনী নদী কাকে বলে?

উত্তর:b যেসব নদী উচ্চভূমি বা পার্বত্য অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে দেশের অভ্যন্তরে কোনো হ্রদ বা আবদ্ধ জলাভূমিতে মেশে, অথবা মরুভূমিতে গিয়ে শুকিয়ে যায়, সেগুলিকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে। 

যেমন—রাজস্থানের লুনি নদী আজমেরের পাশে আনাসাগর হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়ে কচ্ছের রান অঞ্চলে গিয়ে মিশেছে।


6.অন্তঃসলিলা বা ফল্গু নদী কাকে বলে?

উত্তর: নদী সাধারণত ভূপৃষ্ঠ বরাবর প্রবাহিত হয় | কিন্তু চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলে কোনো কোনো সময় চুনাপাথরের সচ্ছিদ্রতা বা প্রবেশ্যতা বেশি (চুনাপাথর জলে দ্রবীভূত হয়) বলে নদী ভূ-অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এই ধরনের নদীকে বলে অন্তঃসলিলা বা ফল্গু নদী। চুনাপাথরগঠিত অঞ্চল পার হয়ে নদীটি পুনরায় ভূপৃষ্ঠে আত্মপ্রকাশ করে। অন্ধ্রপ্রদেশের বোরা গুহালুতে গোস্থানী নদী এইভাবে প্রবাহিত হচ্ছে।


7.ভারতের দুটি প্রধান জলবিভাজিকার নাম লেখো।

উত্তর: ভারতের দুটি প্রধান জলবিভাজিকা হল—বিন্ধ্য পর্বত ও পশ্চিমঘাট পর্বত।



8. কোন্ কোন্ নদীর মিলিত ধারার নাম ব্রক্ষ্মপুত্র?

উত্তর: ডিহং, ডিবং এবং লোহিত নদীর মিলিত ধারার নাম ব্রহ্মপুত্র ।

9. ভারতের কয়েকটি পূর্ববাহিনী নদীর নাম লেখো।

উত্তর: ভারতের কয়েকটি পূর্ববাহিনী নদী হল—মহানদী, গোদাবরী, কৃয়া, কাবেরী প্রভৃতি।


10. গঙ্গার তীরে অবস্থিত কয়েকটি শহরের নাম লেখো।

উত্তর: গঙ্গার তীরে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য শহরগুলি হল—কলকাতা, পাটনা, এলাহাবাদ এবং কানপুর।


11. সিন্ধুর পাঁচটি উপনদীর নাম কী?

● সিন্ধুর পাঁচটি উপনদী হল—শতদ্রু, বিপাশা, ইরাবতী, চন্দ্রভাগা এবং বিতস্তা বা ঝিলাম |


12.. গতিপথে জলপ্রপাত আছে ভারতের এরকম দুটি নদীর নাম করো।

উত্তর: ভারতের দুটি নদী যার গতিপথে জলপ্রপাত আছে, তা হল—কাবেরী নদী (শিবসমুদ্রম জলপ্রপাত) এবং শরাবতী নদী (গেরসোপ্পা জলপ্রপাত)।



13.ভারতের দুটি লবণাক্ত হ্রদের নাম লেখো।

উত্তর: ভারতের দুটি লবণাক্ত হ্রদ হল—রাজস্থানের সম্বর এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্যাংগং।


14. ভারতের সর্বোচ্চ জলপ্রপাতটির নাম কী? এটি কোন নদীর গতিপথে অবস্থিত ?

উত্তর: ভারতের সর্বোচ্চ জলপ্রপাতটির নাম গেরসোপ্পা (253 মি)।

পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢাল থেকে উৎপন্ন শরাবতী নদীর গতিপথে এই জলপ্রপাতটির সৃষ্টি হয়েছে।


15.. পশ্চিমঘাট পর্বতমালা থেকে নির্গত কয়েকটি নদীর নাম লেখো।

উত্তর: পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পশ্চিমঢ়াল থেকে কয়েকটি ক্ষুদ্র নদী উৎপন্ন হয়ে পশ্চিমদিকে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে পড়েছে। এগুলির মধ্যে শরাবতী উলহাস, নেত্রাবতী, সাবিত্রী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।


16. ভারতের বৃহত্তম নদীদ্বীপের নাম ও অবস্থান উল্লেখ করো।

উত্তর: ভারতের বৃহত্তম নদীদ্বীপের নাম হল ব্রহ্মপুত্র নদের মাজুলি | এই নদীদ্বীপটি অসম রাজ্যের জোড়হাট জেলায় অবস্থিত।


17. ভারতের একটি পূর্ববাহিনী এবং একটি পশ্চিমবাহিনী নদীর উত্তর: নাম ভারতের একটি পূর্ববাহিনী নদী হল মহানদী এবং একটি পশ্চিমবাহিনী নদী হল নর্মদা ।


18. ভারতের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী কেন?

উত্তর : ভারতের সমভূমি এবং দাক্ষিণাত্য মালভূমি সাধারণভাবে পূর্বে ঢালু বলে উত্তর ভারতের প্রধান নদী গঙ্গা-সহ দাক্ষিণাত্যের অধিকাংশ নদ পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। কিন্তু গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নর্মদা ও তাপ্তী নদী পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে মিশেছে।


19. দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী কেন?

উত্তর: মহানদী, গোদাবরী, কৃয়া, কাবেরী, ডাইগাই, পেনার প্রভৃতি দাক্ষিণাত্য মালভূমির উল্লেখযোগ্য নদী। এইসব নদী দাক্ষিণাত্য মালভূমির বিভিন্ন অংশ থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে এবং শেষে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। নদীগুলি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে, কারণ দাক্ষিণাত্য মালভূমি পশ্চিম থেকে পূর্বে ঢালু।


20. দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি নৌচলাচলে উপযুক্ত নয় কেন?

উত্তর: দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি নৌচলাচলে উপযুক্ত নয়, কারণ— এখানকার নদীগুলি অধিকাংশই বৃষ্টির জলে পুষ্ট। তাই বর্ষাকাল ছাড়া এই নদীগুলিতে জল প্রায় থাকেই না, অর্থাৎ এই নদীগুলি অনিত্যবহ হয়। দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি মালভূমি অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় খরস্রোতা। তাই নদীগুলি নৌপরিবহণে উপযুক্ত নয়।


21. দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি চিরপ্রবাহী নয় কেন?

উত্তর: দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি নাতিউচ্চ মালভূমি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। তাই কোনো নদীর উৎসই হিমবাহ গলা জল থেকে সৃষ্টি হয়নি। দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ নদীই বৃষ্টির জলে পরিপূর্ণ। সেইজন্য কেবল বর্ষাকালেই এই নদীতে জলপ্রবাহ বজায় থাকে এবং তাই নদীগুলি চিরপ্রবাহী হয় না।


22.প্লাবন খাল কাকে বলে?

উত্তর: যেসব নদী কেবল বর্ষার প্লাবনে জলপূর্ণ হয় এবং বছরে অন্য সময় ক্ষীণকায় থাকে, সেইসব নদী থেকে খনন করা খালগুলিকে প্লাবন খাল বলে | বর্ষাকাল ছাড়া প্লাবন খালগুলিতে অন্য সময় তেমন জল থাকে না।

উদাহরণ—কৃষ্ট্বা নদীর বদ্বীপ খাল |


23. নিত্যবহ খাল কাকে বলে?

উত্তর: যেসব নদীতে সারাবছর জল থাকে, সেইসব নদী থেকে খনন করা খালগুলিকে নিত্যবহ খাল বলে। এই নদীগুলি সারাবছর জলপূর্ণ থাকে বলে নিত্যবহ খালের মাধ্যমে সারাবছরই কৃষিজমিতে জলসেচ করা হয়। যেমন— পাঞ্জাবের পশ্চিম যমুনা খাল।


24..বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার উদ্দেশ্যগুলি হল— বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলসেচ ব্যবস্থার প্রসার, 3 জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, 4 জলপথে পরিবহণ,6 মৎস্যচাষ, 6 পানীয় জলসরবরাহ ইত্যাদি।


25. ভারতের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার নাম লেখো।

উত্তর: ভারতের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা হল—

● দামোদর এবং এর কয়েকটি উপনদীর ওপর রূপায়িত দামোদর উপত্যকা পরিকল্পনা, ও শতদ্রু ও বিপাশা নদীর ওপর ভাকরা নাঙ্গাল পরিকল্পনা এবং মহানদীর ওপর হিরাকুদ পরিকল্পনা।


26.. ভারতের কয়েকটি খালের নাম করো।

উত্তর: ভারতের কয়েকটি খালের নাম হল—উচ্চ গঙ্গা খাল, নিম্ন গঙ্গা খাল, সারদা খাল, ইন্দিরা গান্ধি খাল, মেদিনীপুর খাল, দুর্গাপুর খাল প্রভৃতি।



10.তাল কী?

কুমায়ুন হিমালয়ে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের মাধ্যমে অসংখ্য খতি বা নীচু জায়গা সৃষ্টি হয় | পরবর্তী সময়ে ওই নীচু জায়গাগুলিতে বরফ গলা জল জমে সৃষ্টি হয়েছে হ্রদ। স্থানীয় ভাষায় ওই হ্রদগুলিকেই বলে তাল | যেমন— নৈনিতাল, সতিতাল, ভীমতাল প্রভৃতি এধরনের হ্রদ বা তাল |


11.কয়াল কী?

অতীতে ভূআন্দোলনের ফলে কেরলের মালাবার উপকূলে বহুবার উত্থান ও নিমজ্জন ঘটেছে | এর ফলে উপকূলে গড়ে উঠেছে সমুদ্র বাঁধ এবং তার পশ্চাতে অনেক উপহ্রদ | এই উপহ্রদগুলিকেই স্থানীয় ভাষায় কয়াল বলে।

যেমন—ভেম্বানাদ ও অষ্টমুদি কয়াল।


3.‘আশ্বিনের ঝড়’ কাকে বলে? 

শরৎকালে ভারতের উপকূল অঞ্চলে মাঝে মাঝে ঘূর্ণিঝড়সহ বৃষ্টিপাত হয়। এতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব বেশি না হলেও প্রলয়ংকরী ঝড়ের তাণ্ডবে জীবনহানি এবং ধনসম্পত্তির বিপুল ক্ষতি হয়| পশ্চিমবঙ্গে প্রধানত আশ্বিন মাসে এই ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের আবির্ভাব ঘটে বলে একে আশ্বিনের ঝড় বলা হয় |


4. জলবায়ু অঞ্চল কাকে বলে?

* জলবায়ুর দুই প্রধান উপাদান—উন্নতা ও বৃষ্টিপাত দ্বারা জলবায়ু অঞ্চল নির্ণয় করা হয় | তাই জলবায়ু অঞ্চল বলতে এমন একটি অঞ্চলকে বোঝায়, যেখানে সর্বত্র উন্নতা ও বৃষ্টিপাতের প্রকৃতিসহ আবহাওয়ার অন্যান্য উপাদানগুলিও মোটামুটি একই রকম থাকে।


5.মৌসুমি বায়ু কাকে বলে?

অথবা, ‘মৌসুমি’ কথাটির অর্থ কী?

পৃথিবীতে যত ধরনের সাময়িক বায়ু প্রবাহিত হয় তাদের মধ্যে মৌসুমি বায়ু সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে। মৌসুমি কথাটির উৎপত্তি আরবি শব্দ মৌসিম থেকে, যার অর্থ ঋতু । সুতরাং, ঋতু  অনুসারে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকেই বলে মৌসুমি বায়ু। ভারতে দুটি বিপরীতধর্মী মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। একটি গ্রীষ্মকালে আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু হিসেবে এবং অপরটি শীতকালে শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু হিসেবে প্রবাহিত হয়।


7.মেঘালয়ে অতিবৃষ্টির কারণ কী?

গ্রীষ্মকালের শেষে ভারত মহাসাগর থেকে আগত আৰ্দ্ৰ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখাটি বাংলাদেশের সমভূমি অতিক্রম করে পূর্ব হিমালয় ও উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিহত হওয়ার আগেই মেঘালয় মালভূমির গারো, খাসি পাহাড়ের দক্ষিণ ঢালে প্রথম বাধা প্রাপ্ত হয়ে মেঘালয়ে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়।


12. কালবৈশাখী ঝড় কী?

গ্রীষ্মকালের শুরুতে বিকালবেলায় পশ্চিমবঙ্গ ও তার নিকটবর্তী অঞ্চলে মাঝে মাঝেই বজ্ৰ-বিদুৎ ও বৃষ্টিপাতসহ এক ভীষণ ঝড়ের আবির্ভাব হয় | এই ঝড় কালবৈশাখী নামে পরিচিত | উত্তর- পশ্চিমদিক থেকে এই ঝড়ের বায়ু প্রবাহিত হয় বলে একে নরওয়েস্টার (Nor' Wester)-ও বলে।


14.মৌসুমি বিস্ফোরণের সংজ্ঞা দাও।

গ্রীষ্মকালের শেষের দিকে, বিশেষত মে মাসে উত্তর-পশ্চিম ভারতে এক গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই নিম্নচাপের আকর্ষণে সুদূর ভারতমহাসাগরের উচ্চচাপ এলাকা থেকে আর্দ্র বায়ু আরব সাগরীয় ও বঙ্গোপসাগরীয় শাখায় বিভক্ত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ভারতে প্রবেশ করে। এই বায়ু দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু নামে পরিচিত। গ্রীষ্মের অসহ্য গরমের মধ্যে আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আকস্মিকভাবেই ভারতে প্রবেশ করে বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে তাপমাত্রার হ্রাস ঘটায় এবং ভারতে বর্ষাকালের সূচনা ঘটায়। এই ঘটনাকে মৌসুমি বিস্ফোরণ (burst of monsoon) বলে ।


16.. পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কী ?

ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে শীতকালে যে নাতিশীতোয় ঘূর্ণবাতের আগমন ঘটে, তাকে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বলে। শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সৃষ্ট এই ঘূর্ণবাত পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে ইরাক, ইরান, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশ অতিক্রম করে উত্তর-পশ্চিম ভারতে পৌঁছায় এবং জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখন্ড ও উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত ঘটায়। পশ্চিম দিক থেকে আসা এই ঘূর্ণবাতগুলি শীতের শান্ত আবহাওয়াকে নষ্ট করে দেয় বলে এদের ‘পশ্চিমি ঝামেলা’ নামেও অভিহিত করা হয়।


13. আম্রবৃষ্টি কাকে বলে ?

দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক ও কেরল রাজ্যে গ্রীষ্মকালে এপ্রিল মাসে যে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত ঘটে, তাকে আম্রবৃষ্টি বলে | আরব সাগর থেকেআগত এই বৃষ্টিপাত আমের ফলনে সাহায্য করে বলে একে আম্রবৃষ্টি বলে | দক্ষিণ ভারতের আমচাষিদের কাছে আম্রবৃষ্টি আশীর্বাদস্বরূপ।


20. লু বলতে কী বোঝ?

মার্চ-এপ্রিল মাসে উত্তর ভারতের সমভূমি অঞ্চলের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেড়ে যায়। এর ফলে মাঝে মাঝে শুষ্ক এবং উম্ন বায়ু প্রবাহ এই অঞ্চলের ওপর প্রবহমান হয় | এই ধরনের উম্ন বায়ু প্রবাহকে লু বলে| যার গতিবেগ ঘণ্টায় 30-35 কিমি।



1. মাটি কাকে বলে?

> সূক্ষ্ম শিলাচূর্ণের সঙ্গে বিভিন্ন জৈব পদার্থের সংমিশ্রণের ফলে ভূত্বকের সবচেয়ে ওপরে যে আবরণের সৃষ্টি হয় তাকে সাধারণভাবে মৃত্তিকা বলে| মৃত্তিকার মধ্যে থাকা শিলাচূর্ণের খনিজ উপাদানের পরিমাণ,গ্রথন, সচ্ছিদ্রতা এবং জৈব পদার্থের পরিমাণের ওপর মৃত্তিকার উর্বরতা নির্ভর করে। যেমন— পলি মৃত্তিকা, ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা প্রভৃতি |



2. পড়সল মৃত্তিকা কাকে বলে?

> সরলবর্গীয় অরণ্য অঞ্চলের জৈব পদার্থ বা হিউমাস সমৃদ্ধ ‘অম্লধর্মী’ মাটিকে পডসল মৃত্তিকা বলে | পশ্চিম হিমালয়ের হিমাচল ও জম্মু অঞ্চলের সরলবর্গীয় বনাঞ্চলে পডসল মৃত্তিকা দেখা যায়।


৪. ভারতের কোন্ কোন্ অঞ্চলে কৃষ্ণ মৃত্তিকা দেখা যায় ?

মহারাষ্ট্র মালভূমি, গুজরাতের ভারুচ, ভাদোদরা, সুরাট, মধ্যপ্রদেশের পশ্চিমাংশ ও কর্ণাটকের উত্তরাংশে কৃম্ন মৃত্তিকা দেখা যায় ।


4. ভুর ও রেগুর কী?

উচ্চ গঙ্গা সমভূমি অঞ্চলে বিশেষত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের উচ্চ দোয়াব অঞ্চলে অত্যন্ত সূক্ষ্ম কণার মৃত্তিকা দ্বারা গঠিত তরঙ্গায়িত উচ্চভূমি দেখা যায় | একে ভুর বলে।


12. খাদার (khadar) কী?

উত্তর ভারতের গঙ্গা সমভূমি অঞ্চলে নদীর উভয় তীরের প্লাবনভূমিতে যে নতুন পলিগঠিত উর্বর মৃত্তিকা দেখা যায়, তাকে খাদার (khadar) বলে । 


24. সিরোজেম কী ?

সিরোজেম: রাজস্থানের মরু অঞ্চলে এবং গুজরাতের কচ্ছ ও কাথিয়াবাড় উপদ্বীপের উত্তরাংশে জৈব পদার্থহীন বা স্বল্প জৈব পদার্থযুক্ত, বালিপূর্ণ ও লবণের আধিক্যযুক্ত যে মাটি দেখা যায়, যার নাম মরু মাটি, তারই অপর নাম সিরোজেম।



40. সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষ বলতে কী বোঝ ?

● পার্বত্য অঞ্চলে সমান উচ্চতাযুক্ত বিন্দুগুলিকে যোগ করে যে রেখা পাওয়া যায়, তাকে সমোন্নতি রেখা বলে । ওই রেখা বরাবর জমি সমতল কর শস্যক্ষেত্র তৈরি করা হয় এবং জলপ্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে ভূমিক্ষয় হ্রাস পায়।


1. স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলতে কী বোঝ ?

কোনো স্থানের নির্দিষ্ট বৃষ্টিপাত, উন্নতা ও মৃত্তিকার প্রভাবে কোনোরূপ পরিচর্যা ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে যে উদ্ভিদ জন্মায় ও বড়ো হয়, তাকেই বলে স্বাভাবিক উদ্ভিদ | এই স্বাভাবিক উদ্ভিদই বনভূমি বা অরণ্য তৈরি করে।



8. আল্পীয় উদ্ভিদ বলতে কী বোঝায়?

পূর্ব হিমালয়ের 4000 মিটার এবং পশ্চিম হিমালয়ের 3200 মিটার উচ্চতায় অর্থাৎ সরলবর্গীয় অরণ্যের আরও ওপরে প্রায় 4500 মিটার উচ্চতায় পূর্ব এবং পশ্চিম হিমালয়ে জুনিপার, রডোডেনড্রন, লার্চ, ভুর্জ প্রভৃতি বৃক্ষ ছাড়াও নানারকমের তৃণ এবং গুল্ম জন্মায় | এইসব উদ্ভিদকে একসঙ্গে আল্পীয় উদ্ভিদ বলে| এখানকার উদ্ভিদগুলি খুব ছোটো ছোটো | ইউরোপের আল্পস পার্বত্য অঞ্চলের বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে এই ধরনের উদ্ভিদ দেখা যায় বলে এদের আল্পীয় উদ্ভিদ বলা হয় ।


9.. ম্যানগ্রোভ অরণ্য বলতে কী বোঝ? অথবা,বদ্বীপের লবণাক্ত মাটিতে কী জাতীয় অরণ্য দেখা যায় ? উদাহরণ দাও।

সমুদ্রোপকূল-সংলগ্ন বদ্বীপের লোনা মাটিতে এক বিশেষ ধরনের জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্‌গম-সমন্বিত এবং শ্বাসমূল ও ঠেসমূলবিশিষ্ট চিরসবুজ উদ্ভিদের অরণ্য দেখা যায়, যা ম্যানগ্রোভ অরণ্য নামে পরিচিত । যেমন—সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া, হেঁতাল প্রভৃতি ম্যানগ্রোভ অরণ্যের উদ্ভিদের উদাহরণ। গঙ্গা বদ্বীপের দক্ষিণভাগে অবস্থিত সুন্দরবন ও মহানদী বদ্বীপের ভিতরকণিকা ভারতের দুটি ম্যানগ্রোভ অরণ্য অঞ্চল |


1. কৃষিকাজ বলতে কী বোঝ ?

মানবসভ্যতা বিস্তারের প্রথম পদক্ষেপ ও প্রাথমিক অর্থনৈতিক কাজ হল কৃষিকাজ | কৃষিকাজের ইংরেজি প্রতিশব্দ agriculture শব্দটি দুটি লাতিন অর্থাৎ ভূমি বা ক্ষেত্র এবং culture অর্থাৎ কর্ষণ বা পরিচর্যা থেকে

শব্দ ager 



2. বাগিচা কৃষি ও বাগিচা ফসল কাকে বলে ?

আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে বৃহদায়তন বাগানে কোনো বাণিজ্যি ফসল চাষ করা হলে সেই ফসল উৎপাদনের পদ্ধতিকে বাগিচা কৃষি এবং উৎপাদিত ফসলটিকে বাগিচা ফসল বলে | যেমন—ভারতে চা, কফি, মশলা ও রবার চাষ বাগিচা কৃষির অন্তর্গত।



4. ভারত কোন্ কোন্ দেশে কফি রপ্তানি করে?

→ ভারত —– ইটালি, © রাশিয়া, ও জার্মানি, 4 তুরস্ক, 6 বেলজিয়াম প্রভৃতি দেশে কফি রপ্তানি করে। হল——1 সোনালিকা, ছোটি লারমা ইত্যাদি |


5. কয়েকটি উচ্চফলনশীল তুলো বীজের নাম লেখো।

কয়েকটি উচ্চফলনশীল তুলো বীজের নাম হল— সুজাতা, ভারতী, 3 MCU-4, 4MCU-5 ইত্যাদি।


6.অর্থকরী ফসল কাকে বলে?

প্রধানত বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের জন্য কৃষকরা যেসব ফসল চাষ বা উৎপাদন করে, সেইসব ফসলকে অর্থকরী ফসল বলে। যেমন—ভারতে আখ, পাট, তুলো প্রভৃতি অর্থকরী ফসল।


7. শস্যাবর্তন কৃষি বলতে কী বোঝ ?

> একই জমিকে বছরের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন শস্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করার পদ্ধতিকে শস্যাবর্তন কৃষি বলা হয় ৷ যেহেতু বিভিন্ন প্রকার শস্য মাটির ভিন্ন ভিন্ন পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে, তাই কোনো এক ধরনের পুষ্টি ক্রমাগত নিঃশেষিত হয় না। এই কারণে শস্যাবর্তনের মাধ্যমে জমির স্বাভাবিক উর্বরতাও রক্ষিত হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জমিতে প্রধানত নাইট্রোজেনের জোগান অব্যাহত রাখতে, ভারতে অন্যান্য ফসলের সঙ্গে নিয়মিতভাবে ডালজাতীয় ফসলের চাষ হয়। এটি শস্যাবর্তন কৃষির একটি উদাহরণ।


8.তন্তু শস্য কী?

যেসব শস্য থেকে আঁশ বা তন্তু পাওয়া যায়, তাকে তন্তু শস্য বলে | তন্তু শস্য তিনপ্রকার—– বীজতন্তু: গাছের বীজ থেকে এই তন্তু পাওয়া যায়। যেমন—কার্পাস।® বল্কলতন্ত্র: গাছের ছাল থেকে এই তন্তু সংগ্রহ করা হয়।

যেমন—পাট। ও পত্রতন্তু: গাছের পাতা থেকে এই তন্তু সংগ্রহ করা হয়।

যেমন—শন।


9.পানীয় ফসল কী? দুটি পানীয় ফসলের উদাহরণ দাও।

যেসব ফসলকে আমরা পানীয় হিসেবে গ্রহণ করি, তাদের পানীয় ফসল বলা হয় | ভারতে চা ও কফি হল প্রধান দুটি পানীয় ফসল |


10. খরিফ শস্য কাকে বলে?

ভারতে মৌসুমি বায়ুর আগমনের সাথে সাথে বা বর্ষাকালে বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করে যে ফসল বোনা হয়, তাকে খরিফ শস্য বলে । জুন মাসের মাঝামাঝি এই ফসল বপন করা হয় এবং অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি কাটা হয় | আমন ধান, কার্পাস, আখ প্রভৃতি খরিফ শস্যের উদাহরণ |


11. রবি শস্য বলতে কী বোঝ ?

শরৎকালে অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে যে ফসল রোপণ বা বপন করা হয় এবং মার্চের মাঝামাঝি যে ফসল কাটা হয়, সেই ফসলকে রবি শস্য বলে।

বোরো ধান, গম, বার্লি, সরষে ইত্যাদি রবি শস্যের উদাহরণ।


13. জায়িদ শস্য কী?

মার্চ মাসের মধ্যভাগে যে ফসল বোনা হয় এবং জুন মাসে বর্ষার ঠিক আগেই কেটে ফেলা হয়, তাকে জায়িদ শস্য বলে | আউশ ধান, পাট, বাদাম, শশা, পটল প্রভৃতি এই জাতীয় শস্য |


14.শীতকালীন গম কী ?

উম্ন ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে শীতকালে যেই ধরনের গম চাষ করা হয়, তাকে শীতকালীন গম বলে | ভারতে এই ধরনের গম নভেম্বর মাসে বপন করা হয় এবং এপ্রিল-মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে কাট হয়।


15. আমন ধান ও বোরো ধান কাকে বলে?

বর্ষাকালে বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করে যে ধান চাষ করা হয়, তাকে আমন ধান বলে। শীতকালে জলসেচের ওপর নির্ভর করে যে ধান চাষ করা হয়, তাকে বোরো ধান বলে।


16.পাহাড়ি ঢালু জমিতে চা চাষ ভালো হয় কেন?

চা গাছের গোড়ায় জল দাঁড়ালে চা গাছের শিকড় পচে যায় | তাই ঢালযুক্ত পাহাড়ি অঞ্চলের জমিতে যেখানে বৃষ্টির জল দাঁড়ায় না, সেখানে চায়ের চাষ করা হয়।


17. বল উইভিল কী?

বল উইভিল হল এক ধরনের পোকা যা কার্পাস গাছের কুড়ি ও পাতা খেয়ে ফেলে | এই পোকার আক্রমণে কার্পাস চাষে মড়ক লাগে | এজন্য কার্পাস চাষে খুব বেশি কীটনাশক ব্যবহার করা হয় |



3. অনুসারী শিল্প কাকে বলে?

যখন কোনো শিল্পে উৎপাদিত দ্রব্যসমূহকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে পরস্পর নির্ভরশীল অনেক শিল্প গড়ে তোলা হয়, তখন প্রথমটিকে কেন্দ্রীয় শিল্প এবং বাকি শিল্পগুলিকে অনুসারী শিল্প বলে। উদাহরণ— হলদিয়ার পেট্রোরসায়ন শিল্প হল কেন্দ্রীয় শিল্প আর এই শিল্পে উৎপাদিত দ্রব্যাদিকে কাঁচামাল 

হিসেবে ব্যবহার করে যেসব শিল্প গড়ে উঠছে তাকে অনুসারী শিল্প বলে।


4. অবিশুদ্ধ কাঁচামাল কী?

। যেসব কাঁচামাল শিল্পজাত দ্রব্যে পরিণত করলে তার ওজন কমে যায়, সেইসব কাঁচামালকে অশুদ্ধ বা অবিশুদ্ধ কাঁচামাল বলে | আকরিক লোহা, আকরিক তামা, আখ প্রভৃতি হল অবিশৃদ্ধ কাঁচামাল | যেমন— এক টন কাঁচা লোহা প্রস্তুত করতে 1.7 টন আকরিক লোহা, 1.30 টন কয়লা, 0.50 টন চুনাপাথর ও ডলোমাইট ও অন্যান্য দ্রব্য মিলিয়ে মোট 5 টন কাঁচামালের প্রয়োজন হয়।


5. বিশুদ্ধ কাঁচামাল কী?

যেসব কাঁচামাল শিল্পজাত দ্রব্যে পরিণত করলেও তার ওজন কমে না, সেইসব কাঁচামালকে বিশুদ্ধ কাঁচামাল বলে | পাট, তুলো, রেয়ন প্রভৃতি এই জাতীয় কাঁচামাল | যেমন—এক মেট্রিক টন তুলো থেকে এক মেট্রিক টন সুতো এবং ওই একই পরিমাণ সুতো থেকে 1 মেট্রিক টন ওজনের বস্ত্র উৎপাদন করা যায়।


6.লোহা ও ইস্পাত শিল্পে কী কী কাঁচামাল লাগে?

↑ লোহা ও ইস্পাত শিল্পের প্রধান কাঁচামালগুলি হল— আকরিক লোহা, স্ট্র্যাপ লোহা, স্পঞ্জ লোহা, কয়লা অক্সিজেন এবং চুনাপাথর। এ ছাড়া ডলোমাইট, ম্যাঙ্গানিজ, ক্রোমিয়াম, নিকেল, টাংস্টেন, ভ্যানাডিয়াম প্রভৃতিও কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই শিল্পটিতে প্রচুর পরিমাণে জলেরও প্রয়োজন হয়।



9. পেট্রোরসায়ন শিল্পকে আধুনিক শিল্পদানব বলা হয় কেন?

> পেট্রোরসায়ন শিল্পের শিল্পজাত দ্রব্যকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অনুসারী ও সাহায্যকারী শিল্প বিকাশলাভ করে। এছাড়াও আধুনিক শিল্পব্যবস্থায় এই শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম বলে একে আধুনিক শিল্পদানব বলা হয়।


20. TISCO সম্পর্কে টীকা লেখো।

TISCO-র পুরো কথাটি হল Tata Iron and Steel Company | জামশেদজি টাটার পরিকল্পনায় ঝাড়খণ্ডের সিংভূম জেলায় সুবর্ণরেখা ও খরকাই নদীর মিলনস্থলে 1907 সালে এই কারাখানাটি স্থাপিত হয়। এটি বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত বৃহত্তম লোহা ও ইস্পাত কারখানা।


21. কার্পাসবয়ন শিল্পকে শিকড় আলগা শিল্প বলে কেন?

কার্পাসবয়ন শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হল কার্পাস বা তুলো। এটি একটি বিশুদ্ধ কাঁচামাল অর্থা সমপরিমাণ (1 টন) তুলো থেকে সমপরিমাণ (1 টন) সুতো বা বস্তু উৎপাদিত হয়। ফলে এই শিল্প কাঁচামাল উৎসের কাছে বা বাজারের কাছে বা এদের মধ্যবর্তী যে-কোনো স্থানেই গড়ে উঠতে পারে। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট স্থানে গড়ে ওঠার প্রবণতা লক্ষ করা যায় না। তাই কার্পাসবয়ন শিল্পকে শিকড় আলগা শিল্প বলে।


22. তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বলতে কী বোঝ ?

যখন কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ বা দূরসঞ্চার ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার তথ্যের অন্বেষণ, পুনরুদ্ধার, পরিবর্তন, পরিমার্জন, বিশ্লেষণ, সংরক্ষণ বা মজুত প্রভৃতি কাজ ব্যবসায়িক প্রয়োজনে করা হয়, তখন তার নাম তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। বিভিন্ন ধরনের পরিকাঠামো ও উৎপাদন ব্যবস্থা এই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য প্রয়োজন হয়, যেমন—কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, সফটওয়ার, ইলেকট্রনিকস বা বৈদ্যুতিন সেমিকন্ডাক্টর, ইন্টারনেট, ই-কমার্স, দূরসঞ্চার, সাজসরঞ্জাম, কম্পিউটার পরিসেবা ইত্যাদি |


24. লোহা ও ইস্পাত শিল্পকে সব শিল্পের মেরুদণ্ড বলে কেন?

লোহা ও ইস্পাত শিল্পের ওপর অন্যান্য শিল্পের বিকাশ নির্ভর করে। লোহা ও ইস্পাত শিল্পের উৎপাদিত দ্রব্য দিয়ে কৃষিভিত্তিক, ধাতব শিল্প, যন্ত্রপাতি, রাস্তাঘাট, সেতু নির্মাণ সব ধরনের শিল্পকাজই করা যায় | তাই এই শিল্পকে সব শিল্পের মেরুদণ্ড বলে।



29.. SAIL কী?

SAIL (Steel Authority of India Limited) হল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, যা ভারতে সরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা লোহা ও ইস্পাত কারখানাগুলি পরিচালনা করে। SAIL-এর অন্তর্ভুক্ত ৪টি বৃহদায়তন কারখানা আছে যার মধ্যে 1টি সংকর ইস্পাত কারখানা, 4টি লোহা ও ইস্পাত কারখানা এবং এটি লৌহ-সংকর কারখানা।


30.. শিল্পাঞ্চল কাকে বলে?

যে ভৌগোলিক এলাকায় শিল্পের একদেশিকতার কারণে বিভিন্ন সহযোগী ও অনুসারী শিল্পের বিকাশ ঘটে, তাকে শিল্পাঞ্চল বলে। উদাহরণ- পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল |


31. পেট্রোরসায়ন শিল্পকে কেন ‘সূর্যোদয়ের শিল্প’ বলে?

বৈচিত্র্য, পরিমাণ ও ব্যাবহারিক দিক থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পেট্রোরসায়ন শিল্পের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ও এর ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের শিল্প বিকাশ লাভ করেছে । তাই পেট্রোরসায়ন শিল্পকে ‘সূর্যোদয়ের শিল্প’ বলা হয়।


32. পূর্ত শিল্প কী ?

যে শিল্পে লোহা ও ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, তামা প্রভৃতি ধাতব দ্রব্য এবং রবার, প্লাস্টিক প্রভৃতি অধাতব দ্রব্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ কলাকৌশলের মাধ্যমে নানা ধরনের হালকা, ভারী ও সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি, কলকবজা, যন্ত্রাংশ এবং সংযোজিত ইস্পাত দ্রব্য তৈরি করা হয়, তাকে পূর্ত শিল্প বলে। এর আরেক নাম ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প।


33.আদমশুমারি কাকে বলে?

জনগণনা এবং জনগণনা-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের কাজকে বলে আদমশুমারি | যেমন—ভারতে প্রতি 10 বছর অন্তর জনগণনা করা হয়। 1872 সালে ভারতে প্রথম জনগণনা করা হলেও 1881 সাল থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি 10 বছর অন্তর জনগণনা করা হয়। এই হিসেবে ভারতে সর্বশেষ জনগণনা করা হয়েছে 2011 সালে |


34.জনবিস্ফোরণ কী?

জনবিস্ফোরণ : সাধারণত যে-কোনো অঞ্চলে বা দেশে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনসংখ্যাও বাড়তে থাকে। কিন্তু জনসংখ্যার সেই বৃদ্ধি যখন অস্বাভাবিক দ্রুত হয় এবং তার ফলে মোট জনসংখ্যা হঠাৎই খুব বেড়ে যায়,জনসংখ্যার সেই অতিবৃদ্ধিকে জনবিস্ফোরণ বলা হয়। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার 2 শতাংশের বেশি হলে জনবিস্ফোরণ ঘটে। যেমন ভারতে 1951 থেকে 1981 সালের মধ্যে বার্ষিক জনসংখ্যা 2.16 শতাংশ থেকে 2.47 শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, যা দেশে জনবিস্ফোরণ ঘটায় | জনবিস্ফোরণ হলে

খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, জীবিকার সংস্থান প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংকট দেখা দেয়।


35. ভারতে জনবিস্ফোরণের কারণ কী?

1.বিগত কয়েকটি দশকে ভারতের জনসংখ্যা এত দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে যে একে জনবিস্ফোরণ বলা হয়। জনবিস্ফোরণের কারণ হল – ভারতীয় সমাজে দারিদ্র্যতা, শিক্ষার অভাব, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, বাল্যবিবাহের কারণে অতিরিক্ত জন্মহার; 



36. জনসংখ্যার বৃদ্ধি বলতে কী বোঝায়?

জনসংখ্যার বৃদ্ধি বলতে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যার ধনাত্মক পরিবর্তনকে বোঝায় | যেমন—

2001 সালে ভারতের জনসংখ্যা থেকে 2011 সালের আদমশুমারি অনুযায় জনসংখ্যার বৃদ্ধি হয়েছে।


10. ধারণযোগ্য উন্নয়ন কী?

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সেই প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর জন্য যে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তাকে ধারণযোগ্য উন্নয়ন বলে। ধারণযোগ্য উন্নয়ন হল এমন এক ধরনের উন্নয়ন ভাবনা যার সাথে পৃথিবীর সব মানুষের সব ধরনের দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণ জড়িয়ে রয়েছে।



14, নগরায়ণ কাকে বলে?

> নগরায়ণ : কোনো বসতি এলাকা যখন গ্রাম্য অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে শহর বা নগরে পরিণত হয়, পরিবর্তনের সেই প্রক্রিয়াকে বলে নগরায়ণ। অর্থাৎ কোনো একটি স্থানে শহর বা নগর সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে নগরায়ণ বলে |


নগরায়ণের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল— সেখানে জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে এবং @ অকৃষিকাজে যুক্ত অধিবাসীদের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়তে থাকে |



দশম শ্রেণির ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায়ের 2 নং কোশ্চেন|মাধ্যমিক ভূগোল 2 নং প্রশ্ন উত্তর

1. রান’ কাকে বলে?

গুজরাতে কচ্ছ উপদ্বীপের বিস্তীর্ণ অগভীর লবণাক্ত জলাভূমিকে রান বলে | এর উত্তরভাগের নাম ‘বৃহৎ রান’ এবং দক্ষিণভাগের নাম ‘ক্ষুদ্র রান’ |


2.আকসাই চিন কী?

জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের উত্তর-পূর্ব ভাগের নাম আকসাই চিন অঞ্চল৷ সুউচ্চ কারাকোরাম পর্বতশ্রেণির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই আকসাই চিন অঞ্চলটি প্রকৃতপক্ষে একটি পর্বতবেষ্টিত উচ্চ মালভূমি। এখানকার গড় উচ্চতা 4500 মিটার হলেও কোনো কোনো জায়গায় উচ্চতা 6000 মিটার বা তারও বেশি। এর প্রশাসনিক কাজকর্ম চিন সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়। এই অঞ্চলের উত্তরে আছে বিখ্যাত সোডা সমভূমি |


3. সোডা সমভূমি কাকে বলে?

কাশ্মীরের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের নাম সোডা সমভূমি | এলাকাটি কারাকোরাম পর্বতশ্রেণির পূর্বে এবং আকসাই চিন অঞ্চলের উত্তরে অবস্থিত। এই সোডা সমভূমি প্রকৃতপক্ষে একটি উচ্চভূমি | এর উপরিভাগ প্রায়-সমতল |


4. খাদার ও ভাঙ্গর কাকে বলে?

 উত্তর ভারতে গঙ্গা এবং তার বিভিন্ন উপনদীবাহিত পলি নদী উপত্যকার দুই ধারে ধীরে ধীরে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে যেস এলাকা নতুন পলিগঠিত সেগুলিকে বলে খাদার। নদী উপত্যকা থেকে দূরবর্তী যেসব অঞ্চল প্রাচীন পলি দ্বারা গঠিত তাদের বলে ভাঙ্গর | নতুন পলিগঠিত বলে ভাঙ্গরের তুলনায় খাদার বেশি উর্বর হয়।


5. ভাবর অঞ্চল বলতে কী বোঝ ?

গঙ্গা সমভূমি অঞ্চলের উত্তর প্রান্তের নাম ভাবর। এলাকাটি হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত। এখানকার মাটি বালি ও নুড়িপূর্ণ এবং সচ্ছিদ্র। হিমালয়ের খরস্রোতা নদীগুলি নুড়ি, বালি, কাঁকর প্রভৃতি বয়ে এনে এই ভূমি গঠন করেছে। এখানকার ভূমি সচ্ছিদ্র বলে হিমালয় থেকে আসা ছোটো ছোটো নদী এই অঞ্চলে এসে ভূগর্ভে প্রবেশ করে হারিয়ে যায়।


6. কয়াল কী?

মালাবার উপকূলের অভ্যন্তরস্থ জলাভূমি ও উপহ্রদগুলিকে স্থানীয় ভাষায় কয়াল বলে। প্রকৃতপক্ষে, ভূ-আন্দোলনজনিত কারণে মালাবার উপকূলের বারবার উত্থান ও নিমজ্জন ঘটেছে। এই উত্থান ও নিমজ্জনের চিহ্নস্বরূপ এখানে অসংখ্য জলাভূমির সৃষ্টি হয়েছে যা স্থানীয় ভাষায় কয়াল নামে পরিচিত। কেরল রাজ্যের মালাবার উপকূলের দুটি বিখ্যাত কয়াল হল ভেমবানাদ ও অষ্টমুদি| কয়ালগুলি যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।


7.তাল কী?

কুমায়ুন হিমালয়ে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের মাধ্যমে অসংখ্য নীচু জায়গা তৈরি হয়। পরবর্তীকালে ওইসব জায়গাগুলি জল জমে গিয়ে হ্রদের সৃষ্টি করে। ওই হ্রদগুলিকে স্থানীয় ভাষায় তাল বলে । সাততাল, ভীমতাল, নৈনিতাল এধরনের তাল।


8.চিলকা কী? এটি কোথায় অবস্থিত?

চিলকা একটি উপহ্রদ। কারণ এই হ্রদটির একদিক বঙ্গোপসাগরের সাথে যুক্ত, তিনদিক স্থলভাগ বেষ্টিত। একদিক জলভাগে উন্মুক্ত হ্রদকে উপদে বলা হয়, সেহেতু চিলকা একটি উপহ্রদ। এটি ওডিশা রাজ্যের উপকূলে অবস্থিত।


9. কাশ্মীর হিমালয়ের পর্বতগুলির নাম লেখো

কাশ্মীর হিমালয়ের দক্ষিণ থেকে উত্তরে পরপর পাঁচটি পর্বতলেগি পূর্ থেকে পশ্চিমে বিস্তৃত রয়েছে— শিবালিক ও পীরপাঞ্জাল ও জাস্কর 4 লাদাখ 5 কারাকোরাম।


10. ট্রান্স হিমালয় কী?

● হিমাদ্রি হিমালয়ের উত্তরসীমা থেকে তিব্বতের মালভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে ট্রান্স হিমালয় বা টেথিস হিমালয় বলে। এখানেই রয়েছে জাস্কর, লাদাখ রেঞ্জ, কারাকোরাম পর্বত।


11. বাগার অঞ্চল কী?

> আরাবল্লি পর্বতের পাদদেশে, মরুভূমির একেবারে পূর্বদিকে অবস্থিত অঞ্চলটির নাম বাগার। এটি মরুভূমি এবং সমভূমির মাঝখানে অল্প বালুকাময় স্থান এবং এর বেশিরভাগ জায়গা ঘাসে ঢাকা। এর মধ্যে কোথাও কোথাও কৃষিকাজ হয় ।


12. ধান্দ কী?

> ভারতের রাজস্থান মরুভূমিতে দুটি সমান্তরাল বালিয়াড়ির মধ্যের স্থানে অনেক সময় হ্রদ দেখা যায়। যেগুলি বছরের বেশিরভাগ সময়ে শুকনো থাকে। এইসব শুকনো হ্রদগুলিকে স্থানীয়ভাবে ধান্দ বলে।


13.হামাদা কী?

ভারতীয় মরুভূমির রোহি এবং ক্ষুদ্র মরু অঞ্চলের পশ্চিমদিকে বালিযুক্ত নরম শিলা দিয়ে গঠিত পাথুরে ভূমিভাগকে হামাদা বলে। এটি সম্পূর্ণ কৃষি অনুন্নত ভূমিভাগ |


14.. মালনাদ কাকে বলে?

> কর্ণাটক মালভূমির পশ্চিমদিকের অংশ মালনাদ নামে পরিচিত। এটি পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বদিকে অবস্থিত। অঞ্চলটি উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ঢালু। এখানকার পাহাড়গুলোর চূড়া গোলাকার। এটি প্রধানত গ্র্যানাইট ও নিস শিলা গঠিত।



15. কারেওয়া কী?

অবস্থান: কাশ্মীর উপত্যকা অঞ্চলের 100-200 মিটার উচ্চহ্রদের চারপাশে যে ধাপযুক্ত উর্বর পলিস্তরের সৃষ্টি হয়েছে, তাকে স্থানীয় ভাষায় কারেওয়া নামে ডাকা হয়। কারেওয়ার মধ্যে দিয়ে ঝিলাম নদী প্রবাহিত হচ্ছে। এই পলিমাটি নদী এবং হিমবাহের ক্ষয়জাত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে। কৃষিতে প্রভাব: কারেওয়া মাটিতে খুব ভালো জাফরান চাষ হয়।


16. বাগার বলতে কী বোঝ?

অবস্থান: ভারতীয় মরু অঞ্চলে একেবারে পূর্বদিকে আরাবল্লি পাদদেশে অল্প বালুকাময় অংশ বাগার নামে পরিচিত।

অন্য নাম : একে অর্ধ মরু অঞ্চলও বলে |

বৈশিষ্ট্য: এখানে সামান্য বৃষ্টিপাত হয় বলে ভূমিভাগ ঘাসে ঢাকা।যেখানে জলের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে শুষ্ক ফসল চাষ করা হয় |


17. দোয়াব অঞ্চল কাকে বলে?

দো = দুই এবং আব = জল | উত্তর ভারতে দুই নদীর মধ্যবর্তী সমভূমিকে দোয়াব বলে| আর একসঙ্গে পরপর অনেকগুলি দোয়াব থাকলে তাকে দোয়াব অঞ্চল নামে অভিহিত করা হয়।


18. ময়দান কাকে বলে?

প্রাচীন গ্র্যানাইট-নিস শিলা গঠিত কর্ণাটক মালভূমির পশ্চিমাংশের ভূপ্রকৃতি বন্ধুর ও পর্বতময় | কিন্তু মালভূমির পূর্বাংশের ভূমি অপেক্ষাকৃত সমতল ও উন্মুক্ত। এজন্য কর্ণাটক মালভূমির পূর্বাংশকে ময়দান নামে অভিহিত করা হয়।


19. কচ্ছের রান কী? 

গুজরাতের কচ্ছ উপদ্বীপের সমগ্র উত্তর ও পূর্বাংশ জুড়ে কাদায় ভরা এক বিস্তীর্ণ লোনা জলাভূমি আছে | এর নাম রান অঞ্চল | এর মধ্যে উত্তরের বড়ো জলাভূমিকে বড়ো রান এবং পূর্বের ছোটো জলাভূমিকে ছোটো রান বলে। সমুদ্রের জোয়ারে বা বর্ষাকালে এই রান অঞ্চল প্লাবিত হয়। আর বর্ষার পরে লোনা জল বাষ্পীভূত হলে রানে প্রচুর পরিমাণ লবণ জমে থাকে |


মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ২ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 2 marks pdf / ক্লাস 10 ভারত 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ভূগোল 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X Geography 5th chapter 2 marks question answer pdf / Class ten Geography 5th chapter 2 marks question answer / ভারত LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | ভারত থেকে অতিসংক্ষিপ্ত, অতিঅতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।


তোমরা যারা মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য -  ভারত অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ভূগোল এর  পঞ্চম অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography 2 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় ভারত প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 

‘‘ মাধ্যমিক ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় ভারত বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  ভারত অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 

মাধ্যমিক ভূগোল ভারত পঞ্চম অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল ভারত পঞ্চম অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography short Question and Answer 

বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-chapter short questions answers in bengali pdf download 

File Name:- Madhyamik Geography 5th 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik Geography Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন PDF Download 

অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় ভারত 2 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography fifth chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।

এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url