মাধ্যমিক ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | বর্জ্য ব্যবস্থাপনা 3 নম্বর প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik Geography fourth chapter 3 marks question answer | Class 10 Geography fourth chapter 3 marks question answer

 

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ভূগোল 3 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা । দশম শ্রেণির ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik Geography chapter 3 3 number question answer, মাধ্যমিক ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।



তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ভূগোল ৩ নম্বর অধ্যায় 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ভূগোল প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় pdf download, class 10 Geography fourth chapter 3 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE   


      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik Geography Suggestion 2024

| West Bengal WBBSE Class Ten X Geography Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2024


দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা 3 নম্বর প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা 3 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় ৩ প্রশ্ন ও উত্তর


1. বাড়ির বর্জ্যের ধারণা দাও।

উত্তর : বাড়িতে নানা ধরনের বর্জ্য উৎপাদিত হয়। বাড়ির এইসকল বর্জ্যকে তিনভাগে ভাগ করা যায়-


কঠিন বর্জ্য: বাড়িতে অনেক ধরনের কঠিন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এগুলির মধ্যে কিছুটা জৈব ভঙ্গুর এবং কিছুটা জৈব অভঙ্গুর।


[i] জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য: রান্নাঘরে সবজির খোসা, খাবারের অবশিষ্ট অংশ, বাসি ফুল, ছেঁড়া কাপড়, পুরোনো ক্যালেন্ডার, খবরের কাগজ, ব্যবহৃত চা পাতা ইত্যাদি জীব বিশ্লেষ্য বা জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য।


[ii] জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য: সাবানের গুঁড়ো, বাতিল টেলিভিশন, নষ্ট মোবাইল, ক্যামেরা, ভাঙা কাপ-প্লেট, কাচের দ্রব্য, প্লাস্টিকের ব্যাগ ইত্যাদি হল জীব অবিশ্লেষ্য বা জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য।


প্রশ্ন 2 .পরিবেশকে সুস্থিত রাখতে বর্জ্যকে কীভাবে ব্যবস্থাপনা করবে?

উত্তর : পরিবেশকে সুস্থ রাখতে গৃহের বর্জ্যকে নানাভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায়। এই প্রসঙ্গে 3R-এর ধারণা উল্লেখযোগ্য—


পরিমাণ হ্রাস (Reduce): বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মূল লক্ষ্যই হল কম আবর্জনা উৎপাদন করা। এই লক্ষ্যে জিনিসপত্রের অপচয় বন্ধ করে, জীবনযাত্রার পদ্ধতিগত পরিবর্তন ঘটিয়ে কম বর্জ্য সৃষ্টি করতে হবে।


পুনর্ব্যবহার (Reuse): নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করে পরিত্যক্ত দ্রব্য পুনরায় ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন—বাতিল জলের বোতল থেকে ঘর সাজানোর নানা দ্রব্য প্রস্তুত করা, পুরোনো জলের বোতলের সাহায্যে বা গানে জল দেওয়া প্রভৃতি কাজ করা যায়।


পুনর্নবীকরণ (Recycle): এই পদ্ধতিতে বর্জ্য পদার্থ পরিশোধন ও প্রক্রিয়াকরণ করে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী বস্তুতে পরিণত কর হয়। যেমন—জৈব আবর্জনাকে জৈব সারে পরিণত করে বাড়ির বাগানে ব্যবহার করা যায়, পুরোনো খবরের কাগজ থেকে কাগজের মণ্ড তৈরি হয় বা ঠোঙা তৈরি করা যায়।


প্রযুক্তি ব্যবহার: এর ফলে একদিকে যেমন অপচয় রোধ করা যায় (যেমন তরল ডিটারজেন্টের ব্যবহারে জল অপচয় কম হয়)। তেমনই বাতিল জিনিসপত্র পুনরায় ব্যবহার করার জন্য বা সেগুলি থেকে ব্যবহারের উপযোগী নতুন জিনিস তৈরি করার উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন |


3. পরিবেশের বিষাক্ত বর্জ্যগুলির ধারণা দাও।

উত্তর পরিবেশের বিষাক্ত বর্জ্য মানুষের ও পরিবেশের পক্ষে খুব হানিকর। এগুলি মানুষ এবং প্রাণীর মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে । এরা তিন ধরনের হয়—


রাসায়নিক বিষাক্ত বর্জ্য: ঘর ও মেঝে পরিষ্কার করার তরল পদার্থ, ইঁদুর ও পিঁপড়ে মারার বিষ এবং কীটনাশক এই ধরনের বিষাক্ত বর্জ্যের উদাহরণ।


তেজস্ক্রিয় বর্জ্য: এইসব বর্জ্য থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটে। তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের প্রধান উৎস হল নিউক্লীয় শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র ও নিউক্লীয় জ্বালানি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র | অন্যান্য উৎসগুলি হল শিল্পজাত বর্জ্য ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য | এই বর্জ্যগুলির প্রভাবে ক্যানসার হতে পারে। এমনকি জীবদেহেরকোশের জিনগত পরিবর্তনও ঘটতে পারে।


চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য: ক্যাথিটার, ব্যবহৃত সুঁচ, সিরিঞ্জ, কাঁচি, মানব অঙ্গের ব্যবচ্ছিন্ন অংশ, গজ, তুলো এবং চিকিৎসার তেজস্ক্রিয় বর্জ্য এধরনের বর্জ্যের উদাহরণ।



প্রশ্ন 3 জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য কী? পরিবেশে এদের প্রভাব কেমন?

উত্তর যেসব বর্জ্য জীব দ্বারা বা প্রাকৃতিক যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্লেষিত হয় না, ফলে দীর্ঘদিন প্রকৃতিতে অপরিবর্তিত অবস্থায় থেকে যায়, সেগুলি জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য নামে পরিচিত।

প্রকারভেদ: এরা দুই ধরনের—

[i] বিষাক্ত বর্জ্য: অব্যবহার্য রং, রাসায়নিক পদার্থ, বাল্ব, টিউব, সি এফ এল বাল্ব, কীটনাশক প্রভৃতি এই ধরনের বর্জ্য।


[ii] পুনরাবর্তনশীল বা পুনঃচক্রী বর্জ্য: প্লাস্টিক, শ্যাম্পুর পাতা, নানাধরনের বোতল, বিদ্যুতের তার প্রভৃতি এজাতীয় বর্জ্য।


পরিবেশের ওপর প্রভাব: এরা জীব অবিশ্লেষ্য বলে বহু দিন প্রকৃতিতে একই অবস্থায় থেকে যায়। তাই এরা পরিবেশে বিপদের কারণ। তবে বর্তমানে এই ধরনের বর্জ্যগুলিকে আলাদাভবে সরিয়ে নিয়ে বিভিন্ন পুনরাবর্তনশীল পদ্ধতিতে ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস পায়, অন্যদিকে সম্পদ পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়।


প্রশ্ন 4. জীবের স্বাস্থ্যের ওপর বর্জ্য কী প্রভাব ফেলে?

উত্তর : হাসপাতাল, নার্সিংহোম ও সমস্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে নির্গত বর্জ্য নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর মধ্যে— কৃমি, ফুসফুসের রোগ, 3 টিটেনাস, 4 হেপাটাইটিস-বি, 5 পেপটিক আলসার, ® নানা ধরনের চামড়ার রোগ, নানা ধরনের পেটের রোগ, জন্ডিস, 9 চোখের অসুখ, 10 টাইফয়েড ও আরও অন্যান্য সংক্রামিত রোগ ছড়াতে পারে। এ ছাড়া এইসব বর্জ্য স্তূপাকারে রাস্তার ধারে জমে থাকলে তা দৃশ্যদূষণ ঘটায় | উপযুক্ত সময়ে বর্জ্য সরিয়ে না নিলে ইঁদুর, ছুঁচো ও অন্যান্য রোগজীবাণু বাহকদের সংখ্যা বেড়ে যায় ও রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়।


প্রশ্ন 5 ল্যান্ডফিল বা ভরাটকরণ পদ্ধতিতে কী কী সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে?

উত্তর ল্যান্ডফিল বা ভরাটকরণ পদ্ধতিতে সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনি অসুবিধাও রয়েছে।

সুবিধা:

  • মাটির মধ্যে ঢাকা দেওয়া থাকে বলে বর্জ্য থেকে কোনো রোগজীবাণু বায়ুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে না।
  • বর্জ্য ঢাকা দেওয়া থাকে বলে বায়ুদূষণ হয় না, তাই পরিবেশ দুর্গন্ধহীন থাকে।
  • বর্জ্যে আগুন লাগার সম্ভাবনাও থাকে না ।
  • ঢাকা দেওয়া জৈব বর্জ্য পদার্থের পচন ঘটলে নানা ধরনের গ্যাস উৎপন্ন হয়। ওই গ্যাস আলাদা করে সংগ্রহ করা যায়। একে ল্যান্ডফিল গ্যাস বলে। এতে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বেশি থাকে, ফলে জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা যায়। ওই গ্যাস সংগ্রহ করলে বায়ুতে দূষক গ্যাসের সংমিশ্রণ ঘটে না।


অসুবিধা:

  • অনেকসময় চাপা দেওয়া বর্জ্য পদার্থের মধ্যে দিয়ে বৃষ্টির জল চুঁইয়ে চুঁইয়ে মাটির নীচের চলে যায়। ফলে নীচের স্তরের মাটি ও ভূগর্ভস্থ জলস্তর দূষিত হয় | এই বর্জ্য ধোয়া জলকে লিচেট জল বলে।


6. কীভাবে বর্জ্য উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

● উত্তর: মূলত তিনটি পদ্ধতিতে বর্জ্য উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যথা—

বর্জ্যের পরিমাণগত হ্রাস: বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রথম লক্ষ্যই হল বর্জ্য যাতে বেশি উৎপন্ন না হয় তা নজরে রাখা। গৃহস্থালিতে যাতে বেশি আবর্জনা তৈরি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। 

পুনর্ব্যবহার সব আবর্জনা বর্জ্য হিসেবে পরিত্যাগ না করে, কিছু কিছু দ্রব্য যদি সরাসরি পুনর্ব্যবহার করা যায় তাহলে বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করা সম্ভব হয়।

পুনর্নবীকরণ: বর্জ্য বস্তুকে পুনঃচক্রীকরণ বা পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে কাজে লাগানো যেতে পারে।যেমন—ভাঙা লোহা থেকে লৌহা-ইস্পাত তৈরি করা যেতে পারে।


7. ভরাটকরণ কী?

• উত্তর : সংগ্রহ করা বর্জ্য পদার্থকে নষ্ট করতে ভরাটকরণ বা স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (sanitary landfill) খুব গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। একটি নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনার জৈব অংশকে আলাদা করে একটি স্তরে বিছিয়ে দেওয়া হয় ওই জৈব স্তরে উচ্চতা 2 মিটারের মতো হয়। এর ওপর 20-25 সেমি মাটির স্তর ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এভাবেই ক্রমে বর্জ্য এবং মাটির স্তর নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত বিছিয়ে দেওয়া হয়। একেবারে ওপরের স্তরে 1 মিটার মাটি ছড়িয়ে চাপা দেওয়া হয়। যাতে ইঁদুর জাতীয় প্রাণীরা এর ভিতরে ঢুকতে না পারে। মাটির মধ্যস্থিত জীবাণু বর্জ্যের ভৌত এবং রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায়। তাই মাটির নীচে মিথেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, অ্যামোনিয়া প্রভৃতি গ্যাস উৎপন্ন হয়। 4-6 মাসের মধ্যে বস্তুর পচন সম্পূর্ণ হয় এবং জৈব পদার্থ অক্ষতিকারক পদার্থে পরিণত হয়।


8. গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের কর্মসূচিগুলি কী কী?

• উত্তর : গঙ্গা অ্যাকশান প্ল্যানটি 1986 সালে শুরু হয় | দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয় 1995 সালে। এই প্ল্যানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল—

● প্রথম পর্যায়ে প্রথম শ্রেণির 25 টি শহরের পয়ঃপ্রণালীর জল পরিশোধন করে গঙ্গায় ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দূষিত জল যাতে সরাসরি গঙ্গায় না পড়ে, তার জন্য গভীর নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

গঙ্গানদীর জলপ্রবাহ যাতে সারাবছর বজায় থাকে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

● গঙ্গানদীর তীরে যে-কোনো ইটভাটা জাতীয় কারখানা যাতে গড়ে উঠতে না পারে সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। 

●  গঙ্গার পাড়ে অবস্থিত কারখানাগুলি যাতে নোংরা জল ও বর্জ্য নদীতে না ফেলে তার জন্য সজাগ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।


9. পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব কতখানি?

পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাবগুলি হল নিম্নরূপ-

দৃশ্যদূষণ: যেখানে সেখানে বর্জ্য জমে থাকলে সেখানকার পরিবেশ দূষিত হয়। পরিবেশের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয় ও ময়লা ও আবর্জনা দৃশ্যদূষণ ঘটায়।

বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাব; কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য জল, মাটি ও বায়ুকে দূষিত করে। ওইসব পদার্থ পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রকে নষ্ট করে দেয়। বিভিন্ন শারীরিক রোগের সৃষ্টি হয়, মানুষসহ অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ পরিবেশ দূষণের ফলে আক্রান্ত হয়।

জমির উর্বরতা হ্রাস: কৃষি, গৃহস্থালি, শিল্পকেন্দ্রের আবর্জনা কৃষিজমিতে পড়লে ওই জমি অনুর্বর হয়ে যায়। জমির চারিত্রিক পরিবর্তন হয়।


জলের ওপর প্রভাব: বর্জ্য পদার্থ নদী, জলাশয়, সাগরে পড়লে ওই জল দূষিত হয়ে যায় এবং জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্ষতি হয়। মাছেদের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয় | জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের মৃত্যু হয়।

বায়ুতে প্রভাব: বায়ুতে দূষিত বর্জ্য মিশলে বায়ুর দূষণ ঘটে। এমনকি বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়।


জীববৈচিত্র্য ধ্বংস: দূষিত, বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাবে জলাভূমি, বনভূমির জীববৈচিত্র্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।


মানুষের ওপর প্রভাব: কঠিন বর্জ্য থেকে টাইফয়েড, জন্ডিস, আন্ত্রিক, চামড়ার রোগ, ফুসফুসের রোগ ও অন্যান্য রোগের আক্রমণ হয়।


প্রশ্ন 10.ভাগীরথী-হুগলি নদীর ওপর বর্জ্যের প্রভাব লেখো।

উত্তর : ভাগীরথী-হুগলি নদীর ওপর বর্জ্যের প্রভাব: গঙ্গার অপ্রধান শাখা ভাগীরথী-হুগলি। গঙ্গা সহ ভাগীরথী-হুগলি নদীর দুই তীরের অসংখ্য কলকারখানা এবং নানা ধরনের বসতি ও পৌর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণে ময়লা জল, রাসায়ানিক পদার্থ প্রভৃতি প্রতিদিন নদীতে এসে মিশছে। এ ছাড়াও নদীতে মানুষ ও জীবজন্তুর মৃতদেহ নিক্ষেপ, প্রতিমা নিরঞ্জন, পশুস্নান, ফুল-বেলপাতা সহ নানা ধরনের আবর্জনা নিক্ষেপ, কৃষিক্ষেত থেকে বিভিন্ন প্রকার সার ও কীটনাশক বৃষ্টির জলের মাধ্যমে ভাগীরথী-হুগলি নদীতে এসে পড়ছে | এর ফলে অনেক ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। যেমন—

[i] নদীর জলের দূষণ: নানা প্রকার বর্জ্য পদার্থ মেশার ফলে নদীর জলের ভৌত, রাসায়নিক, জৈবিক ধর্মের পরিবর্তন ঘটে জল সাংঘাতিক ভাবে দূষিত হচ্ছে।

[ii] নদীর নাব্যতা হ্রাস: নদীগর্ভে বর্জ্য পদার্থগুলি জমা হবার ফলে নদীর গভীরতা হ্রাস পেয়ে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

[iii] জলবাহিত রোগের সংক্রমণ: ভাগীরথী-হুগলির জল পানীয় জল হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলে তার মাধ্যমে নানা প্রকার জলবাহিত রোগের সংক্রমণ ঘটছে।

[iv] জলজ বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি: বর্জ্যের মাধ্যমে নানা প্রকার বিষাক্ত পদার্থ নদীর জলে মিশে যাওয়ার ফলে জলজ বাস্তুতন্ত্র ও জীবজগৎ সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

[v] কৃষিকাজে ক্ষতি: নদীর দূষিত জল সেচের কাজে ব্যবহার করার ফলে উৎপাদিত ফসলের গুণগত মানের অবনতি ঘটছে।

[vi] নদী ভাঙন এবং বন্যার সম্ভাবনা বৃদ্ধি: বর্জ্য পদার্থের মাধ্যমে নদীর গভীরতা হ্রাস পাওয়ায় দুই তীরে ভাঙন এবং বিভিন্ন স্থানে বন্যার আশঙ্কা অনেক বেড়েছে।


11. বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।

উত্তর : বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা: বিভিন্ন কারণে বর্জ্য পদার্থের ব্যবস্থাপনা খুবই প্রয়োজনীয় । যেমন—

[i] পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা: জল, বায়ু, মাটি প্রভৃতি প্রাকৃতিক

উপাদানগুলিকে দূষণমুক্ত রেখে পরিবেশকে নির্মল ও স্বচ্ছ করার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজনীয়।

[ii] বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা: বনভূমি, তৃণভূমি, জলাভূমি সহ পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি।

[iii] জৈববৈচিত্র্যকে বাঁচানো: বর্জ্য পদার্থের ব্যবস্থাপনা না করলে পৃথিবীর তাবৎ জীবজগৎ সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

[iv] রোগব্যাধি প্রতিরোধ: বিভিন্ন প্রকার সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন |

[v] বিদ্যুৎ শক্তি ও সার উৎপাদন: বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মূল্যবান

বিদ্যুৎ শক্তি ও জৈব সার উৎপাদন করা যায়।

[vi] প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার্থে: বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অধীনে পুনর্ব্যবহার ও পুনরাবর্তনের মাধ্যমে লোহা, তামা, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদগুলিকে লুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে রক্ষা করা যায়।


দশম শ্রেণির ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায়ের 3 নং কোশ্চেন|মাধ্যমিক ভূগোল 3 নং প্রশ্ন উত্তর



মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৩ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 3 marks pdf / ক্লাস 10 বর্জ্য ব্যবস্থাপনা 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ভূগোল 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X Geography 4th chapter 3 marks question answer pdf / Class ten Geography 4th chapter 3 marks question answer / বর্জ্য ব্যবস্থাপনা LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে অতিসংক্ষিপ্ত, অতিঅতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য -  বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ভূগোল এর  চতুর্থ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography 1 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘ মাধ্যমিক ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চতুর্থ অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চতুর্থ অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography short Question and Answer 


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-chapter short questions answers in bengali pdf download 

File Name:- Madhyamik Geography 4th 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik Geography Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা 3 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography fourth chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url