মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik history fifth chapter 4 marks question answer | Class 10 history fifth chapter 4 marks question answer

 

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ইতিহাস 4 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ । দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik history chapter 4 number question answer, মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ইতিহাস ৪ নম্বর অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায় pdf download, class 10 history fifth chapter 4 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE       

যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool447

      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik History Suggestion 1044 | West Bengal WBBSE Class Ten X history Question and Answer Suggestion 1044, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 1044


দশম শ্রেণির ইতিহাস বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ রড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

1.বাংলায় শিক্ষারবিস্তারে ছাপাখানার অবদান আলোচনা করো।

উত্তর : বাংলায় শিক্ষাবিস্তারে ছাপাখানার ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছাপাখানার বিকাশের ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বহু পাঠ্যপুস্তক প্রকাশিত হতে থাকে। এই সময়ের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকাশনী সংস্থা হল শ্রীরামপুর মিশনারি প্রেস, ইউ রায় অ্যান্ড সন্স প্রভৃতি।


মিশনারিদের ভূমিকা: এই ব্যাপারে শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশনারির নিজস্ব ছাপাখানা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এই ছাপাখানা থেকেই প্রকাশিত " হয় উইলিয়াম কেরি সম্পাদিত বাংলা ব্যাকরণ, দেবনাগরী হরফে মুদ্রিত হয় সংস্কৃত ব্যাকরণ, কানাড়া, তেলুগু, বাংলা প্রভৃতি ভাষায় বাইবেলের অনুদিত গ্রন্থ না প্রভৃতি। ১৮০০-৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শ্রীরামপুর ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হয় প্রায় ২ লক্ষ ১২ হাজার বই |


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা : ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, হিন্দু কলেজ, ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের জন্য বহু পাঠ্যপুস্তক মুদ্রিত হয় এই ছাপাখানাগুলি থেকে।


বটতলা সাহিত্যের ভূমিকা: গণশিক্ষার প্রসারে বটতলা প্রকাশনীর ছাপাখানাগুলিও প্রশংসার দাবি রাখে। এই ছাপাখানা থেকে কম দামে প্রকাশিত হতে থাকে রামায়ণ, মহাভারত, বর্ণমালা, বোধোদয়, কথামালা, প্রভৃতি। এভাবে এই প্রকাশনী সংস্থাগুলি শিক্ষাবিস্তারে চিরস্মরণীয় অবদানের স্বাক্ষর রেখেছে।


2. ছাপাখানা শিল্পে চার্লস উইলকিসের অবদান মূল্যায়ন করো।

উত্তর : বাংলার ছাপাখানার ইতিহাসে প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তি হলেন চার্লস উইলকিন্স | তাঁকে বাংলা মুদ্রণ শিল্পের জনক বলা হয়। তিনিই প্রথম ধাতুনির্মিত সঞ্চালনযোগ্য বাংলা মুদ্রাক্ষরের জন্মদাতা ছিলেন।


[1] ছাপাখানা স্থাপন : তিনি পঞ্চানন কর্মকার ও জোসেফ শেফার্ডের সাহায্যে নতুন বাংলা হরফেই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী হিসেবে চার্লস উইলকিন্সের উদ্যোগে ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে হুগলির চুঁচুড়ায় কোম্পানির নিজস্ব ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এদের উদ্যোগে মালদাতেও কোম্পানির ছাপাখানা স্থাপিত হয়।


[2] মুদ্রণ : চার্লস উইলকিন্সের উদ্যোগে কোম্পানির ছাপাখানা থেকে প্রথম মুদ্রিত হয় হ্যালহেডের লেখা গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ গ্রন্থ | মুদ্রণ শিল্পে অসাধারণ অবদানের জন্য উইলকিন্সকে বাংলার ক্যাক্সটন রূপে অভিহিত করা হয়। 


3. মিশনারিদের ছাপাখানার বিস্তারে অবদান লেখো 

বাংলা ছাপাখানার বিকাশে খ্রিস্টান মিশনারিদের অবদান চিরস্মরণীয় |ব্যাপটিস্ট মিশনের প্রতিনিধি উইলিয়াম কেরি তাঁর দুই সহযোগী জোশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ডের সহযোগিতায় ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে সেরা গড়ে তোলেন শ্রীরামপুর মিশন প্রেস। এই ছাপাখানাটি এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও বিশ্বের অন্যতম ছাপাখানারূপে খ্যাতিলাভ করে।


ছাপাখানার প্রতিষ্ঠা : ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম কেরি কলকাতা থেকে কাঠের ছাপার সামগ্রী সংগ্রহ করে ৬ হাজার টাকায় কেনা একটি ছোটো বাড়িতে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠা করেন।


বাইবেলের অনুবাদ : শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে বাংলা, হিন্দি, অসমিয়া, ওড়িয়া, মারাঠি, সংস্কৃত প্রভৃতি ভাষায় বাইবেলের অনুবাদ প্রকাশিত হয়। এ ছাড়াও রামায়ণ ও মহাভারতসহ বিভিন্ন প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের অনুবাদ, হিতোপদেশ, বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রবন্ধ, রামরাম বসুর প্রতাপাদিত্য চরিত প্রভৃতি গ্রন্থও এই মিশন প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।


পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ: এ ছাড়া ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের ছাত্রদের জন্য শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে পাঠ্যবই ছাপানো হত। ১৮০১ থেকে ১৮০২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই প্রেস থেকে চল্লিশটি ভাষায় দুই লক্ষাধিক বই প্রকাশিত হয়। যার মধ্যে বেশিরভাগ ছিল অনুদিত বাইবেল, খ্রিস্টানধর্ম বিষয়ে প্রচার পুস্তিকা প্রভৃতি।


পত্রিকা ও সাহিত্যিক রচনাবলির মুদ্রণ : শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে সমাচার দর্পণ, দিগদর্শন প্রভৃতি পত্রিকা ছাপা হত। এই প্রেস থেকে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের বত্রিশ সিংহাসন, রাজাবলি, চণ্ডিচরণ মুনশি, ভরতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল, রামমোহনের গৌড়ীয় বাংলা ব্যাকরণ প্রভৃতি গ্রন্থ মুদ্রিত হয়।


উপসংহার: সুতরাং বলা যায় গদ্যসাহিত্য, জ্ঞানবিজ্ঞান ও শিক্ষার প্রচারে মিশনারিদের অবদান চিরস্মরণীয়।


4. ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর কাল্টিভেশন অব সায়েন্স বা ভারতবর্ষীয় বিজ্ঞানসভা সম্বন্ধে আলোচনা করো।

ভারতে বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স-এর প্রতিষ্ঠা (২৯ জুলাই, ১৮৭৬ খ্রি.)।


[1] প্ৰতিষ্ঠা : বিখ্যাত চিকিৎসক মহেন্দ্রলাল সরকার অধ্যাপক ফাদার ইউজিন লাফের সহযোগিতায় কলকাতার বউবাজার স্ট্রিটে এই মৌলিক গবেষণাকেন্দ্রটি স্থাপন করেন। পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার নিয়মিত গবেষণা, বিজ্ঞানবিষয়ক বক্তৃতার আয়োজন প্রভৃতির জন্য এই ভারতবর্ষীয় বিজ্ঞানসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব পত্রিকা ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ফিজিক্সসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় এখানকার বিজ্ঞানীদের গবেষণার কাজ প্রকাশিত হয়।


[2] বিজ্ঞানীগণ : এখানে যাঁরা গবেষণার কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জগদীশচন্দ্র বসু, মেঘনাদ সাহা প্রমুখ। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী সি ভি রমন এখানেই তাঁর বিখ্যাত রমন এফেক্ট আবিষ্কার করেন। এই গবেষণার জন্য তিনি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ডা. নীলরতন সরকার, সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রমুখ ভারতীয় বিজ্ঞানসভার অধিকর্তারূপে কাজ করে গেছেন।


[3] গবেষণা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : বিখ্যাত ভারতীয় বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা এখানে একটি সক্রিয় গবেষণা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এক্স রশ্মি, আলোকবিজ্ঞান, চৌম্বকত্ব ইত্যাদি নানা বিষয়ে মৌলিক গবেষণার কাজকে উৎসাহ দিয়েছিলেন।


উপসংহার: পরবর্তীকালে যাদবপুরে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের নতুন ক্যাম্পাস খোলার ব্যবস্থা করেন তদানীন্তন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায়। ভারতে আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স-এর বৈজ্ঞানিকরা।



5. ছাপাখানায় বটতলা সাহিত্যের ভূমিকা লেখো।

বাংলা মুদ্রণ শিল্পের একটি চিরস্মরণীয় অবদান হল বাংলা সাহিত্যের উদ্ভব। ১৮৪০ থেকে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বটতলার বেশাতি নামে বাংলায় এক নতুন প্রকাশনা ধারার সূচনা হয়। তাই একে বটতলা সাহিত্য বলা হত।


(1) প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ : এই ধারার প্রকাশকছিলেন বিশ্বস্তর দেব ও ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁদের প্রকাশিত বইগুলি নব্য ইংরেজি শিক্ষিতদের জ্ঞানপিপাসা মেটাতে সক্ষম হয়েছিল। বটতলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হল নববাবু বিলাস, কলিকাতা কমলালয়, করুণা নিধান, মুকুন্দরামের চণ্ডিমঙ্গল, কালীপ্রসন্ন সিংহের বাবু রামনারায়ণ, তর্করত্নের কুলীন কুলসর্বস্ব প্রভৃতি।


[2] বটতলা প্রকাশক : বটতলার প্রকাশকদের মধ্যে নৃত্যলাল শীল, নৃত্যলাল দত্ত, তারাচাঁদ দাস প্রমুখ অল্প দামে ছবি ও ছাপাবই বিক্রি করে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন।


[3] বটতলা সাহিত্যকেন্দ্র : চিতপুর, শোভাবাজার, জোড়াসাঁকো, মির্জাপুর, শিলাইদহ, বউবাজার প্রভৃতি স্থানে বটতলা সাহিত্যের প্রকাশকরা ব্যাবসায়িক উদ্যোগে ছাপাখানা স্থাপন করেছিলেন।


উপসংহার: সুতরাং বলা যায় যে, বাংলা সাহিত্যে ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বটতলা সাহিত্য ও প্রকাশনীগুলি |


6. কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের অবদান কী ছিল?

বাংলা তথা ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প রূপে একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট।


উদ্দেশ্য : বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট স্থাপনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গভঙ্গ-বিরোধীস্বদেশি আন্দো এর কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করতে জাতীয় উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে, বাংলা তথা ভারতে কারিগরি শিক্ষার বিকাশের জন্য এই প্রতিষ্ঠানটিকে গড়ে তোলা হয়।


প্রতিষ্ঠা : ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রখ্যাত আইনজীবী তারকনাথ পালিতের উদ্যোগে কলকাতায় স্থাপিত হয় বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে এই প্রতিষ্ঠানটি বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এর নতুন নাম হয় বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ অ্যান্ড টেকনিক্যাল স্কুল। এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনে ডা. নীলরতন সরকার, রাসবিহারী ঘোষ, মহারাজা মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দী, উপেন্দ্রনাথ ঘোষ প্রমুখ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন |


পঠনপাঠন : প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানটিতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, প্রযুক্তিবিদ্যা, শিল্পপ্রযুক্তি প্রভৃতি বিষয় পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।

 

জার্নাল প্রকাশ: বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা কারিগরি শিক্ষা ও প্রযুক্তির নতুন নতুন ভাবনাগুলিকে প্রচার করার জন্য টেকনামে একটি জার্নাল প্রকাশ করে। এই জার্নালের প্রথম সংখ্যা স্বদেশি যুগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে নিয়োজিত আত্মত্যাগী মহান ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়।


বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর : বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ অ্যান্ড টেকনিক্যাল স্কুল ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দেকলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলেজি নামে পরিচিতি লাভ করে। স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে এটির নামকরণ হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ।

সার্চ প্রভাব: বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের হাত ধরে বাংলায় কারিগরি ও প্রযুক্তিশিক্ষার অভূতপূর্ব প্রসার ঘটে। বহু শিক্ষিত যুবক এখান থেকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্বনির্ভর ও সাবলম্বী হয়ে ওঠে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ বহু বাঙালি যুবকের উদ্যোগে বাংলায় গড়ে ওঠে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় LAQ প্রশ্ন ও উত্তর |

মাধ্যমিক ইতিহাস ধারণা 4 নং প্রশ্ন উত্তর

7. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সাহিত্য প্রতিভা সম্পর্কে আলোচনা করো।

● উত্তর  উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সাহিত্য প্রতিভা

ভূমিকা: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী   ছিলেন। তবে বাংলাদেশে তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচয় হল শিশুসাহিত্যিক হিসেবে। এক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান ছিল।


[1] সাহিত্যচর্চার সূচনা: উপেন্দ্রকিশোর কলেজে পড়ার সময়ই সাহিত্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। এই সময় থেকে তিনি ‘সখা’, ‘সাথী’, ‘মুকুল', 'বালক' প্রভৃতি শিশুপত্রিকাগুলিতে নিয়মিত ছড়া, কবিতা, রূপকথার গল্প প্রভৃতি লিখতে শুরু করেন।


[2] প্রথম বই : উপেন্দ্রকিশোরের লেখা প্রথম বই ছিল ‘ছেলেদের রামায়ণ’। এটি যোগীন্দ্রনাথ সরকারের সিটি বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের জন্য তিনি বেশকিছু ছবিও আঁকেন। বইটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হলেও এর মুদ্রণ বা ছাপার মান নিম্নমানের হওয়ায় তিনি পরবর্তী বইগুলি ছাপার সময় মুদ্রণপ্রযুক্তি উন্নত করার চেষ্টা করেন।


[3] অন্যান্য বইপত্র উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় ইউ রায় অ্যান্ড সন্স নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এখান থেকে তিনি নিজের লেখা বিভিন্ন বই একের পর এক প্রকাশ করতে থাকেন। এসব বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ছেলেদের মহাভারত’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন', পশুপাখি ও ভ্রমণকাহিনি নিয়ে লেখা ‘সেকালের কথা', বাংলার লোককথা নিয়ে ‘টুনটুনির বই’ প্রভৃতি।


[4] শিশু পত্রিকা : উপেন্দ্রকিশোর তাঁর ছাপাখানা থেকে ছোটোদের জন্য 'সন্দেশ' পত্রিকার প্রকাশ (১৯১৩ খ্রি.) শুরু করেন। পত্রিকাটি অসাধারণ জনপ্রিয়তা পায় এবং দীর্ঘদিন ধরে এর প্রকাশনা অব্যাহত থাকে। উপেন্দ্রকিশোরের পরবর্তীকালে তাঁর পুত্র সুকুমার রায়, পৌত্র সত্যজিৎ রায় পত্রিকাটির সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে সত্যজিৎ রায়-এর পুত্র সন্দীপ রায় এই পত্রিকা সম্পাদনা করেন।


8. আধুনিক বিজ্ঞানচর্চায় কলকাতার বসু বিজ্ঞান মন্দির-এর অবদান উল্লেখ করো।

অথবা, বিজ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে বস বিজ্ঞান মন্দির এর উৎকর্ষতা সম্পর্কে আলোচনা করো।

• উত্তর :  বিজ্ঞানচর্চায় বসু বিজ্ঞান মন্দির-এর অবদান 


ভূমিকা: ভারতে আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশের উদ্দেশ্যে যেসকল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বসু বিজ্ঞান মন্দির বা বোস ইন্সটিটিউট। ভারতের আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে এই প্রতিষ্ঠানের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।


[1] বিভিন্ন শাখা: বসু বিজ্ঞান মন্দির-এ পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, পরিবেশ বিজ্ঞান, মাইক্রো- বায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োফিজিক্স প্রভৃতি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার চর্চা ও গবেষণার ব্যবস্থা করা হয়।


[2] উন্নত গবেষণা: জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর প্রতিষ্ঠিত বসু বিজ্ঞান মন্দির-এ বিশ্বমানের উন্নত গবেষণার ব্যবস্থ করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি মুন্সিগঞ্জের পৈত্রিক সম্পত্তিবিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থের একটি বড়ো অংশ এখানে ব্যয় করেন। গবেষণার প্রয়োজনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও জগদীশচন্দ্র বসুকে অর্থ সাহায্য করেন।


[3] ক্রেসকোগ্রাফ আবিষ্কার: বসু বিজ্ঞান মন্দির-এ দীর্ঘ গবেষণার পর জগদীশচন্দ্র বসু ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন। এই যন্ত্রের সাহায্যে তিনি প্রমাণ করেন যে প্রাণীদের মতো উদ্ভিদেরও প্রাণ এবং অনুভূতি শক্তি আছে। এখানকার গবেষণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফল হল জগদীশচন্দ্র বসু কর্তৃক রেডিয়ো আবিষ্কার যা বর্তমানে বিশ্বের বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ স্বীকৃতিলাভ করেছে।


[4] আন্তর্জাতিক খ্যাতি: বাংলা তথা ভারতের বিজ্ঞান-বিষয়ক গবেষণা ও বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে বসু বিজ্ঞান মন্দির-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিজ্ঞানচর্চায় বসু বিজ্ঞান মন্দির এর অবদান আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়েছে। এখানকার গবেষকগণ পরবর্তীকালে ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিজ্ঞানচর্চায় খ্যাতি অর্জন করেছেন।



9. শান্তিনিকেতনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করো।

• উত্তর :   শান্তিনিকেতনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

ভূমিকা:শান্তিনিকেতন ছিল বর্তমান বীরভূম জেলার বোলপুরের সন্নিকটে অবস্থিত একটি গ্রাম। আগে এই স্থানের নাম ছিল ভুবনডাঙ্গা। এই স্থান কলকাতার ঠাকুরবাড়ির পদার্পণে বিখ্যাত হয়ে ওঠে।


[1] নামকরণ: রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিভৃতে ধর্মচর্চা করার উদ্দেশ্যে ভুবনডাঙ্গায় ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই স্থানের নতুন নামকরণ করেন ‘শান্তিনিকেতন'।


[2] ব্রক্ষ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতনে ব্ৰত্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। তিনি সুবিস্তৃত প্রাকৃতিক পরিবেশে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিজের ও অন্যান্য আশ্রমিকদের বসবাসের জন্য সুন্দর সুন্দর ভবন নির্মাণ করেন।


[3] বিশ্বভারতীর পরিকল্পনা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি আদর্শ শিক্ষাদান ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে শান্তিনিকেতনে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথাভাবতে শুরু করেন যার নাম হয় 'বিশ্বভারতী।


[4] বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা: অবশেষে তিনি বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের সন্নিকটে শান্তিনিকেতনে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।


মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৪ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 4 marks pdf / ক্লাস 10 বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X history 4th chapter 4 marks question answer pdf / Class ten history 4th chapter 4 marks question answer / বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ থেকে অতিসংক্ষিপ্ত, অতিঅতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য -  বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ইতিহাস এর  পঞ্চম অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History 4 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘ মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ইতিহাস বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ পঞ্চম অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ পঞ্চম অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History short Question and Answer 


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik history 4th chapter short questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik History Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ 4 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History fifth chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url