মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik history fifth chapter 8 marks question answer | Class 10 history fifth chapter 8 marks question answer

 

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।


আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ইতিহাস 8 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ । দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায় ) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik history chapter 5 number 8 question answer, মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ইতিহাস ৮ নম্বর অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায় pdf download, class 10 history fifth chapter 8 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।

YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE      


      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik History Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X history Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024


দশম শ্রেণির ইতিহাস বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বড় প্রশ্ন ও উত্তর

1. ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ কীভাবে শুরু হয়?

• উত্তর: ভূমিকা: উনিশ শতক থেকে বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ শুরু হয় | বাংলায় ছাপাখানার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ছাপাখানাকেন্দ্রিক বই ব্যাবসার সূচনা ঘটে। খ্রিস্টান মিশনারিদের শ্রীরামপুর মিশন ছাপাখানাকে কেন্দ্র করে মুদ্রণব্যাবসাও গড়ে ওঠে।

[1] ছাপাখানা ব্যাবসার সূচনা: কলকাতার পাথুরিয়াঘাটার আনন্দচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মুদ্রণযন্ত্র তৈরি করে বাঙালি হিসেবে প্রথম ছাপাখানার ব্যাবসা শুরু করেন। কিশোরীমোহন বাগচি তার পিতা পেয়ারিমোহনের নামে প্রতিষ্ঠা করেন পি এম বাগচি অ্যান্ড কোম্পানি।


[2] ছাপাখানা ব্যাবসার প্রসার : ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলার প্রথম মুদ্রাকর তথা প্রথম বাঙালি বিক্রেতা গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন বেঙ্গল গ্যাজেটি প্রেস | কলকাতার মানিকতলা স্ট্রিটে গড়ে ওঠা নিউ বেঙ্গল প্রেসের মালিক ছিলেন কৃষ্ণগোপাল ভক্ত। এ ছাড়া কলকাতার ৩৭ নম্বর মেছুয়াবাজার স্ট্রিটে রাজকৃষ্ণ রায়ের উদ্যোগে স্থাপিত হয় বিনাযন্ত্র নামক একটি প্রেস।


[3] বটতলা প্রকাশনা: বাংলার ছাপাখানার ব্যবসায় কলকাতার বটতলা প্রকাশনা গোষ্ঠী ও তাদের ফেরিওয়ালা গ্রামে-গঞ্জে বই বিক্রি করে মানুষের মনে বইয়ের চাহিদা সৃষ্টির মাধ্যমে ছাপাখানার ব্যাবসাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল।


[4] বিদ্যাসাগর ও উপেন্দ্রকিশোরের অবদান : ছাপাখানার ব্যবসায় বিদ্যাসাগরের সংস্কৃত প্রেস ও কলিকাতা পুস্তকালয় নামক বইয়ের দোকানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বাংলার ছাপাখানার জগতে নানা প্রযুক্তির উদ্ভাবন করে ছাপাখানা ও তার ব্যাবসায়িক দিককে এগিয়ে নিয়ে যান উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও তাঁর ইউ রায় অ্যান্ড সন্স কোম্পানি। এ ছাড়াও ইন্ডিয়ান প্রেস, ইস্টম্যান প্রেস, রসুমতি প্রেস প্রভৃতি ছাপাখানাগুলি ছিল এই ব্যবসায় লিপ্ত কিছু উল্লেখযোগ্য নাম। প্রসঙ্গত, বাংলার পঞ্জিকা ছাপার ইতিহাসে গুপ্ত প্রেসের অবদান চিরস্মরণীয়।


[5] পুস্তক বিক্রেতা সভা: ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় স্থাপিত হয় বঙ্গীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা সভা। এর প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শরৎকুমার লাহিড়ি ও প্রথম সভাপতি ছিলেন  গুরুদাস   চট্টোপাধ্যায়, যারা এই ছাপাখানার ব্যবসায় লিপ্ত ব্যাবসায়িক সংস্থাগুলির কাজকর্ম সামঞ্জস্যপূর্ণ করার উদ্যোগ নেয়।


[6] বিজ্ঞান গ্রন্থমালা : কলকাতায় অবস্থিত চিন্তামণি ঘোষের ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস বিজ্ঞানমূলক শিশুসাহিত্য এবং এই ধরনের অন্যান্য বই প্রকাশ করে আলোড়ন সৃষ্টি করে।


[7] ছাপা বইয়ের বিষয় : সাধারণভাবে বলা যায় যে, বাংলা ছাপাখানার আদিপর্বে সরকারি কাগজপত্রের পাশাপাশি পঞ্জিকা, আইনের বই, ভ্রমণকাহিনি, ধর্মীয় পুস্তক, নাটক, গানের বই, ব্যাকরণ, অভিধান প্রভৃতি ছাপা হত।


[৪] অন্যান্য পেশা : ছাপাখানার ব্যাবসা ফুলেফেঁপে উঠলে ছাপাখানার শিল্পের সঙ্গে কাগজ বিক্রি, বই ছাপানো, বই বাঁধাই প্রভৃতি পেশার প্রসার ঘটে। ১৮৮৫ থেকে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে কেবলমাত্র বাংলায় ২২৯টি ছাপাখানা স্থাপিত হয়েছিল।

2. বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধে আলোচনা করো।

ভূমিকা: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাভাবনার চূড়ান্ত পরিণতি হল ১৯২১ খ্রিস্টাব্দেশান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা।

[1] উদ্দেশ্য : রবীন্দ্রনাথের মতে যে-কোনো দেশেরশিক্ষার সাথে সেখানকার জীবনযাত্রার সংযোগ থাকে।কিন্তু তৎকালীন ভারতে পাশ্চাত্য ধাঁচে গড়ে ওঠাশিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করত শুধু কেরানি, দারোগাপ্রভৃতি, যদিও ভারতে চাষি, কুমোর প্রভৃতি পেশায়লিপ্ত অনেক মানুষই বসবাস করতেন। তাই রবীন্দ্রনাথ এমন এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দেখেছিলেন যা ভারতের স্বতন্ত্র চরিত্রকে স্বীকৃতি জানাবে। এ ছাড়াও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষে মানুষে ভেদাভেদ মিটিয়ে তাদের এক মুক্ত পরিবেশে শিক্ষাচর্চার সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলেন। বিদ্যালয়ের আবদ্ধ পরিবেশের বাইরে প্রকৃতির কোলে শিক্ষাপ্রদান ছিল তাঁর লক্ষ্য। এই উন্মুক্ত বাতাবরণের সূত্র ধরে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর মাধ্যমেপ্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সমন্বয়সাধন করতে চেয়েছিলেন।


[2] প্রতিষ্ঠা : আশ্রমগুরু রবীন্দ্রনাথ গঠনের কথা প্রথম ব্যক্ত করেছিলেন কয়েকজন গুজরাটি ব্যবসায়ীর কাছে এবং এই বিদ্যালয় গঠনে দীনবন্ধু সি এফ অ্যান্ড্রুজ রবীন্দ্রনাথকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে ঘুরে এসে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সভার আয়োজন করেন। এরপর ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে মাত্র ১০ জন ছাত্র নিয়ে পণ্ডিত ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের সাহায্যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হয়। এর প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন বিধুশেখর ভট্টাচার্য |


[3] দেশি-বিদেশি পণ্ডিত : রবীন্দ্রনাথের আহবানে সাড়া দিয়ে বিশ্বভারতীতে অধ্যাপনার জন্য ছুটে এসেছিলেন বহু দেশি-বিদেশি পণ্ডিত | ব্রজেন্দ্রনাথ শীল তাই বলেছেন, “বিশ্ব ভারতের কাছে এসে পৌঁছোবে সেই বিশ্বকে ভারতীয় করে নিয়ে আমাদের রক্তরাগে রঞ্জিত করে ভারতের মহাপ্রাণে অনুপ্রাণিত করে আবার সেই প্রাণকে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠা করবে।”


[4] শিক্ষাচর্চা : বিশ্বভারতীতে বিজ্ঞান ও কলা উভয়ই বিষয়ই সমান সমাদর লাভ করে। বিশ্বভারতীর বিভিন্ন বিভাগগুলি ছিল—পাঠভবন, শিক্ষাভবন, বিদ্যাভবন, রবীন্দ্রভবন, চিনাভবন, কলাভবন, সংগীত ভবন, হিন্দি ভবন। বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদান ছিল এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। বিশ্বভারতী |


[5] কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি : ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে। এর প্রথম আচার্য হন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ও প্রথম উপাচার্য হন রবীন্দ্র নন্দন, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বর্তমানেও শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য স্বাক্ষর রেখে চলেছে এই বিশ্ববিদ্যালয় ।


3. বিজ্ঞানচর্চায় জগদীশচন্দ্র বসু ও বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অবদান আলোচনা করো।

ভূমিকা: উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতের বিজ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে যে সকল বিজ্ঞানী চিরস্মরণীয় অবদানের সাক্ষ্য রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু।


[1] কর্মজীবন : কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর দেশে ফিরে জগদীশচন্দ্র বসু ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরুকরেন।


[2] গবেষণা : গবেষণার মাধ্যমেজগদীশচন্দ্র বিজ্ঞানচর্চাকে উৎকর্ষতা প্রদান করেন | জীববিজ্ঞানে তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবদান হল উদ্ভিদেরও যে প্রাণ আছে তা প্রমাণ করা। এ ছাড়াও তিনি বেতারে বার্তা প্রেরণ; র‍্যাডারের ব্যবহার; ধাতু, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈদ্যুতিক, রাসায়নিক, তাপীয় ও যান্ত্রিক উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়া প্রভৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কার করে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানচর্চাকে সমৃদ্ধ করেন।


[3] বসুবিজ্ঞান মন্দিরের প্রতিষ্ঠা : বিজ্ঞান সাধনায় জগদীশচন্দ্র বসুর চিরস্মরণীয় অবদান হল প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় নিজের বাসভবনে বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করা। বিজ্ঞানচর্চার এই কেন্দ্র স্থাপন করতে গিয়ে তিনি অকুণ্ঠ চিত্তে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

[5] আবিষ্কার : জগদীশচন্দ্রের অন্যতম আবিষ্কৃত যন্ত্র হল ক্রেস্কোগ্রাফ | এই যন্ত্রের সাহায্যে তিনি উদ্ভিদের প্রাণ এবং অনুভূতি শক্তির অস্তিত্বের প্রমাণ দেন। এ ছাড়া বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র ফোটোগ্রাফি বিষয়ে গভীর গবেষণায় মনোনিবেশ করে বাড়ির বাগানে স্টুডিও তৈরি করেন। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক পদার্থবিদ্যা কংগ্রেসে জগদীশচন্দ্র তাঁ গবেষণামূলক প্রবন্ধ 'On the similarity of and living substances' পাঠ করেন।

[4] বিজ্ঞানের শাখা স্থাপন : জগদীশচন্দ্র বসু তার নিজের তৈরি বসু বিজ্ঞান মন্দিরে বিশ্বমানেরবিজ্ঞানচর্চা ও গবেষণার জন্য বিজ্ঞানের নানা বিভাগ চালু করেন। এগুলির মধ্যে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমেস্ট্রি, বায়োফিজিক্স, পরিবেশ বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয় ছিলউল্লেখযোগ্য।


[5] আন্তর্জাতিক খ্যাতিলাভ : বিজ্ঞানচর্চায় জগদীশচন্দ্র বসু ও তাঁর বসু বিজ্ঞান মন্দির নানান গবেষণা ও আবিষ্কারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করে। বিজ্ঞান গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে 'নাইট' উপাধিতে ভূষিত করেন। এ ছাড়া তিনি ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির সদস্যপদ লাভ করেন।


উপসংহার: সর্বোপরি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ও তাঁর বসু বিজ্ঞান মন্দির ব্রিটিশ শাসনকালে বিকল্প শিক্ষাচিন্তার অঙ্গ হিসেবে বিজ্ঞানশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণার দরজা উন্মুক্ত করে। এর ফলে ভারতেরবিজ্ঞানচর্চার ইতিহাস এক নতুন ধারায় বইতে শুরু করে।|



4. জাতীয় শিক্ষার প্রসারে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ভূমিকা কী ছিল?

ভূমিকা: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম কর্মসূচি রূপে গড়ে ওঠে জাতীয় শিক্ষা আন্দোলন | এর পরিণতিতে স্থাপিত হয় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ।


[1] প্রতিষ্ঠা : ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ মার্চ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে ৯১ জন সদস্য নিয়ে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক, ব্রজেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী, সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী প্রমুখ যথাক্রমে জাতীয় শিক্ষার প্রসারের জন্য ১ লক্ষ, ৫ লক্ষ ও ২.৫ লক্ষ টাকা দান করেন।


[2] উদ্দেশ্য : জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল—[i] জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে ভাষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা। [ii] শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশসেবার মনোভাব গড়ে তোলা। [iii] নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটানো। [iv] মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ঘটানো।


[3] শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন : জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্যোগে গড়ে ওঠে একাধিক জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত হয় বেঙ্গল ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এর প্রথম অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়, বিনয়কুমার সরকার, ডি ডি কোসাম্বি প্রমুখ পণ্ডিতগণ অধ্যাপনা করেন। এ ছাড়া জাতীয় শিক্ষা পরিষদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারউদ্যোগও গ্রহণ করে। বিখ্যাত কংগ্রেস নেতা তথা শিক্ষাবিদ রাসবিহারী ঘোষ এই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি পদে নিযুক্ত হন|


[4] ব্যর্থতা : জাতীয় শিক্ষা পরিষদ স্বদেশি আদর্শের ধাঁচে জাতীয় শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও শেষপর্যন্ত নানান কারণে এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। এর কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে—

[i] জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের নেতিবাচক মনোভাব | [ii] জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত ডিগ্রি লাভের পরও শিক্ষার্থী সরকারি চাকরি পেত না। [iii] প্রবল অর্থসংকটের মুখোমুখি হয়ে জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির কাজকর্ম অনেকাংশেই বন্ধ হয়ে যায়। [iv] অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের একাংশ জাতীয় শিক্ষা অপেক্ষা ব্রিটিশ সরকারের শিক্ষাব্যবস্থাকে বেশি কার্যকরী মনে

করত।


উপসংহার: তবে ব্যর্থতা সত্ত্বেও জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বহু মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্ম দেয়। সর্বোপরি, বিকল্প শিক্ষাভাবনার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও জাতীয় শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দশম শ্রেণির ইতিহাসের পঞ্চম অধ্যায়ের বড়ো কোশ্চেন|মাধ্যমিক ইতিহাস ধারণা 8 নং প্রশ্ন উত্তর


5. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর: 

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

ভূমিকা: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (১৮৬৩-১৯১৫ খ্রি.) ছিলেন বাংলার একজন প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক। এ ছাড়া তিনি চিত্রশিল্প এবং বাংলা মুদ্রণশিল্পের অগ্রগতিতে অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।

[1] প্রথম জীবন : উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলার মসুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে বৃত্তি নিয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেন এবং ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউট (বর্তমান বিদ্যাসাগর কলেজ) থেকে বিএ পাস করেন। উপেন্দ্রকিশোর তরুণ বয়সে ‘সখা’, ‘বালক’, ‘সাথী’, ‘সখা ও সাথী’, ‘মুকুল’ প্রভৃতি শিশুপত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। এই সময় তিনি ব্রাহ্মসমাজে যোগ দেন।


[2] সাহিত্য প্রতিভা : উপেন্দ্রকিশোর শিশু ও শিশু ও কিশোর সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় দক্ষতা দেখান। তিনি ছড়া, কবিতা, গান, নাটক, গল্প, প্রবন্ধ, রূপকথা, উপকথা, কল্পকাহিনি প্রভৃতি রচনা করেন। তাঁর লেখা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাহিত্যপুস্তক হল ‘ছোটোদের 'রামায়ণ', ছোটোদের মহাভারত', 'সেকালের কথা', 'মহাভারতের গল্প’, ‘টুনটুনির বই’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন' প্রভৃতি। তাঁর সম্পাদনায় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে 'সন্দেশ' নামে বিখ্যাত মাসিক পত্রিকার প্রকাশ শুরু হয়।


[3] অঙ্কন: উপেন্দ্রকিশোর ছাত্রজীবনেই ছবি আঁকায় দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি তাঁর গ্রন্থকে পাঠকের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্দেশ্যে নিজের লেখা বইয়ের প্রচ্ছদ ও বইয়ের ভেতরে নিজের আঁকা নানা ছবিও ব্যবহার করেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নদী’ কবিতার সঙ্গে উপেন্দ্রকিশোরের আঁকা ছবি বিশেষ প্রশংসিত হয়। তাঁর আঁকা একটি বিখ্যাত ছবি হল ‘বলরামের দেহত্যাগ'।


[4] মুদ্রণশিল্প : বাংলার মুদ্রণশিল্পের অগ্রগতির ক্ষেত্রে   উপেন্দ্রকিশোরের অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি ইংল্যান্ড থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতি এনে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে এই প্রতিষ্ঠানের নাম হয় ইউ রায় অ্যান্ড সন্স। ছাপাখানার সঙ্গে স্টুডিয়ো স্থাপন, বিভিন্ন ধরনের ডায়াগ্রাম তৈরি, ষাট ডিগ্রি স্ক্রিন, ব্লক তৈরির ডায়োটাইপ নির্মাণ, বিভিন্ন রং ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি মুদ্রণশিল্পের অগ্রগতির বিষয়ে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চালান। উন্নত মুদ্রণের উদ্দেশ্যে তিনি অন্ধকার ঘরে আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণ লক্ষ করে তামা ও দস্তার পাতের সহায়তায় ‘হাফটোন’ ব্লক তৈরি করেন।


[5] সংগীতচর্চা : উপেন্দ্রকিশোর বাল্যকাল থেকেই সংগীতের অনুরাগী ছিলেন। তিনি হারমোনিয়াম, সেতার, বাঁশি, বেহালা প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বাজানোর ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি বেহালা ও হারমোনিয়াম শিক্ষার বিষয়ে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর প্রিয় বাদ্যযন্ত্র বেহালার বাজনা ‘আদি ব্রাহ্বসমাজ’-এর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল। তিনি পাশ্চাত্য সংগীত সম্পর্কেও যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করেন।


উপসংহার: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর চরিত্রে বহুমুখী প্রতিভার সমাবেশ ঘটলেও তিনি শিশুসাহিত্যিক হিসেবে সর্বাধিক খ্যাতি লাভ করেন। সাহিত্যচর্চার এই ধারা তাঁর উত্তরসূরিদের মধ্যেও যথেষ্ট পরিমাণে সঞ্চারিত হয়েছে। তাঁর পুত্র সুকুমার রায় ও কন্যা সুখলতা রাও পরবর্তীকালে শিশুসাহিত্যে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেন। সুকুমার রায়ের পুত্র সত্যজিৎ রায় বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।


মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৮ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 8 marks pdf / ক্লাস 10 বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X history 4th chapter 8 marks question answer pdf / Class ten history 4th chapter 8 marks question answer / বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ থেকে অতিসংক্ষিপ্ত, অতিঅতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য -  বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ইতিহাস এর  পঞ্চম অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History 5 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘ মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ইতিহাস বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ পঞ্চম অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ পঞ্চম অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History short Question and Answer 


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik history 5th chapter long questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik History Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ 8 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History fifth chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url