মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik history fourth chapter 2 marks question answer | Class 10 history fourth chapter 2 marks question answer

 

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ইতিহাস 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা । দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik history chapter 2 number question answer, মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ইতিহাস ২ নম্বর অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় pdf download, class 10 history fourth chapter 2 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE   

যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool227

   :  আরও পোস্ট দেখো  :   B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik History Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X history Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024


দশম শ্রেণির ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর


 1. কোন্ যুক্তিতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সিপাহি বিদ্রোহ বলা যায়?

উত্তর: রবার্টস, ম্যালেসন, সৈয়দ আহমেদ খাঁ, উ দাদাভাই নওরোজি প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সবিদ্রোহকে যে যুক্তিতে সিপাহি বিদ্রোহ বলেছেন, তা হল– [1] সিপাহিদের তীব্র ক্ষোভের কারণে ভারতীয় সিসিপাহিরা এই বিদ্রোহের সূত্রপাত করেছিল। 2

[2] দেশের রাজনৈতিক সংগঠন ও শিক্ষিত মধ্যবিত্ত [ জনগণ এই বিদ্রোহ থেকে দূরে ছিল। [3] ভারতের [ বৃহত্তর এলাকায় এই বিদ্রোহের কোনো প্রভাব পড়েনি।

2. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে কারাসামন্তশ্রেণির বিদ্রোহ বলেছেন ও কেন?

উত্তর: ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার, রজনীপাম দত্ত, এম এন রায় প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকেসামন্তশ্রেণির বিদ্রোহ বলেছেন। এঁদের মতে-

[1] ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল প্রধানত সামন্তরা। [2] নতুন ঔপনিবেশিক ভূমিব্যবস্থায় সামন্তরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। [3] বিদ্রোহ সফল হলে সামন্তরা পুরোনো আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনরায় চালু করে পশ্চাৎমুখী প্রতিবিপ্লব চালু করতেন।

3. আনন্দমঠ উপন্যাস কে রচনা করেন? এইগ্রন্থের মূল উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের১৪টি উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলআনন্দমঠ।১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত স্বদেশপ্রেমের গীতাহিসেবে চিহ্নিত বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাস ওবন্দেমাতরম সংগীত ভারতে জাতীয়তাবোধ প্রসারেগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। সন্ন্যাসী-ফকিরবিদ্রোহের পটভূমিকায় রচিত তাঁর এই উপন্যাসে তিনিগুরু সত্যানন্দের মুখ দিয়ে দেশবাসীকে স্বৈরাচারীশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে শামিল হওয়ার আহবানজানিয়েছিলেন।

3.ভারতসভা প্রতিষ্ঠার প্রধান দুটি উদ্দেশ্যলেখো।

উত্তর: উনিশ শতকে গড়ে ওঠা একাধিক সভাসমিতির মধ্যে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ভারতসভা ছিল অন্যতম। ১৮৭৬খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই কলকাতার অ্যালবার্ট হলেপ্রতিষ্ঠিতউদ্দেশ্য ছিল—ভারতসভার

[1] ব্রিটিশবিরোধী জনমত গঠন করা এবং

[2] জনসাধারণকে গণ আন্দোলনে শামিল করা।

5. ভারতসভা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়? এই সভাকোন্ ব্রিটিশ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল?

উত্তর: উনিশ শতকে ভারতীয়দের মধ্যেজাতীয়তাবোধ জাগরণের অন্যতম মাধ্যম ছিলসভাসমিতি। এর অন্যতম শাখা ছিল ১৮৭৬খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাইয়ে কলকাতার অ্যালবার্ট হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ভারতসভা। এই সভা একাধিক আইন যেমন—দেশীয় ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্র, সিভিল সার্ভিস, ইলবার্ট বিল, অস্ত্র আইন প্রভৃতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।

6. হিন্দুমেলা প্রবর্তনের উদ্দেশ্য কী ছিল?

উত্তর: বাংলা তথা ভারতে জাতীয়তাবাদের বিকাশেহিন্দুমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। ১৮৬৭

খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্র এই মেলার সূচনা করেন।এখানে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করাহত, রাখা হত বক্তৃতা যা দেশবাসীর মনে জাতীয় ঐক্যও স্বনির্ভরতার বীজ বপন করতে সক্ষম হয়েছিল। এছাড়াও বাংলা ভাষার প্রসার ঘটানো এবং মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করা ছিল হিন্দুমেলার অন্যতম কিছু উদ্দেশ্য।

7. মহাবিদ্রোহের নেতার নাম লেখো।

উত্তর: উনিশ শতকের প্রথমার্ধে গড়ে ওঠা একাধিক প্রাথমিক বিদ্রোহের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহে। এই বিদ্রোহের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন নেতা ছিলেন কানপুরের কয়েকজন উল্লেখযোগ্য নানা সাহেব এবং তাঁর অনুগামী তাঁতিয়া টোপে, ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই, অযোধ্যার বেগম হজরত মহল, দিল্লির মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ প্রমুখ।

8. জমিদার সভা গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল?

উত্তর: মহাবিদ্রোহের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক

সংগঠনগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ছিল জমিদার সভা। রাধাকান্ত দেব, দ্বারকানাথ ঠাকুর ওপ্রসন্নকুমার ঠাকুরের উদ্যোগে ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত জমিদার সভার উদ্দেশ্য ছিল

জনসাধারণকে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজেদের দাবি আদায়ের শিক্ষা দেওয়া। [2] দেশবাসীকেস্বাধীনভাবে রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করার পথ দেখানো।

9.মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল ?

উত্তর: রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, সামরিক প্রভৃতি একাধিক কারণে বিদ্রোহের ক্ষেত্র  যখন বারুদের স্তূপে পরিণত হয় ঠিক সেই সময় তাতে অগ্নিসংযোগ করে ঔপনিবেশিক ভারতীয়সৈন্যবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেলের প্রবর্তন। এই রাইফেলে যে টোটা ব্যবহৃত হত তা গোরু ও শুয়োরেরচর্বি দিয়ে তৈরি এমন একটি গুজব ছড়ায় এবং তা দাঁতে কেটে রাইফেলে ভরতে হত। ধর্মচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় হিন্দু-মুসলিম সিপাহিরা এই টোটা ব্যবহারে অসম্মত হয়। এই টোটার প্রচলনই ছিল মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ।

10. ১৮৫৭-এর বিদ্রোহের ব্যর্থতার দুটি কারণ লেখো।

উত্তর: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ যেমন কোনো একটি নির্দিষ্ট কারণে ঘটেনি ঠিক তেমনভাবে এর ব্যর্থতাও কোনো একটি নির্দিষ্ট কারণে ঘটেনি, এর ব্যর্থতার পিছনে একাধিক কারণ ছিল। তার মধ্যে দুটি হল – [1] এই বিদ্রোহ কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ ছিল। [2] বিদ্রোহীদের মধ্যে সর্বভারতীয় পরিকল্পনার অভাব ছিল এবং তাদের কোনো স্থির লক্ষ্যও ছিল না।

11. ইলবার্ট বিল কী?

উত্তর: বিচারব্যবস্থায় ইউরোপীয় ও ভারতীয়দেরমধ্যে বৈষম্য দূর করার জন্য বড়োেলাট লর্ড রিপনের আইনসচিব কোর্টনি ইলবার্ট ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে একটিবিল পেশ করেন যা ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত। এই বিলের মাধ্যমে ইউরোপীয় ও ভারতীয় বিচারকদের সমমর্যাদা ও সমক্ষমতার অধিকার প্রদান করা হয়।

12. জাতীয়তাবাদ কাকে বলে?

উত্তর: জাতীয়তাবাদ কাকে বলে তা নিয়ে নানা  মতামত রয়েছে। তবে সংক্ষেপে বলা যায় যে, জাতীয়তাবাদ হল একটি ঐক্যের অনুভূতি। যখনকোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাসকারী জনসমাজের মধ্যে জাতি, ধর্ম, ভাষা প্রভৃতি এক বা একাধিক বিষয়ের ভিত্তিতে গভীর ঐক্যবোধের সৃষ্টি হয়, তখন সেই ঐক্যবোধের সঙ্গে দেশপ্রেম মিলিত হলে তাকে জাতীয়তাবাদ বলে ।

13. শিক্ষিত বাঙালি সমাজ কেন ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি?

উত্তর: উনিশ শতকের প্রথম ভাগে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে । এর ফলে সেখানে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব ঘটে। এই শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি বড়ো অংশ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে সমর্থন করেনি কারণ ইংরেজদের পর ভারতীয়রা এদেশে জাতীয় রাষ্ট্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে কি না এ বিষয়ে শিক্ষিত সমাজ সন্দিহান ছিল। তা ছাড়া এই শ্রেণি ব্রিটিশ শাসনের প্রতি মোহ ত্যাগ করতে পারেনি।

14. ভারতের শেষ গভর্নর-জেনারেল ও প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন?

উত্তর: ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর এলাহাবাদে অনুষ্ঠিত এক দরবারে মহারানির ঘোষণাপত্র অনুযায়ী গভর্নর-জেনারেল পদের বদলে ভাইসরয় পদটি চালু করা হয়। সেই অনুসারে ভারতের শেষ গভর্নর- জেনারেল এবং প্রথম ভাইসরয় ছিলেন লর্ড ক্যানিং।

15. কবে এবং কোন্ আইন দ্বারা রানি ভিক্টোরিয়াকে ভারতের সম্রাজ্ঞী বলে ঘোষণা করা হয়?

উত্তর: মহাবিদ্রোহের ফলাফলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান এবং ব্রিটিশ শাসনের শুরু। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ২ আগস্টে দিল্লিতে পেশ হওয়া অ্যান অ্যাক্ট ফর  বেটার গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া আইন অনুযায়ী ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়াকে ভারতের সম্রাজ্ঞী বলে ঘোষণা করা হয়। এই আইন দ্বারা রানির প্রতিনিধি হিসেবে গভর্নর-জেনারেল ভারতীয় শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করতে থাকেন এবং তিনি ভাইসরয় উপাধিতে ভূষিত হন।

মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন|

17.সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন কী ?

উত্তর: ভারতসভার উদ্যোগে এবং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আনন্দমোহন বসুর চেষ্টায় কলকাতার অ্যালবার্ট হলে (বর্তমান কফি হাইসে) জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় শতাধিক প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের ২৮-৩০ ডিসেম্বর যে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, তা সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন নামে পরিচিত। রামতনু লাহিড়ি এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন

17. ঝাঁসির রানি কেন বিখ্যাত?

উত্তর: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তার জ্বলন্ত উদাহরণ হলেন ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই | তিনি মধ্যভারত ও বুন্দেলখন্ডের বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন। স্যার হিউরোজ লক্ষ্মীবাইকে বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছেন | বিদ্রোহকালে তাঁতিয়া টোপে ও লক্ষ্মীবাই যুগ্মভাবে গোয়ালিয়র দখল করেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুন এই বীরাঙ্গনা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ বিসর্জন দেন |

18. বন্দেমাতরম সংগীত বিখ্যাত কেন?

উত্তর: সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ উপন্যাসের প্রধান অবদান হল বন্দেমাতরম সংগীত, যা জাতীয় আন্দোলনের রণসংগীতে পরিণত হয় | স্বদেশি যুগ থেকে বাংলার বিপ্লববাদী আন্দোলন ও তারপর জাতীয় গণ আন্দোলনে বন্দেমাতরম উজ্জীবনী হিসেবে দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বন্দেমাতরম সংগীত স্বদেশি আন্দোলনের সময় থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জাতীয়তাবোধে অনুপ্রাণিত করেছিল।

19. কোন্ যুক্তিতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে সিপাহি বিদ্রোহ বলা হয়?

উত্তর: একদল ইংরেজ ঐতিহাসিক ও সমকালীন বিদগ্ধ ভারতীয়দের প্রায় সকলেই মহাবিদ্রোহকে সিপাহি বিদ্রোহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁদের মতে -- [1] এতে গণ আন্দোলনের কোনো উপাদান

ছিল না। [2] দেশীয় কোনো রাজনৈতিক সংগঠন এই বিদ্রোহ সমর্থন করেনি। [3] দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গেও বিদ্রোহের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না।

20, সাধারণ মানুষ কীভাবে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দেরবিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে?

উত্তর: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহে কিছু কিছুঅঞ্চলে জনসাধারণ সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।সাধারণ মানুষ বর্শা, টাঙ্গি, তিরধনুক, লাঠি, কাস্তে ও গাদাবন্দুক নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধেঝাঁপিয়ে পড়েছিল। লখনউ, কানপুর, ঝাঁসি, বেরিলি প্রভৃতি স্থানে বিদ্রোহের সূচনা থেকেই নেতৃত্ব ছিল সাধারণ মানুষের হাতে । এইভাবে মহাবিদ্রোহ ক্ৰমে গণসংগ্রামে রূপান্তরিত হয়েছিল

21. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের নেতারা কেন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতের বাদশাহ বলে ঘোষণা করেছিল?

উত্তর: মহাবিদ্রোহের সময় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সিপাহিরা মুঘলদের ভারতীয় বলেই মনে করত এবং তারা মুঘল বংশধর দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে সর্বভারতীয় স্তরে রাজনৈতিক ঐক্যের প্রতীকরূপে ভারত। সেই কারণেই মহাবিদ্রোহের নেতারা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতের বাদশাহ বলে ঘোষণা করেছিল।

22. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রধান কেন্দ্রগুলি কী কী ছিল ?

উত্তর: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রধান কেন্দ্রগুলি ছিল–[1] মিরাট, [2] দিল্লি, [3] ঝাঁসি, [4] কানপুর, [5] রোহিলখন্ড, [6] অযোধ্যা প্রভৃতি।


দশম শ্রেণির ইতিহাসের চতুর্থ অধ্যায়ের শর্ট কোশ্চেন|মাধ্যমিক ইতিহাস ধারণা 2 নং প্রশ্ন উত্তর

23.এনফিল্ড রাইফেল-এর টোটার ঘটনাটি কী?

অথবা, ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের (সিপাহি বিদ্রোহের) প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল?

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশবাহিনীতে ‘এনফিল্ড রাইফেল’ নামে এক রাইফেলের প্রচলন হয়। এতে ব্যবহৃত টোটার খোলসটি

দাঁত দিয়ে কেটে রাইফেলে ভরতে হত। সেনাবাহিনীতে গুজব

ছড়ায় যে, খোলসটি গোরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে তৈরি। ফলে হিন্দু

ও মুসলিম সিপাহিরা ধর্মচ্যুত হওয়ার ভয়ে এই টোটা ব্যবহারে

অসম্মত হয় এবং ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।

24. কে ভাইসরয় উপাধি লাভ করেন?

উত্তর: ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মহারানি ভিক্টোরিয়া নিজ হাতে ভারতের

শাসনভার গ্রহণ করেন। রানির প্রতিনিধি হিসেবে গভর্নর

জেনারেল ভারতের শাসন পরিচালনার দায়িত্ব পান। তাঁর উপাধি

হয় ভাইসরয়।

25. মহারানির ঘোষণাপত্রের প্রধান ঘোষণাগুলি কী ছিল?

উত্তর: মহারানির ঘোষণাপত্রে বলা হয় যে—[1] ভারতীয় সমাজ

ও ধর্ম বিষয়ে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। [2] স্বত্ববিলোপ নীতি

বাতিল করা হবে। [3] দেশীয় রাজাদের দত্তক গ্রহণের অধিকার

দেওয়া হবে। [4] ব্রিটিশরা ভারতে আর সাম্রাজ্য বিস্তার করবে

না।[5] সরকারি চাকরিতে যোগ্য ভারতীয়দের নিযুক্ত করা হবে।

[6] দেশীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সন্ধিগুলি কোম্পানি মেনে চলবে।

26. মহারানির ঘোষণাপত্রের দুটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণার উল্লেখ করো।

উত্তর: মহারানির ঘোষণাপত্রের দুটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণা ছিল--

[1] ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে

কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানায়। [2) স্বত্ববিলোপ

নীতি বাতিল করা হয়।

27. হিন্দুমেলা-র সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম লেখো।

উত্তর:  হিন্দুমেলা-র সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন

জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুর, নবগোপাল মিত্র, রাজা কমলকৃয় বাহাদুর,

গিরিশচন্দ্র ঘোষ, রমানাথ ঠাকুর, পিয়ারী চরণ সরকার, রাজনারায়ণ বসু, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কৃষ্টদাস পাল প্রমুখ।

28. হিন্দুমেলা-র সীমাবদ্ধতাগুলি কী ছিল?

অথবা, হিন্দুমেলা কেন জনপ্রিয়তা হারায়?

উত্তর:  হিন্দুমেলা-র বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ছিল, যার জন্য হিন্দুমেল

প্রতিষ্ঠার কিছুকাল পর তা জনপ্রিয়তা হারায়। [1] নতুন প্রজন্মের

বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্তশ্রেণি এই সংস্থাকে সমর্থন করেনি

[2] শিক্ষিত যুবকরা হিন্দুমেলা-র ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক বা

সাংস্কৃতিক চিন্তায় আকৃষ্ট হয়নি। [3] হিন্দুমেলা দেশাত্মবোধের

প্রচারে গুরুত্ব দিলেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিশেষ

গুরুত্ব দেয়নি।

29. *কবে, কাদের উদ্যোগে ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর:  [1] ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতসভা বা ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। [2] ভারতসভা প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়

উদ্যোগ গ্রহণ করেন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দমোহন বসু,

শিবনাথ শাস্ত্রী, দ্বারকানাথ গাঙ্গুলি প্রমুখ।

30. *‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের নাম লেখো।

> [1] ‘আনন্দমঠ' উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্র হল সত্যানন্দ

ও মহেন্দ্র। [2] ‘আনন্দমঠ' উপন্যাসের অন্যান্য কয়েকটি চরিত্র

হল ভবানন্দ, জীবনানন্দ, কল্যাণী প্রমুখ।


মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ২ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 2 marks pdf / ক্লাস 10 সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X history 4th chapter 2 marks question answer pdf / Class ten history 4th chapter 2 marks question answer / সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা থেকে অতিসংক্ষিপ্ত, অতিঅতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য -  সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ইতিহাস এর  চতুর্থ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History 2 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা চতুর্থ অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা চতুর্থ অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History short Question and Answer 


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik history 4th chapter short questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik History Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 2 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History fourth chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url