মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik history fourth chapter 4 marks question answer | Class 10 history fourth chapter 4 marks question answer

 

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ইতিহাস 4 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা । দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik history chapter 4 number question answer, মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ইতিহাস ৪ নম্বর অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় pdf download, class 10 history fourth chapter 4 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE       

যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool447

      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik History Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X history Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024


দশম শ্রেণির ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

1. জাতীয়তাবোধের বিকাশে গোরা উপন্যাসের গুরুত্ব লেখো।

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দেশাত্মবোধক উপন্যাসগুলির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল গোরা। ১৯০৭ -১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত খ্রিস্টাব্দ থেকেধারাবাহিকভাবে প্রবাসী পত্রিকায় এটি প্রকাশিত হলেও পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করে রবীন্দ্রনাথ গোরা উপন্যাসটি ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন। জাতীয়তাবোধের বিকাশে গোরা উপন্যাসের গুরুত্ব ছিল—


[1] বিষয়বস্তু: এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র গোরা তার ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যাকে ভারতের জাতীয় সমস্যার মূর্ত করে তুলেছে। ব্রাহ্মধর্মের অনুরাগী গোরা ভারতবর্ষ ও ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশের অবমাননা লক্ষ করে ব্রিটিশবিরোধী হয়ে ওঠে।


[2] দেশাত্ববোধের প্রচার : প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিরসঙ্গে যুক্ত না হলেও রবীন্দ্রনাথ গোরাউপন্যাসে ব্রিটিশ বিরোধিতা ও স্বদেশপ্রেমের আদর্শ প্রচার করেছেন। উপন্যাসের শেষে রবীন্দ্রনাথ গোরার মুখ দিয়ে বলিয়েছেন, “আমি ভারতীয় আমার কাছে হিন্দু বা মুসলিম বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই, আজ ভারতের সর্ব বর্ণই আমার বর্ণ।”


মন্তব্য: পরিশেষে বলা যায় যে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঔপন্যাসিক হিসেবে যেসব দেশাত্মবোধক রচনার মাধ্যমে জাতীয়তাবোধের বিকাশে ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন সেগুলির মধ্যেও তাঁর গোরা উপন্যাসটি সর্বাগ্রে স্থান পায়।


2. ভারতসভা বা ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন।

উত্তর : উনিশ শতকের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠনটির নাম ছিল ভারতসভা বা ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন।


[1] প্ৰতিষ্ঠা : ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার অ্যালবার্ট হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অনুগামী আনন্দমোহন বসুর সহযোগিতায় গড়ে তোলেন ভারতসভা।


[2] উদ্দেশ্য: ভারতসভার উদ্দেশ্য ছিল সমগ্রভারতের রাজনৈতিক সমস্যাগুলির সম্পর্কে শক্তিশালী জনমত গঠন করা, সর্বভারতীয় রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জাতি ও মতাবলম্বী গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করা, ধর্মীয় বিভেদ মুছে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যবোধ জাগ্রত করা এবং ইংরেজ শাসনবিরোধী গণ আন্দোলনে জনসাধারণকে শামিল করা।


[3] কর্মসূচি: সুরেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে এই ভারতসভা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বয়সসীমা বাড়ানো, ভারতে পরীক্ষার আয়োজন, দমনমূলক দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রত্যাহার প্রভৃতির দাবিতে এবং ইলবার্ট বিলের সমর্থনে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলে।


[4] জাতীয় সম্মেলন গঠন: ভারতের জাতীয়তাবাদের উন্মেষে ভারতসভার প্রতিষ্ঠাতা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিরস্মরণীয় অবদান হল ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলনের প্রতিষ্ঠা। আনন্দমোহন বসুর সভাপতিত্বে ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর কলকাতায় সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন আয়োজিত হয়।


মন্তব্য: সুতরাং বলা যায় উনিশ শতকে স্থাপিত রাজনৈতিক সভাসমিতিগুলির মধ্যে সুরেন্দ্রনাথ, বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতসভা জাতীয়তাবাদের উন্মেষেসর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল। 



3. জাতীয়তাবোধের বিকাশে আনন্দমঠ -এর গুরুত্ব লেখো।

উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের ভারতের জাতীয়তাবাদী, স্বদেশ প্রেমমূলক উপন্যাসগুলির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা আনন্দমঠ।জাতীয়তাবোধের বিকাশে আনন্দমঠ উপন্যাসেরগুরুত্ব ছিল—


[1] পরাধীন ভারতের চিত্র অঙ্কন: আঠারো শতকেবাংলার ৭৬-এর মন্বন্তর এবং সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত এই উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র পরাধীন ভারতমাতার দুর্দশার চিত্র দেশবাসীরসামনে তুলে ধরেন। এই উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল দেশভক্তির পটভূমিতে এক যুবকের সংসার জীবনত্যাগ, বৈরাগ্য ও মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বস্বসমর্পণের আদর্শ চিত্র অঙ্কন। অনেকে মনেকরেনইংরেজ ঐতিহাসিক ওয়াল্টার স্কটের লেখা ওল্ডমরটালিটি উপন্যাসের কভেনান্টার নামে ইংল্যান্ডের এক স্কটিশ সন্ন্যাসী দলের রাজশক্তির বিরুদ্ধে গড়েওঠা বিদ্রোহের অনুকরণে বঙ্কিমচন্দ্র এই উপন্যাস রচনা করেন।


[2] বন্দেমাতরম সংগীত: আনন্দমঠ উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল বন্দেমাতরম সংগীত | পরবর্তীকালে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে যেমন আনন্দমঠ হয়ে উঠেছিল স্বদেশপ্রেমের গীতা, তেমনইবন্দেমাতরমসংগীতটি ভারতের জাতীয় মন্ত্রে পরিণত হয় উপন্যাসের


[3] ইংরেজি অনুবাদ : আনন্দমঠ ইংরেজি অনুবাদটির নাম হল The Abbey of Bliss | আনন্দমঠ উপন্যাসের গুরুত্ব কতটা ছিল তা বোঝা যায়জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং বন্দেমাতরম গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে অরবিন্দ ঘোষ Mother | bow to thee শিরোনামে গানটির ইংরেজি অনুবাদ করেন।


4. টীকা লেখো: জমিদার সভা।

উত্তর : উনিশ শতকের প্রথমার্ধে স্থাপিত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল জমিদার সভা  বাল্যান্ডহোল্ডারস সোসাইটি।


প্রতিষ্ঠা: ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ নভেম্বর রাধাকান্ত দেব, দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্নকুমার ঠাকুর প্রমুখের উদ্যোগে জমিদার সভা স্থাপিত হয়। এর সভাপতি ছিলেন রাধাকান্ত দেব এবং সম্পাদক ছিলেন প্রসন্নকুমার ঠাকুর। জমিদার সভার দুজন ব্রিটিশ সদস্য ছিলেন থিওডর ডিকেন্স ও জর্জ প্রিন্সেপ। এই সংগঠনের নামকরণ করেন দ্বারকানাথ ঠাকুর এবং এই সভার সদস্য হতে গেলে বার্ষিক ২০ টাকাচাঁদা হিসেবে দিতে হত।


লক্ষ্য : জমিদার সভার প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলা, বিহার ও ওড়িশার জমিদারদের স্বার্থরক্ষা করা, ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রকে জমিদারদের পক্ষে আনা, ভারতের সর্বত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সম্প্রসারণ ঘটানো এবং পুলিশ, বিচার ও রাজস্ব বিভাগের সংস্কারসাধন। প্রখ্যাত প্রাচ্যবিদ রাজেন্দ্রলাল মিত্র জমিদার সভাকে ভারতের স্বাধীনতার অগ্রদূত রূপে চিহ্নিত করেছেন।



5. জাতীয়তাবোধের বিকাশে বর্তমান ভারত-এর গুরুত্ব লেখো।

স্বামী বিবেকানন্দের লেখা জাতীয়তাবাদী গ্রন্থগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল বর্তমান ভারত। জাতীয়তাবোধের বিকাশে বর্তমান ভারত-এর গুরুত্ব ছিল—


[1] ভারতের প্রকৃত বিবরণ : এই গ্রন্থে বিবেকানন্দ বৈদিক যুগ থেকে ব্রিটিশশাসন পর্যন্ত ভারতের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস আলোচনা ও ব্যাখ্যা করেছেন। এই গ্রন্থে তিনি ভারতীয় সমাজের বর্ণবৈষম্য এবং দলিত শূদ্রদের প্রতি বঞ্চনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বৈদিক যুগে পুরোহিতগণ, পরে শক্তিশালী যোদ্ধা ক্ষত্রিয় এবং সবশেষে বৈশ্যরা সমাজে কীভাবে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে তা তিনি এই গ্রন্থে ব্যাখ্যা করেন। ভবিষ্যতে যে শূদ্র জাগরণ ঘটবে, তার রেখাচিত্র বিবেকানন্দ তাঁর বর্তমান ভারত গ্রন্থে অঙ্কন করেছেন।


[2] বিশেষত্ব : এই গ্রন্থে বিবেকানন্দ ঔপনিবেশিক উৎপীড়নের বিরুদ্ধে ভারতবাসীকে আন্দোলনে সোচ্চার হতে বলেছেন। জাত-ধর্মের ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি মানবিকতার আদর্শে দেশবাসীকে ব্রতী হতে বলেছেন। এ ছাড়া তিনি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ দেশমাতাকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে দেশবাসীকে আত্মবলিদানের পথে ব্রতী হতে উজ্জীবিত করেছেন।



দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায়|



6. উন্নততর ভারতশাসন আইন সম্বন্ধে একটি টীকা লেখো।

ভারতে ইংরেজ শাসনের বিবর্তনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রবর্তিত উন্নততর ভারতশাসন আইন |

বিষয়বস্তু: এই আইন দ্বারা—

[1] ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে।


[2] ভারতে ব্রিটিশ রাজা বা রানির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।


[3] কোম্পানির শাসনের অবসানের পর ভারতের শাসন পরিচালনার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় ইন্ডিয়া কাউন্সিল।


[4] এই ইন্ডিয়া কাউন্সিল-এর প্রধান হন ভারত-সচিব।


[5] ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি শাসনের অবসানের পর ভারতের গভর্নর-জেনারেল ব্রিটেনের রানির প্রতিনিধিরূপে ভাইসরয় উপাধিতে ভূষিত হন। ভাইসরয় কথাটির অর্থ হল রাজা বা রানির প্রতিনিধি। ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন লর্ড ক্যানিং।


উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, উন্নততর ভারতশাসন আইনের মাধ্যমে কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটিয়ে ব্রিটেনের রাজা বা রানির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় | ফলে ভারতের শাসনকাঠামোয় আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়।


দশম শ্রেণির ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা pdf |

দশম শ্রেণির ইতিহাসের চতুর্থ অধ্যায়ের 4 নং কোশ্চেন | মাধ্যমিক ইতিহাস ধারণা 4 নং প্রশ্ন উত্তর


7. মহারানির ঘোষণাপত্র সম্বন্ধে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহের পর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রণীত উন্নততর ভারতশাসন আইন দ্বারা ভারতে কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটানো হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রিটেনের রাজা বা রানির শাসন। এরপর ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ১ নভেম্বর ভারতের প্রথম ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং মহারানি ভিক্টোরিয়ার নামে যে ঘোষণাপত্র জারি করেন তা মহারানির ঘোষণাপত্র নামে খ্যাত।

বিষয়বস্তু: এতে বলা হয়—

[1] কোম্পানি ভারতে আর রাজ্য বিস্তার করবে না।

[2] স্বত্ববিলোপ নীতি বাতিল করা হবে।

[3] দেশীয় রাজন্যবর্গ দত্তক পুত্র গ্রহণ করতে পারবে।

[4] জাতিধর্মনির্বিশেষে যোগ্যতা- সম্পন্ন ভারতীয়দের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করা হবে।

[5] দেশীয় রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা হবে না। [6] ভারতীয়দের ধর্মীয় ও সামাজিক বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না।


উপসংহার: মহারানির ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ইংরেজ শাসন সম্পর্কে ভারতবাসীর পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা হলেও আসলে এটি ছিল গালভরা প্রতিশ্রুতি মাত্র। এটি ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ম্যাগনা কার্টা রূপে অভিহিত হলেও আসলে এটি ছিল রাজনৈতিক প্রতারণা।



8. উনিশ শতককে সভাসমিতির যুগ বলা হয় কেন?

উত্তর : ভূমিকা: উনিশ শতকের তৃতীয় দশক থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে শুরু করে। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ডা. অনীল শীল উনিশ শতককে রাজনৈতিক সভাসমিতির যুগ বলে অভিহিত করেছেন। উনিশ শতকে স্থাপিত বিভিন্ন রাজনৈতিক সভাসমিতিগুলি হল-


[1] বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা : বাংলা তথা ভারতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম রাজনৈতিক সংগঠনটি হল বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা। ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রসন্নকুমার ঠাকুর, দ্বারকানাথ ঠাকুর, কালীনাথ রায়চৌধুরী প্রমুখের উদ্যোগে এই সংগঠনটি গড়ে ওঠে।


[2] জমিদার সভা: ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ নভেম্বর রাধাকান্ত দেব, দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্নকুমার ঠাকুর প্রমুখের উদ্যোগে জমিদার সভা স্থাপিত হয়। এর সভাপতি ছিলেন রাধাকান্ত দেব এবং সম্পাদক ছিলেন প্রসন্নকুমার ঠাকুর।


[3] ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন: ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে রাধাকান্ত দেবের সভাপতিত্বে ও দ্বারকানাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় স্থাপিত হয় ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন। প্রকৃতপক্ষে জমিদার সভা এবং বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির একত্রিত রূপ হল এই সংস্থাটি


[4] ইন্ডিয়ান লিগ: ভারতের রাজনৈতিক সভাসমিতিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইন্ডিয়ান লিগ |১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে অমৃতবাজার পত্রিকার সম্পাদক শিশিরকুমার ঘোষ স্থাপন করেন ইন্ডিয়ান লিগ।


[5] হিন্দুমেলা: ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে রাজনারায়ণ বসু ও নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। চৈত্র সংক্রান্তির দিনে এটি আত্মপ্রকাশ করেছিল বলে একে চৈত্রমেলাও বলা হয়। এই সংগঠনটি ভারতীয় হিন্দুদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটাতে চেয়েছিল। তাই এটির অপর নাম ছিল জাতীয় মেলা।


[6] ভারতসভা: ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার  অ্যালবার্ট হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অনুগামী আনন্দমোহন বসুর সহযোগিতায় গড়ে তোলেন ভারতসভা। ভারতসভার উদ্দেশ্য ছিল সমগ্র ভারতের রাজনৈতিক সমস্যাগুলি সম্পর্কে শক্তিশালী জনমত গঠন করা, সর্বভারতীয় রাজনৈতিক আশা- আকাঙ্ক্ষার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জাতি ও মতাবলম্বী গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করা, ধর্মীয় বিভেদ মুছে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যবোধ জাগ্রত করা এবং ইংরেজ শাসনবিরোধী গণ আন্দোলনে জনসাধারণকে শামিল করা।


[7] জাতীয় সম্মেলন : ভারতের জাতীয়তাবোধের বিকাশে ভারতসভার প্রতিষ্ঠাতা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিরস্মরণীয় অবদান হল ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলনের প্রতিষ্ঠা। ডা. অমলেশ ত্রিপাঠী জাতীয় সম্মেলনকে জাতীয় কংগ্রেসের মহড়া বলে অভিহিত করেছেন।


উপসংহার: উপরোক্ত রাজনৈতিক সভাসমিতি ছাড়াও স্থাপিত হয়েছিল বম্বে প্রেসিডেন্সি অ্যাসোসিয়েশন, পুনা সার্বজনিক সভা, মাদ্রাজ নেটিভ অ্যাসোসিয়েশন, মহাজন সভা প্রভৃতি। তাই উনিশ শতককে রাজনৈতিক সভাসমিতির যুগ বলা কার্যত সঠিক বলে বিবেচিত হতে পারে।



মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৪ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 4 marks pdf / ক্লাস 10 সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X history 4th chapter 4 marks question answer pdf / Class ten history 4th chapter 4 marks question answer / সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা থেকে অতিসংক্ষিপ্ত, অতিঅতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।


তোমরা যারা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য -  সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ইতিহাস এর  চতুর্থ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History 4 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা চতুর্থ অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা চতুর্থ অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History short Question and Answer 


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik history 4th chapter 4 number questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik History Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 4 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History fourth chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url