মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik history second chapter 4 marks question answer | Class 10 history second chapter 4 marks question answer

 

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ইতিহাস 4 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । দশম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ( দ্বিতীয় অধ্যায় ) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik history chapter 4 number question answer যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।

তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ইতিহাস ২ নম্বর অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় pdf download, class 10 history second chapter 4 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE       

যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool447

      : আরও পোস্ট দেখো :    B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik History Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X history Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024


দশম শ্রেণির ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর



1. সমাজসংস্কারে হিন্দু পেট্রিয়ট-এর ভূমিকা কী ছিল?

উত্তর: উনিশ শতকে বাংলায় প্রকাশিত নানা পত্রপত্রিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল গিরিশচন্দ্র ঘোষ সম্পাদিত ও মধুসূদন রায় দ্বারা প্রকাশিত হিন্দু পেট্রিয়ট| এই পত্রিকা পরে হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ঔপনিবেশিক কুশাসনের বিরুদ্ধে নির্ভীক সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। তৎকালীন সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে এই পত্রিকা যে ভূমিকা পালন করে তা হল-


[i] অত্যচারীদের শান্তি কামনা: এই পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে হরিশচন্দ্র প্রথমে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতাল বিদ্রোহের সময় হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকায়লেখেন, যারা শান্তিপ্রিয় সাঁওতালদের ওপর জুলুম, অত্যাচার করে তাদের বিদ্রোহে নামতে বাধ্য করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।


[ii] নীলচাষিদের সোচ্চার : বাংলায় নীলবিদ্রোহ শুরু হলে হরিশচন্দ্র বিপন্ন নীলচাষিদের পক্ষে আন্দোলনে সোচ্চার হন। নীলবিদ্রোহের সময় হিন্দু পেট্রিয়ট বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে খবর সংগ্রহ করে তা সর্বসমক্ষে তুলে ধরে।


[iii] প্রগতিশীল সামাজিক আন্দোলনকে সমর্থন: হিন্দু পেট্রিয়ট প্রগতিশীল সামাজিক সংস্কার যেমন—স্ত্রীশিক্ষা ও বিধবাবিবাহকে সমর্থন করে।


[iv] আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সময় এই পত্রিকা প্রায় নিয়ম করে বিদ্রোহের খবরগুলিকে শিরোনাম করে তুলত। তাঁতিয়া টোপেকে বিদ্রোহী হিসেবে ফাঁসি দেওয়া হলে

পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় তাঁকে শহিদের মর্যাদা দেন। একই সঙ্গে তিনি ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই, কুনওয়ার সিং প্রমুখের আত্মত্যাগকেও পত্রিকায় স্বীকৃতি জানান।


মন্তব্য: তৎকালীন সমাজসংস্কারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয় এই পত্রিকা। তথ্যনিষ্ঠ, নির্ভীক ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের জন্য হিন্দু পেট্রিয়ট দেশে ও বিদেশে জাগরণ সৃষ্টি করে।



দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায়|


2. কোশ্চেনসমাজসংস্কারে গ্রামবার্ত্তাপ্রকাশিকার কী ভূমিকা ছিল?

উত্তর: বাংলার কুষ্টিয়া জেলায় কর্মরত হরিনাথ মজুমদারের উদ্যোগে ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে গ্রামবার্ত্তাপ্রকাশিকা নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকাটি সাধারণ মানুষের জীবনের সাধারণ সমস্যার কথা তুলে ধরত। উনিশ শতকে বাংলায় সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে এই পত্রিকা যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল তা হল—

[i] স্ত্রীশিক্ষার প্রসার : শুধুমাত্র জমিদার কর্তৃক প্রজা-লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে বা নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রজাদের অসন্তোষ প্রকাশ করাই নয়, পাশাপাশি স্ত্রীশিক্ষার প্রসারেও সম্পাদক হরিনাথ মজুমদারের এই পত্রিকা সোচ্চার ছিল।


[ii] ঠাকুরবাড়ির সমালোচনা: বিখ্যাত ঠাকুর- বাড়ির জমিদারদের ভূমিকাও সমালোচনার হাতথেকে রেহাই পায়নি।


[iii] প্রবন্ধ প্রকাশ : এ ছাড়াও প্রজাদের প্রতি জমিদারদের কর্তব্য সম্পর্কে বহু প্রবন্ধ এই পত্রিকায় প্রকাশিত হত।


[iv] সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত : নদী ও জলনিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করে মানুষের জলকষ্ট নিবারণ, ডাক ও পুলিশ বিভাগের কাজের সুবন্দোবস্ত প্রভৃতি বিষয়ে পত্রিকা সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করে।


[v] মানি অর্ডার প্রচলন: ডাকঘরে মানি অর্ডার ব্যবস্থা প্রচলনের কথা এই পত্রিকাতেই প্রথম উত্থাপিত হয়। এককথায় বলতে গেলে সমকালীন গ্রামবাংলার সার্বিক জনজীবনে এই পত্রিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।



3. টীকা লেখো: উডের নির্দেশনামা বা উডের ডেসপ্যাচ |

১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড শিক্ষা-সংক্রান্ত এক নির্দেশনামা প্রকাশ করেন। এটি উডের নির্দেশনামা বা উডের ডেসপ্যাচ নামে খ্যাত। এই নির্দেশনামা অনুযায়ী—

[1] স্কুলকলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন,

[2] স্বতন্ত্র শিক্ষাবিভাগ তৈরি,

[3] নারীশিক্ষা প্রসার,

[4] মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা প্রভৃতির সুপারিশ করা হয়। এই নির্দেশনামার ওপর ভিত্তি করে আধুনিক ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল বলে এটিকে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের ম্যাগনা কার্টা বলা হয়।


উডের নির্দেশনামা অনুযায়ী—

[1] প্রতিটি রাজ্যে শিক্ষাবিভাগ স্থাপিত হয়।

[2] লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা, বম্বে ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয়স্থাপিত হয়।

[3] পরবর্তীকালে ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবে এবং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে এলাহাবাদেও বিশ্ববিদ্যালয়স্থাপিত হয়।

[4] ডিরেক্টর অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন নামে নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়।


4. নারীমুক্তি আন্দোলনে বামাবোধিনী পত্রিকার ভূমিকা লেখো।

উনিশ শতকের নারীমুক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উমেশচন্দ্র দত্ত সম্পাদিত বামাবোধিনী পত্রিকা। এই পত্রিকার উদ্দেশ্য ছিল বাংলায় নারীশিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে তাদেরকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ দ্বারা নির্মিত কারাগার থেকে মুক্ত করা। নারীমুক্তির জন্য পত্রিকাটি যেসব সামাজিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে সোচ্চার হয় তা হল-


[i] ব্যভিচার দূর করা: এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই বলা হয় যে, নারীকে শিক্ষিত করে না তুলতে পারলে সমাজ থেকে ব্যভিচার দূর করা যাবে না। তাই নারীশিক্ষার দাবি তোলা হয় এই পত্রিকারমাধ্যমে।


[ii] বাল্যবিবাহের বিরোধিতা: বামাবোধিনী নারীদের বাল্যবিবাহের বিরোধিতা করে।এই পত্রিকায় বাল্যবিবাহের বিভিন্ন কুফল হিসেবে অল্পায়ু ও ক্ষীণবল সন্তানদের জন্ম প্রভৃতির কথা বলা হয়।


[iii] অসম বিবাহ বা বার্ধক্য বার্ধক্য বিবাহের বিরোধিতা: বামাবোধিনী পত্রিকা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করে যে, অসম বিবাহ বা বার্ধক্য বিবাহ সমাজর পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর।


[iv] মেয়েদের কৃতিত্ব ও সাফল্য প্রকাশ : এই পত্রিকাতে মেয়েদের লেখা গল্প ও কবিতা প্রকাশিত হত। মেয়েদের কৃতিত্ব, সাফল্য এমনকি বাংলায় রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু হলে তাতে মেয়েদের অংশগ্রহণের খবর, ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের কার্যকলাপ প্রভৃতি নিয়মিত প্রকাশিত হত এই পত্রিকায়।


মন্তব্য: নারীদের মতামত প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণমঞ্চ প্রদান করেছিল এই পত্রিকা। তবে এর প্রধান সীমাবদ্ধতা ছিল যে, এটি স্ত্রীশিক্ষায় উদ্যোগী হলেও এর প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল সুগৃহিণী, আদর্শ পত্নী ও সুমাতা হতে নারীদের উৎসাহিত করা।



প্রশ্ন : নারীসমাজের উন্নতির লক্ষ্যে ‘বামাবোধিনী পত্রিকা’ কীরূপ উদ্যোগ নিয়েছিল?

● উত্তর : নারীসমাজের উন্নতির লক্ষ্যে ‘বামাবোধিনী পত্রিকা'

ভূমিকা: ব্রাহ্মনেতা কেশবচন্দ্র সেনের অনুগামী উমেশচন্দ্র দত্ত ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ‘বামাবোধিনী পত্রিকা' নামে একটি মাসিক পত্রিকার প্রকাশ শুরু করেন। বাংলার নারীসমাজের উন্নতির লক্ষ্যে এই পত্রিকা বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। যেমন—


[i] সামাজিক সংস্কার: উনিশ শতকে এদেশের হিন্দু  সমাজে মেয়েরা বাল্যবিবাহ, পণ প্রথা প্রভৃতির শিকার ছিল। এসব সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে এবং নারীদের মন থেকে যাবতীয় কুসংস্কার ও সন্দেহ দূর করার উদ্দেশ্যে ‘বামাবোধিনী পত্রিকা’ নিয়মিত প্রচার চালিয়ে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা চালায়।


[ii] শিক্ষার প্রসার: উনিশ শতকেও সাধারণ মানুষ নারীশিক্ষাকে বিশেষ সমর্থন করত না। এই অবস্থায় ‘বামাবোধিনী পত্রিকা’ নারীশিক্ষার সমর্থনে, নারী সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নিয়মিত প্রচার চালায়।


[ii] নারী অধিকার: উনিশ শতকেও নারীরা মূলত  বাড়ির   অন্দরমহলে আবদ্ধ ছিল। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা আদায়ের কোনো সুযোগ ছিল না। ‘বামাবোধিনী পত্রিকা’ নারীদের সামাজিক অধিকার ও মর্যাদা প্রদানের লক্ষ্যে নিয়মিত প্রচার চালায়। নারী অধিকারের উদার সমর্থকদের নিয়ে এই পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলী গড়ে তোলা হয়।


[iii] প্রগতিশীলতা: নারীরা যাতে নিজস্ব লেখনীর মাধ্যমে নিজেদের মতামত জানাতে পারে, সে উদ্দেশ্যে ‘বামাবোধিনী পত্রিকা’ গোষ্ঠী স্বনামে বা বেনামে নারীদের এই পত্রিকায় নিয়মিত লেখার সুযোগ করে দেয়। পত্রিকা গোষ্ঠী নারীজাতির স্বার্থরক্ষা ও সামাজিক অগ্রগতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বইপত্র ও পত্রিকা প্রকাশ করে।



5. ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে ডেভিড হেয়ারের অবদান লেখো।

উত্তর : ভারতবর্ষে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে অনেকসময় পাশ্চাত্যদেশীয়রাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন এবং তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে স্কটল্যান্ড থেকে আগত এক ঘড়ি ব্যবসায়ী ডেভিড হেয়ার | ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ নেন, যেমন—


[i] হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা: কলকাতায় ইংরেজি ও পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্য একটি বিদ্যালয় গড়ে তোলার কথা তিনি ভাবেন। সেই মতো তিনি স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায় মারফত সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি স্যার হাইড ইস্টের  কাছে একটি ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব রাখেন। স্যার হাইড ইস্ট প্রস্তাবটি অনুমোদন করলে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ধনী ব্যক্তিদের অবদানে ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ জানুয়ারি গড়ে ওঠে বিখ্যাত হিন্দু কলেজ।


[ii] স্কুল প্রতিষ্ঠা : ঠনঠনিয়ার আরপুলি ভার্নাকুলার স্কুল ও পটলডাঙা ইংলিশ স্কুল হেয়ার সাহেবের ই প্রতিষ্ঠিত | পরবর্তীকালে এই দুটি স্কুল একত্রিত হয়ে বর্তমান হেয়ার স্কুলে রূপান্তরিত হয়।


[iii] স্কুল বুক সোসাইটির প্রতিষ্ঠা: পাঠ্যপুস্তকের সমস্যা দূর করার জন্য ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে কলকাতায় স্কুল বুক সোসাইটির প্রতিষ্ঠা করেন ডেভিড হেয়ার।


[iv] ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটির প্রতিষ্ঠা: ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি স্থাপিত হওয়ার পিছনে ডেভিড হেয়ার ও রাধাকান্ত দেবের যৌথ প্রয়াস ছিল।


মন্তব্য: তবে ডেভিড হেয়ারের এই কর্মযজ্ঞেনিম্নবিত্ত মানুষজন বাদ থাকায় সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ওপর তাঁর প্রয়াসের কোনো প্রভাব পড়েনি। তবু একথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে, পাশ্চাত্য

শিক্ষাবিস্তারের মধ্যে দিয়ে শিক্ষিত সম্প্রদায় গড়ে তুলে ভারতের যে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছিলেন তা প্রশংসনীয়।


দশম শ্রেণির ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায়ের কোশ্চেন | মাধ্যমিক ইতিহাস ধারণা 4 নং প্রশ্ন উত্তর


6.ভারতে ইংরেজি শিক্ষাবিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা কী ছিল?

উত্তর : উনিশ শতকে ভারতে ইংরেজি ভাষায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে সর্বপ্রথম উদ্যোগ নেয় খ্রিস্টান মিশনারিরা। পাশ্চাত্য শিক্ষার আলো ভারতবাসীদের মধ্যে ছড়ানোর জন্যই যে তাঁরা শুধুমাত্র নানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন তা নয়। মিশনারিরা শিক্ষারএই কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে ভারতীয়দের মধ্যে খ্রিস্টধর্মেরপ্রচারও চালায়।


ভারতের ইংরেজি শিক্ষাবিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা ছিল নিম্নরূপ— 

[i] শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন: ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে জোশুয়া মার্শম্যান, উইলিয়াম ওয়ার্ড ও উইলিয়াম কেরি শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মোট ১২৬টি বিদ্যালয়ে প্রায় ১০ হাজার ভারতীয় ছাত্র পাশ্চাত্য শিক্ষাচর্চার সুযোগ পেত।

[ii] লন্ডন মিশনারি সোসাইটি: লন্ডন মিশনারি সোসাইটির রবার্ট মে চুঁচুড়ায় একটি ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীকালে তাঁর উদ্যোগে ৩৬টি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।


[iii] আলেকজান্ডার ডাফ। বাংলায় স্কটিশ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা আলেকতাত্মার ডাফ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ছিল ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ)।


[iv] মিশনারিদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: মিশনারি উদ্যোগে শিবপুরে বিশপ ই কলেজ (১৮২০ খ্রি.), মাদ্রাজে খিস্টান কলেজ (১৮৩৭ খ্রি.), বম্বেতে উইলসন কলেজ (১৮৩২ খ্রি.) X প্রভৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও বেলজিয়াম থেকে আগত জেসুইট মিশনারিরা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, (১৮৩৫ খ্রি.) ও লরেটো হাউস কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।


মন্তব্য: ইংরেজি শিক্ষার সংস্পর্শে এসে ভারতবাসী পাশ্চাত্য সভ্যতা, জ্ঞানবিজ্ঞান, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানবতাবাদ প্রভৃতি আদর্শের সঙ্গে পরিচিত হয়, যা ইংরেজি শিক্ষিত ভারতবাসীকে ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করে


মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন pdf|


7. পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন/বেথুন-এর কী ভূমিকা ছিল?

উত্তর: উনিশ শতকে ভারত-দরদি সাহেবদের মধ্যে জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন বা বেথুন একটি উল্লেখযোগ্য নাম | বাংলায় স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে তাঁর নাম বিশেষভাবে স্মরণীয় |


[i] শিক্ষাবিদ হিসেবে বেথুন সাহেব: শিক্ষাবিদ হিসেবে ড্রিঙ্কওয়াটার বিটনের সর্বপ্রধান কৃতিত্ব ছিল নারীশিক্ষার জন্য কলকাতায় ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় নামক একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।


[ii] হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের প্রসার :গোড়া থেকেই বিদ্যালয়টির পরিচালক সমিতির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়। মেয়েদের ধর্মনিরপেক্ষ, দেশীয় ও পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্য প্রবর্তিত এই বিদ্যালয় সমাজে বিশেষ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। স্কুলের গাড়ির গায়ে সংস্কৃত শ্লোকে লেখা থাকত—প্রত্যেক পিতার দায়িত্ব হল কন্যাকে শিক্ষিত করে তোলা। যে ২১ জন ছাত্রী নিয়ে হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় তার মধ্যে ছিলেন

মদনমোহন তর্কালঙ্কারের দুই কন্যা—[i] ভুবনমালা ও [ii] কুন্দমালা।


[iii] বঙ্গভাষা অনুবাদক সমাজের সদস্য: বেথুন সাহেব বঙ্গভাষা

অনুবাদক সমাজের সদস্য ছিলেন। এই সমাজ নানা ইংরেজি বই বাংলায় এবং বাংলা বই ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষার মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে সাহায্য করত। 


মন্তব্য: বাংলায় স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারে তাঁর নাম চিরস্মরণীয়। মৃত্যুর পূর্বে তিনি তাঁর সমস্ত অস্থাবর সম্পত্তি স্কুলের নামে দান করে যান। ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে বিটনের মৃত্যুর পর হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় বেথুন স্কুল



8. ছুতোম প্যাঁচার নকশা-তে লেখক কীভাবে কলকাতার সমাজচিত্র তুলে ধরেছেন? অথবা, হুতোম প্যাঁচার নকশা-র লেখকরূপে কালীপ্রসন্নের কৃতিত্ব লেখো।

উত্তর : হুতোম প্যাঁচা ছদ্মনামে কালীপ্রসন্ন সিংহ ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ভাষায় প্রথম সামাজিক ব্যঙ্গসাহিত্য হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থটি রচনা করেন।


[i] বিষয়বস্তু : এই গ্রন্থে আঠারো শতকের শেষভাগ থেকে উনিশ শতকের সত্তরের দশক পর্যন্ত সময়কালের কলকাতার নাগরিক সমাজজীবনের ছবি ধরা পড়ে। এই গ্রন্থে কলকাতার চড়ক, পার্বণ, বারোয়ারি পূজা, ছেলে ধরা, ক্রিশ্চানি হুজুগ, সাতপেয়ে গোরু, দরিয়াই ঘোড়া, লখনউয়ের বাদশা, রথ, দুর্গোৎসব, রামলীলা প্রভৃতির আলোচনা রয়েছে।


[ii] বাবু সমাজের চরিত্র: হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থটিতে যাদের সমালোচনা করা হয়েছে তারা সকলেই লেখকের মতো একই উচ্চশ্রেণিভুক্ত।


সমাজের এই ব্যক্তিরা ছিলেন তিন প্রকারের যথা—

li] ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত সাহেবি চালচলনের অন্ধ অনুকরণকারী, [ii] ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত নব্যপন্থী যারা সাহেবি চালচলনের অনুকরণকারী নয় এবং

[iii] ইংরেজি না জানা গোঁড়া হিন্দুসমাজ |


[3] বৈশিষ্ট্য: এই গ্রন্থের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল—

[i] বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয় : ইতিহাস, গভীর সমাজচেতনা ও হাস্যরস এই গ্রন্থে সমন্বিত হয়েছে।

[ii] প্রধান গুণ: সমকালীন সাহিত্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভাঁড়ামি ও অশ্লীলতামুক্ত বাস্তব সমাজচেতনা হল এই গ্রন্থের প্রধান গুণ। গ্রন্থটির ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে সমকালীন কলকাতার সমাজজীবনের দুর্নীতি, কপটতা ও ভণ্ডামি, যানকশা বা ব্যঙ্গরূপে এই গ্রন্থে উপস্থাপিত হয়েছে।


মন্তব্য: ৩০ বছরের স্বল্প আয়ুষ্কালে সাহিত্যিক হিসেবে কালীপ্রসন্ন সিংহের গুণমান প্রকাশ করে তাঁর এই রচনা | তৎকালীন বঙ্গসমাজে ইংরেজি পাশ্চাত্যশিক্ষার প্রভাবের ফলে যে ভণ্ড বাবু সংস্কৃতির উদ্ভব হয সেগুলির তির্যকপূর্ণ সমালোচনা করেন কালীপ্রসন্ন সিংহ।


11. শিক্ষার প্রসারে রাধাকান্ত দেবের অবদান কী ছিল?

উত্তর: শোভাবাজার রাজপরিবারের বংশধর রাজা রাধাকান্ত দেব ছিলেন বাংলায় প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রের সুযোগ্য এক প্রতিনিধি। তিনি স্কুল বুক সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত থাকার সময় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন।


[i] হিন্দু কলেজের সদস্য ও ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি: রাধাকান্ত দেব, বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়, ডেভিড হেয়ার প্রমুখের উদ্যোগে কলকাতায় হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়

এবং ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই কলেজের পরিচালক সমিতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন রাধাকান্ত দেব। ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে রাধাকান্ত দেব কলকাতায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের হাউস অব লর্ডস-এর কাছে আবেদন পাঠিয়েছিলেন।


[ii] শবব্যবচ্ছেদকে সমর্থন : তিনি ভারতীয় ছাত্রদের বিজ্ঞান শিক্ষা প্রদানের পক্ষপাতী ছিলেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শবব্যবচ্ছেদকে কেন্দ্র করে হিন্দুসমাজ যখন প্রবলভাবে আলোড়িত, তখন রক্ষণশীল হিন্দুসমাজের নেতা রাধাকান্ত দেব সমর্থন জানান। উচ্চতর শবব্যবচ্ছেদকে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শবব্যবচ্ছেদ শিক্ষার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে ভারতীয় ছাত্রদের পাঠানোর জন্য একটি তহবিল গঠিত হলে তিনি এই উদ্যোগকেও সমর্থন জানান।


[iii] নারীশিক্ষার সমর্থন: রাধাকান্ত দেব নারীশিক্ষার সমর্থক ছিলেন এবং মনে করতেন যে নারীশিক্ষা ব্যতীত সমাজের কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করার উদ্যোগ নিলে রাধাকান্ত দেব তাঁকে সাহায্য করেন।


[iv] মেট্রোপলিটান কলেজের সভাপতি: ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু মেট্রোপলিটান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে রাধাকান্ত দেব এর পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে নিযুক্ত হন।


12 .চিকিৎসাবিদ্যাচর্চার ইতিহাসে মেডিক্যাল কলেজের অবদান আলোচনা করো।

 ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য কলকাতার বিখ্যাত ধনী ব্যবসায়ী মতিলাল শীল জমি দান করেন।


[i] মেডিক্যাল কলেজে পঠনপাঠন: প্রথম বছর ৫০ পর্ব জন ছাত্রকে চিকিৎসাবিদ্যার পঠনপাঠনের জন্য ভরতি করা হয়। নতুন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে সার্জেন জোশেফ ব্রাসলিকে নিয়োগ করা হয়। সংস্কৃত কলেজের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক G পণ্ডিত মধুসূদন গুপ্ত এই কলেজের আয়ুর্বেদিক ট শিক্ষক নিযুক্ত হন। কলেজে ভেষজ, অঙ্গ ব্যবচ্ছেদবিদ্যা, রসায়ন, ওষুধের গুণাগুণ ও প্রয়োগ- সংক্রান্ত বিষয়ে ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পঠন- পাঠনের ব্যবস্থা হয়।


[ii] শবব্যবচ্ছেদ : পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যার অন্যতম অঙ্গ হল শবব্যবচ্ছেদ সম্পর্কে শিক্ষালাভ। ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি প্রথম ভারতীয় হিসেবে মধুসূদন গুপ্ত তাঁর চারজন সাহসী ছাত্র (উমাচরণ শেঠ, দ্বারকানাথ গুপ্ত, রাজকৃষ্ণ দে ও নবীনচন্দ্র মিত্র)-কে নিয়ে নিজের হাতে একটি শবব্যবচ্ছেদ করেন।


[iii] মেডিক্যাল কলেজের পাঠক্রম পুনর্বিন্যাস: ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে রয়্যাল কলেজ অবসার্জেনের পাঠক্রম অনুসরণে মেডিক্যাল কলেজেরপাঠক্রম পুনর্বিন্যাস সংস্কার করা হয়।


উপসংহার: পরবর্তীকালে রামকমল সেন, দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রমুখ ধনী ও শিক্ষিত ব্যক্তির বদান্যতায় কলেজ ও হাসপাতালের নতুন গৃহ নির্মিত হয়। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ তার অনুমোদন লাভ করে।




মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৪ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 4 marks pdf / ক্লাস 10 সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X history 2nd chapter 4 marks question answer pdf / Class ten history 2nd chapter 4 marks question answer / সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা LAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা থেকে সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য -  সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ইতিহাস এর  দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History 4 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা দ্বিতীয় অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা দ্বিতীয় অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History short Question and Answer 

বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik history 2nd chapter 4 number questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik History Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা 4 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History second chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url