মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক আন্দোলন 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik history six chapter 8 marks question answer | Class 10 history six chapter 8 marks question answer

 

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ইতিহাস 8 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন । দশম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik history chapter 6 8 number question answer, মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।



তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ইতিহাস ৮ নম্বর অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ অধ্যায় pdf download, class 10 history six chapter 8 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE       


    :  আরও পোস্ট দেখো :     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik History Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X history Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024


দশম শ্রেণির ইতিহাস বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক আন্দোলন বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বড় প্রশ্ন ও উত্তর


1. বিশ শতকের ভারতে উপনিবেশ-বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থী দলগুলির ভূমিকা আলোচনা করো।

● উত্তর : ভারতে ব্রিটিশবিরোধী জাতীয় আন্দোলনে শ্রমিক ও কৃষকদের শামিল করতে অন্যতম ভূমিকা নেয় ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি। কিন্তু ভারতীয় কমিউনিস্টদের কর্মপদ্ধতি রাশিয়ার সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির দ্বারা প্রভাবিত ছিল বলে তারা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। তবে ভারতের অন্যতম প্রধান কমিউনিস্ট নেতা এম এন রায় অত্যন্ত সুচতুরভাবে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির ভাবমূর্তি গঠনে দ্বিমুখী কৌশল গ্রহণ করে। এই কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল জাতীয় আন্দোলনের মূল স্রোতে থাকার পাশাপাশি উপনিবেশ-বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করা।


[1] সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলন: ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রথমদিকে এই দল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে থেকে উপনিবেশ-বিরোধী সংগ্রামে যোগ দেয়। সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। এই সময় দুই বামপন্থী কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরু ও সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্যোগে গড়ে ওঠে ইনডিপেন্ডেন্স লিগ । এর লক্ষ্য ছিল উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী জনমত গঠন করা।


[2] পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি: প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কমিউনিস্ট দলের সদস্যরা জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিটি বার্ষিক অধিবেশনে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটানো ও পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে এসেছিল। বামপন্থীদের এই দাবির চূড়ান্ত ফল হল ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের বামপন্থী কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব গ্রহণ।


[3] চরিত্রগত বদল: ১৯৩০-এর দশকে ভারতীয় কমিউনিস্ট দলের নেতারা সোভিয়েত ধাঁচে বিপ্লব করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে | ফলে জাতীয় কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থী নেতাদের সঙ্গে কমিউনিস্টদের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠে। এই সময় ভারতে ব্রিটিশ উপনিবেশ-বিরোধী জাতীয় আন্দোলনে যোগদানের প্রশ্নে কমিউনিস্টরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যায়। এই সময় ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে জয়প্রকাশ নারায়ণ, আচার্য নরেন্দ্রদেব প্রমুখ সমাজতন্ত্রীনেতাদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল।


[4] উপনিবেশ বিরোধী যুক্তফ্রন্ট গঠন: ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে কমিউনিস্ট দল বেআইনি বলে ঘোষিত হলে ভারতে উপনিবেশ-বিরোধী বামপন্থী আন্দোলনে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের সাথে কমিউনিস্টরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে রাজি হয়। বিখ্যাত ব্রিটিশ কমিউনিস্ট নেতা রজনীপাম দত্ত ও  বেঞ্জামিন ব্র্যাডলে এক ইস্তাহার প্রকাশ করেন। এতে বলা হয় যে, সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী গণফ্রন্ট গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জাতীয় কংগ্রেস মুখ্য ভূমিকা নিতে পারবে। কমিনটার্নের তরফ থেকেও কমিউনিস্টদের ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী যুক্তফ্রন্ট গঠনের


[5] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতীয় কমিউনিস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনায় কমিউনিস্টরা সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধের বিরোধিতা করলেও যুদ্ধে ঔপনিবেশিক ব্রিটেনের পক্ষে কমিউনিস্ট সোভিয়েত রাশিয়ার যোগদান সমস্ত ভাবনাকে এলোমেলো করে দেয় | ফলে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী ভারত ছাড়ো আন্দোলনে গান্ধিজিসহ কংগ্রেসের প্রথম সারির দক্ষিণপন্থী নেতারা কারারুদ্ধ হওয়ায় বামপন্থী কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের নেতা ও কর্মীরা জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেন। অন্যদিকে, ভারতীয় কমিউনিস্টরা সাম্রাজ্যবাদ- বিরোধী যুদ্ধকে ‘জনযুদ্ধ’ রূপে আখ্যা দেয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যুদ্ধ ব্রিটিশ সরকারকে সহযোগীতার নীতি গ্রহণ করে ভারত ছাড়ো আন্দোলন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখে। তবে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে নৌবিদ্রোহে কমিউনিস্টদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য


[6] ফরোয়ার্ড ব্লকের ভূমিকা : গান্ধি-সুভাষ মতবিরোধের কারণে বামপন্থী কংগ্রেস নেতা সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের ত্রিপুরি অধিবেশনের সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেও ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। সেই বছরই তিনি বামপন্থী আদর্শ অনুসরণে ফরোয়ার্ড ব্লক গঠন করে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানকল্পে বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ করতে সচেষ্ট হন | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বামপন্থী নেতা হিসেবে তিনিই প্রথম ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি গ্রেফতার হলে সেই সম্ভাবনা ব্যর্থ হয়।


উপসংহার: পরিশেষে বলা যায়, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকলেও উপনিবেশ-বিরোধী আন্দোলনে ভারতের বামপন্থী দলগুলি, বিশেষ করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল, ফরোয়ার্ড ব্লক প্রভৃতি দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। এমনকি ক্ষমতা হস্তান্তরের ফলে দেশীয় রাজ্যের রাজারা ইংরেজদেরসাথে হাতে হাত মিলিয়ে ভারতকে বহুধাবিভক্ত রাখার যে চক্রান্ত শুরু করেছিলেন, কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের দৃঢ় পদক্ষেপ সেই চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেয়।



2. ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকলাপ বর্ণনা করো।

উত্তর : মানবেন্দ্রনাথ রায় এবং অন্যান্য কয়েকজন প্রবাসী ভারতীয় বিপ্লবী ১৭ অক্টোবর ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার তাসখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা করে।


 [1] ভারতে কমিউনিস্ট গোষ্ঠীর বিস্তার: এদিকে  ভারতে বহু নিবেদিত শ্রমিক-কর্মী ও বিপ্লবী নিজ নিজ  ইচ্ছায় কমিউনিস্ট গোষ্ঠী গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।  এদের মধ্যে বাংলায় মুজফ্ফর আহমেদ, বম্বেতে এস এ ডাঙ্গে, মাদ্রাজে সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার, লাহোরে গোলাম হোসেন ছিলেন উল্লেখযোগ্য।


[2] কানপুর ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতের কমিউনিস্ট আদর্শকে অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেওয়ার জন্য কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা মামলা সাজানো হয় | তাদের মধ্যে একটি হল কানপুর ষড়যন্ত্র মামলা, যেটিতে শওকত উসমানি, নলিনী গুপ্ত, মুজফ্ফর আহমেদ, এস এ ডাঙ্গে প্রমুখের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।


[3] ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা: ভারতের কমিউনিস্ট গোষ্ঠীগুলিকে ঐক্যবদ্ধ রূপ দেওয়ার জন্য ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে ভারতের সমস্ত কমিউনিস্ট গোষ্ঠী কানপুরে এক সর্বভারতীয় কমিউনিস্ট সম্মেলনে মিলিত হয় এবং এখানে জন্মলাভ করে ভারতের কমিউনিস্ট পাটি।


[4] কার্যকলাপ : ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকলাপের পর্যায়গুলি হল—

[i] ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্ট্স পার্টি গঠন: কংগ্রেসের সমাজতন্ত্রী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিসমূহ এবং কমিউনিস্টদের প্রচেষ্টায় ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলা, বম্বে, পাঞ্জাব ও যুক্তপ্রদেশে গঠিত হয় ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্ট্স পার্টি।


[ii] পত্রপত্রিকা: উনিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে বেশকিছু পত্রপত্রিকা কমিউনিস্ট আদর্শ প্রচারে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে। এগুলির মধ্যে বাংলার লাঙল, বম্বের ক্রান্তি, লাহোরের কীর্তি ও ইনকিলাব এবং মাদ্রাজের ওয়ার্কার উল্লেখযোগ্য ।


[iii] মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা: শ্রমিক আন্দোলনে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকলে ব্রিটিশরা বিচলিত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে কমিউনিস্ট তৎপরতা দমনের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কমিউনিস্ট নেতাদের গ্রেফতার করে এবং ৩২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়, যা মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত।


[iv] কমিউনিস্টদের নানা সমস্যা: কমিউনিস্টদের অন্তর্দ্বন্দ্ব, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা প্রভৃত কমিউনিস্ট আন্দোলনকে খানিকটা পিছিয়ে দেয়। এ ছাড়া ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে সরকার কর্তৃক কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ঘোষিত হয়।


[v] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কমিউনিস্ট প্রসার: ১৯৩০-এর দশকে শ্রমিক দশকে শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলনগুলি বামপন্থী আদর্শের অনুসারী হয়। বাংলা ও বিহারে সংগঠিত কৃষকআন্দোলনে কমিউনিস্টরা সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে কমিউনিস্ট দল যুদ্ধবিরোধী জঙ্গি আন্দোলন শুরু করে।


উপসংহার: ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি আত্মপ্রকাশ করলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত এই দল নিজেদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছোতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ ছিল ভারতীয় পরিস্থিতির সঙ্গে রাশিয়ার ফারাক। তবুও নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যে এই দল ভারতের আপামর জনসাধরণের মনে ছাপ ফেলতে পেরেছিল।


দশম শ্রেণির ইতিহাসের ষষ্ঠ অধ্যায়ের শর্ট কোশ্চেন|মাধ্যমিক ইতিহাস ধারণা 8 নং প্রশ্ন উত্তর  | মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় LAQ প্রশ্ন ও উত্তর


3. বিশ শতকে ভারতে কৃষক আন্দোলনের অগ্রগতির পরিচয় দাও।
• উত্তর :   বিশ শতকে ভারতে কৃষক আন্দোলন

ভূমিকা: বিশ শতকে ভারতের কৃষক আন্দোলনে জাতীয় রাজনীতির প্রভাব পড়ে। এই সময় ব্রিটিশ-বিরোধী বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনে কৃষকশ্রেণি সক্রিয়ভাবে যোগদান করে।

[1] বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের সময় : কংগ্রেস নেতাদের উদ্যোগের অভাবে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনের সময় কৃষকশ্রেণি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেনি। ড. সুমিত সরকার বলেছেন যে, ‘সুনির্দিষ্ট কৃষিভিত্তিক কর্মসূচির অভাবে এই আন্দোলনে কৃষকদের যুক্ত করা যায়নি। তা ছাড়া পূর্ববঙ্গের মুসলিম কৃষকরা বঙ্গভঙ্গকে সমর্থন করেছিল।

[2] অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের সময় : অহিং অসহযোগ আন্দোলনের (১৯২০-২২ খ্রি.) সময় গান্ধিজির ডাকে সারা দেশের বহু কৃষক এই আন্দোলনে শামিল হয়।

i. বাংলা: বাংলার মেদিনীপুর, পাবনা, পাবনা, কুমিল্লা, রাজশাহি, বগুড়া, রংপুর, বীরভূম, দিনাজপুর, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলার বহু কৃষক আন্দোলনে অংশ নেয়।
ii. বিহার: বিহারে ভাগলপুর, মুজফফরপুর, পূর্ণিয়া, মুঙ্গের, দ্বারভাঙ্গা, মধুবনী, সীতামারি প্রভৃতি জেলার কৃষকরা আন্দোলনে যোগ দিয়ে জমিদারদের খাজনা দেওয়া বন্ধ করে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।

iii. যুক্তপ্রদেশ: যুক্তপ্রদেশে (বর্তমান উত্তরপ্রদেশে বাবা রামচন্দ্রের নেতৃত্বে কৃষক আন্দোলন শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এ রাজ্যের হরদৈ, বারাবাঁকি, সীতাপুর, বারাইচ প্রভৃতি জেলার কৃষকরা একতাবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে শামিল হয় যা একা আন্দোলন নামে পরিচিত।

iv. অন্যান্য প্রদেশ: অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার কৃষকরা, পাঞ্জাবের আকালী শিখ ও জাঠ কৃষকরা, উড়িষ্যার কিছু কিছু অঞ্চলের কৃষকরা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। অসহযোগ আন্দোলনের পরবর্তীকালে কংগ্রেস নেতা বল্লভভাই প্যাটেল গুজরাটের দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে বারদৌলি সত্যাগ্রহ (১৯২৮ খ্রি.) করেন।



[3] অহিন অমান্য আন্দোলনের সময় : আইন অমান্য
আন্দোলনেও (১৯৩০-৩৪ খ্রিস্টাব্দে) বিভিন্ন প্রদেশের কৃষকশ্রেণি সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।

ii. উত্তরপ্রদেশ: রায়বেরিলি, আগ্রা, বারাবাঁকি, লক্ষ্ণৌ, প্রতাপগড়-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানের কৃষকদের
ব্যাপক অংশগ্রহণের ফলে এখানে আইন অমান্য
আন্দোলন প্রকৃত গণ আন্দোলনে পরিণত হয়।

ii. বিহার: স্বামী সহজানন্দ, যদুনন্দন শর্মা প্রমুখের নেতৃত্বে গঠিত কিষান সভা বিহারে কৃষকদের আন্দোলনে শামিল করে।

iii. বাংলা: বাংলার কাঁথি, মহিষাদল, আরামবাগ,ত্রিপুরা, শ্রীহট্ট প্রভৃতি স্থানে কৃষকরা আন্দোলনে যোগ দেয়।

iv. গুজরাট: গুজরাটের সুরাট, বারদৌলি, খেদা প্রভৃতি অঞ্চলের কৃষকরা সত্যাগ্রহ আন্দোলন চালিয়ে যায়।

v. অন্যান্য প্রদেশে: কেরালার কেলাপ্পান এবং অন্ধ্রে বাল রামকৃষ্ণ কৃষকদের খাজনা বন্ধে উৎসাহিত করেন। মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, পাঞ্জাবেও সেচকর ও রাজস্ব কমানোর দাবিতে কৃষকরা আন্দোলনে যোগ দেয়।

[4] ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় : ভারত ছাড়ো আন্দোলনে দেশ উত্তাল হয়ে উঠলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরাও আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

i. বিহার: বিহারের মুঙ্গের, ভাগলপুর, মুজফফরপুর, পূর্ণিয়া, সাঁওতাল পরগনা প্রভৃতি অঞ্চলের আদিবাসী কৃষকরা আন্দোলনে যোগ দেয়। বিহারের ৮০ শতাংশ থানাই আন্দোলনকারীদের দখলে চলে যায়।
ii. বাংলা: বাংলার মেদিনীপুরের তমলুক মহকুমা, পটাশপুর থানা, খেজুরী থানা, দিনাজপুরের বালুরঘাট প্রভৃতি এলাকায় আন্দোলনরত কৃষকরা জমিদারদের খাজনা দেওয়া বন্ধ করে।

iii. গুজরাট: গুজরাটের সুরাট, খান্দেশ, ব্রোচ প্রভৃতি জেলায় কৃষকরা গেরিলা আক্রমণ চালায়।

iv. উড়িষ্যা: উড়িষ্যার তালচেরে আন্দোলনকারী কৃষকরা চাষি মল্লা-রাজ প্রতিষ্ঠা করে আন্দোলনকে শক্তিশালী করে তোলে।

উপসংহার: বিশ শতকে কৃষক আন্দোলন যথেষ্ট সক্রিয় হলেও
ভারতের সর্বত্র কৃষকদের এই আন্দোলনে শামিল করা যায়নি। কোনো কোনো কংগ্রেস নেতা কৃষকদের খাজনা বন্ধের আন্দোলনে শামিল করে জমিদারদের ক্ষিপ্ত করতে চাননি। কেন- না, জমিদাররা কংগ্রেসের সক্রিয় সমর্থক ছিল। বহু ক্ষেত্রে মুসলিম


মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৮ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 8 marks pdf / ক্লাস 10 বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X history 6th chapter 8 marks question answer pdf / Class ten history 6th chapter 8 marks question answer / বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন থেকে রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য -  বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ইতিহাস এর  ষষ্ঠ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History 8 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘ মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ইতিহাস বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন ষষ্ঠ অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন ষষ্ঠ অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History short Question and Answer 


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik history 6th chapter short questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik History Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন 8 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History six chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url