মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik history third chapter 4 marks question answer | Class 10 history third chapter 4 marks question answer


আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ইতিহাস 4 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ । দশম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik history chapter 4 number question answer, মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ইতিহাস ৪ নম্বর অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় pdf download, class 10 history third chapter 4 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE       

      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik History Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X history Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024


দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর



1. সাঁওতাল বিদ্রোহের ফলাফল সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনীর নির্মম দমনপীড়নে সাঁওতালদের বিদ্রোহ (১৮৫৫-৫৬ খ্রি.) ব্যর্থ হলেও, এই বিদ্রোহের ফলাফল ও প্রভাব ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কেন-না, এই বিদ্রোহের ফলে সাঁওতালদের অভাব-অভিযোগ প্রতিকারের জন্য কিছু ব্যবস্থা ব্রিটিশ সরকার গ্রহণ করে। যেমন-

[i] সাঁওতাল পরগনা গঠন: সরকার সাঁওতালদের দাবি মেনে নিয়ে সাঁওতাল পরগনা নামে সাঁওতালদের জন্য একটি পৃথক রাজ্য গঠন করে।


[ii] বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ: সরকার সাঁওতাল পরগনায় জমিদার-মহাজনসহ অন্যান্য বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করে।


[iii] সুদের হার নির্দিষ্টকরণ : মহাজনদের সুদের হার নির্দিষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়।


[iv] নতুন বিচারব্যবস্থার উদ্ভাবন: সরকার সাঁওতালদের জন্য নতুন আদালত গঠন করে সাঁওতালি প্রথায় বিচারকার্য সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করে।


[v] উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান : সাঁওতালদের সন্তুষ্ট করার জন্য তাদের উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।


[vi] স্বাধীনতা আন্দোলনের জমি তৈরি : পরবর্তীকালের স্বাধীনতা আন্দোলনের জমি তৈরির ( ক্ষেত্রে সাঁওতাল বিদ্রোহের গুরুত্ব ছিল অসামান্য। 



2. টীকা লেখো: চুয়াড় বিদ্রোহ।

ঔপনিবেশিক আমলের ভূমিব্যবস্থায় শোষিত হয়ে বাংলার বাঁকুড়া, মেদিনীপুর ও ধলভূম অঞ্চলের বসবাসকারী চুয়াড় সম্প্রদায় ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির শাসনের বিরুদ্ধে চুয়াড় বিদ্রোহ সংঘটিত


[i] বিদ্রোহের কারণ : ভূমিব্যবস্থায় চুয়াড়রা জমিজমা, গৃহ, অরণ্য সব হারিয়ে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। এমনকি মেদিনীপুরের তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট ব্রিটিশ সরকারের রেভিনিউ বোর্ডের

কাছে লিখিত এক পত্রে স্বীকারও করেন যে, চুয়াড়দের জমি থেকে উচ্ছেদ এবং রাজস্বের উচ্চহার হল সেই বিদ্রোহের প্রধান কারণ। 


[ii] বিদ্রোহের প্রসার: ঔপনিবেশিক সরকার কর্তৃক গৃহীত নতুন ভূমিব্যবস্থার ফলে চুয়াড়দের জমিতে নতুন প্রজারা এসে চাষবাস শুরু করে। এর ফলে চুয়াড়রা ক্ষুব্ধ হয়ে নতুন প্রজাদের ওপর আক্রমণ চালায়। মেদিনীপুরের রানি শিরোমণি গোপনে বা প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন জানান ।বিদ্রোহীরা সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালায় মেদিনীপুর পরগনায়।


[iii] বিদ্রোহ দমন: সরকার প্রায় দুই বছর ধরে সৈন্যবাহিনীর অভিযান চালিয়ে ও ভেদনীতি প্রয়োগ করে চুয়াড় বিদ্রোহ দমন করেছিল। তা ছাড়া চুয়াড়দের নানা কাজে নিযুক্ত করা ও সুযোগসুবিধা প্রদানের মাধ্যমে চুয়াড় বিদ্রোহকে স্তিমিত করতে উদ্যত হয় ব্রিটিশ সরকার।


মন্তব্য: চুয়াড় বিদ্রোহকে জমিদার ও কৃষকদের যৌথ বিদ্রোহ বললে অতিশয়োক্তি হয় না। অনেক সাধারণ কৃষকও এই বিদ্রোহে শামিল হয়েছিল।



দশম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়


3. টীকা লেখো: কোল বিদ্রোহ।

● উত্তর: ছোটোনাগপুর অঞ্চলটি ছিল উপজাতি আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি যেখানে কোল, হো, মুন্ডা, ওঁরাও প্রভৃতি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপজাতি স্বাধীনভাবে বসবাস করত। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের পর কোল উপজাতির ওপর জমিদার ও মহাজন শ্রেণির অত্যাচার বাড়তে থাকলে কোলরা বিদ্রোহের পথ বেছে নেয়।


[i] বিদ্রোহের কারণ: এই আন্দোলনের কারণ হল হিন্দু, মুসলিম ও শিখ মহাজনদের জমির ইজারা লাভ ও উচ্চহারে খাজনা আদায়ের বিরোধিতা করা। এ ছাড়া মদের ওপর শুল্ক আরোপ, জোর করে কোলদের দিয়ে আফিম চাষ করানো, বেগার খাটানো, নারী অপহরণ ইত্যাদির জন্যও বিদ্রোহ শুরুহয়। খাজনা অনাদায়ে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুঠপাট, জমি বেদখল ইত্যাদি করা হত। কোল উপজাতির মানুষ এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। তারা গ্রামে গ্রামে তির-ধনুক বিলি করে মানুষকে মহাজন, ইজারাদার ও সরকারের ত্রিমুখী শোষণের বিরুদ্ধে এক হতে আহবান জানায়। চার্লস মেটকাফের মতে, কোলদের লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ধ্বংস করা।


[ii] বিদ্রোহ সূচনা: ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে কোলদের “পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে বিদ্রোহের মাধ্যমে। বুদ্বু ভগৎ, সুই মুন্ডা, ঝিন্দরাই মানকি প্রমুখের নেতৃত্বে কোল বিদ্রোহ সফলভাবে শুরু হয় = এবং প্রথম দুই বছর ধরে বিদ্রোহীরা জমিদার, জোতদার, মহাজন, মজুতদার ও ইংরেজ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালায়।


[iii] বিদ্রোহের অবসান: ব্রিটিশ সরকার দুই বছর ধরে চলতে থাকা কোল বিদ্রোহ দমন করার জন্য পাটনা ও দানাপুর থেকে সৈন্যবাহিনী পাঠায় এবং বিদ্রোহ দমন করতে সফল হয়।


মন্তব্য: কোল বিদ্রোহের ফলে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার দক্ষিণ-পশ্চিম এজেন্সি নামে একটি সংরক্ষিত এলাকা সৃষ্টি করে এবং ব্রিটিশ নিয়মকানুন প্রত্যাহার করে কোলদের নিজস্ব আইনপ্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়।



দশম শ্রেণির ইতিহাসের তৃতীয় অধ্যায়ের 4 নম্বরের কোশ্চেন | মাধ্যমিক ইতিহাস ধারণা 4 নং প্রশ্ন উত্তর


4. অভ্যুত্থান বলতে কী বোঝায়? অভ্যুত্থানের কয়েকটি উদাহরণ দাও।

ভূমিকা: বিভিন্ন দেশে ক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট মানুষজন যে উপায়ে
নিজেদের ক্ষোভ বা প্রতিবাদ প্রকাশ করে থাকে সেগুলির মধ্যে
একটি উল্লেখযোগ্য উপায় বা ধারা হল ‘অভ্যুত্থান।

[1] অভ্যুত্থান কী?: অভুত্থান বলতে বোঝায় কোনো দেশ বা সমাজে কিংবা প্রশাসনে কোনো প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ত নিজ গোষ্ঠীর একাংশের সংগ্রাম। এক্ষেত্রে নিজেদের নেতা বা প্রভুদের বিরুদ্ধেই তাদের অধীনস্থ মানুষ সংগ্রাম করে।

[2] বৈশিষ্ট্য: অভ্যুত্থানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল – 
[i] নিজ গোষ্ঠীর ক্ষুব্ধ লোকজন অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে তাদের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পতন বা পরিবর্তন ঘটাতে চায়।
[ii] অভ্যুত্থানের দ্বারা শুধু ক্ষমতার কেন্দ্রের পরিবর্তন
ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। 
[iii] অভ্যুত্থান সফল বা ব্যর্থ যা-ই হোক না কেন তাতে সমাজ বা রাষ্ট্রের মূল কাঠামোর পরিবর্তন ঘটে না।

[3] উদাহরণ: অভ্যুত্থানের প্রধান উদাহরণগুলি হল-
[i] ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একাংশের উদ্যোগে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সিপাহি বিদ্রোহ
[ii] ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সেনাদের নেতৃত্বে নৌবিদ্রোহ, [iii] বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান সরকারের পতন (১৯৮৫ খ্রি.) ঘটিয়ে তাঁর সেনাপতি এরশাদের ক্ষমতা দখল।


5. বিপ্লব বলতে কী বোঝায়? বিপ্লবের কয়েকটি উদাহরণ দাও।
ভূমিকা: বিভিন্ন দেশে ক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট মানুষজন যে উপায়ে নিজেদের ক্ষোভ বা প্রতিবাদ প্রকাশ করে থাকে সেগুলির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য উপায় বা ধারা হল বিপ্লব।

[i] বিপ্লব কী?: বিপ্লব কথার অর্থ হল কোনো প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত, ব্যাপক ও আমূল পরিবর্তন। কোনো দেশ বা সমাজে জনগণ প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত, ব্যাপক ও আমূল পরিবর্তন ঘটালে তাকে ‘বিপ্লব’ বলে অভিহিত করা হয়।

[ii] বৈশিষ্ট্য: বিপ্লবের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল—[1] বিপ্লব হল
মানুষের সফল আন্দোলন। [2] বিপ্লবের দ্বারা দেশ বা সমাজের প্রচলিত ব্যবস্থা বাতিল হয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু হয়। [3] বিপ্লবের দ্বারা প্রচলিত ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।

[iii] উদাহরণ: বিপ্লবের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল –
[1] অষ্টাদশ শতকে ইউরোপে সংঘটিত শিল্পবিপ্লব,
[2] ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লব। শিল্পবিপ্লবের দ্বারা ইউরোপের শিল্পব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে। ফরাসি বিপ্লবের দ্বারা ফ্রান্সে পূর্বতন সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার দ্রুত ও আমূল পরিবর্তন ঘটে।


7. সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রধান কারণগুলি কী ছিল?
সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ
ভূমিকা: ছোটোনাগপুরের সাঁওতাল উপজাতি ১৮৫৫-৫৬
খ্রিস্টাব্দ নাগাদ অত্যাচারী ব্রিটিশ সরকার এবং তাদের সহযোগী জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিদ্রোহ শুরু করে। এই
বিদ্রোহের বিভিন্ন কারণ ছিল। যেমন—

[1] রাজস্ব আরোপ; আদিবাসী সাঁওতালরা অরণ্য অঞ্চলের
পতিত জমি উদ্ধার করে চাষবাস করে সেই জমিকে উর্বর
তোলে। ব্রিটিশ শাসনকালে সরকার-নিযুক্ত জমিদাররা সেই জমির ওপর উচ্চহারে রাজস্ব চাপালে সাঁওতাল কৃষকরা জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

[2] অন্যান্য কর: ভূমিরাজস্ব ছাড়াও সরকার, জমিদার প্রমুখ সাঁওতালদের ওপর বিভিন্ন ধরনের করের বোঝা চাপিয়ে দেয়। ফলে দরিদ্র সাঁওতালদের দুর্দশা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।

[3] মহাজনদের শোষণ: সাঁওতালরা নগদে ভূমিরাজস্ব ও অন্যান্য কর পরিশোধে বাধ্য হয়ে মহাজনদের কাছ থেকে অত্যন্ত চড়া সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হত। পরবর্তীকালে ঋণের দায়ে তার জমি, ফসল, বলদ কেড়ে নেওয়া হত।

[3] ব্যবসায়ীদের প্রতারণা: বহিরাগত ব্যবসায়ীরা কেনারাম নামক বাটখারা ব্যবহার করে সাঁওতালদের কাছ থেকে কৃষিপণ্য কেনার সময় এবং বেচারাম নামক বাটখারা ব্যবহার করে নিজেদের পণ্যগুলি সাঁওতালদের কাছে বিক্রির সময় ঠকাত।

[4] রেলপথ নির্মাণ: সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞ্চলে রেলপথ নির্মাণের কাজে সাঁওতাল শ্রমিকদের নিয়োগ করে তাদের খুব কম মজুরি দেওয়া হত। তা ছাড়া রেলের ঠিকাদার ও ইংরেজ কর্মচারীরা সাঁওতাল পরিবারগুলির ওপর নানাভাবে অত্যাচার করত।

[5] সাঁওতাল আইন বাতিল: সরকার সাঁওতালদের নিজস্ব আইন ও বিচারপদ্ধতি বাতিল করে সাঁওতাল এলাকায় ইংরেজদের জটিল আইন ও বিচারব্যবস্থা চালু করে।

[6] খ্রিস্টধর্ম প্রচার: খ্রিস্টান মিশনারিরা সাঁওতালদের ধর্মকে অবজ্ঞা করত এবং সুকৌশলে সাঁওতালদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করত।

[7] নীলচাষ: নীলকর সাহেবরা সাঁওতাল কৃষকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের নীলচাষে বাধ্য করত।

8. মুন্ডা বিদ্রোহের কারণগুলি কী ছিল?
উত্তর :     মুন্ডা বিদ্রোহের কারণ
ভূমিকা: ভারতের প্রাচীনতম আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এক শক্তিশালী বিদ্রোহ শুরু করে। এই বিদ্রোহের বিভিন্ন কারণ ছিল। যেমন—

[1] যৌথ মালিকানা বাতিল: ব্রিটিশ শাসনের আগে মুন্ডা অধ্যুষিত অঞ্চলে ‘খুঁৎকাঠি প্রথা অনুসারে জমিতে যৌথ মালিকানা ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। ব্রিটিশ শাসনকালে এই যৌথ মালিকানা ব্যবস্থা বাতিল করে জমিতে ব্যক্তিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়।

[2] মুন্ডাদের ঐতিহ্য বাতিল: মুন্ডা অধ্যুষিত অঞ্চলে ব্রিটিশ শাসন চালু হওয়ার পর এখানে মুন্ডাদের চিরাচরিত আইন, শাসন ও বিচারব্যবস্থা বাতিল করে নতুন ব্যবস্থা চালু করা হয়।

[3] কর আরোপ: সরকার ও বহিরাগত জমিদাররা মুন্ডাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের কর চাপিয়ে দেয় এবং তা আদায়ে অত্যাচার চালায়।

[4] বেগার শ্রম: সরকারি কর্মচারী ও বহিরাগত জমিদাররা মুন্ডাদের বিনা বেতনে বেগার হিসেবে খাটতে বাধ্য করে।

[5] জমি দখল: বহিরাগত জমিদার, মহাজন ও ব্যবসায়ীরা নানা কৌশলে মুন্ডাদের ঠকিয়ে তাদের জমি দখল করে নিতে থাকে।

[6] চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক: দেশীয় ও ইউরোপীয় ঠিকাদাররা নানা প্রলোভন দেখিয়ে মুন্ডাদের চুক্তির মাধ্যমে আসামের চা- বাগান-সহ বাইরে বিভিন্ন স্থানে কাজে নিয়োগ করত এবং সেখানে তাদের ওপর নানা ধরনের শোষণ ও অত্যাচার চালাতো।

[7] ধর্মান্তকরণ: খ্রিস্টান মিশনারিরা নানা কৌশলে মুন্ডাদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করত। 


9. মুন্ডা বিদ্রোহ সম্পর্কে আলোচনা করো।
অথবা মুন্ডা বিদ্রোহের বিবরণ দাও।

মুন্ডা বিদ্ৰোহ
ভূমিকা: বর্তমান ঝাড়খন্ড রাজ্যের ছোটোনাগপুর ও তার নিকটবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ যে শক্তিশালী বিদ্রোহ শুরু করে তা সাধারণভাবে মুন্ডা বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

[i] বিদ্রোহের কারণ: মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান কারণগুলি ছিল—[1] জমিতে মুন্ডাদের চিরাচরিত যৌথ মালিকানা ব্যবস্থা (খুঁৎকাঠি প্রথা বাতিল করা, [2] মুক্তাদের নিজস্ব আইন, শাসন ও বিচারব্যবস্থা বাতিল করা, [3] মুন্ডাদের ওপর ভূমিরাজস্বের হার বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ধরনের নতুন কর আরোপ, [4] মুন্ডা শ্রমিকদের বেগার শ্রমদানে বাধ্য করা,
[5] মুন্ডাদের জমিজমা বহিরাগত জমিদার ও মহাজনদের
দ্বারা দখল, [6] মুন্ডাদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তকরণ প্রভৃতি।

[ii] ক্ষোভের সূত্রপাত: বিরসা এক নতুন ধর্ম প্রচার করে মুন্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করেন। তিনি মুন্ডাদের খাজনা দিতে নিষেধ করেন এবং বিদেশিদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়ে এক স্বাধীন মুন্ডারাজ প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে তাঁকে দুই বছর (১৮৯৫-৯৬ খ্রি.) জেলে থাকতে হয়।

[iii] বিদ্রোহের প্রসার: বিরসা ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে একটি সেনাদল গঠন করে নতুন উদ্যমে বিদ্রোহে ঝাঁপিয়ে পড়েন। খুঁটি, রাঁচি, চক্রধরপুর, বুন্দু, তামার, তোরপা, কারা বাসিয়া প্রভৃতি স্থানে তাঁর গোপন ঘাঁটি গড়ে ওঠে। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে বিদ্রোহ প্রবল আকার ধারণ করে। ইংরেজ কর্মচারী, পুলিশ, জমিদার, মহাজন, থানা, গির্জা প্রভৃতির ওপর আক্রমণ চলে।

[iv] বিদ্রোহের অবসান: প্রবল বিক্রমে লড়াই করেও বিদ্রোহী মুন্ডারা শেষপর্যন্ত আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ইংরেজ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়। বহু বিদ্রোহীর ফাঁসি বা কারাদন্ড হয়। এভাবে বিদ্রোহ থেমে যায়। বিরসা মুন্ডা রাঁচি জেলে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।


11. ফরাজি আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।
ফরাজি আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য

ভূমিকা: উনিশ শতকে হাজি শরিয়ৎ উল্লাহর নেতৃত্বে ফরাজি
আন্দোলন (১৮২০-৬২ খ্রি.) ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। যেমন-

[1] ইসলামের শুদ্ধিকরণ: বাংলায় ইসলামের শুদ্ধিকরণের
উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথম ফরাজি আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের প্রবর্তক হাজি শরিয়ৎ উল্লাহ তাঁর অনুগামীদের পবিত্র কোরাণের আদর্শগুলি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

[2] রাজনৈতিক রূপ: ধর্মীয় উদ্দেশ্য নিয়ে ফরাজি আন্দোলন শুরু হলেও এই আন্দোলন শীঘ্রই রাজনৈতিক রূপ নেয়। অত্যাচারী ব্রিটিশ কোম্পানি, জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়।

[3] অত্যাচারের বিরোধিতা: ফরাজি আন্দোলনকারীরা অত্যাচারী জমিদার ও নীলকরদের বাসভবন আক্রমণ করে তাদের আধিপত্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়।

[4] সংগঠন : ইংরেজ বাহিনী, জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে সমগ্র ফরাজিদের সংগঠন গড়ে তোলা হয়।

[5] পঞ্চায়েত ব্যবস্থা: দুদুমিঞা ইসলামের অনুকরণে ন্যায় ও
সাম্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু
করেন।

[6] মুসলিম প্রাধান্য: ফরাজি আন্দোলনে দরিদ্র মুসলিম
কৃষকদের সর্বাধিক প্রাধান্য দেখা যায়। আন্দোলনে অন্যান্য
ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল না।

মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর



12. সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।


উত্তর ; ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের প্রথম পর্যায়ে কৃষিজীবী হিন্দু সন্ন্যাসী ও মুসলমান ফকিরদের নেতৃত্বে বাংলা ও বিহারের কিছু অঞ্চল জুড়ে যে বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল তা সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ নামে পরিচিত।


[i] বিদ্রোহের কারণ: ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ব্যাপ্ত সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের প্রধান কারণগুলি ছিল—

11 তীর্ঘকর আরোপ: ঐতিহ্য অনুসারে সন্ন্যাসী- ফকিররা বিভিন্ন সময় দলবদ্ধভাবে তীর্থভ্রমণে শামিল হত। ইংরেজ শাসকবর্গ রাজস্বের চাপ ছাড়াও তীর্থযাত্রীদের ওপর মাথাপিছু কর ধার্য করে যথেষ্ট অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেছিল।


[ii] রাজস্বের চাপ: ইংরেজ কোম্পানি বাংলা সুবায় উচ্চহারে রাজস্ব নির্ধারণ করায় কৃষিজীবী সন্ন্যাসী ও ফকিররা প্রবল করভারে জর্জরিত হয়ে পড়ে এবং তারা বিদ্রোহের পথ বেছে নেয়।


[iii] মধ্যস্বত্বভোগীদের অত্যাচার : কোম্পানির কর্মচারী, ভারতীয় ইজারাদার প্রমুখ মধ্যস্বত্বভোগীদের শোষণ অত্যাচারে

জর্জরিত সন্ন্যাসী-ফকিররা বিদ্রোহের পথে পা বাড়ায়


[iv] বিদ্রোহের ব্যাপ্তি: ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে সন্ন্যাসীরা প্রথম আক্রমণ করে ঢাকায় ইংরেজ কুঠি। তারপর বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে ক্রমশ ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, রংপুর, দিনাজপুর, পাটনা প্রভৃতি অঞ্চলে।


[v] বিদ্রোহের নায়কবৃন্দ: এই আন্দোলনের নায়কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরানি, মজনু শাহ, চিরাগ আলি, মুসা শাহ প্রমুখ।


[vi] বিদ্রোহের চরিত্র: বড়োলাট ওয়ারেন হেস্টিংস সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহকে ‘হিন্দুস্থানের যাযাবর ও পেশাদার ডাকাতদের উপদ্রব’ বলে চিহ্নিত করলেও, এটি ছিল প্রকৃতরূপে একটি, কৃষকবিদ্রোহ | লেস্টার হ্যাচিনসনের মতে, ১০০ বছর পর বাংলায় যে বিপ্লববাদী আন্দোলন শুরু হয়, এটি ছিল তার অগ্রদূত।



মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৪ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 4 marks pdf / ক্লাস 10 প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস 4 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X history 3rd chapter 4 marks question answer pdf / Class ten history 3rd chapter 4 marks question answer / প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ থেকে অতিসংক্ষিপ্ত, অতিঅতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য -  প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ইতিহাস এর  তৃতীয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History 4 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ইতিহাস প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ তৃতীয় অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ তৃতীয় অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History short Question and Answer 

বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik history 3rd chapter short questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik History Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ 4 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History third chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________









Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url