মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik history third chapter 8 marks question answer | Class 10 history third chapter 8 marks question answer

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ইতিহাস 8 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ । দশম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik history chapter 8 number question answer, মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ইতিহাস ৮ নম্বর অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় pdf download, class 10 history third chapter 8 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE      

      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik History Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X history Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024


দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় রড় প্রশ্ন ও উত্তর


১. মুন্ডা বিদ্রোহ ঘটেছিল কেন? এই বিদ্রোহের ফলাফল কী ছিল? [3+5]

উত্তর ঃ

ভূমিকা: মুন্ডা বিদ্রোহের অপর নাম ছিল উলগুলান। যার অর্থ হল ভয়ংকর বিশৃঙ্খলা। ১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দে বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে সংঘটিত এই বিদ্রোহ ছিল ভারতের অন্যতম আদিবাসী বিদ্রোহ।


[1] বিদ্রোহের কারণ: মুন্ডা বিদ্রোহের পশ্চাতে নানা কারণ ছিল—


[i] ঔপনিবেশিক শোষণ: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের শিকার হয়েছিল মুন্ডা সম্প্রদায়।


[ii] দিকুদের অত্যাচার: মুন্ডারা উত্তরাধিকার সূত্রে যেসব নিষ্কর খেতখামার ও বসতবাড়ি পূর্বসূরীদের কাছ থেকে লাভ করেছিল, ব্রিটিশ সমর্থনপুষ্ট দালাল-দিকুরা তা অত্যাচার এবং বলপূর্বক দখল করেছিল।


[iii] অতিরিক্ত করের বোঝা: সরকার মুন্ডা উপজাতির ঐতিহ্যগত শাসন, আইন ও বিচারসংক্রান্ত রীতিনীতি এবং সামাজিক প্রথার অবসান ঘটিয়ে শস্যের পরিবর্তে নগদ খাজনা দেওয়ার রীতি চালু করলে মুন্ডাদের মনে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে।


[iv] খুন্তকাটি (দখলিকৃত জমি) প্রথার অবসান কোম্পানির কর্মচারীরা মুন্ডাদের খুস্তকাটি প্রথার অবসান ঘটিয়ে সেখানে ব্যক্তিগত মালিকানা স্বত্বের সৃষ্টি করলে মুন্ডারা ক্ষিপ্ত হয়।


[2] ফলাফল: নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও কর্মসূচির অভাব, সাংগঠনিক ব্যর্থতা, যোগ্য নেতার অভাব প্রভৃতি কারণে মুন্ডা বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়। তা সত্ত্বেও এই বিদ্রোহের গুরুত্ব ও ফলাফল অনস্বীকার্য।


[i] প্রজাস্বত্ব আইন পাস: সরকার মুন্ডাদের খুন্তকাটি প্রথাকে স্বীকৃতি জানাতে বাধ্য হয়। এরপর সরকার খ্রিস্টাব্দে ১৯০৮ ছোটোনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন পাস করে।


[ii] রাজনৈতিক চেতনার জাগরণ: মুন্ডা বিদ্রোহ পরাধীন মুন্ডাদের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা জাগ্রত করতে সক্ষম হয়েছিল।


[iii] বিরসা সম্প্রদায়ের জন্ম: বিরসা মুন্ডা ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ২ জুন মারা যান। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি মুন্ডাদের মধ্যে অমর হয়ে রয়েছেন। পরবর্তীকালে তাঁকে সম্মান জ্ঞাপন করে বিরসা সম্প্রদায় নামে একটি নতুন গোষ্ঠীর জন্ম হয়।


উপসংহার: পরিশেষে একথা বলা যেতে পারে যে, মুন্ডা বিদ্রোহ দুঃখ-দারিদ্র্যক্লিষ্ট মুন্ডা আদিবাসীদের মনে আশার আলো জ্বালাতে সক্ষম হয় | মুন্ডারা তাদের রাজনৈতিক অধিকার, সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ক্রমে সচেতন হয়ে ওঠে।



মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন


২. ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য কী ছিল? এই প্রসঙ্গে তিতুমিরের আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করো।[3+5]

উত্তরঃ

ভূমিকা: ইসলাম ধর্মের বিশুদ্ধিকরণের লক্ষ্যে যে আন্দোলনটি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করে তা হল ওয়াহাবিআন্দোলন | ওয়াহাবি কথাটির অর্থ হল পুনরুজ্জীবন না নবজাগরণ।


[1] আন্দোলনের লক্ষ্য: ওয়াহাবি আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল—


[i] কুসংস্কার দূরীকরণ: ইসলাম ধর্মে প্রচলিত নানান কুসংস্কার দূর করে প্রকৃত ইসলাম ধর্মের আদর্শ অনুযায়ী ইসলাম ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করা।


[ii] নৈতিক ও আধ্যাত্মিক আদর্শ: এক সহজ-সরল জীবনযাত্রা এবং নৈতিক ও আধ্যাত্মিক আদর্শের পুনঃপ্রতিষ্ঠার তাগিদেই এই আন্দোলন গড়ে ওঠে।


[iii] ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা: ভারতের স্বাধীনতার প্রধান শত্রু ইংরেজদের ভারত থেকে বিতাড়িত করা।


[2] তিতুমির ও ওয়াহাবি আন্দোলন: ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিলেন রায়বেরিলির সৈয়দ আহমেদ ব্রেলভি। ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে মির নিসার আলি বা তিতুমির বাংলায়ওয়াহাবি আন্দোলনকে সংগঠিত করেন।


[i] তিতুমিরের আন্দোলনের লক্ষ্য: ইসলাম ধর্মকে তার স্বমহিমায় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই ছিলতিতুমিরের লক্ষ্য। তাঁর মূল বক্তব্য ছিল একমাত্র আল্লাহকেই আরাধনা ও মান্য করতে হবে। পির-পয়গম্বরকে মানা চলবে না। ইসলাম ধর্ম-বহির্ভূত সর্বপ্রকার কুসংস্কার ও প্রথা পুরোপুরি পরিত্যাগ করতে হবে। জমিদার, মহাজন, নীলকরদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে তিতুমির যথার্থভাবে সংগঠিত করেন ওয়াহাবি আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। নারকেলবেড়িয়ায় তিতুমির বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন এবং নিজেকে বাদশা বলে ঘোষণা করেন।


[ii] জমিদার কৃষুদেব রায়ের সঙ্গে তিতুমিরের সংঘাত: জমিদাররা এই আন্দোলনের ব্যাপক বিস্তার সুনজরে দেখেনি। এই আন্দোলন প্রতিরোধ করার জন্য পুঁড়ার জমিদার কৃষ্ণদেব রায় ঘোষণা করে যে, প্রত্যেক ওয়াহাবিকে দাড়ি রাখার জন্য আড়াই টাকা জরিমানা দিতে হবে।


[iii] তিতুমিরের মৃত্যু: ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে লর্ড বেন্টিঙ্ক তিতুমিরের আন্দোলন দমন করার জন্য সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেন। ইংরেজ বাহিনী তিতুমিরের স্বাধীন ক্ষমতার প্রতীক বাঁশের কেল্লাটি ধ্বংস করে। তিতুমির পরাজিত ও নিহত হন এবং তাঁর প্রধান সেনাপতি গোলাম মাসুম ধরা পড়েন।


উপসংহার: বিতর্কের মধ্যে না গিয়ে একথা বলা যেতে পারে যে, ধর্মীয় চেতনা এই আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। জমিদার-বিরোধিতা থেকে সরে এই আন্দোলন শেষপর্যন্ত ইংরেজ সরকারেরবিরোধিতায় পর্যবসিত হয়।

জ্

মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় LAQ প্রশ্ন ও উত্তর


৩. নীলবিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো।

ভূমিকা: বাংলার ইংরেজ-বিরোধী কৃষকবিদ্রোহ গুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিদ্রোহ ছিল নীলবিদ্রোহ | ১৮৫৮-৫৯ খ্রিস্টাব্দের এই বিদ্রোহ ছিল কোম্পানি শাসনের অবসানের পর বাংলার প্রথম কৃষকবিদ্রোহ |


[1] নীলবিদ্রোহের কারণ : এই বিদ্রোহের কারণ ছিল নিম্নরূপ —


[i] চরম বঞ্চনা: নীলকর সাহেবরা নিজেদের স্বার্থে জোর করে চাষিদের নীলচাষ করতে বাধ্য করত, যা জমির উর্বরতা কমিয়ে দিত। এর ফলে চাষিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।


[ii] দাদন প্রথা: চাষিদের দিয়ে নীলচাষ করানোর জন্যে নীলকর সাহেবরা বিঘা প্রতি ২ টাকা অগ্রিম দিত, যা দাদন প্রথা নামে পরিচিত ছিল। কৃষকরা অনেকসময় অভাবের দায়ে দাদনের মরণ ফাঁদে পা দিত এবং চরম বঞ্চনার শিকার হত। নীলচাষিদের ওপর নীলকররা মর্মান্তিক অত্যাচার চালাত। 


[iii] উৎপীড়ন: দাদনের ঋণ পরিশোধে অপারণ নীলচাষিদের গোরু-বাছুর, ছাগল, মুরগি, কৃষিজ সরঞ্জাম ইত্যাদি লুঠ করত।


[iv] পত্রপত্রিকার ভূমিকা: তৎকালীন বেশ কিছু পত্রিকা যেমন হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের হিন্দু পেট্রিয়ট নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ও অবহেলার জীবন্ত ছবি তুলে ধরে, যা নীলবিদ্রোহে ইন্ধন জোগায়। নীলবিদ্রোহের পটভূমি তৈরির ক্ষেত্রে ঈশ্বর গুপ্তের সংবাদ প্রভাকর ও অক্ষয়কুমার দত্তের তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার যথেষ্ট ভূমিকা ছিল।


[2] নীলবিদ্রোহের ফলাফল: ফলাফলের বিচারে নীলবিদ্রোহ ছিল একটি সফল কৃষকবিদ্রোহ | ফলাফল ও গুরুত্বের বিচারে এটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ——

[i] চাষবাস কৃষকদের স্বেচ্ছাধীন: সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছিল যে, নীলচাষ কৃষকদের স্বেচ্ছাধীন। এই বিষয়ে কৃষকদের ওপর কোনোরূপ জোর খাটানো যাবে না। এর পরিণতিতে নীলবিদ্রোহের অবসান হয়।


[ii] জাতীয় ঐক্যবোধ: নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ও কৃষকদের স্বার্থরক্ষার জন্য বাংলার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় এগিয়ে আসে এবং এর ফলে জাতীয় ঐক্যবোধের সৃষ্টি হয়।


[iii] দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন: ইংরেজ কর্মচারীদের একাংশ নীলবিদ্রোহের প্রতি সমর্থন দেখিয়েছিলেন। ফলে ভারতীয়দের কাছে ইংরেজদের হিতাকাঙ্ক্ষী রূপও ধরা পড়ে।


উপসংহার: ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি কৃত্রিম উপায়ে নীল উৎপাদনের পদ্ধতি আবিষ্কার করলে ভারতে নীলচাষের গুরুত্ব কমে যায় এবং কৃষিজ নীলের ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যায়। অধ্যাপক চিত্তত পালিতের মতে, জমিদারদের স্বার্থবিরোধী। এই বিদ্রোহে কৃষকদের ভূমিকা ছিল না।



দশম শ্রেণির ইতিহাসের তৃতীয় অধ্যায়ের বড় কোশ্চেন | মাধ্যমিক ইতিহাস ধারণা 8 নং প্রশ্ন উত্তর


১. সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো।

• উত্তর ঃ

ভূমিকা: ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংঘটিত উপজাতি বিদ্রোহের মধ্যে অন্যতম ছিল সাঁওতাল বিদ্রোহ। ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুরশিদাবাদ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় অরণ্যচারী সাঁওতালরা এই বিদ্রোহ করে।


[1] বিদ্রোহের কারণ: ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতাল ধর্ম বিদ্রোহ শুরু হয় কতকগুলি কারণে যথা—

[i] খাজনার হার: নতুন ভূমিব্যবস্থায় সাঁওতালদের ওপর খাজনা ধার্য করা হয়। খাজনার হার ক্রমশ বাড়তে থাকায় তা দেওয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে ওঠে।


[ii] কম মজুরি: লর্ড ডালহৌসির আমলে রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শুরু করা হলে রেলের কর্মচারী ও ঠিকাদাররা সাঁওতালদের নামমাত্র মজুরিতে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করত।


[2] বিদ্রোহের ফলাফল : সাঁওতাল বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর পরোক্ষ ফল ছিল সুদূরপ্রসারী । যথা-

[i] ত্রাসের সঞ্চার: ৬ মাস ধরে চলা সাঁওতালবিদ্রোহ ব্রিটিশ সরকার, জমিদার ও স্থানীয় জনসাধারণের মনে গভীর ত্রাসের সঞ্চার করে।


[ii] আর্থিক বিপর্যয়: সাঁওতাল বিদ্রোহের ফলে ঔপনিবেশিক সরকারের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয় এবং সরকারি রাজকোশে টান পড়ে।


[ii] উচ্চ সুদের হারে ঋণ: সাঁওতালদের ওপর কর আরোপিত হলে অর্থাভাবে মহাজনদের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ হার পর্যন্ত সুদে টাকা ঋণ নিত। এর ফলে ঋণগ্রস্ত সাঁওতালদের ঘটিবাটি ভূ সবই বিক্রি করে মহাজনদের ঋণের টাকা শোধ করতে হত।


[iii] গণসংগ্রাম: আপসহীন গণসংগ্রামের এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত ছিল সাঁওতাল বিদ্রোহ, যাতে অংশগ্রহণ করে সাঁওতাল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যবর্তী আধা-আদিবাসী শ্রেণি ও নিম্নবর্ণের দরিদ্র হিন্দুরা


[iv] নমনীয় সিদ্ধান্ত: সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে গঠিত হয় সাঁওতাল পরগনা এবং সাঁওতালদেরকে পৃথক উপজাতি হিসেবে স্বীকার করা হয়।


উপসংহার: কেউ কেউ সাঁওতাল বিদ্রোহে ধর্মের প্রভাব দেখতে পেলেও এই বিদ্রোহ প্রকৃতপক্ষে ধর্মকেন্দ্রিক ছিল না। ভারতের যুগান্তকারী, মহাবিদ্রোহের অগ্রদূত স্বরূপ সাঁওতাল বিদ্রোহ সমগ্র ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের ভিত্তিমূল পর্যন্ত নাড়িয়ে দিয়েছিল। ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার সাঁওতালদের এই কঠিন সংগ্রামকে স্বাধীনতা সংগ্রামের মর্যাদা দিতে কুণ্ঠিত হননি।


মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৮ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 8 marks pdf / ক্লাস 10 প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X history 3rd chapter 8 marks question answer pdf / Class ten history 3rd chapter 8 marks question answer / প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ থেকে অতিসংক্ষিপ্ত, অতিঅতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য -  প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ইতিহাস এর  তৃতীয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History 8 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ইতিহাস প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ তৃতীয় অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ তৃতীয় অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History short Question and Answer 

বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik history 3rd chapter short questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik History Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন PDF Download 

অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ 8 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History third chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url