অভিব্যক্তি ও অভিযোজন 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Class 10 Life Science fourth chapter 5 marks question answer

অভিব্যক্তি ও অভিযোজন 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।


আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান 5 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর অভিব্যক্তি ও অভিযোজন । দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । অভিব্যক্তি ও অভিযোজন (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik Life Science chapter 5 number question answer, মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অভিব্যক্তি ও অভিযোজন 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।



তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান ৫ নম্বর অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর, গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় pdf download, class 10 Life Science fourth chapter 5 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।



YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE      


  :   আরও পোস্ট দেখো   :  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik Life Science Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X Life Science Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন 2024




দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান অভিব্যক্তি ও অভিযোজন বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান অভিব্যক্তি ও অভিযোজন বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় বড় প্রশ্ন ও উত্তর



1 . প্রাণ সৃষ্টির ধাপগুলি কী কী? পৃথিবীর উৎপত্তি ও তার প্রাচীন পরিবেশ সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

প্রাণ সৃষ্টির ধাপ :

হ্যালডেন-ওপারিন প্রকল্প অনুযায়ী জীবনের উৎপত্তিকে কতকগুলি পর্যায়ে বিভক্ত করা যায়। যেমন—— 


প্রথম পর্যায় পৃথিবীর উৎপত্তি ও তার প্রাচীন পরিবেশ,


দ্বিতীয় পর্যায়—জীবনের রাসায়নিক উৎপত্তি বা কেমোজেনি,


তৃতীয় পর্যায়—জৈবিক বিবর্তন বা বায়োজেনি এবং 4 চতুর্থ পর্যায়—

ইউক্যারিওটিক কোশের আবির্ভাব। পাঠ্যক্রম অনুযায়ী এখানে জীবনের রাসায়নিক উৎপত্তি বা কেমোজেনি অংশটি বিশদে এবং অন্যান্য অংশগুলি সংক্ষেপে বিবৃত হল |


>> পৃথিবীর উৎপত্তি ও প্রাচীন পরিবেশ প্রায় 4.6 বিলিয়ন বছর পূর্বে মহাবিশ্বে সৌর নেবুলা নামক গ্যাস ও ধূলিকণাগুলি সমন্বিত হয় এবং পৃথিবী সৃষ্টি করে। পৃথিবী সৃষ্টির পর প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন মৌলের উত্তপ্ত গ্যাসীয় পিণ্ড ছিল। এই সময়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা ছিল প্রায় 5000-6000°C | পরে উত্তাপ কমার সাথে সাথে গ্যাসগুলি  ঘনীভূত হয়ে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত হয়। পরবর্তীকালে পৃথিবীর উত্তাপ ক্রমশ আরও হ্রাস পায় ও জলচক্রের উৎপত্তি ঘটে। এইভাবেই পৃথিবীতে প্রথম সমুদ্রের আবির্ভাব হয়। আদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে হাইড্রোজেন, জলীয় বাষ্প, মিথেন, অ্যামোনিয়া প্রভৃতি গ্যাস বিন্যস্ত থাকলেও, মুক্ত অক্সিজেন গ্যাস ছিল না। অর্থাৎ পরিবেশ বিজারক প্রকৃতির ছিল।




2. ল্যামাকের বিবর্তন তত্ত্বের মূল বক্তব্যগুলির উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।


বিবর্তন সম্পর্কিত ল্যামার্কের মতবাদ :

ল্যামার্ক 1809 সালে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ফিলজফিক জুলজিক'-এ বিবর্তনের বিজ্ঞানভিত্তিক মতবাদ প্রকাশ করেন। তাঁর মতবাদকে ল্যামার্কবাদ বা ল্যামাকিজম বলে | ল্যামার্কের বিবর্তন তত্ত্বের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়গুলি হল—


অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ শক্তি : জীবনের অভ্যন্তরীণ শক্তির প্রভাবে জীবের সমগ্র দেহ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকার বৃদ্ধি পায়।


চাহিদা থেকে নতুন অঙ্গের সৃষ্টি: পরিবেশের পরিবর্তন সকল জীবকে প্রভাবিত করে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন চাহিদার সৃষ্টি হয়। এই চাহিদার ফলে নতুন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সৃষ্টি হয়।


ব্যবহার ও অব্যবহারের সূত্র: ল্যামার্কের মতে, জীবদেহের কোনো অঙ্গ ক্রমাগত ব্যবহৃত হতে থাকলে অঙ্গটি শক্তিশালী, সবল ও সুগঠিত হয়, পক্ষান্তরে জীবদেহের কোনো অঙ্গ দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকলে সেটি ক্রমশ দুর্বল ও নিষ্ক্রিয় হয় ও অবশেষে অবলুপ্ত হয়ে যায়।


ব্যবহারের সপক্ষে উদাহরণ: বহুকাল আগে জিরাফের গলা ছোটো ছিল। কিন্তু কালক্রমে উঁচু গাছের পাতা খাদ্যরূপে গ্রহণের চেষ্টায় গলাটি ক্রমশ লম্বা হয়ে গেছে। এটি ব্যবহারের সপক্ষে প্রমাণ দেয়।


অব্যবহারের সপক্ষে উদাহরণ: মানুষের পূর্বপুরুষের ল্যাজ ক্রমাগত অব্যবহারের ফলে আজ নিষ্ক্রিয় অঙ্গ কক্সিসে পরিণত হয়েছে। অতীতে উটপাখির ডানা সক্রিয় থাকলেও বংশপরম্পরায় অব্যবহারের ফলে তা নিষ্ক্রিয় অঙ্গে পরিণত হয়েছে। এগুলি অব্যবহারের সপক্ষে যুক্তি দেয়।


অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ: ল্যামার্ক এই সূত্রে বলেন—আপন প্রচেষ্টায় জীবদ্দশায় যেসব বৈশিষ্ট্য জীব অর্জন করে, সেইসব বৈশিষ্ট্য পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে, অর্থাৎ এক জনু থেকে অপর জনুতে সঞ্চারিত হয়। এককথায়, জীবের অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ ঘটে। যেমন—বহুকাল আগে জিরাফের গলা ছোটো ছিল। কিন্তু কালক্রমে উঁচু গাছের পাতা আহরণের চেষ্টায় তা ক্রমশ লম্বা হয়েছে এই লম্বা গলার বৈশিষ্ট্যটি বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়ে আজকের লম্বা গলাযুক্ত জিরাফের আবির্ভাব হয়েছে।


নতুন প্রজাতির উদ্ভব: অর্জিত গুণাবলি বংশপরম্পরায় বাহিত হওয়ার ফলে অনেকগুলি  প্রজন্ম বাদে প্রজাতির মধ্যে পরিবর্তন আসে এবং অবশেষে নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটে। ল্যামার্কের মতে এটাই হল বিবর্তনের মূল পদ্ধতি।




3. ‘জীবাশ্ম’ বা ‘ফসিল' কাকে বলে ? ঘোড়ার বিবর্তনঘটিত প্রমাণের ক্ষেত্রে জীবাশ্মের গুরুত্ব আলোচনা করো।

>> জীবাশ্ম:


>> ঘোড়ার বিবর্তনঘটিত প্রমাণের ক্ষেত্রে জীবাশ্মের গুরুত্ব জীবাশ্ম অভিব্যক্তি বা বিবর্তনের সপক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। বিশেষত ঘোড়ার জীবাশ্মের গুরুত্ব অপরিসীম । কারণ এক্ষেত্রে প্রতিটি যুগের ঘোড়ার জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। এই কারণে ঘোড়ার উৎপত্তি ও ক্রমবিবর্তন সম্পূর্ণরূপে জানা সম্ভব হয়েছে । এই জীবাশ্মগুলি থেকে জানা যায় যে আজ থেকে প্রায় 55 মিলিয়ন বছর পূর্বে পৃথিবীতে প্রথম ঘোড়ার আবির্ভাব হয়। এর নাম ছিল ইওহিপ্পাস| একে ঊষাকালের ঘোড়া বলা হয়। এরা আকারে ছোটো ছিল এবং এদের পা ক্ষুদ্র ও আঙুলযুক্ত ছিল। তৎকালীন বনজ পরিবেশে অভিযোজনের জন্য তাদের আকৃতি এরূপ  ছিল। এরপর, ধীরে ধীরে তৃণভূমি সৃষ্টি হয় ও ঘোড়ার বাসস্থান পরিবর্তিত হয়। এর সাথে সাথে ঘোড়ার বিবর্তন হতে থাকে। তারা ক্রমশ আকারে বড়ো ও সবল পা-যুক্ত হয়ে ওঠে। 


ঘোড়ার বিবর্তনের ক্রম হল-

ইওহিগ্লাস→ মেসোহিপ্পাস → মেরিচিপ্লাস → প্লিওহিপ্পাস → ইকুয়াস


জীবাশ্ম পর্যবেক্ষণ করে ঘোড়ার বিবর্তনঘটিত যে বৈশিষ্ট্যগুলি পাওয়া যায় তা এখানে আলোচনা করা হল— দেহ আকৃতির ক্রমিক বৃদ্ধির মাধ্যমে মাত্র 11 ইঞ্চির(28cm) ইওহিপ্পাস থেকে প্রায় 60 ইঞ্জির(150 cm) ইকুয়াস- এর উৎপত্তি হয়েছে। দৌড়ের জন্য অগ্রপদ এবং পশ্চাপদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি হয়েছে। উভয় পদেরই আঙুলের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ও একটি আঙুলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বৃদ্ধি পেয়ে তা ক্ষুরে পরিণত হয়েছে। 4 গ্রীবার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি হয়েছে। মস্তিষ্কের সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার অংশের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে ও প্রাণীটি বুদ্ধিমান হয়ে উঠেছে। দাঁতের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হল— নিম্নচূড় (low crowned) পেষকদন্তের (molar teeth) উচ্চচূড়ে রূপান্তর (high crowned) হয়ে ঘাস খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠেছে | এইভাবে জীবাশ্ম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঘোড়ার বিবর্তন সম্পর্কিত প্রমাণ পাওয়া যায়। এর থেকে আরও জানা যায়, কীভাবে আদিকালের ঘোড়া থেকে আধুনিক ঘোড়ার উৎপত্তি হল এবং কীভাবে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে তাদের বিবর্তন ঘটল।



4. ঘোড়ার বিবর্তন সংক্ষেপে আলোচনা করো।

অথবা, অভিব্যক্তির সপক্ষে জীবাশ্মঘটিত প্রমাণরূপে ঘোড়ার উদাহরণ ব্যাখ্যা করো।

ঘোড়ার বিবর্তন:

ঘোড়ার বিবর্তন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়—ঘোড়া তার প্রথম পূর্বপুরুষ ইওহিগ্লাস থেকে পরপর আরও তিনটি দশা অতিক্রম করে আধুনিক কালের ঘোড়া অর্থাৎ ইকুয়াস-এ উপনীত হয়েছে। প্রতিটি যুগের ঘোড়ার জীবাশ্ম পাওয়া গেছে বলে এদের বিবর্তনের সম্পূর্ণ ইতিহাস জানা সম্ভব হয়েছে। নীচে বিবর্তনের প্রতিটি পর্যায়ে প্রাপ্ত ঘোড়ার জীবাশ্মের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হল। ইওহিপ্পাস


বৈশিষ্ট্য:

ঘোড়ার আদি পূর্বপুরুষ। প্রায় 55 মিলিয়ন বছর আগে (ইওসিন ইপকে) এই ঘোড়া পৃথিবীতে বসবাস করত। এদের উচ্চতা ছিল প্রায় 11-12 ইঞ্চি (28cm)। এদের সামনের পায়ে 4টি ও পেছনের পায়ে 3টি করে আঙুল ছিল। এদের শরীরের তুলনায় মাথা ও হাত-পা ছোটো ছিল। এদের ঊষাকালের ঘোড়া বলা হয়।


মেসোহিপ্পাস:

বৈশিষ্ট্য:

ইওহিপপাসের পরে এসেছিল মেসোহিগ্লাস, প্রায় 40 মিলিয়ন বছর আগে (অলিগোসিন ইপকো)। এদের উচ্চতা ছিল প্রায় 24 ইঞ্চি (60cm)। এইসময় তৃপভূমির সৃষ্টি হয়, তাই দৌড়োনোর সুবিধার জন্য এদের অগ্রপদের একটি আঙুল হ্রাস পায়। অর্থাৎ এদের সামনের এবং পেছনের পায়ে 3টি করে আঙুল ছিল। এই আঙুলগুলি মাটি স্পর্শ করতে পারত। এদের অন্তর্বর্তী ঘোড়া বলা হয়।




মরুভূমিতে উটের শারীরবৃত্তীয় অভিযোজনগুলি উল্লেখ করো।

>> উটের শারীরবৃত্তীয় অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য মরু অভিযোজনের একটি আদর্শ উদাহরণ হল উট। এর দেহের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নে আলোচিত হল |


(1) উটের অতিরিক্ত জলক্ষয় সহনের অভিযোজন: জলক্ষয় সহনের জন্য উটের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ® উটের দেহে যে ফ্যাট-সমৃদ্ধ কুঁজ থাকে তাতে সঞ্চিত ফ্যাটের জারণে জল ও শক্তি উৎপাদিত হয় (একে বিপাকীয় জল), যা তারা ব্যবহার করে। ® গাঢ় মূত্র ত্যাগের মাধ্যমে উট দেহ থেকে জলের নির্গমন কমায় | © উট প্রায় 135L অবধি জল পান করতে পারে এবং তা পাকস্থলীতে জলধারণকারী কোশে সঞ্চয় করতে পারে। © নিশ্বাসের মাধ্যমে উট যে জলীয় বাষ্প ত্যাগ করে তা নাসাপথে বিন্যস্ত মিউকাস স্তর দ্বারা পুনঃশোষিত হয়ে দেহে ফিরে আসে। © উটের দেহের তাপমাত্রা বাহ্যিক তাপমাত্রার সাথে পরিবর্তিত হয় ও তা ঘামক্ষরণ রোধ করে। 49°C উম্নতাতেও উটের ঘাম নিঃসরণ হয় না।


® উটের লোহিত রক্তকণিকার (RBC) আকৃতিতে অভিযোজন:

A উটের RBC-এর আকৃতি ক্ষুদ্র ও ডিম্বাকার হয় এবং এর জন্য এগুলি জলহীন অবস্থায়ও খুব সরু রক্তবাহের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে।

B অনেকদিন জল না খেয়ে হঠাৎ অনেক জল পান করলেও উটের RBC বিদীর্ণ হয় না। কারণ এদের RBC প্রাথমিক আকারের তুলনায় প্ৰায় 240% বৃদ্ধি পেতে সক্ষম। অর্থাৎ, এদের RBC আকস্মিক অভিস্রবণীয় চাপ সহ্য করতে পারে।



দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের চতুর্থ অধ্যায়ের শর্ট কোশ্চেন|মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান 5 নং প্রশ্ন উত্তর



1. সুন্দরী গাছের লবণ সহনের তিনটি অভিযোজন উল্লেখ করো।

>> সুন্দরীর অতিরিক্ত লবণ সহনের অভিযোজন
সমুদ্রের উপকূলবর্তী বদ্বীপ অঞ্চলে জোয়ারের জলে ধৌত ভূমিতে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড (MgCl2), ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4) প্রভৃতি লবণ বেশি থাকে | মাটিতে লবণ বেশি থাকায় এই অঞ্চলের উদ্ভিদগুলি (হ্যালোফাইট উদ্ভিদ) সহজে জল শোষণ করতে পারে না| এই মাটিতে জল শোষণ কম হয় বলে একে শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক মৃত্তিকা বলে। এই মাটিতে জল শোষণ অসুবিধাজনক বলে সুন্দরী (হেরিটিয়েরা
ফোস) গাছে জল নির্গমনের শারীরবৃত্তীয় পদ্ধতিগুলির অভিযোজন দেখা যায়। যথা— 

মূলের অভিযোজন: এই অঞ্চলের মাটি লবণাক্ত হওয়ায় সুন্দরীর মূল মাটির স্বল্প নীচেই বিস্তৃত থাকে। মাটি কর্দমাক্ত ও বাতাবকাশবিহীন হওয়ায় মাটিতে অক্সিজেন সরবরাহও কম থাকে। তাই বায়ু থেকে অক্সিজেন (O2) গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে প্রশাখা মূলগুলি অভিকর্ষের বিপরীতে মাটির ওপরে উঠে আসে। এই ধরনের মূলকে শ্বাসমূল বা নিউম্যাটোফোর (pneumatophore) বলে । শ্বাসমূলের মাথায় O2 গ্রহণের জন্য শ্বাসছিদ্র বা নিউম্যাথোড থাকে। এ ছাড়াও এদের মূলের ত্বক (এপিব্লেমা) এবং অধস্তক (হাইপোডারমিস্) পুরু হওয়ায় অন্তঃঅভিস্রবণের মাধ্যমে জল শোষিত হওয়ার সময় অতিরিক্ত লবণ শোষণ বাধাপ্রাপ্ত হয়। 

@ কাণ্ডের অভিযোজন: কাণ্ডের শাখা-প্রশাখার বিভিন্ন অঙ্গের কোশে অবস্থিত ভ্যাকুওলের মধ্যে অতিরিক্ত লবণ এরা সঞ্চিত করে রাখে। দেহে লবণ সঞ্চয়ের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হলে এরা বাকল মোচনের মাধ্যমেও অতিরিক্ত লবণ নির্গত করে থাকে। 

পাতার অভিযোজন: জলশোষণের মাধ্যমে গৃহীত অতিরিক্ত লবণ পাতায় অবস্থিত লবণ গ্রন্থির মাধ্যমে নির্গত হয়ে থাকে। অনেক সময়ে উদ্ভিদ পাতায় সঞ্চিত অতিরিক্ত লবণকে পত্রমোচনের
সাহায্যে রেচিত করে থাকে।



মরুভূমিতে উটের শারীরবৃত্তীয় অভিযোজনগুলি উল্লেখ করো।

>> উটের শারীরবৃত্তীয় অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য
মরু অভিযোজনের একটি আদর্শ উদাহরণ হল উট। এর দেহের
অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নে আলোচিত হল।

↑ উটের অতিরিক্ত জলক্ষয় সহনের অভিযোজন: জলক্ষয় সহনের জন্য উটের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্যগুলি হল — A উটের দেহে যে ফ্যাট-সমৃদ্ধ কুঁজ থাকে তাতে সঞ্চিত ফ্যাটের জারণে জল ও শক্তি উৎপাদিত হয় (একে বিপাকীয় জল), যা তারা ব্যবহার করে। 
® গাঢ় মূত্র ত্যাগের মাধ্যমে উট দেহ থেকে জলের নির্গমন কমায় 
© উট প্রায় 135L অবধি জল পান করতে পারে এবং  তাপাকস্থলীতে জলধারণকারী কোশে সঞ্চয় করতে পারে। 

© নিশ্বাসের মাধ্যমে উট যে জলীয় বাষ্প ত্যাগ করে তা নাসাপথে বিন্যস্ত মিউকাস স্তর দ্বারা পুনঃশোষিত হয়ে দেহে ফিরে আসে। 

© উটের দেহের তাপমাত্রা বাহ্যিক তাপমাত্রার সাথে পরিবর্তিত হয় ও তা ঘামক্ষরণ রোধ করে। 49°C উম্নতাতেও উটের ঘাম নিঃসরণ হয় না

© উটের লোহিত রক্তকণিকার (RBC) আকৃতিতে অভিযোজন:
¬ উটের RBC-এর আকৃতি ক্ষুদ্র ও ডিম্বাকার হয় এবং এর জন্য এগুলি জলহীন অবস্থায়ও খুব সরু রক্তবাহের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে।

® অনেকদিন জল না খেয়ে হঠাৎ অনেক জল পান করলেও উটের RBC বিদীর্ণ হয় না। কারণ এদের RBC প্রাথমিক আকারের তুলনায় প্ৰায় 240% বৃদ্ধি পেতে সক্ষম। অর্থাৎ, এদের RBC আকস্মিক অভিস্রবণীয় চাপ সহ্য করতে পারে।


1. ল্যামার্কের বিবর্তন তত্ত্বের মূল বক্তব্যগুলির উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
» বিবর্তন সম্পর্কিত ল্যামার্কের মতবাদ: ল্যামার্ক 1809 সালে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ফিলজফিক জুলজিক’-এ বিবর্তনের বিজ্ঞানভিত্তিক মতবাদ প্রকাশ করেন। তাঁর মতবাদকে ল্যামার্কবাদ বা
ল্যামার্কিজম বলে | ল্যামার্কের বিবর্তন তত্ত্বের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়গুলি হল—
অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ শক্তি : জীবনের অভ্যন্তরীণ শক্তির প্রভাবে জীবের সমগ্র দেহ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকার বৃদ্ধি পায়।

চাহিদা থেকে নতুন অঙ্গের সৃষ্টি: পরিবেশের পরিবর্তন সকল জীবকে প্রভাবিত করে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন চাহিদার সৃষ্টি হয়। এই চাহিদার ফলে নতুন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সৃষ্টি হয়।

ব্যবহার ও অব্যবহারের সূত্র: ল্যামার্কের মতে, জীবদেহের কোনো অঙ্গ ক্রমাগত ব্যবহৃত হতে থাকলে অঙ্গটি শক্তিশালী, সবল ও সুগঠিত হয়,পক্ষান্তরে জীবদেহের কোনো অঙ্গ দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকলে সেটি ক্রমশ দুর্বল ও নিষ্ক্রিয় হয় ও অবশেষে অবলুপ্ত হয়ে যায়।

ব্যবহারের সপক্ষে উদাহরণ: বহুকাল আগে জিরাফের গলা ছোটো ছিল। কিন্তু কালক্রমে উঁচু গাছের পাতা খাদ্যরূপে গ্রহণের চেষ্টায় গলাটি ক্রমশ লম্বা হয়ে গেছে। এটি ব্যবহারের সপক্ষে প্রমাণ দেয়।

অব্যবহারের সপক্ষে উদাহরণ: মানুষের পূর্বপুরুষের ল্যাজ ক্রমাগত অব্যবহারের ফলে আজ নিষ্ক্রিয় অঙ্গ কক্সিসে পরিণত হয়েছে। অতীতে উটপাখির ডানা সক্রিয় থাকলেও বংশপরম্পরায় অব্যবহারের ফলে তা নিষ্ক্রিয় অঙ্গে পরিণত হয়েছে। এগুলি অব্যবহারের সপক্ষে যুক্তি দেয়।

অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ: ল্যামার্ক এই সূত্রে বলেন—আপন প্রচেষ্টায় জীবদ্দশায় যেসব বৈশিষ্ট্য জীব অর্জন করে, সেইসব বৈশিষ্ট্য পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে, অর্থাৎ এক জনু থেকে অপর জনুতে সঞ্চারিত হয়। এককথায়, জীবের অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ ঘটে। যেমন—বহুকাল আগে জিরাফের গলা ছোটো ছিল | কিন্তু কালক্রমে উঁচু গাছের পাতা আহরণের চেষ্টায় তা ক্রমশ লম্বা হয়েছে। এই লম্বা গলার বৈশিষ্ট্যটি বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়ে আজকের লম্বা গলাযুক্ত জিরাফের আবির্ভাব হয়েছে।



3. বর্তনের সপক্ষে ডারউইনের মতবাদ সম্বন্ধে আলোচনা করো।

বিবর্তন সম্পর্কিত ডারউইনের মতবাদ:
ডারউইন 1859 খ্রিস্টাব্দে ‘অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিস বাই মিন্‌স অফ ন্যাচারাল সিলেকশন' (On the Origin of Species by means of Natural Selection) গ্রন্থে জৈব অভিব্যক্তি বা বিবর্তনের ব্যাখ্যা করে যে মতবাদ প্রকাশ করেন, তাকেই ডারউইনবাদ বা ডারউইনিজম বা প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ বলাহয় | ডারউইনের মতবাদের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়গুলি হল—

অত্যধিক মাত্রায় বংশবৃদ্ধি: ডারউইনের মতে জীবের সহজাত বৈশিষ্ট্য হল অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি করা। ডারউইন লক্ষ করেন জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি জ্যামিতিক হারে ঘটে থাকে | উদাহরণ হিসেবে বলা যায়— একটি স্ত্রী স্যামন মাছ একটি প্রজনন ঋতুতে প্রায় তিন কোটি ডিম পাড়ে। একটি ঝিনুক এক বছরে প্রায় 6 মিলিয়ন ডিম্বাণু উৎপাদন করে।

সীমিত খাদ্য ও বাসস্থান: জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে
খাদ্যের উৎপাদন ও পৃথিবীর আয়তন বৃদ্ধি পায় না | জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও তার কাবাসের স্থান এবং জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের সংকট দেখা দেবে।


অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম: একদিকে অত্যধিক জন্মের বা বংশবৃদ্ধির হার, অন্যদিকে খাদ্য ও বাসস্থান গীমিত হওয়ায় প্রতি মুহূর্তে জীবকে বেঁচে থাকার জন্য কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। একে অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম বলা হয়। এই সংগ্রাম মূলত তিন প্রকার-
অন্তঃগ্রজাতি সংগ্রাম: খাদ্য, বাসস্থান প্রভৃতির জন্য একই
প্রজাতির জীবগোষ্ঠীর মধ্যে সংগ্রাম হয় কারণ তারা একই প্রকৃতির
অন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম খাদ্য ও বাসস্থান ব্যবহার করে।

আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম: খাদ্য,বাসস্থান প্রভৃতির জন্য বিভিন্ন প্রজাতির জীবগোষ্ঠীর মধ্যেও সংগ্রাম আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম
হয়ে থাকে। 

পরিবেশগত সংগ্রাম: প্রতিটি জীবকে প্রতিনিয়ত
বিভিন্ন পরিবেশগত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। অত্যধিক বা কম আর্দ্রতা, তাপমাত্রা এবং বন্যা, খরা, ভূমিকম্প প্রভৃতি দুর্যোগের বিরুদ্ধে প্রতিটি জীবকে সংগ্রাম করতে হয়।

প্রকরণ বা ভ্যারিয়েশন ও তার বংশানুসরণ: ডারউইনের মতে,
পৃথিবীতে যে-কোনো দুটি জীব কখনোই অবিকল একই রকমের হতে পারে না, কিছু-না-কিছু পার্থক্য অবশ্যই থাকবে। এই পার্থক্যকেই ভ্যারিয়েশন বা প্রকরণ বা ভেদ বলে | অনুকূল প্রকরণ (favourable variation) জীবনসংগ্রামে জীবকে সাহায্য করে। অপরদিকে প্রতিকূল প্রকরণ জীবের বিলুপ্তির কারণ হয়।

প্রাকৃতিক নির্বাচন ও যোগ্যতমের উদ্বর্তন: ডারউইনের মতে,
জীবনসংগ্রামের ফলে উদ্ভূত প্রকরণগুলির মধ্যে কিছু অনুকূল ও কিছু প্রকরণ প্রতিকূল হয়। অনুকূল প্রকরণগুলি জীবকে অভিযোজনে সহায়তা করে কিন্তু প্রতিকূল প্রকরণগুলি অভিযোজনে সহায়তা করতে পারে না। ফলে প্রতিকূল প্রকরণযুক্ত জীব ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয় এবং অনুকূল প্রকরণযুক্ত জীব পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য নির্বাচিত হয়। একে যোগ্যতমের উদ্বর্তন বলে। প্রকৃতি উপযুক্ত প্রকরণযুক্ত জীবকে টিকে থাকার জন্য নির্বাচন করে। একে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলা হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিজ্ঞানী হারবার্ট স্পেনসার সর্বপ্রথম ‘যোগ্যতমের
উদ্বর্তন’ কথাটি প্রস্তাব করেন। ডারউইন পরবর্তীকালে তাঁর তত্ত্বের
মধ্যে কথাটি অত্যন্ত সংগতভাবে ব্যবহার করেন।

নতুন প্রজাতির উৎপত্তি: একটি বিশেষ জীবগোষ্ঠীর মধ্যে অনুকূল প্রকরণগুলি পুঞ্জীভূত হওয়ায় বেশকিছু প্রজন্ম পরে পূর্বপুরুষ ও উত্তরপুরুষের মধ্যে অনেক বেশি বৈসাদৃশ্য দেখা দেয়। এর ফলে কালক্রমে একটি নতুন প্রজাতির উৎপত্তি ঘটে।
[পরীক্ষায় সবকটি প্রতিপাদ্য বিষয় একসাথে নাও আসতে পারে। এখানে শিক্ষার্থীদের বোঝার সুবিধার্থে সব বিষয়গুলি একসাথে দেওয়া হল।]


5. ‘জীবনসংগ্রাম’ বলতে কী বোঝ ? যোগ্যতমের উদ্বর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন কীভাবে ঘটে?



6. প্রাকৃতিক নির্বাচন বলতে কী বোঝ ? ডারউইন-এর তত্ত্বের ত্রুটিগুলি উল্লেখ করো।

প্রাকৃতিক নির্বাচন : প্রকৃতির দ্বারা জীবজগতের মধ্যে উপযুক্ত জীবের নির্বাচনকেই প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে | জীবনসংগ্রামে জয়ী যোগ্যতম জীবে উদ্‌দ্বর্তিত হবার মাধ্যমেই এটি ঘটে থাকে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়ে জীবনসংগ্রামে জয়ী হতে হলে জীবকে কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে হয়। জীবের এই অর্জিত বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবেশের সাপেক্ষে অনুকূল ও প্রতিকূল দুই-ই হতে পারে | অনুকূল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবগুলির পৃথিবীতে টিকে থাকে ও প্রকৃতিতে তাদেরই নির্বাচন ঘটে। প্রতিটি জীবের বৈশিষ্ট্যগত এই পার্থক্যকেই ডারউইন প্রকরণ বলেন। এই প্রসঙ্গে ডারউইন বলেন যে, অনুকূল প্রকরণ-সমন্বিত



7. ‘যোগ্যতমের উদ্বর্তন’ বলতে কী বোঝ ? লুপ্তপ্রায় অঙ্গ কীভাবে উৎপন্ন হয়, তা উদাহরণ সহযোগে লেখো।
যোগ্যতমের উদ্বর্তন:
‘যোগ্যতম’ হল ‘বহুর মধ্যে যে যোগ্য', আর ‘উদ্বর্তন’ হল ‘জীবনসংগ্রামে বা প্রাকৃতিক নির্বাচনে টিকে থাকা’ | প্রকৃতির প্রতিকূল পরিবেশে অবিরাম সংগ্রামের মাধ্যমে অভিযোজিত হয়ে অনুকূল প্রকরণ সৃষ্টির মাধ্যমে কিছু জীব নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে। আবার কিছু জীব প্রতিকূল প্রকরণের জন্য পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়ে যায় | অর্থাৎ, জীবনসংগ্রামে জয়ী
যোগ্যতম জীবই বেঁচে থাকে। ডারউইন একেই বলেছেন, ‘যোগ্যতমের উদ্বর্তন' (survival of the fittest)। (যদিও এই কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন হারবার্ট স্পেনসার)।


যোগ্যতমের উদ্বর্তনের উদাহরণ: উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অনুকূল প্রকরণ সৃষ্টির জন্য লম্বা গলাযুক্ত জিরাফ আজও টিকে রয়েছে। অন্যদিকে প্রতিকূল প্রকরণের জন্য খর্ব গলাযুক্ত জিরাফ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

>> লুপ্তপ্রায় অঙ্গের উৎপত্তি: পরিবেশের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জীবদেহের সুগঠিত এবং একদা সক্রিয় থাকা কোনো কোনো অঙ্গের কর্মক্ষমতা লোপ পেয়ে দুর্বল ও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নিষ্ক্রিয় বা লুপ্তপ্রায় অঙ্গের উৎপত্তি ঘটায়।

প্রাণীর লুপ্তপ্রায় অঙ্গের উদহারণ: মানুষের বহিঃকর্ণ নাড়ানোর পেশি,চোখের উপপল্লব, অ্যাপেনডিক্স ইত্যাদি, তিমির শ্রোণিচক্রের অস্থি, উটপাখির ডানা ইত্যাদি ।

উদ্ভিদের লুপ্তপ্রায় অঙ্গের উদহারণ: ভূনিম্নস্থ কাণ্ডের শল্কপত্র, বেনেবউ ও স্বর্ণলতার দেহে অবস্থিত আঁশের মতো পাতা, শতমূলী গাছের গর্ভকেশর, নারকেল গাছের তিনটি গর্ভকেশরের মধ্যে দুটি কধ্যা গর্ভকেশর, কালকাসুন্দার বন্ধ্যা পুংকেশর বা স্ট্যামিনোড ইত্যাদি।




মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৫ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 5 marks pdf / ক্লাস 10 অভিব্যক্তি ও অভিযোজন 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 জীবন বিজ্ঞান 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X Life Science 3rd chapter 5 marks question answer pdf / Class ten Life Science 3rd chapter 5 marks question answer / অভিব্যক্তি ও অভিযোজন রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | অভিব্যক্তি ও অভিযোজন থেকে রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Life Science Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য -  অভিব্যক্তি ও অভিযোজন অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান এর  চতুর্থ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science 5 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অভিব্যক্তি ও অভিযোজন প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অভিব্যক্তি ও অভিযোজন’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  অভিব্যক্তি ও অভিযোজন অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান অভিব্যক্তি ও অভিযোজন চতুর্থ অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান অভিব্যক্তি ও অভিযোজন চতুর্থ অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science short Question and Answer 



বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik Life Science 4th chapter long questions answers pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

Adddddd

  Download  Click Here to Download 

Adddddddd

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik Life Science Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অভিব্যক্তি ও অভিযোজন 5 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Life Science fourth chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url