জীবনের প্রবহমানতা 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর
দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Class 10 Life Science second chapter 5 marks question answer
আসসালামু আলাইকুম,
তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।
আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান 5 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর জীবনের প্রবহমানতা । দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । জীবনের প্রবহমানতা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik Life Science chapter 5 number question answer, মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের প্রবহমানতা 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে ।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান ৫ নম্বর অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর, গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় pdf download, class 10 Life Science second chapter 5 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।
YouTube Link - . OUR ONLINE SCHOOL SUBSCRIBE
আরও পোস্ট দেখো B
এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।
Madhyamik Life Science Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X Life Science Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন 2024
দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান জীবনের প্রবহমানতা বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান জীবনের প্রবহমানতা বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন ও উত্তর
1. একটি আদর্শ ইউক্যারিওটিক ক্রোমোজোমের অংশগুলির নাম লেখো। সেন্ট্রোমিয়ার ও টেলোমিয়ারের কাজ কী কী?
উত্তর: আদর্শ ইউক্যারিওটিক ক্রোমোজোমের অংশ :
একটি আদর্শ ইউক্যারিওটিক ক্রোমোজোমের অঙ্গসংস্থানে প্রাপ্ত অংশগুলি হল— ক্রোমাটিড, ® মুখ্য খাঁজ ও সেন্ট্রোমিয়ার ও গৌণ খাঁজ, 4 স্যাটেলাইট এবং 5 টেলোমিয়ার।
» সেন্ট্রোমিয়ার ও টেলোমিয়ারের কাজ
এই অংশের জন্য ‘রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর’-এর 1 নং প্রশ্নের উত্তরের ‘মুখ্য খাঁজ ও সেন্ট্রোমিয়ার’ এবং ‘টেলোমিয়ার’ অংশ দ্রষ্টব্য।
2. সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুসারে ক্রোমোজোমের প্রকারভেদ করো ও বিভিন্ন প্রকারের বর্ণনা দাও।
উত্তর: সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুসারে ক্রোমোজোম চার প্রকার, যথা—
i. টেলোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম, ii. অ্যাক্রোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম,
iii. সাবমেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম এবং iv.মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
টেলোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম: যে ক্রোমোজোমে সেন্ট্রোমিয়ারটি
ক্রোমোজোমের একেবারে প্রান্তে অবস্থান করে তাকে টেলোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম বলে | অ্যানাফেজীয় চলনকালে এই ক্রোমোজোম দেখতে‘I’ আকৃতি মতো হয় |
অ্যাক্রোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম: যে ক্রোমোজোমে সেন্ট্রোমিয়ারটি ক্রোমোজোমের মধ্যবিন্দু থেকে দূরে কিন্তু কোনো একটি প্রান্তের কাছাকাছি থাকে তাদের অ্যাক্রোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম বলে । এর ফলে ক্রোমোজোমের একটি বাহু বেশ বড়ো এবং অন্য বাহুটি বেশ ছোটো হয়। অ্যানাফেজীয় চলনকালে এই ধরনের ক্রোমোজোম দেখতে অনেকটা ‘J’ আকৃতির মতো হয়।
সাবমেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম: যে ক্রোমোজোমে সেন্ট্রোমিয়ারটি ক্রোমোজোমের মধ্যবিন্দু থেকে সামান্য দূরে অবস্থান করে এবং এর ফলে ক্রোমোজোমের বাছুদুটি পরস্পর অসমান সাবমেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম বলে। অ্যানাফেজীয় চলনকালে এই ধরনের ক্রোমোজোম দেখতে অনেকটা ‘L’ আকৃতির হয়।
ক্রোমোজোমের প্রকারভেদ :
মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম: যে ক্রোমোজোমে সেন্ট্রোমিয়ারটি
ক্রোমোজোমের প্রায় মাঝখানে অবস্থান করে এবং এর ফলে
ক্রোমোজোমের বাহুদুটি পরস্পর প্রায় সমান হয়, তাকে মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম বলে | অ্যানাফেজীয় চলনকালে এই প্রকার ক্রোমোজোম দেখতে অনেকটা ‘V’ আকৃতির মতো হয়।
3. কোশচক্র বলতে কী বোঝ? কোশচক্রের বিভিন্ন দশা বর্ণনা করো।
উত্তর: কোশচক্র:
কোশ বিভাজনে নতুন কোশ সৃষ্টি থেকে পরবর্তী কোশ বিভাজন পর্যন্ত কোশে সংঘটিত ধারাবাহিক, ছন্দোবদ্ধ ও চক্রাকার ঘটনাক্রমকে কোশচক্র বলে।
কোশচক্রের বিভিন্ন দশা:
কোশচক্রের প্রধান দুটি দশা বর্তমান, যথা— ইনটারফেজ বা অবিভাজন দশা এবং 2 মাইটোটিক বা বিভাজন দশা।
ইনটারফেজ: কোশচক্রের অন্তর্গত যে দীর্ঘস্থায়ী দশায় DNA,
প্রোটিন, RNA প্রভৃতি সংশ্লেষিত হয় এবং কোশ বিভাজনে উপযোগী হয়ে ওঠে, তাকে ইনটারফেজ বলে। এটি তিনটি উপদশায় বিভক্ত, যথা—G1 দশা, S দশা এবং G2 দশা।
@ G↑ দশা (প্রারম্ভিক দশা বা প্রাক্সংশ্লেষ দশা): পূর্ববর্তী কোশ বিভাজনের শেষ ও S উপদশার মধ্যবর্তী এই উপদশায় rRNA, mRNA এবং tRNA, রাইবোজোম, DNA সংশ্লেষের উপাদান প্রভৃতি সংশ্লেষিত হয় | এ ছাড়া বিভিন্ন কোশীয়
অঙ্গাণু দ্বিগুণিত হয়। একে প্রথম বৃদ্ধি দশা-ও বলে।
Sদশা (সংশ্লেষ দশা): G1 ও G2 দশার মধ্যবর্তী এই দশায় DNA-র প্রতিলিপিকরণ ও হিস্টোন প্রোটিন সংশ্লেষ ঘটে। এই দশায় DNA-এর মাত্রা দ্বিগুণিত হয়ে 2C থেকে 4C হয়|
G2 দশা (সংশ্লেষ পরবর্তী দশা): S উপদশা ও মাইটোটিক দশার মধ্যবর্তী এই উপদশায় কোশ বিভাজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন সংশ্লেষিত হয় | একে দ্বিতীয় বৃদ্ধি দশা-ও বলে।
মাইটোটিক দশা: ইনটারফেজের পরবর্তী অপেক্ষাকৃত স্বল্পস্থায়ী কোশ বিভাজন দশাকে মাইটোটিক বা M দশা বলে। এই দশায় কোশ বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোশ গঠন করে। এর দুটি উপদশা। এর প্রথম উপদশাটি হল ক্যারিওকাইনেসিস বা নিউক্লিয়াস বিভাজন | এই দশায় প্রোফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ এবং টেলোফেজ-এর মাধ্যমে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয় | অপর উপদশাটি হল সাইটোকাইনেসিস বা সাইটোপ্লাজম বিভাজন | টেলোফেজ দশায় নিউক্লিয়াস বিভাজনের
সঙ্গে সঙ্গেই সাইটোপ্লাজমের বিভাজন শুরু হয়ে যায়। মানবদেহের নির্দিষ্ট কোশ বিভাজনের জন্য মোট প্রায় 20-24 ঘণ্টা সময়
লাগলে তার প্রায় 19-23 ঘণ্টা শুধুমাত্র ইনটারফেজ দশা সম্পন্ন করতে ও বাকি 1 ঘণ্টা সময় কোশ বিভাজনের জন্য ব্যয়িত হয়।
4. কোশচক্রের দুটি গুরুত্ব লেখো। কোশ বিভাজনের তাৎপর্য লেখো।
উত্তর: কোশচক্রের গুরুত্ব
কোশ বিভাজন নিয়ন্ত্রণ: কোশচক্রের কতক-গুলি নির্দিষ্ট বিন্দুতে কোশ বিভাজন নিয়ন্ত্রিত হয় | কোশচক্রের নিয়ন্ত্রণ বিন্দুগুলি বিনষ্ট হলে কোশ বিভাজন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে, অনিয়ন্ত্রিত কোশ বিভাজন দ্বারা টিউমার সৃষ্টি হয় | টিউমার দুই প্রকার হয় | যেমন—বিনাইন টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার | বিনাইন টিউমারগুলি দেহের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। তবে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের কোশগুলি পার্শ্ববর্তী কোশের সঙ্গে সংলগ্ন না থেকে রক্ত বা লসিকা দ্বারা বাহিত হয় ও অপর স্থানে গিয়ে পুনরায় টিউমার তৈরি করে। এই ঘটনাকে মেটাস্ট্যাসিস বলে। মেটাস্ট্যাসিস প্রকৃতপক্ষে ক্যানসারের কোশের বৈশিষ্ট্যবিশেষ।
6. ‘মাইটোসিস কোশ বিভাজনের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: মাইটোসিস কোশ বিভাজনের গুরুত্ব :
উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহকোশে মাইটোসিস কোশ বিভাজন ঘটে। এর গুরুত্বগুলি নিম্নরূপ।
জীবদেহের আকার ও আয়তন বৃদ্ধি: মাইটোসিস প্রক্রিয়ায়
দেহকোশের ক্রমাগত বিভাজনের ফলে কোশের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে জীবদেহের আকার ও আয়তন বৃদ্ধি পায় যা জীবের সামগ্রিক বৃদ্ধি ঘটায় | এককোশী জাইগোট মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে বহুকোশী জীবের সৃষ্টি করে।
কোশ প্রতিস্থাপন এবং ক্ষয়পূরণ: দেহের ক্ষয়প্রাপ্ত ও মৃতকোশ
মাইটোসিস পদ্ধতিতে সৃষ্ট নতুন কোশ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় | ফলে সেই অংশের ক্ষয়পূরণ ঘটে। যেমন—আমাদের কোনো স্থান কেটে গেলে মাইটোসিস দ্বারা উৎপন্ন কোশ দ্বারা প্রতিস্থাপন ও ক্ষয়পূরণ ঘটে থাকে। ত্বকের এপিডারমাল কোশও অনবরত বিনষ্ট হয়, তাও অনবরত প্রতিস্থাপিত হয়ে থাকে।
পুনরুৎপাদন: বিভিন্ন প্রাণীর দেহাংশ দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে
মাইটোসিস বিভাজনের দ্বারা তা পুনরুৎপাদিত হয়। যেমন—কবচী
প্রাণীদের (কাঁকড়া) পদ, তারামাছের বাহু আঘাত বা অন্য কোনো
কারণে দেহ থেকে বিছিন্ন হলে, মাইটোসিস বিভাজনের দ্বারা
পুনরুৎপাদিত হয়।
প্রজনন: নিম্নশ্রেণির এককোশী জীবদেহে অযৌন জননের জন্য
মাইটোসিস কোশ বিভাজন অত্যাবশ্যকীয়। অ্যামিবা, প্যারামেসিয়াম, ঈস্ট প্রভৃতি এককোশী জীবের অযৌন জনন মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে হয় | আবার বিভিন্ন উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন মাইটোসিস পদ্ধতি দ্বারাই ঘটে থাকে । যেমন—কচুরিপানা, মিষ্টি আলু, পাথরকুচির অঙ্গজ জনন প্রভৃতি।
সমবিভাজন : মাইটোসিস পদ্ধতিতে সৃষ্ট দুটি অপত্য কোশ গুণগত ও পরিমাণগত বিচারে অর্থাৎ ক্রোমোজোম সংখ্যা ও অন্যান্য উপাদানের পরিমাণ এবং ক্রোমোজোমের সজ্জাগত বিচারে মাতৃকোশের সমান হয়।
7. জনন কাকে বলে? জননের প্রয়োজনীয়তা বা জননের গুরুত্ব উল্লেখ করো।
উত্তর: জনন :
জননে প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব :
জীবজগতে জননের গুরুত্ব অপরিসীম | জননের প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্বগুলি নিম্নরূপ |
অস্তিত্ব রক্ষা করা: জননের সাহায্যে জীব নতুন অপত্য সৃষ্টি করে ফলে তার নিজ প্রজাতির সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং প্রজাতির অস্তিত্ব বজায় থাকে।
বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারাবাহিকতা অটুট রাখা: জননের ফলে নতুন অপত্য জীব সৃষ্ট হয়। এর ফলে জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্যের
ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষা: জীবের মৃত্যুর ফলে জীবের সংখ্যার হ্রাস ঘটে। জননের ফলে নতুন জীব সৃষ্টির মাধ্যমে মৃত্যুজনিত সংখ্যাহ্রাস পূরণ হয়। এর ফলে পৃথিবীতে জীবের ভারসাম্য তথা বাস্তুতান্ত্রিক সাম্য বজায় থাকে।
জীব অভিব্যক্তি : যৌন জননের দ্বারা জীবদেহে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি ঘটে। আবার, মিউটেশনের ফলে জীবদেহের মধ্যে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য বা ভেদ বা প্রকরণের উদ্ভব হয়। প্রকরণ জীবের অভিযোজন ও অভিব্যক্তিতে সহায়তা করে।
8. জীবদেহে দেখা যায় অযৌন জনন পদ্ধতিগুলি কী কী উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর: অযৌন জনন পদ্ধতিসমূহ*
জীবদেহে যেসব অযৌন জনন পদ্ধতি দেখা যায়, সেগুলি হল—
বিভাজন: অধিকাংশ এককোশী জীবে মাইটোসিস বা অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজন পদ্ধতির দ্বারা দুটি (দ্বিবিভাজন) বা দুইয়ের অধিক (বহুবিভাজন) নতুন অপত্য সৃষ্টি করার পদ্ধতিকে বিভাজন বলে | নীচে বিভাজন পদ্ধতির কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল।
অ্যামিবা: [i] দ্বিবিভাজন — অনুকূল পরিবেশে অ্যামিবা-র নিউক্লিয়াসটি অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে দ্বিবিভাজিত হয়। এর সাইটোপ্লাজম বিভাজনরত নিউক্লিয়াসের লম্বতলে (90°) খাঁজ (furrow) সৃষ্টি করে বিভাজিত হয় ও দুটি অপত্য সৃষ্টি করে।
[ii] বহুবিভাজন—প্রতিকূল পরিবেশে অ্যামিবা-র ক্ষগপদ বিনষ্ট হয় ও সিস্ট প্রাচীর (cyst wall) দ্বারা আবদ্ধ হয় | সিস্টের মধ্যে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের বহুবিভাজন দ্বারা অসংখ্য ক্ষুদ্র স্পোর তৈরি হয়। এইপ্রকার বহুবিভাজনকে স্পোরুলেশন বলে| পরিবেশ অনুকূল হলে সিস্ট প্রাচীর বিদীর্ণ করে স্পোরগুলি মুক্ত হয় ও নতুন অ্যামিবা সৃষ্টি করে।
প্লাসমোডিয়াম: এক্ষেত্রে বহুবিভাজন দুটি দশায় ঘটে— সাইজন্ট এবং স্পোরন্ট | সাইজন্ট এবং স্পোরন্ট দশায় স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার পাকস্থলীতে যথাক্রমে সাইজোগনি ও স্পোরোগনি নামক বহুবিভাজন দ্বারা অসংখ্য অপত্য প্লাসমোডিয়াম তৈরি হয় | সাইজোগনি এবং স্পোরোগনি দ্বারা সৃষ্ট অপত্য গ্লাসমোডিয়াম-দের যথাক্রমে মেরোজয়েট ও স্পোরোজয়েট বলে |
কোরকোগম: যে বিশেষ ধরনের অযৌন জনন পদ্ধতিতে জনিতৃ
জীবদেহের কোনো প্রবর্ধিত দেহাংশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিচ্যুত হয়ে অপত্য জীবদেহ সৃষ্টি করে তাকে কোরকোগম বা বাড়িং বলে। নীচে কোরকোগম পদ্ধতির কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল |
ঈস্ট: ঈস্ট মাতৃকোশের অসমান বিভাজনের ফলে ক্ষুদ্র প্রবর্ধকের
মতো কোরক সৃষ্টি হয়, যার মধ্যে জনিতৃ নিউক্লিয়াস বিন্যস্ত থাকে।
পরবর্তীকালে মাতৃদেহ থেকে কোরকটি বিচ্ছিন্ন হয় ও নতুন অপত্য
ঈস্ট তৈরি করে। বিশেষ ক্ষেত্রে, টরুলা দশায় ঈস্টের কোরকটি
টরুলেশন পদ্ধতিতে বার বার বিভাজিত হয়ে ছদ্ম মাইসেলিয়াম গঠন করে।
হাইড্রা: হাইড্রা-র কোরক জনিতৃর দেহের বাইরে সৃষ্টি হয়
(এক্সোজেনাস বাড়)। প্রথমে প্রবর্ধকরূপে সৃষ্টি হওয়ার পর অপত্য
হাইড্রা-র মুখছিদ্র, কর্ষিকা প্রভৃতির গঠন সম্পূর্ণ হয় এবং সেটি মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।
খণ্ডীভবন: যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে জনিতৃ জীবের দেহ দুই বা
ততোধিক খণ্ডে ভেঙে যায় ও প্রতিটি খণ্ড অপত্যের সৃষ্টি করে, তাকে খণ্ডীভবন বলে | উদাহরণ—স্পাইরোগাইরা নামক শৈবালের সূত্রাকার দেহটি জলস্রোতের প্রভাবে বা আঘাতজনিত কারণে খণ্ডিত হয়ে যায়। প্রতিটি দেহাংশ মাইটোসিস কোশ বিভাজন পদ্ধতি দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে নতুন অপত্য জীব সৃষ্টি করে।
পুনরুৎপাদন: যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে জনিতৃ জীবের সামান্য দেহাংশ সম্পূর্ণ নতুন জীব সৃষ্টি করে, তাকে পুনরুৎপাদন বলে। এইপ্রকার অযৌন জনন পদ্ধতিকে মরফাল্যাক্সিস বলে | (পক্ষান্তরে, দেহের সামান্য অংশ বিচ্ছিন্ন হলে সেই হারানো দেহাংশ পুনঃস্থাপনকে বলে এপিমরফোসিস)। উদাহরণ—প্ল্যানেরিয়া নামক চ্যাপটা কৃমির কোশদেহের যে-কোনো অংশ বিচ্ছিন্ন হলে, প্রতিটি বিচ্ছিন্ন অংশ থেকে নতুন অপত্যের সৃষ্টি হয়। প্ল্যানেরিয়া ছাড়া স্পঞ্জ, হাইড্রা-তেও পুনরুৎপাদন দেখা যায় |
রেণু উৎপাদন: যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে মস, ফার্ন ও ছত্রাকদেহে সৃষ্ট এককোশী রেণু জনিতৃ দেহ থেকে আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন অপত্য সৃষ্টি করে, তাকে রেণু উৎপাদন বা স্পোরুলেশন বলে | নীচে রেণু উৎপাদন পদ্ধতির কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল।
ছত্রাক:ছত্রাকে বিভিন্নরকম গঠনের এবং গমন ক্ষমতাযুক্ত বা গমন ক্ষমতাবিহীন রেণু দেখা যায়, যা উপযুক্ত পরিবেশে অঙ্কুরিত হয়ে অপত্য ছত্রাক গঠন করে। বিভিন্ন ধরনের রেগুগুলি হল—চলন ক্ষমতাযুক্ত জুস্পোর, চলন ক্ষমতাবিহীন অ্যাপ্লানোস্পোর, পুরু প্রাচীরযুক্ত ক্ল্যামাইডোস্পোর, অণুসূত্র খণ্ডীভবনের দ্বারা সৃষ্ট ওইডিয়া ও কনিডিয়া, স্পোরানজিয়ামে উৎপন্ন স্পোরানজিওস্পোর। ® মস ও ফার্ন: মসের
9. ডিম্বক কী লেখো এবং লম্বচ্ছেদে ডিম্বকের চিহ্নিত চিত্রসহ গঠন বর্ণনা করো।
উত্তর: ডিম্বক: যে ত্বকবেষ্টিত গর্ভকেশরের অংশ থেকে বীজ গঠিত হয় ও যা স্ত্রীরেণুকে ধারণ করে, তাকে ডিম্বক বলে |
» ডিম্বকের গঠন
ডিম্বকের বিভিন্ন অংশগুলি নীচে উল্লেখ করা হল।
ডিম্বকবৃন্ত: পরিণত ডিম্বকের একটি ছোটো বৃত্ত থাকে, যা ডিম্বককে অমরার সাথে সংযুক্ত রাখে। একে ডিম্বকবৃন্ত বলে |
ডিম্বকমূল: ডিম্বকের যে অংশ থেকে ডিম্বকত্বক উৎপন্ন হয়, তাকে ডিম্বকমূল বলে |
ডিম্বকনাভি: ডিম্বকবৃত্তের সঙ্গে ডিম্বকমূলের সংযোগস্থলকে ডিম্বকনাভি বলে |
ডিম্বকত্বক: ডিম্বকের আবরণীকে ডিম্বকত্বক বলে|
ভ্ৰূণপোষক কলা: ডিম্বকত্বকের নীচে অবস্থিত যে কলা ডিম্বকের ভ্রূণস্থলীকে ঘিরে রাখে, সেই কলাগুচ্ছকে ভ্ৰূণপোষক কলা বলে |
ডিম্বকরন্জ: ডিম্বকত্বক ভ্ৰূণপোষক কলাকে সম্পূর্ণভাবে আবৃত রাখে না। এই অনাবৃত অংশকে ডিম্বকরন্ধু বলে।
ভ্ৰূণস্থলী: ভ্ৰূণপোষক কলার ভিতরে একটি বৃহৎ থলির মতো কোশ বর্তমান থাকে, যাকে ভ্রূণস্থলী বা ভ্রূণাধার বলে। এটি ডিম্বকের প্রধান কোশ | প্রতিটি ভ্ৰূণস্থলীতে ৪ টি হ্যাপ্লয়েড (n) নিউক্লিয়াস বিশেষভাবে বিন্যস্ত থাকে, যার মধ্যে 3 টি ডিম্বকরন্ধ্রের দিকে অবস্থিত। এদের একত্রে গর্ভযন্ত্র বলে। এই তিনটির মধ্যে একটিকে ডিম্বাণু ও বাকি দুটিকে সহকারী কোশ বলে। ভ্রূণস্থলীর মাঝে দুটি নিউক্লিয়াস যুক্ত হয়ে ডিপ্লয়েড (2n) ক্রোমোজোম-বিশিষ্ট নির্ণীত নিউক্লিয়াস গঠন করে। ডিম্বকরন্ধ্রের বিপরীত দিকে বর্তমান 3টি নিউক্লিয়াসকে একত্রে প্রতিপাদ কোশসমষ্টি বলে |
দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় কোশ্চেন|মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় LAQ প্রশ্ন ও উত্তর
10. মানব বিকাশের প্রধান পাঁচটি দশার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর: মানব বিকাশের প্রধান পাঁচটি দশা : মানব বিকাশের প্রধান পাঁচটি দশা হল—সদ্যজাত, শৈশব, বয়ঃসন্ধি, পরিণত
দশা ও অন্তিম পরিণতি দশা বা বার্ধক্য।
সদ্যোজাত: জন্মের সময় থেকে শুরু করে প্রথম মাস পর্যন্ত
সময়কালকে সদ্যোজাত দশা বলা হয় | এই দশায় শিশু অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটায় | এইসময়ে শিশুর দেহে বিপাকের হার খুব বেশি থাকে। শিশু মায়ের মুখ, প্রাথমিক বর্ণ, আলো প্রভৃতি চিনতে পারে। এইসময়ে ওজন সামান্য হ্রাস পেলেও কিছুদিন পরে তা পুনরায় বাড়তে থাকে। কান্না হল এদের একমাত্র মনের ভাবপ্রকাশের উপায়|
শৈশব: সাধারণত জীবনের দ্বিতীয় মাস থেকে 10 বছর বয়স পর্যন্ত
সময়কালকে শৈশব বলে | এইসময়ে সদ্যোজাত শিশুর তুলনায় মাথার আকার দেহের সাপেক্ষে ছোটো হয়, তবে হাত ও পায়ের বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। ধীরে ধীরে চেষ্টীয় ক্রিয়াগুলি (যেমন— লেখা, দৌড়োনো) বিকশিত হয় ও শিশুদের বৃদ্ধি, স্মৃতি ও সমস্যাসমাধানের দক্ষতা ক্রমশ বাড়তে থাকে| তবে এইসময়ে ভয়, আনন্দ প্রভৃতি আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটলেও বিভিন্ন সূক্ষ্ম অনুভূতির বিকাশ ধীরে হয়।
বয়ঃসন্ধি বা কৈশোর: শৈশব ও পরিণত দশার মধ্যবর্তী পর্যায় হল
বয়ঃসন্ধি বা কৈশোর। সাধারণত 10-19 বছর (WHO অনুয়ায়ী
বয়সকালকে বয়ঃসন্ধিকাল হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে সকলের
ক্ষেত্রে এই সময়কাল নির্দিষ্ট নয় | ব্যক্তি, লিঙ্গ, পরিবেশ ও অঞ্চলভেদে বয়ঃসন্ধি আগমনের সময় ভিন্ন হয়। এই পর্যায়ে ছেলেমেয়েদের দৈহিক, মানসিক, সামাজিক এবং প্রাক্ষোভিক দিকের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। যেমন—এইসময়ে দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত ঘটে। সাধারণত এইসময়ে থেকে যৌন চেতনার উন্মেষ ঘটে ও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয় | মনোযোগ, চিন্তাশক্তি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত ঘটে। বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পায় | এইসব কারণে বয়ঃসন্ধিকালকে ঝড়ঝঞ্ঝার কাল বলা হয় |
পরিণত দশা বা প্রাপ্তবয়স্ককাল: 19-60 বছর বয়সিদের পরিণত দশার অন্তর্গত বলা হয়। এইসময় দৈহিক বৃদ্ধি ক্রমশ হ্রাস পায় ও ক্রমে একেবারে বন্ধ হয়। পরিণত দশার মানুষদের নিজের ও পরিবার সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি পায় | এই পর্যায়ে মানুষদের জীবন সম্বন্ধে অভিজ্ঞতাও ক্রমশ বাড়তে থাকে।
অন্তিম পরিণতি দশা বা বার্ধক্য দশা: 60 বছর বয়সের পরবর্তী
সময়কালকে অন্তিম পরিণতি দশা বা বার্ধক্য দশা বলে। এই দশায়
দেহের কোশসমূহের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে এবং ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি ক্রমশ হ্রাস পায় | অস্থি ও অস্থিসন্ধির ক্ষয়ের ফলে এইসময় অস্থিজনিত বিভিন্ন রোগ, যথা— অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস দেখা দেয় | এইসময়ে চুলের বর্ণ ধূসর হয় ও ত্বক কুঞ্চিত হয়। এই দশায় ব্যক্তির স্মৃতি হ্রাস, অবসাদ ও হীনমন্যতা প্রভৃতি মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
11. প্রাণীকোশে মাইটোসিসে প্রোফেজ ও অ্যানাফেজ দশার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর: প্রাণীকোশে প্রোফেজ দশার বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
[1] জল বিয়োজনের ফলে নিউক্লিয়াসের নিউক্লীয় জালক বা ক্রোমাটিন থেকে সূত্রাকার ক্রোমোজোম গঠিত হয়। প্রতিটি ক্রোমোজোম লম্বালম্বিভাবে ভাগ হয়ে দুটি ক্রোমাটিড গঠন করে।
[2] এই সময়ে নিউক্লিওলাসটি ক্রমশ ছোটো হতে থাকে এবং প্রোফেজের শেষ পর্যায়ে নিউক্লিওলাসটি বিলুপ্ত হয়।
[3] দুটি করে সেন্ট্রিওল-বিশিষ্ট একজোড়া সেন্ট্রোজোম পরস্পরের থেকে ক্রমশ দূরে সরে যায় এবং নিউক্লিয়াসের দুই বিপরীত মেরুতে পৌঁছোয়।
প্রাণীকোশে অ্যানাফেজ দশার বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
[1] এই দশার শুরুতেই ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারগুলি
সমান দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি ক্রোমাটিডসহ দুটি অপত্য ক্রোমোজোম গঠন করে। অপত্য ক্রোমোজোমগুলি বেমতন্তুর সংকোচন ও প্রসারণের ফলে বেমের দুটি বিপরীত মেরুর দিকে যাত্রা শুরু করে। ক্রোমোজোমের এইরূপ চলনকে ক্রোমোজোমীয় চলন বা অ্যানাফেজীয় চলন বলে।
[2] এই দশার শেষে ক্রোমোজোমগুলি ইংরেজি ‘V’, ‘L’, ‘J’, ‘I’ অক্ষরের মতো দেখায়।
11. অঙ্গজ জনন কয় প্রকার ও কী কী? কাটিং ও গ্রাফটিং কীভাবে করা হয়?
অঙ্গজ জননের প্রকারভেদ
অঙ্গজ জনন পদ্ধতি প্রধানত দু-প্রকার। যথা—
প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন: প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। যথা—
[1] মূলের মাধ্যমে (যেমন—মিষ্টি আলুর রসালো মূলজ মুকুল),[2] কাণ্ডের মাধ্যমে (যেমন—কচুরিপানার খবধাবক),
[3] পাতার মাধ্যমে (যেমন—পাথরকুচির পত্র কিনারায় গঠিত পত্রমুকুল)।
কৃত্রিম অঙ্গজ জনন: বিভিন্ন উপায়ে কৃত্রিম অঙ্গজ জনন সম্পাদিত হয়। যথা—
[1] কাটিং বা শাখা কলমের মাধ্যমে (যেমন—গোলাপ, জবা, গাঁদা),
[2] গ্রাফটিং বা জোড়কলমের মাধ্যমে (যেমন—আম, জাম, লেবু),
[3] মাইক্রোপ্রোপাগেশন বা অণুবিস্তারণের মাধ্যমে (যেমন অর্কিড, কফি, কলা)।
কাটিং এবং গ্রাফটিং-এর পদ্ধতি
কাটিং এবং গ্রাফটিং-এর পদ্ধতিগুলি সংক্ষেপে নীচে আলোচনা করা হল।
কাটিং বা শাখাকলম: উদ্ভিদের কাণ্ড, পাতা বা মূল মুকুলসহ টুকরো করে ভিজে মাটিতে রোপণ করা হয়। কাটিং-এ মূল তৈরির জন্য, IBA, NAA প্রভৃতি কৃত্রিম রুটিং হরমোন ব্যবহার করলে দ্রুত মূল গঠিত হয়। অস্থানিক মূলসহ মুকুলটিকে মাতৃ-উদ্ভিদ থেকে কেটে মাটিতে রোপণ করলে, সেটি থেকে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।
উদাহরণ—মূল কাটিং—কমলালেবু; কাণ্ড কাটিং—গোলাপ, জবা, আম; পাতা কাটিং—সেন্টপউলিয়া।
গ্রাফটিং বা জোড় কলম: দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের অংশকে জোড়া হয়। মূলসহ কাণ্ডের (স্টক) সঙ্গে একই প্রজাতির অন্য উদ্ভিদের শাখা মুকুল (সিয়ন) জুড়ে দিলে ক্যামবিয়ামের বিভাজনের ফলে (ভাজক কলা) কয়েক মাসের মধ্যে জুড়ে যায়, ফলে একটি উদ্ভিদে বিভিন্ন প্রজাতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত ফল ও ফুল তৈরি করা যায়। গ্রাফটিং দু ধরনের—সিয়ন গ্রাফটিং ও বাড গ্রাফটিং। উদাহরণ—আম,পেয়ারা প্রভৃতি উদ্ভিদে গ্রাফটিং করা হয়। . অঙ্গজ জননের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো।
অঙ্গজ জননের সুবিধা
অঙ্গজ জননের সুবিধাগুলি হল—
1. JAM জনিতৃ বৈশিষ্ট্যের অসংখ্য উদ্ভিদ অল্প সময়ের মধ্যে সৃষ্টি হয়।
2.একটি জনিতৃ উদ্ভিদ প্রয়োজন হয় ও জনিতৃ বৈশিষ্ট্য সংরক্ষিত হয় এবং বীজহীন উদ্ভিদের ক্ষেত্রে (কলা,আদা, আলু, জবা) এটি একমাত্র জননের পদ্ধতি।
3. কলমের উদ্ভিদে দ্রুত ফুল ও ফল সৃষ্টি হয়।
অঙ্গজ জননের অসুবিধা:
অঙ্গজ জননের অসুবিধাগুলি হল—
(1) নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয় না ফলে প্রকরণ সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
2] পরিবেশের পরিবর্তনে অভিযোজনের ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বিলুপ্তির সম্ভাবনা থাকে।
মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৫ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 5 marks pdf / ক্লাস 10 জীবনের প্রবহমানতা 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 জীবন বিজ্ঞান 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X Life Science 2nd chapter 5 marks question answer pdf / Class ten Life Science 2nd chapter 5 marks question answer / জীবনের প্রবহমানতা SAQ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | জীবনের প্রবহমানতা থেকে রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Life Science Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
তোমরা যারা মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য - জীবনের প্রবহমানতা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান এর দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science 2 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের প্রবহমানতা প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো।
‘‘মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের প্রবহমানতা’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য। জীবনের প্রবহমানতা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে ।
মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান জীবনের প্রবহমানতা দ্বিতীয় অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান জীবনের প্রবহমানতা দ্বিতীয় অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science short Question and Answer
বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-
File Details:-
File Name:- Madhyamik Life Science 2nd chapter long questions answers pdf download
File Format:- PDF
File Size:- Mb
File Location:- Google Drive
Adddddd
Download: Click Here to Download
Adddddddd
আরও পোস্ট দেখো B
A. মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here
B. Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন
C. Madhyamik Life Science Suggestion Click here
D. মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন PDF Download
অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি আমাদের এই ” মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের প্রবহমানতা 5 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Life Science second chapter LAQ Question and Answer ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।
এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।
_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________