নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী PDF | Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali Pdf

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সংক্ষিপ্ত জীবনী PDF – Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali Pdf Download

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সংক্ষিপ্ত জীবনী PDF – Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali Pdf Download
Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali । নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলাতে।



আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সম্পূর্ণ জীবনী | Netaji Subhash Chandra Bose full Biography in Bengali , যা যেকোন পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বা আগত টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে আপনাকে সাহায্য করবে‌ ।

তাই দেড়ি না করে এই পোস্টটা ভালো করে পড়ে নিন বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী pdf download করে নিতে পারেন। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নিতে পারেন।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE               

     : আরও পোস্ট :     B  

A. কবি কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী PDF


নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সংক্ষিপ্ত জীবনী pdf–  Netaji Subhash Chandra Bose Short Biography in Bengali Pdf

আজকের সময়ে ভারত তার বৈচিত্রময় সংস্কৃতি, প্রাচীন ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধশালী ইতিহাসের সাথে গত কয়েক বছর ধরে অগ্রগতির পথে অসাধারণ বেগ লাভ করেছে। ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি, প্রযুক্তিগত উন্নতিসাধন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির সাথে সাথে ভারত আজ সারা বিশ্বে একটি শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। মহাকাশে চন্দ্রযান মিশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত আবিষ্কার, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, শক্তিশালী সেনাবাহিনী, উন্নত স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা, বাইরের দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন সহ বিভিন্ন কাজের জন্য সারা বিশ্বে আজ ভারতের নাম কেই না জানে। কিন্তু ভারতের এই যে এতো উন্নতি, এতো অগ্রগতি আদৌ কি সম্ভব হতো? যদি ভারত স্বাধীনতা লাভ না করতে পারতো। আর ভারতের স্বাধীনতার লাভের কথা যখন আলোচনায় আসে তখন এমন এক রহস্যময় ব্যক্তিত্বের কথাও উঠে আসে যার অদম্য চেতনা এবং স্বাধীনতার প্রতি নিরোলস সাধনা কথা আজও সারা বিশ্ববাসীকে অনুপ্রাণিত করে।

অদম্য সাহসী এবং ভারতের মুক্তির জন্য আন্তরিকভাবে নিবেদিত নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ঔপনিবেশিক নিপীড়নের অন্ধকার ছায়ার মধ্যে সাহসের এক উজ্জ্বল আলোকবার্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এই অসাধারণ ব্যক্তি নেতাজি নামেও পরিচিত।


ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নেতাজি হলেন এক উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র যিনি নিজের সমগ্র জীবন ভারতের স্বাধীনতার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। আজকের নিবন্ধে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের এই চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা সম্পর্কে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অর্থাৎ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম, শৈশবকাল, শিক্ষা, কর্মজীবন থেকে শুরু করে তার রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ, সেনাবাহিনী গঠন ও জীবনের শেষ পর্যায়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।




নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম |নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম (Netaji Subhash Chandra Bose’s Birthday in bengali)


বর্তমান ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের কটকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু 1997 সালের 23 শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সুভাষচন্দ্র বসুর বাবা হলেন জানকীনাথ বসু যিনি পেশায় একজন সফল সরকারি আইনজীবী ছিলেন এবং মায়ের নাম হল প্রভাবতী বসু। সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন তার বাবা-মায়ের চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে নবম সন্তান। 



নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পিতার ও মাতার নাম (Netaji Subhash Chandra Bose’s Father and Mother in Bengali) :


নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পিতার নাম জানকীনাথ বসু ও মাতার নাম প্রভাবতী বসু।


নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সংক্ষিপ্ত জীবনী –  Netaji Subhash Chandra Bose Short Biography in Bengali


নাম (Name): নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose)


জন্ম (Birthday) 1997 সালের 23 শে জানুয়ারি বর্তমান ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের কটকে।


অভিভাবক (Guardian) পিতার নাম জানকীনাথ বসু ও মাতার নাম প্রভাবতী বসু।


ছদ্দনাম (Pseudonym) নেতাজী


দাম্পত্যসঙ্গী (Spouse) এমিলি শেংকেল


পেশা (Career) স্বাধীনতা সংগ্রামী


মৃত্যুস্থান জাপান


মৃত্যু (Death) 1945 খ্রিস্টাব্দের 20 আগস্ট



নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর শৈশব জীবন| (Netaji Subhash Chandra Bose’s Childhood in bengali)

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু শৈশব জীবনে তার পাঁচ বড় ভাইয়ের সঙ্গে 1902 সালে কটকের প্রটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয় স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন যা বর্তমানে স্টুয়ার্ট স্কুল নামে পরিচিত। বিদ্যালয়টিতে সমস্ত শিক্ষাদানের মাধ্যম ছিল ইংরেজি, কোনও ভারতীয় ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা ছিল না।


বিদ্যালয়টি সুভাষচন্দ্র বসুর বাবার ভীষণ পছন্দ ছিল কারণ তিনি চেয়ে ছেলে যেন নির্দ্বিধায় ত্রুটিহীন ইংরেজি বলতে পারে। বাড়িতে সুভাষ চন্দ্র বসু বাংলা ভাষায় কথা বলতেন।


মা প্রভাবতী বসুর সঙ্গে শৈশবকালে সুভাষচন্দ্র বসু বিভিন্ন দেব দেবীর উপাসনা, মহাভারত ও রামায়ণ মহাকাব্য পড়া এবং বাংলা ভক্তিগীতি গাইতেন।


তিনি দুর্দশা গ্রস্ত লোকেদের সাহায্য করতেন ও প্রতিবেশী ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে মিশতে ভালোবাসতেন। ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকেই সুভাষচন্দ্র এই স্নেহশীল স্বভাব লাভ করেন। 



নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর শিক্ষা জীবন | (Educational Qualification of Netaji Subhash Chandra Bose in bengali ) :


নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আগের মত আবারো তার পাঁচ ভাইকে অনুসরণ করে 12 বছর বয়সে 1909 সালে কটকের রাভেনশ ভর্তি হয়। সেখানে তিনি বাংলা ও সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করতেন এবং পাশাপাশি বিভিন্ন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ উপনিষদ সম্পর্কেও জ্ঞান লাভ করতেন।


সুভাষচন্দ্র বসু ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী ও মেধাবী ছিলেন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও পরীক্ষায় সহজেই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পারতেন। তিনি 1912 সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত ম্যাট্রিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। তারপরে 1913 সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি দর্শন বিষয়কে প্রধান বিষয় হিসেবে বেছে নিয়ে বিভিন্ন পাশ্চাত্য দার্শনিক সম্পর্কে পড়াশোনা করতে থাকেন।


তার বাবা চেয়েছিলেন নেতাজি একজন সরকারি কর্মচারী হোক এবং তাই তাকে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ইংল্যান্ডে পাঠান। সুভাষচন্দ্র বসু ইংরেজিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান লাভ করেন। কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য তার তাগিদ তীব্র ছিল এবং 1921 সালের এপ্রিল মাসে, বিপ্লব সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যানও করেন। তারপরে ভারতে ফিরে আসেন।


নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর কর্মজীবন | Career of poet Netaji Subhash Chandra Bose in bengali


সুভাষচন্দ্র বসু, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে বর্তমান ভারতের মুম্বাইতে পাড়ি দেন এবং সেখানে গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন করেন। সেইসময়, 51 বছর বয়স্ক গান্ধী, অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যা পূর্ববর্তী বছরে ভারতের সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।


গান্ধী সেদিন বিকেলেই বসুর সাথে দেখা করতে সম্মত হন। অনেক বছর পরে এক লেখায় এই সাক্ষাতের বিবরণে তিনি লেখেন, তিনি গান্ধীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন। তাঁর মতে গান্ধীর লক্ষ্য অস্পষ্ট এবং তার পরিকল্পনা সুচিন্তিত ছিল না। গান্ধী এবং বসু প্রথম সাক্ষাতেই আন্দোলনের উপায় সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেন।


বসুর মতে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনো উপায়ই গ্রহণযোগ্য ছিল। সুভাষচন্দ্র বসু একনায়কতান্ত্রিক শাসনের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন কিন্তু গান্ধী পরিপূর্ণভাবে এর বিপরীত মত পোষণ করেছিলেন।


তার রাজনৈতিক গুরু ছিলেন বাংলার মহান জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস। এছাড়াও স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ তাকে আরও উদ্বুদ্ধ করেছিল এবং ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি রাজনৈতিক জীবনে প্রতি অগ্রসর হন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস সুভাষচন্দ্র বসুকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করান।


এরপরে সুভাষচন্দ্র বসু 'সরাজ' নামক সংবাদপত্রে লেখালেখি শুরু করেন এবং বঙ্গীয় প্রদেশ কমিটির প্রচারের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। 1923 সালে সুভাষচন্দ্র বসু সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং একইসঙ্গে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এর পাশাপাশি তিনি চিত্তরঞ্জন দাস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ফরওয়ার্ড পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।


এরপরে 1924 সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হলে সুভাষচন্দ্র বসু কলকাতা পৌরসংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেন। 1925 সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে গ্রেফতার করে মান্দালয়ের কারাগারে পাঠানো হয়।


জেল থেকে ফিরে 1927 সালে সুভাষচন্দ্র বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। তারপরে নেতাজি জহরলাল নেহেরুর সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। এর কিছুদিন পরেই নেতাজিকে আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য আবার গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। এই পর্যন্ত গত কুড়ি মধ্যে সুভাষচন্দ্র মোট 11 বার গ্রেফতার হয়েছিলেন।


1938 সাল অবধি সুভাষচন্দ্র জাতীয় পর্যায়ের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন এবং কংগ্রেস দলের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে শক্তি দেখিয়ে শর্তহীন স্বরাজের পক্ষে মত প্রদান করেন। ফলে তাঁর সাথে গান্ধীজীর সংঘাত সৃষ্টি হয়, যিনি বসুর সভাপতি পদের বিরোধিতা করেন। ফলশ্রুতিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলটি বিভক্ত হয়ে যায়।


বসু ঐক্যবধ্য করে রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু গান্ধী সুভাষকে তাঁর নিজস্ব পরিষদ গঠন করার পরামর্শ দেন। এই ঘটনায় বসু ও নেহেরুর মধ্যেও বিভাজন সৃষ্টি হয়। পরে সুভাষচন্দ্র 1939 সালের কংগ্রেস সভায় হাজির হয়ে গান্ধীর পছন্দের প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। যাহোক, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে গান্ধী নেতৃত্বাধীন দলের বিভিন্ন কৌশলের কারণে, সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।



নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পারিবারিক জীবন |


1934 সালে বর্তমান মায়ানমারের বার্মার মান্দালয়ের জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় সুভাষচন্দ্র গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ব্রিটিশ সরকার তাকে এক শর্তে মুক্তি দিতে রাজি হন যে, ভারতের কোনো ভূখণ্ড না-ছুঁয়ে তিনি যদি বিদেশে কোথাও পাড়ি দেন তবেই মুক্তি পাওয়া যাবে।

সুভাষচন্দ্র তখন ইউরোপে যাওয়ার মনস্থিন করেন ও ভিয়েনাতে গিয়ে পৌঁছান। সেখনে দুই বছর চিকিৎসাধীন থাকার সময়ে অবসরে তিনি দুটি বই লেখার সিদ্ধান্ত নেন, তার আত্মজীবনী 'Indian Pilgrim' আর 'India's Struggle for Freedom'। সেই সময়ে তার পাণ্ডুলিপি লেখার জন্যে এক অস্ট্রিয়ান মহিলা এমিলি শেংকেল তাকে সাহায্য করেন যিনি পরবর্তীকালে তার সচিবও হন।


এই এমিলি শেংকেলের সঙ্গেই পরবর্তীকালে তার বিবাহ হয়। তাদের এক কন্যাসন্তান আছে যার নাম অনিতা বসু পাফ। এমিলি শেংকেল কখনো ভারতে আসেননি, কিন্তু বৃহত্তর বসু পরিবার ও নেতাজির সহযোগীদের সঙ্গে তার চিরকাল যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক ছিল।


1996 খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রয়াত হন। অনিতা বসু পাফ তার পিতার দেশ ভারতে বহুবার এসেছেন। তিনি পেশায় অর্থনীতিবিদ, তার স্বামী মার্টিন পাফ জার্মান পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য। তাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান আছে।




আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন :

পশ্চিমের দেশ গুলিতে যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘনঘটা তখন সুভাষচন্দ্র পূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রামের সুযোগের অপেক্ষায় রইলেন। 1940 সালে তিনি আবার বন্দি হলেন। শেষমেষ স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য ইংরেজ সরকার তাঁকে মুক্তি দিয়ে নিজগৃহে নজরবন্দী অবস্থায় থাকতে দিল।


এরপরেই সুভাষচন্দ্র একা থাকতে শুরু করলে এবং হঠাৎ করেই 1941 সালের 16 জানুয়ারি তিনি নিরুদ্দেশ হলেন। জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশে ‘হজযাত্রী’ হয়ে দেশ ছাড়লেন।


প্রথমে কাবুল পরে রাশিয়া, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুরে এসে পৌঁছন। জাপানিদের হাতে ভারতীয় যুদ্ধবন্দিরা সিঙ্গাপুরে তাঁর উপস্থিতিতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রকাশ করে। ইতোমধ্যেই জাপানে থাকা অন্যতম ভারতীয় বিপ্লবী রাসবিহারী বসু পূর্ব এশিয়ায় ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন সংগঠিত করেন। তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ (Indian National Army) গঠন করেন। রাসবিহারী বসু আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্বভার সুভাষ বসুকে অর্পণ করেন।


1943 সালের 25 আগস্ট সুভাষ আই.এন.এ-র (INA) সর্বাধিনায়ক হন এবং ঐ একই বছর 21 অক্টোবর অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। 1944 সালের জানুয়ারি মাসে তিনি রেঙ্গুনে আইএনএ-র সদরদপ্তর স্থানান্তর করেন। তিনি রেঙ্গুন থেকে ভারত-বার্মা সীমান্তে ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেন এবং ভারতের দিকে অগ্রসর হন। 1944 সালের মার্চ মাসে তিনি তাঁর অগ্রাভিযানে ইম্ফল ও কোহিমায় দুটি ব্রিটিশ সামরিক চৌকি দখল করেন ও সেখানে স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন। এই সময়েই তাকে “নেতাজি” বলে সমাদৃত করা হয়েছিল যার দ্বারা তাকে আজও সাধারণভাবে উল্লেখ করা হয়।



নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু বিতর্ক :


ঐতিহাসিকদের মতে, 1945 সালের 18 আগস্ট, সুভাষচন্দ্র বসুকে বহনকারী জাপানি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর, আগুনে পুড়ে গিয়ে নেতাজির মৃত্যু ঘটে। তবে, তার অনেক অনুগামীই, বিশেষত বাংলায়, সে সময় এই ঘটনাটি অস্বীকার করে এবং এমনকি এখনো তার মৃত্যু সম্পর্কিত পরিস্থিতি ও তথ্য অবিশ্বাস করে। তার মৃত্যুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বহু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবির্ভূত হয়।


বিমান দুর্ঘটনার পর চিকিৎসা সত্ত্বেও সুভাষচন্দ্র বসু কোমায় চলে যান। কয়েক ঘণ্টা পর, 1945 সালের 18 আগস্ট, শনিবার, রাত নয়টা থেকে দশটার মধ্যে , 48 বছর বয়স্ক সুভাষচন্দ্র বসু মৃত্যুবরণ করেন। দুদিন পর, 1945 খ্রিস্টাব্দের 20 আগস্ট, তাইহোকু শ্মশানে সুভাষচন্দ্র বসুর মরদেহ দাহ করা হয়। যদিও তার মৃত দেহ কাউকে দেখানো হয়নি, এমনকি, মৃতদেহের কোনো ছবিও তোলা হয়নি। 1945 খ্রিস্টাব্দের 23 অগস্ট জাপানি সংবাদ সংস্থা কর্তৃক সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়। যদিও এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে তার পরেও তিনি বহু বছর বেঁচে ছিলেন।



নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু এর সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | Nazrul Islam Biography related FAQ


প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু কে ?

উত্তর : নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও নেতা ।


প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর কত তারিখে?

উত্তর : 1997 সালের 23 শে জানুয়ারি।


প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম স্থান?

উত্তর : বর্তমান ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের কটকে নেতাজীর জন্ম হয়।


প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পিতা ও মাতার নাম কি?

উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলামের পিতার নাম ফকির আহমদ ও মাতার নাম জাহেদা খাতুন।


প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর স্ত্রীর নাম কী ?

উত্তর : নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর স্ত্রীর নাম এমিলি সেঙ্কল।


প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সন্তানের নাম কী ?

উত্তর : নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সন্তানের নাম অনিতা বসু পাফ ।


প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর রাজনৈতিক দলের নাম কী ?

উত্তর : নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর রাজনৈতিক দলের নাম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ।


প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সৌধ কোথায় আছেন?

উত্তর : জাপানের তাইহোকু শ্মশানে



বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Netaji Subhash Chandra Bose Biography in pdf download 

File Format:- PDF

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      : আরও পোস্ট দেখো    :B           

A. কবি কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী PDF


শেষ কিছু কথা :-

বন্ধুরা, আশা করি আপনারা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন সম্পর্কে কিছু টা হলেও পরিচিতি পাবেন। আপনি অবশ্যই নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী ব্লগটি পছন্দ করেছেন। আপনি যদি আমার এই ব্লগটি পছন্দ করেন তবে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে এবং আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করুন।

যদি আপনার কোন মন্তব্য থাকে, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন, আপনি আমাকে ইমেল করতে পারেন বা আমাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনুসরণ করতে পারেন, আমি শীঘ্রই একটি নতুন লেখা নিয়ে আপনার সাথে দেখা করব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমার ব্লগে থাকুন "ধন্যবাদ"




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url