ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বঙ্গদর্শন পত্রিকার গুরুত্ব | বঙ্গদর্শন' পত্রিকা থেকে কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়
আজ আমরা এই আর্টিকেল বা পোষ্টের মাধ্যমে দশম শ্রেণীর ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকার গুরুত্ব কী ও ইতিহাস রচনার কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায় এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য আলোচনা করব। তুমি যদি একজন দশম শ্রেণীর বা মাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রী হও তাহলে আজকের এই তথ্যটি তোমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বঙ্গদর্শন পত্রিকার গুরুত্ব |
বঙ্গদর্শন পত্রিকা থেকে কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়? প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কমবেশি প্রতি বছর পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি এসে থাকে তোমরা যদি ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বঙ্গদর্শন গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো প্রশ্নটি উত্তর কোথাও খুঁজে না পাও ওই জন্য আমরা 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকা কীভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনায় সহায়তা করতে পারে? প্রশ্নটির তথ্য তোমাদের সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শেয়ার করছি। তোমরা এখান থেকে প্রশ্নটির উত্তর পেয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে প্রতিটি প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারবে।
প্রশ্ন: ইতিহাসের উপাদান হিসেবে 'বঙ্গদর্শন'-এর গুরুত্ব লেখ।অথবা, বঙ্গদর্শন' পত্রিকা থেকে সমকালীন ভারতের ইতিহাস রচনার কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়?প্রশ্ন: আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকার গুরুত্ব কী?
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা -bangadarsana patrikara gurutba
“তখন ‘বঙ্গদর্শন’-এর ধুম লেগেছে... ‘বঙ্গদর্শন' এলে পাড়ায় দুপুরবেলায় কারো ঘুম থাকত না।” পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কয়েক বছর ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
উত্তর: ভূমিকা: আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সমসাময়িক যেসব সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সেগুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা।
পত্রিকার প্রকাশ: ‘বঙ্গদর্শন' ছিল ব্রিটিশ শাসনকালে প্রকাশিত একটি বিখ্যাত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি প্রকাশের প্রথম থেকেই বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন এর সম্পাদক,লেখক ও প্রধান পরিচালক।
শিক্ষিত সমাজের মুখপত্র: ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকা আত্মপ্রকাশের পর থেকেই তৎকালীন শিক্ষিত বাঙালি সমাজের প্রধান মুখপত্র হয়ে ওঠে। এই পত্রিকাতেই বাঙালি জাতির আধুনিক চিন্তার প্রতিফলন ঘটত। বঙ্কিমচন্দ্র ছাড়াও গঙ্গাচরণ, রামদাস সেন, অক্ষয় সরকার, চন্দ্রনাথ বসু প্রমুখ প্রতিভাবান লেখক এই পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন।
সমকালীন তথ্য: ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় সমাজ, সাহিত্য, বিজ্ঞান, রাজনীতি, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ ও বিভিন্ন উপন্যাস প্রকাশিত হত। এসব রচনা থেকে সেসময় বাংলায় ইংরেজ সরকার ও জমিদারের শোষণ ও অত্যাচার, সামাজিক পরিস্থিতি, সাধারণ মানুষের অবস্থা, সাহিত্য, রাজনীতি, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব প্রভৃতি সম্পর্কে বহু তথ্য পাওয়া যায়।
বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রভাব :
[i] 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকার দ্বারা সমকালীন ভারতীয় জাতীয়তাবাদ যথেষ্ট প্রভাবিত হয়।
[ii] বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা 'বন্দেমাতরম' সংগীতটি প্রথম ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয়।
[iii] 'বন্দেমাতরম' পরবর্তীকালে ভারতীয় বিপ্লবী ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মূল মন্ত্রে পরিণত হয়।
[iv] ‘বঙ্গদর্শন’-এ প্রকাশিত ‘সাম্য’সহ বিভিন্ন প্রবন্ধ বাঙালি সমাজে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার প্রসারে যথেষ্ট সহায়তা করে।
বঙ্গদর্শন' পত্রিকা FAQ -
1. বঙ্গদর্শন' পত্রিকা থেকে সমকালীন ভারতের ইতিহাস রচনার কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়?
‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকা থেকে সমকালীন ভারতের ইতিহাস রচনার জন্য বাংলায় ব্রিটিশদের শাসন ও শোষণ, জমিদারদের শোষণ-অত্যাচার, তৎকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি, সাধারণ মানুষের অবস্থা প্রভৃতি বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায় ।