বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী সত্তর বৎসরের গুরুত্ব,ইতিহাসের উপাদান,ব্যাখ্যা ও ঐতিহাসিক তথ্য

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আজ আমরা এই আর্টিকেল বা পোষ্টের মাধ্যমে দশম শ্রেণীর ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বিপিনচন্দ্র পালের লেখা আত্মজীবনী সত্তর বৎসরের গুরুত্ব।  এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য আলোচনা করব। তুমি যদি একজন দশম শ্রেণীর বা মাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রী হও তাহলে আজকের এই তথ্যটি তোমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী সত্তর বৎসর থেকে কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়? প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ |

ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বিপিনচন্দ্র পালের লেখা আত্মজীবনী সত্তর বৎসরের গুরুত্ব
 ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী সত্তর বৎসরের গুরুত্ব

কমবেশি প্রতি বছর পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি এসে থাকে তোমরা যদি বিপিনচন্দ্র পালের লেখা আত্মজীবনীর নাম ‘সত্তর বৎসর’ প্রশ্নটি উত্তর কোথাও খুঁজে না পাও ওই জন্য আমরা ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ‘সত্তর বৎসর প্রশ্নটির তথ্য তোমাদের সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শেয়ার করছি।  তোমরা এখান থেকে প্রশ্নটির উত্তর পেয়ে যাবে এবং  ভবিষ্যতে প্রতিটি প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ ডাউনলোড  করতে পারবে।


প্রশ্ন: বিপিনচন্দ্র পাল তাঁর ‘সত্তর বৎসর’ আত্মজীবনীতে কী ব্যাখ্যা করেছেন?

অথবা, 

প্রশ্ন: আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বিপিনচন্দ্র পালের লেখা আত্মজীবনী ‘সত্তর বৎসর- এর গুরুত্ব কী?

অথবা, 

প্রশ্ন: বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী ‘সত্তর বৎসর’ থেকে কী ধরনের ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায়?


উত্তর: বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী‘সত্তর বৎসর’। বিপিনচন্দ্র পালের লেখা আত্মজীবনীর নাম হল ‘সত্তর বৎসর’।


‘সত্তর বৎসর’ গ্রন্থটি থেকে বিপিনচন্দ্র পালের সঙ্গে আনন্দমোহন বসু, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ জাতীয় নেতার ঘনিষ্ঠতা, তাঁর ব্রাহ্মসমাজে যোগদান,স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর ঝাঁপিয়ে পড়া, স্বদেশি, বয়কট, পূর্ণ স্বরাজ প্রভৃতি আন্দোলনে তাঁর অংশগ্রহণ প্রভৃতি তথ্য পাওয়া যায় যেগুলি আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।



ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ‘সত্তর বৎসর :


ভূমিকা: আধুনিক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম উপাদান হল বিভিন্ন ব্যক্তির আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা। রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সমাজসংস্কারক বিপিনচন্দ্র পালের লেখা আত্মজীবনী ‘সত্তর বৎসর’ আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।


ইতিহাসের উপাদান: বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী ‘সত্তর বৎসর’ আধুনিক বাংলার নানা ঐতিহাসিক তথ্যে সমৃদ্ধ। গ্রন্থটি সম্পর্কে বিপিনচন্দ্র পাল নিজেই লিখেছেন,

“....আমার সত্তর বৎসরের জীবনকথা বাস্তবিক এই বাংলাদেশের আধুনিক ইতিহাসের কথা।”


প্রথম জীবনের তথ্য: ‘সত্তর বৎসর' গ্রন্থের শুরুতে বিপিনচন্দ্রের প্রথম জীবনের বিভিন্ন তথ্য, যেমন—শ্রীহট্ট জেলার পৈল গ্রামে তাঁর জন্ম, তাঁর বংশ ও গ্রামেরপরিচয়, শৈশবে শ্রীহট্ট জেলার নানা  ঘটনা, স্কুলের পড়াশোনার পর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করতে আসা প্রভৃতি বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।


রাজনৈতিক জীবনের সূচনা: ‘সত্তর বৎসর’ গ্রন্থে বিপিনচন্দ্র পালের রাজনৈতিক জীবনের প্রথম পর্বের বিভিন্ন তথ্যেরও উল্লেখ আছে। কলকাতায় এসে জাতীয় নেতা আনন্দমোহন বসু ও সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, ব্রাহ্ণসমাজে যোগদান, শিবনাথ শাস্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ, স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রভৃতি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিপিনচন্দ্র তাঁর এই গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।


পরিণত জীবনের তথ্য: বিপিনচন্দ্র পাল পরিণত বয়সে যখন কংগ্রেসের নেতৃত্বে উঠে আসেন সেসময়ের বিভিন্ন তথ্যাদি তাঁর আত্মজীবনীতে উঠে এসেছে। পুরোনো কলকাতার কথা, ব্রাহ্মসমাজের ইতিহাস, ধর্মভীরু বাঙালির জাতীয়তাবাদী মানসিকতা, স্বদেশি, বয়কট ও পূর্ণ স্বরাজের দাবিতে আন্দোলন প্রভৃতির নানা দিকের আলোচনা তাঁর গ্রন্থে স্থান পেয়েছে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url