পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা সম্পর্কে লেখো | পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস থেকে কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আজ আমরা এই আর্টিকেল বা পোষ্টের মাধ্যমে দশম শ্রেণীর ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে পোশাক -পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য আলোচনা করব। তুমি যদি একজন দশম শ্রেণীর বা মাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রী হও তাহলে আজকের এই তথ্যটি তোমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা সম্পর্কে লেখো
পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা সম্পর্কে লেখো 

 আধুনিক ভারতের পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস থেকে কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়? প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কমবেশি প্রতি বছর পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি এসে থাকে তোমরা যদি ইতিহাসের উপাদান হিসেবে পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা সংক্ষেপে আলোচনা করো প্রশ্নটি উত্তর কোথাও খুঁজে না পাও ওই জন্য আমরা পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চার প্রয়োজনীয়তা লেখ ?প্রশ্নটির তথ্য তোমাদের সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শেয়ার করছি।  তোমরা এখান থেকে প্রশ্নটির উত্তর পেয়ে যাবে এবং  ভবিষ্যতে প্রতিটি প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ ডাউনলোড  করতে পারবে। 


প্রশ্ন:  পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা সম্পর্কে লেখো।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিককালের ইতিহাসচর্চা সম্পর্কে আলোচনা করো।


উত্তর :  পোশাক-পরিচ্ছদের পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা - Posaka-paricchadera itihasacarca

ভূমিকা: পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করা প্রতিটি সভ্য মানবসমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রতি জাতির পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে সেই সমাজ বা জাতির ইতিহাসের নানা দিক জানা যায়। 

পোশাক-পরিচ্ছদের বিবর্তন : সুপ্রাচীনকাল থেকেই প্রতিটি মানবজাতির পোশাক-পরিচ্ছদে ধারাবাহিক পরিবর্তন ও বিবর্তন লক্ষ করা যায়।


পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা: বর্তমানে পোশাক- পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে বিভিন্ন গবেষক চর্চা করে ইতিহাসের নতুন নতুন দিক উন্মোচন করছেন।


চর্চার সূচনা: বিংশ শতকের সূচনালগ্নে বিভিন্ন পণ্ডিত পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা শুরু করেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই ইতিহাসচর্চার ব্যাপক প্রসার ঘটে। ইউরোপের পাশাপাশি ভারতেও বিভিন্ন পণ্ডিত পোশাক- পরিচ্ছদের ইতিহাস নিয়ে চর্চা করছেন।


ইউরোপে: সাম্প্রতিককালে ইউরোপে বিভিন্ন গবেষক পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক চর্চা করেছেন। এসব গবেষণা কাজের মধ্যে—কার্ল কোহলার, জে ফর্বস ওয়াটসন, ও মাইকেল ডেভিস-এর অবদান উল্লেখযোগ্য।


ভারতে: সাম্প্রতিককালে ভারতেও পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস নিয়ে চর্চা চলছে। এই বিষয়ে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল ত্রৈলোক্যনাথ বসুর ‘তাঁত ও রঙ’, মলয় রায়ের ‘বাঙালির বেশবাস : বিবর্তনের রূপরেখা', নিরুপমা পুণ্ডির ‘ফ্যাশন টেকনোলজি : টুডে অ্যান্ড টুমরো’ প্রভৃতি।



সাম্প্রতিককালে পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চার প্রয়োজনীয়তা কী?

সম্প্রতিকালে অর্থাৎ আধুনিক ভারতে পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চার প্রয়োজনীয়তা গুলি হল নিম্নরূপ:

ভূমিকা: প্রতিটি সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে শুরু করে বর্তমানকাল পর্যন্ত মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদে নানা বিবর্তন ও পরিবর্তন দেখা যায়। সামগ্রিক ইতিহাসচর্চার প্রয়োজনে পোশাক- পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চারও বিভিন্ন প্রয়োজন রয়েছে। যেমন- পোশাক-পরিচ্ছদ কোনো জনগোষ্ঠীর বা ব্যক্তি-মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক প্রভৃতি পরিচয় বহন করে।


অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: অভিজাত, ধনী, গরিব কৃষক ও শ্রমিক প্রভৃতি বিভিন্ন মানুষের পোশাকের মান পৃথক হয়। পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর পরিচয় পাওয়া যায়।


সামাজিক পরিস্থিতি: কোনো সমাজের সামাজিক বিধিনিষেধ কেমন ছিল, সেই সমাজ কতটা প্রগতিশীল বা ছিল, সমাজে লিঙ্গবৈষম্য ছিল কিনা প্রভৃতি সম্পর্কে সেই সমাজের মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে জানা যায়।


অন্য সমাজের প্রভাব: কোনো সংস্কৃতি অন্য কোনো সমাজের সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত ছিল কিনা বা কতটা প্রভাবিত ছিল তা সেই সমাজের মানুষের পোশাক- পরিচ্ছদ থেকে বোঝা সম্ভব। যেমন—ঔপনিবেশিক শাসনকালে ভারতীয়দের পোশাক-পরিচ্ছদের ওপর পাশ্চাত্যের পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যাপক প্রভাব পড়ে।


সাংস্কৃতিক পরিচয় : পোশাক-পরিচ্ছদ জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অবস্থার পরিচায়ক। যেমন—আদিবাসী কৃষক এবং শহুরে বাবুদের পৃথক পৃথক পোশাক-পরিচ্ছদ উভয় গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পার্থক্যেরও পরিচয় বহন করে।


প্রযুক্তির অগ্রগতি: উন্নত পোশাক-পরিচ্ছদ তৈরির জন্য উন্নতমানের প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়। তাই কোনো জনগোষ্ঠীর পোশাক-পরিচ্ছদের উৎকর্ষতা দেখে সেই জনগোষ্ঠীর ব্যবহৃত প্রযুক্তির অগ্রগতি সম্পর্কে আভাস পাওয়া সম্ভব।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url