আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরলা দেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী 'জীবনের ঝরাপাতা' গুরুত্ব

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আজ আমরা এই আর্টিকেল বা পোষ্টের মাধ্যমে দশম শ্রেণীর ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরলা দেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী ‘জীবনের ঝরাপাতার গুরুত্ব।  এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য আলোচনা করব। তুমি যদি একজন দশম শ্রেণীর বা মাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রী হও তাহলে আজকের এই তথ্যটি তোমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরলা দেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী 'জীবনের ঝরাপাতা' এর গুরুত্ব
ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরলা দেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী 'জীবনের ঝরাপাতা' এর গুরুত্ব

সরলা দেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী জীবনের ঝরাপাতা থেকে কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়? প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কমবেশি প্রতি বছর পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি এসে থাকে তোমরা যদি সরলা দেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী জীবনের ঝরাপাতা প্রশ্নটি উত্তর কোথাও খুঁজে না পাও ওই জন্য আমরা ইতিহাসের উপাদান হিসেবে জীবনের ঝরাপাতা'-এর গুরুত্ব প্রশ্নটির তথ্য তোমাদের সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শেয়ার করছি।  তোমরা এখান থেকে প্রশ্নটির উত্তর পেয়ে যাবে এবং  ভবিষ্যতে প্রতিটি প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ ডাউনলোড  করতে পারবে। 


প্রশ্ন: আধুনিক ভারত ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরলাদেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী ‘জীবনের ঝরাপাতা’-এর গুরুত্ব লেখ 

অথবা, 

প্রশ্ন: ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরলা দেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী 'জীবনের ঝরাপাতা'-এর গুরুত্ব 

অথবা, প্রশ্ন: সরলা দেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী জীবনের ঝরাপাতা থেকে কী ধরনের ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায়?


উত্তর: সরলা দেবী চৌধুরানির লেখা আত্মজীবনীর নাম হল জীবনের ঝরাপাতা'। 

জীবনের ঝরাপাতা' গ্রন্থটি থেকে ভারতের কৃষক ও শ্রমিকদের ওপর ব্রিটিশ ও তাদের সহযোগীদের শোষণ-অত্যাচার, ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন, স্বদেশি আন্দোলন, ঠাকুরবাড়ির সাংস্কৃতিক চর্চা প্রভৃতি সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া যায়, যেগুলি আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।



ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ‘জীবনের ঝরাপাতা’

ভূমিকা: সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগনি সরলা দেবী চৌধুরানির লেখা ‘জীবনের ঝরাপাতা’ বাংলা সাহিত্যের একটি মূল্যবান ও সুখপাঠ্য আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা। এটি আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনায় বিভিন্নভাবে তথ্য সরবরাহ করে।


বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড: সরলা দেবী চৌধুরানি ভারতের ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন। তিনি সহিংস বিপ্লবের দ্বারা ভারতের স্বাধীনতা অর্জনেরও স্বপ্ন দেখতেন। ‘জীবনের ঝরাপাতা’র ছত্রে ছত্রে ভারতের সশস্ত্র বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নানা তথ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তিনি নিজেও যে এই ধরনের সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা ‘জীবনের ঝরাপাতা’ থেকে জানা যায়।


অর্থনৈতিক শোষণ: ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে অর্থনৈতিক শোষণের নানা ছবি ‘জীবনের ঝরাপাতা’ গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে। নীলচাষি, চা বাগানের কুলি ও শ্রমিক, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কীভাবে ব্রিটিশ এবং তাদের সহযোগীদের অত্যাচার ও শোষণের শিকার হয়েছিল তা সরলা দেবী চৌধুরানি তাঁর গ্রন্থে স্পষ্টভাবে আলোচনা করেছেন।


ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল: ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের বিভিন্ন ঘটনা। যেমন— ঠাকুরবাড়ির সাংস্কৃতিক চর্চা, ঈশ্বরভাবনা, বিভিন্ন সামাজিক বিধান পালন, শিশুদের একসঙ্গে বাড়তে থাকা প্রভৃতি নানা ঘটনার খণ্ডচিত্র ‘জীবনের ঝরাপাতা’য় উঠে এসেছে। এগুলি আধুনিক বাংলার সামাজিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।


স্বদেশি আন্দোলন : ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের স্বদেশি আন্দোলন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ‘জীবনের ঝরাপাতা’য় পাওয়া যায়। স্বদেশি আন্দোলনের যুগে স্বদেশি পণ্যের উৎপাদন ও প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেন।


রবীন্দ্রনাথ ও স্বামী বিবেকানন্দ: সরলা দেবী চৌধুরানি সে যুগের দুই মনীষী রবীন্দ্রনাথ ও স্বামী বিবেকানন্দের মধ্যে যোগসূত্র ছিলেন। এই দুই মনীষীর প্রতি সরলা দেবীর কেমন দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যায়ন ছিল তা বই থেকে জানা যায়।


FAQ - 

প্রশ্ন: সরলা দেবী চৌধুরানির লেখা আত্মজীবনীর নাম কী?

উত্তর: সরলা দেবী চৌধুরানির লেখা আত্মজীবনীর নাম হল জীবনের ঝরাপাতা'। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url