“কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি।” জৈমিনি’ কে? ‘সোঙরে' শব্দের অর্থ কী? জৈনিনির প্রসঙ্গ উত্থাপনের কারণ কী?
“কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি।” – জৈমিনি’ কে? ‘সোঙরে' শব্দের অর্থ কী? জৈনিনির প্রসঙ্গ উত্থাপনের কারণ কী?
প্রশ্ন: সোঙরে' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সোঙরে' শব্দের অর্থ স্মরন করে।
প্রশ্ন: জৈমিনি’ কে?
উত্তর: ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে উল্লিখিত জৈমিনি হলেন এক বাক্সিদ্ধ ঋষি।
জৈমিনি: এই বাক্সিদ্ধ ঋষি পূর্ব মীমাংসাদর্শন-এর রচয়িতা। বেদের কর্মকাণ্ডের সূত্রগুলিকে সুসংবদ্ধ ও সংশোধন করা তাঁর প্রধান কৃতিত্ব। ভাগবত অনুযায়ী তিনি ব্যাসের শিষ্য । জৈমিনি রচিত মহাভারত জৈমিনি মহাভারত নামে পরিচিত । জৈমিনির নাম স্মরণ করলে বজ্রপাত বন্ধ হয় এই বিশ্বাসে বজ্রপাতের সময় মানুষ তাঁর নামকীর্তন করে।
প্রশ্ন: কলিঙ্গবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ কী?
উত্তর: কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘ জমে ওঠে। আকাশভাঙা মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে মুশলধারায়। মেঘের গম্ভীর গর্জন, ঘনঘন বজ্রপাত, ঝড়ের প্রবল তাণ্ডবে ভীত কলিঙ্গবাসী এই ভীষণ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার আশায় ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে।