Bankura District ICDS Anganwadi Recruitment 2024 : বাঁকুড়া জেলায় ICDS অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের আবেদন শুরু হয়ে গেছে, এক্ষুণি আবেদন করুন
Bankura District ICDS Anganwadi Recruitment 2024: বাঁকুড়া জেলার সকল বেকার যুবক যুবতীদের জন্য রয়েছে দারুন খুশির খবর। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের করণ এর তরফ থেকে বাঁকুড়া জেলায় ICDS অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদে সরাসরি নিযুক্তির জন্য কেবলমাত্র মহিলা প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন পত্র আহ্বান করা হচ্ছে। আপনারা অতি অবশ্যই সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল নোটিফিকেশন নিজে থেকে ভালো করে যাচাই করবেন, দেখবেন, বুঝবেন তবেই নিজের দায়িত্ব আবেদন করবেন।
ICDS Anganwadi Worker Recruitment 2024 : ICDS অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ
পদের নাম : ICDS অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী - ICDS Anganwadi Worker
প্রতি মাসে বেতন: বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সাম্মানিক ভাতার পরিমাণ মাসিক ৪৫০০/- টাকা ও অতিরিক্ত ভাতার পরিমাণ মাসিক ৪৫০০/- টাকা এবং অঙ্গনওয়াড়ী সহায়িকাদের সাম্মানিক ভাতার পরিমাণ মাসিক ২২৫০/- টাকা ও অতিরিক্ত ভাতার পরিমাণ মাসিক ৪৫৫০/- টাকা।
খ) ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা :- ১৮/০৭/২০২৪ দিন কে ভিত্তি করে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা পদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত বোর্ড/কাউন্সিল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক / সমতুল্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সাধারন, প্রতিবন্ধকতাযুক্ত, তপশিলী জাতি,তপশিলী উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী (ক্যাটেগরি A&B)/অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণী ইত্যাদি সকলের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীপদের ক্ষেত্রে কোন অন্তরায় হবে না।
গ) বয়স: ১৮/০৭/২০২৪ তারিখে প্রার্থীকে ন্যূনতম ১৮ বছর বয়সের হতে হবে। তিনি উক্ত ১৮/07/2024 তারিখে কোনমতেই ৩৫ বছরের বেশি বয়সের হতে পারবেন না। অর্থাৎ সকল প্রার্থীর জন্ম তারিখ ১৮/০৭/১৯৮৯ বা তার পরে এবং ১৮/০৭/২০০৬ বা তার আগে হতে হবে। এই শর্তাবলী সকল শ্রেণীর প্রার্থীদের যথা- তপশিলী জাতি/তপশিলী উপজাতি/অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী ক্যাটেগরি A/অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী ক্যাটেগরি B / প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তি/অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণী সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। জন্ম নিবন্ধীকরণ শংসাপত্র বা মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার নিবন্ধীকরণ (রেজিস্ট্রেশন) বা অ্যাডমিট কার্ড বা স্বীকৃত বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত দশম শ্রেণী পাশ শংসাপত্রে লিখিত বয়সেই এক্ষেত্রে সঠিক বয়সের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে। অন্য কোনরূপ প্রমাণ এক্ষেত্রে গ্রাহ্য হবে না।
ঘ) স্থায়ী বাসস্থান সংক্রান্ত শর্ত :- অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী পদের জন্য যে প্রার্থী আবেদন করবেন তাঁকে অবশ্যই ইন্দাস সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক বা পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদের জন্য যে প্রার্থী আবেদন করবেন তাকে অবশ্যই ব্লকের সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। স্থায়ী বাসস্থান সংক্রান্ত প্রমাণপত্র হিসেবে প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট লোকসভার সদস্য/জেলার সভাধিপতি/সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক / জেলা শাসক / অতিরিক্ত জেলা শাসক /সংশ্লিষ্ট মহকুমা শাসক/সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি/সংশ্লিষ্ট সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক /সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত সচিত্র শংসাপত্র আবেদন পত্রের সঙ্গে জমা করতে হবে।
আবশ্যিক শর্তাবলি:
ক) প্রার্থীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক এবং মহিলা হতে হবে।এই নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছাসেবামূলক। এই কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি কোন মতেই সরকারী কর্মী হিসেবে গণ্য হবেন না। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের সরকার অনুমোদিত হারে প্রতি মাসে সাম্মানিক ভাতা সহ অতিরিক্ত ভাতা প্রদান করা হবে।
৫) পরীক্ষা :- অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী ও সহায়িকা উভয় ক্ষেত্রেই সকল আবশ্যিক শর্তপূরণের সাপেক্ষে যোগ্য প্রার্থী তথা আবেদনকারিণীদের পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত করা হবে। পরীক্ষার পূর্ণমান ১০০। প্রথমে ৯০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ২ ঘন্টার। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রবেশাধিকার পাওয়া যাবে। মৌখিক পরীক্ষা ১০ নম্বরের। অনুলিখনের (প্রতিবন্ধকতাযুক্ত
ব্যক্তিদের জন্য) ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় অতিরিক্ত ৪০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষায় অনুলিখনের ক্ষেত্রে মোট সময় ২(দুই)ঘণ্টা ৪০ (চল্লিশ) মিনিট না থাকবে।
লিখিত পরীক্ষার পাঠ্যক্রম নিম্নরূপ :-
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নির্বাচন এর ক্ষেত্রে
- বাংলা ভাষায় নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ে ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি রচনা লিখন (দশম শ্রেণী মানের)
- পাটিগণিত (দশম শ্রেণী মানের)
- পুষ্টি, জনস্বাস্থ্য, নারীর সামাজিক অবসথান বিষয়ক প্রশ্ন, রাজ্যের পুষ্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতি, ০-৬ বছর বয়সী শিশুদের টীকা করণ
- ইংরাজী (ইংরাজী ভাষায় সরল ও প্রাথমিক জ্ঞান), সরল অনুবাদ (দশম শ্রেণী মানের) ২০ নম্বর
- সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন
ইংরাজী ব্যতীত বাকি সকল প্রশ্ন বাংলায় হবে। রচনা লিখন বাংলাতে লিখতে হবে। রচনা লিখন ব্যতীত বাকী সকল প্রশ্ন মাল্টিপল চয়েস ধরনের।
লিখিত পরীক্ষায় উপরিউক্ত (ক) রচনা লিখন, (খ) পাটিগণিত (দশম শ্রেণী মানের), (গ) পুষ্টি, জনস্বাস্থ্য, নারীর সামাজিক অবসথান বিষয়ক প্রশ্ন, (ঘ) ইংরাজী (ইংরাজী ভাষায় সরল ও প্রাথমিক জ্ঞান), সরল অনুবাদ (দশম শ্রেণী মানের) ও (ঙ) সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন - এই পাঁচটি ক্ষেত্রে সর্বমোট ন্যূনতম ৩০ নম্বর না পেলে কোন প্রার্থীকেই মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিবেচনা করা হবে না।
এই শর্তাবলী সকল শ্রেণী যথা সাধারণ, তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী (A&B), প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তি, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণী সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেও মৌখিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে সেই প্রার্থী অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ প্রবেশ পত্রের (Admit Card) মাধ্যমে প্রার্থীদের জানানো হবে। প্রবেশ পত্র প্রার্থীকে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ডাকযোগে বা সরাসরি হাতে-হাতে সংশ্লিষ্ট সি.ডি.পি.ও. আফিস থেকে প্রদান করা হবে। ১:৫ অনুপাতে (শূন্যপদ সংখ্যা: মৌখিক পরীক্ষায় আহ্বান পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা) মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। কোন বিশেষ শ্রেণীতে (সংরক্ষণভিত্তিক বা মুক্ত) উপযুক্ত সংখ্যায় প্রার্থী কম থাকলে কম সংখ্যক প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হতে পারে।
একই নম্বর প্রাপ্ত একই শ্রেণীর (সংরক্ষণভিত্তিক বা মুক্ত) সকল প্রার্থীকেই মৌখিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। যদি কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় একই শ্রেণীর দুই বা ততোধিক প্রার্থীর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত মোট নম্বর সমান, সেক্ষেত্রে যাঁর বয়স বেশী তাঁকে সরকারি আদেশ অনুসারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা নির্বাচন এর ক্ষেত্রে
- বাংলা ভাষায় ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি রচনা লিখন অঙ্গনওয়াড়ি পরিষেবার দ্বারা জনসচেতনতা তৈরি করা যায় এই বিষয় সম্পর্কিত (অষ্টম শ্রেণী মানের)
- পাটিগণিত (অষ্টম শ্রেণী মানের)
- নিরাপদ রন্ধন পদ্ধতি, জন স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি
- ইংরাজী (ইংরাজী ভাষায় সরল ও প্রাথমিক জ্ঞান), সরল অনুবাদ (অষ্টম শ্রেণী মানের)
- সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন- ২০ নম্বর
ইংরাজী ব্যতীত বাকি সকল প্রশ্ন বাংলায় হবে। রচনা লিখন বাংলাতে লিখতে হবে। রচনা লিখন ব্যতীত বাকী সকল প্রশ্ন মাল্টিপল চয়েস ধরনের।
লিখিত পরীক্ষায় উপরিউক্ত (ক) রচনা লিখন, (খ) পাটিগণিত (অষ্টম শ্রেণী মানের), (গ) নিরাপদ রন্ধন পদ্ধতি, জন স্বাস্থ্য ও
স্বাস্থ্যবিধি (ঘ) ইংরাজী (ইংরাজী ভাষায় সরল ও প্রাথমিক জ্ঞান), সরল অনুবাদ (অষ্টম শ্রেণী মানের) ও (ঙ) সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন - এই পাচটি ক্ষেত্রে সর্বমোট ন্যূনতম ৩০ নম্বর না পেলে কোন প্রার্থীকেই মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিবেচনা করা হবে না।
এই শর্তাবলী সকল শ্রেণী যথা সাধারণ, তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী (A&B), প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তি, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণী সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেও মৌখিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে সেই প্রার্থী অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
ঠ) বাতিল দরখাস্তকারীদের তালিকা নির্দিষ্ট সময়ে সংশ্লিষ্ট সিডিপিওর অফিসে নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
ড) সঠিক প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার সচিত্র প্রবেশপত্র ( Admit Card) সাধারন ডাকযোগে বা সরাসরি হাতে হাতে প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীকালে নির্দেশিকা জারি করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে সঠিক প্রার্থীদের সচিত্র প্রবেশপত্র (Admit Card) সঙ্গে করে আনতে হবে। অন্যথায় তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।
লিখিত পরীক্ষার তারিখ, সময়, স্থান, পরবর্তীকালে জানানো হবে।
(১) প্রার্থী/আবেদনকারিণীর স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার প্রমাণপত্র হিসেবে প্রার্থীকে দেওয়া সংশ্লিষ্ট লোকসভার সদস্য / জেলার সভাধিপতি/ সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক/ জেলা শাসক / অতিরিক্ত জেলা শাসক/সংশ্লিষ্ট মহকুমা শাসক/সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি/সংশ্লিষ্ট সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক / সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান/সংশ্লিষ্ট পৌরসভার চেয়ারম্যান/সংশ্লিষ্ট পৌরসভার কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত সচিত্র শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক।
আবেদনপত্র দাখিল করার সময়ে এই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। পরীক্ষারদিনে প্রার্থীকে অবশ্যই একটি সচিত্র সরকারি পরিচয়পত্র, সেটির আসল ( Original) পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রে বসতে পারবেন না। এর সঙ্গে ডাউনলোড করে প্রিন্ট নেওয়া রঙ্গিন প্রবেশপত্র ( Admit Card) নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
(২) ভারতীয় নাগরিকত্ত্বের প্রমান স্বরূপ ভোটার কার্ড / আধার কার্ড / পাসপোর্ট / রেশন কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স এর যেকোনো একটি স্ব-প্রত্যয়িত কপি আবেদন পত্রের সঙ্গে দিতে হবে।
(৩) আবেদনপত্র দাখিল করার সময়ে প্রার্থীকে রঙিন পাসপোর্ট মাপের স্ব প্রত্যয়িত ছবি আবেদন পত্রের নির্দিষ্ট জায়গায় আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। এই ছবি আবেদনপত্র দাখিল (আপলোড) করার তারিখ থেকে ৬(ছয়) মাসের বেশি পুরোনো হলে চলবে না। এই ছবির অন্তত ৩(তিন) টি কপি প্রার্থীর নিজস্ব নিরাপদ হেফাজতে রাখতে হবে যা পরে চাওয়া হতে পারে। এই পাসপোর্ট মাপের (সাইজের) ছবির পশ্চাদভাগ (Background) বা সাদাটে হতে হবে। ছবিতে প্রার্থীর মুখ সরাসরি সামনের দিকে থাকতে হবে। প্রার্থীর মুখে কোন প্রকার ছায়া এসে পড়লে চলবে না। ধর্মীয় কারণে আবেদনকারিণীর মাথায় আচ্ছআদন থাকতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রার্থীর চোখ স্পষ্ট দৃশ্যমান হতে হবে (যারা চোখে দেখতে পান না, সেইসব প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত শংসাপত্র থাকলে এই শর্ত শিথিলযোগ্য)। তাছাড়া কালো চশমা, টুপি, ইত্যাদি পরে ছবি তুললে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
(৪) প্রার্থী তথা পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নীল বা কালো ডট পেন নিজেকেই আনতে হবে। অন্য কোন কালির পেনে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না।
(৫) যেমন সম্পূর্ণ সই আবেদন করার সময়ে দাখিল করা হচ্ছে, অনুরূপ সই পরীক্ষার হলে তাকে করতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে আগত প্রার্থীর সই দাখিল করা সইয়ের সঙ্গে না মিললে বা সই দেখে সন্দেহ হলে সেই প্রার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রের আধিকারিক পরীক্ষায় বসা থেকে বিরত করতে পারবেন। তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে।
(৬)লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র (অ্যাডমিড কার্ড) এ লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র, সময়, সংক্ষিপ্ত নিয়মাবলী, ইত্যাদি সম্পর্কিত সকল তথ্য থাকবে।
মৌখিক পরীক্ষার পূর্বে নিম্নলিখিত নথি বা প্রমাণপত্রের আসল দাখিল করতে হবে :
(১) আবেদনপত্র দাখিল করার সময়ে বাসস্থান সম্পর্কিত যে তথ্য জমা করা হয়েছে, তার প্রতিলিপি
(২) জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র- জন্ম শংসাপত্র বা মাধ্যমিক বা স্বীকৃত সমতুল্য পরীক্ষার নিবন্ধীকরণ (রেজিস্ট্রেশন) বা অ্যাডমিট কার্ড বা স্বীকৃত বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত দশম শ্রেণী পাশ শংসাপত্রে লিখিত বয়সই এক্ষেত্রে সঠিক বয়সের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৩) ভারতীয় নাগরিকত্ত্বের প্রমান স্বরূপ ভোটার কার্ড / আধার কার্ড / পাসপোর্ট / রেশন কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স এর যেকোনো একটি প্রমান পত্র।
(৪) পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শংসাপত্র।
(৫) পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত বোর্ড/কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ শংসাপত্র।
লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ প্রবেশ পত্রের (Admit Card) মাধ্যমে প্রার্থীদের জানানো হবে। প্রবেশ পত্র প্রার্থীকে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ডাকযোগে বা সরাসরি হাতে-হাতে সংশ্লিষ্ট সি.ডি.পি.ও. আফিস থেকে প্রদান করা হবে। ১:৫ অনুপাতে (শূন্যপদ সংখ্যা: মৌখিক পরীক্ষায় আহ্বান পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা) মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। কোন বিশেষ শ্রেণীতে (সংরক্ষণভিত্তিক বা মুক্ত) উপযুক্ত সংখ্যায় প্রার্থী কম থাকলে কম সংখ্যক প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হতে পারে। একই নম্বর প্রাপ্ত একই শ্রেণীর (সংরক্ষণভিত্তিক বা মুক্ত) সকল প্রার্থীকেই মৌখিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। যদি কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় একই শ্রেণীর দুই বা ততোধিক প্রার্থীর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত মোট নম্বর সমান, সেক্ষেত্রে যার বয়স বেশী তাকে সরকারি আদেশ অনুসারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
চ) সংরক্ষণ সংক্রান্ত শর্তাবলি: সংরক্ষিত পদের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শংসাপত্র উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রদত্ত হতে হবে এবং তা আবেদনের পত্রের সঙ্গে জমা করতে হবে। পরবর্তীকালে প্রাপ্ত কোনরূপ শংসাপত্র বা শংসাপত্রের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার রসিদ গ্রাহ্য করা হবে না। আবেদনের সময় শংসাপত্র প্রদান না করলে ঐ প্রার্থীকে অসংরক্ষিত পদের জন্য বিবেচিত করা হবে (অন্যান্য যোগ্যতামান ঠিক থাকলে)।
ছ) অবসরকালীন বয়স: বর্তমানে সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকার ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হলে বাধ্যতামূলকভাবে এই স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মজীবনের অবসান ঘটবে।
(জ) অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী পদে আবেদনকারিণী যে সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের অধীনে আবেদন করবেন তাকে সেই সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের অধীনে যে কোন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
ঝ) আবেদনকারিণী যে সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের অধীনন্ত যে গ্রাম পঞ্চায়েত বা পৌরসভার যে ওয়ার্ডে অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদে কাজের জন্য আবেদন করেছেন, সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের যে কোন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বা পৌরসভার সেই ওয়ার্ডের যে কোন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
ঞ) প্রশিক্ষণ: সমস্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক এবং পশ্চিমবঙ্গের যে কোন স্থানে প্রশিক্ষণ হতে পারে। প্রশিক্ষণ নিতে অস্বীকার করলে বা প্রশিক্ষণের সময়ে ন্যূনতম যোগ্যতামান অর্জন না করলে তাঁর নিয়োগ বাতিল হবে।
দরখাস্ত করার সময়ে শুধুমাত্র নিম্নলিখিত প্রমাণপত্র সমূহের কপি আবেদন পত্রর সাথে প্রদান করতে হবে :-
১) সাম্প্রতিক সময়ে ( আবেদন করার তারিখ থেকে ছয় মাস পূর্বের সময়ের মধ্যে) তোলা প্রার্থী তথা আবেদনকারিণীর রঙিন স্বপ্রত্যয়িত
পাসপোর্ট মাপের ছবি ৩ কপি যার মধ্যে ১ টি আবেদন পত্রের নির্দিষ্ট জায়গায় আঠা দিয়ে সেটে দিতে হবে।
২) অবেদন পত্রের সবগুলি কলাম যথাযথ ভাবে পূরণ করা থাকতে হবে।
৩) কালো/নীল কালিতে আবেদনকারিণীর নামের সম্পূর্ণ সই/স্বাক্ষর স্পষ্ট হতে হবে।
৪) বয়সের প্রমাণপত্র (জন্ম শংসাপত্র / মাধ্যমিকের প্রবেশপত্র/মাধ্যমিক পাশের শংসাপত্র), উচ্চ মাধ্যমিক পাশের শংসাপত্র বা মার্কশীট, সর্ব্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র, বাসিন্দা শংসাপত্র এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জাতি সংক্রান্ত শংসাপত্র, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর শংসাপত্র ও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র এর স্বপ্রত্যয়িত কপি।
৫) নিজের নাম ঠিকানা লেখা ৫ টাকার ডাকটিকিট লাগানো দুটি খাম।
* ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ নং শর্তাবলি আবশ্যকীয় ভাবে আবেদন পত্রে পূরণীয় অন্যথায় আবেদনপত্রটি বাতিল বলে গণ্য করা হবে।
(৬) জাতিগত শংসাপত্র (প্রযোজ্য হলে)
(৭) সর্ব্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র
(৮) স্থায়ী বাসিন্দার সচিত্র শংসাপত্র
(৯) প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র (প্রযোজ্য হলে)
(১০) অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় এর শংসাপত্র (প্রযোজ্য হলে)
(ঢ) প্রতিবন্ধকতাযুক্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য:
প্রার্থীকে ন্যূনতম ৪০% অক্ষম হতে হবে। যে সকল প্রতিবন্ধকতাযুক্ত প্রার্থীদের লেখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সক্ষমতার অভাব আছে, তাঁরা প্রয়োজনে অনুলেখকের (Scribe) সহায়তা নিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আবেদনপত্র দাখিল করার সময়েই সেই সংক্রান্ত তথ্য জমা করতে হবে। আবেদন করার সময় উত্তীর্ণ হয়ে গেলে কোনভাবেই আর তাঁরা অনুলেখক সংক্রান্ত তথ্য জমা করতে পারবেন না এবং পরীক্ষাকেন্দ্রে অনুলেখকের সহায়তা পাওয়ার উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
তাঁরা দশম শ্রেণীতে পাঠরত কোন ছাত্রীকে বা নিম্নতর যোগ্যতার কোন মহিলাকে অনুলেখক (Scribe) হিসেবে নথিভুক্ত করতে পারবেন। পরীক্ষার আগে অনুলেখক সংক্রান্ত হলফনামা নির্দিষ্ট ফর্মে পরীক্ষাকেন্দ্রে জমা করতে হবে। এই ফর্ম সংশ্লিষ্ট সি.ডি.পি.ও.
অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা পশ্চিমবঙ্গের কোন সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রের স্বাস্থ্য অধ্যক্ষের (Medical Superintendent) স্বাক্ষরিত এই নির্দিষ্ট ফর্মটি পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে জমা করতে হবে।
অনুলেখকের (Scribe) সাহায্য নেওয়া ব্যক্তি প্রতি ঘন্টায় ২০ মিনিটের জন্য ক্ষতিপূরক (Compensatory) সময় পাবেন অর্থাৎ তাদের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা হবে ২(দুই) ঘন্টা ৪০ (চল্লিশ) মিনিটের। কোন একজন প্রার্থী একজনের বেশী অনুলেখকের (Scribe) সহায়তা নিতে পারবেন না।
নিয়োগ প্রক্রিয়া: সম্পূর্ন নিয়োগ প্রক্রিয়াটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারী ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ দপ্তর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত নিয়োগ সম্পর্কিত নির্দেশ অনুসারে সম্পাদন করা হবে।।
আবেদন পদ্ধতি: অফলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীদের আবেদন নথিভুক্ত করতে হবে। আবেদনের জন্য প্রথমে আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করে তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্র যুক্ত করে একটি মুখবন্ধ খামে ভরে নির্দিষ্ট সময়ের আগে সরাসরি জমা করতে হবে।
আবেদন সংক্রান্ত শর্তাবলি ও আবেদন পত্র জমা করার সময় সীমা: আবেদনকারিণী যে আই,সি,ডি,এস প্রজেক্টের জন্য আবেদন করছেন সেই প্রজেক্টের সিডিপিও অফিসের নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে বন্ধ থামে সম্পূর্ণ পূরন করা আবেদন পত্র ও প্রয়োজনীয় সংসাপত্র সহ জমা করবেন। ডাকযোগে, ই-মেইল মারফৎ বা অন্য কোনো ভাবে কোনো আবেদন পত্র প্রেরণ করিলে তা বতিল বলে
গন্য হবে।
আবেদন পত্র জমা করা শুরুর তারিখ: ২৫/07/2024
আবেদন পত্র জমা করার শেষ তারিখ: ১৬/08/2024
আবেদন পত্র জমা দেবার সময়: প্রতি সরকারি কাজের দিন (ছুটির দিন ব্যতিত)দুপর ১২ টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ।
আবেদন পত্র জমা দেবার স্থান : সংশ্লিষ্ট সিডিপিও অফিস ।
আবেদন পত্রের বয়ান পাওয়া যাবে : বাঁকুড়া জেলার ওয়েবসাইট থেকে (www.bankura.gov.in)
অফিসিয়াল নোটিফিকেশন: Download Now