পরিমাপ | নবম শ্রেণী ভৌতবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Physical Science Chapter 1
নবম শ্রেণীর ভৌতবিজ্ঞান (প্রথম অধ্যায় পরিমাপ ) প্রশ্ন ও উত্তর |Class 9 Physical Science first chapter questions answers![]() প্রশ্ন: CGS-এর
পুরো নাম হল-centimetre gram second প্রশ্ন: S.I-পুরো নাম হল-The International System of Units আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি। প্রশ্ন: 1960 খ্রিস্টাব্দে একক নির্ধারণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক
সংস্থা এই পদ্ধতির প্রচলন করে।সাতটি মৌলিক এককে ভিত্তি করে এককের যে সুসংহত পদ্ধতি
আন্তর্জাতিক সংস্থা গড়ে তুলেছে তাকে একেবারে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি বলে। প্রশ্ন: দৈর্ঘ্যের SI একক হল মিটার ও CGS একক সেন্টিমিটার প্রশ্ন: শূন্যস্থানে আলো 1 / 299792,458 সেকেন্ডে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এক মিটার বলে। প্রশ্ন: শূন্যস্থানে আলোর বেগ=299792458ms-¹ প্রশ্ন: 1 কিলোমিটার সমান-10³ প্রশ্ন: 1টেরামিটার মিটার সমান-10¹² প্রশ্ন: ভর বলতে বস্তুটিতে যে
পরিমাণ জড় পদার্থ রয়েছে তা বোঝাই। প্রশ্ন: 1 ক্যারেট = 0.200gm প্রশ্ন: মাইক্রন হল অনুবীক্ষণ
যন্ত্রের দেখা বস্তূর আকার প্রকাশের একক। প্রশ্ন: আংস্ট্রম আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য
এই এককে লেখা হয়। প্রশ্ন: ফামি বা ফেমটো মিটার: পরমানুর কেন্দ্রের ব্যাস
মাপার জন্য এই ব্যবহৃত হয়। প্রশ্ন: আলোকবর্ষ: শূন্য মাধ্যমে
আলোর এক বছর সময় যে দূরত্ব অতিক্রম করে
সেই দূরত্বকে বলে ১ আলোকবর্ষ। প্রশ্ন: এক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল একক
= 1.496×10¹¹ মিটার। প্রশ্ন: অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল একক
-পৃথিবী ও সূর্যের পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে গড় দূরত্ব নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। প্রশ্ন: পারসেক: এক পারসেক সমান 3.086×10¹6.এটি জ্যোতির্বিদ্যার বৃহত্তম একক। প্রশ্ন: ভর রাশির সবচেয়ে ছোট একক হল
ডালটন |
প্রশ্ন: প্যারিসে আন্তর্জাতিক ব্যুরো
অব ওয়ার্ডস এন্ড মেজাস এ রাখা প্লাটিনাম ইরিডিয়াম সংকর ধাতুর তৈরি একটি নিরেট চোঙের
ঘরকে 1 কিলোগ্রাম ধরা হয়। একে মানক কিলোগ্রাম বলা হয়। ·
এই মানব ভরটি 4 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় থাকা এক লিটার বিশুদ্ধ
জলের ভরের সমান। প্রশ্ন: কিলোগ্রামের সংজ্ঞা ও উষ্ণতার
উল্লেখ দরকার হয় না কারণ উষ্ণতা পরিবর্তনে বস্তুর ভরের কোন পরিবর্তন হয়না। কিলোগ্রাম:- কার্বনের
(C¹²) 5.0188×10^২৫ সংখ্যক পরমাণুর ভর কে 1 কিলোগ্রাম বলে। প্রশ্ন: 1 সেকেন্ড: চুম্বক ক্ষেত্রে
তেজস্ক্রিয় সিজিয়াম পরমাণুর 9192631770 সংখ্যক পূর্ণ অভ্যন্তরীণ কম্পন ঘটাতে যে
সময় লাগে তাকে এক সেকেন্ড বলে। প্রশ্ন: 1 শেক =10^-8Sec প্রশ্ন: SI
লব্ধ একক: এক বা একাধিক মৌলিক এসআই এককে সাহায্যে যেসব
ভৌত রাশির একক গঠন করা হয় তাদের SI লব্ধ একক বলা হয়। যেমন বল,
চাপ কার্য,
দ্রুতি,। প্রশ্ন: এক বা একাধিক মূল রাশি থেকে
অন্যান্য যেসব রাশি সৃষ্টি করা হয় তাদের লব্ধ রাশি বলে। যেমন
আয়তন, বেগ, ত্বরন প্রশ্ন: 4 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায়
1 কেজি বিশুদ্ধ জলের আয়তন কে 1 লিটার বলে। প্রশ্ন: 4 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায়
জলের ঘনত্ব সর্বাধিক হয়। প্রশ্ন: জলের উষ্ণতার 4 ডিগ্রি সেলসিয়াস
থেকে কম বা বেশি হলে উভয় ক্ষেত্রে জলের ঘনত্ব কমে যায় ফলে জলের আয়তন এর চেয়ে
বেশি হয়ে যায়। প্রশ্ন: প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ভর হল-7.0×10^4gm প্রশ্ন: পৃথিবীর ভর হল - 5.98××10^4gm প্রশ্ন: ইলেকট্রনের ভর হল- 9.11×10-28gm প্রশ্ন: একটি হাতির ভর হল- 5.0×10^4gm প্রশ্ন: একটি বইয়ের পাতার বেধ হল =10-¹²Cm প্রশ্ন: কোণের একক হল রেডিয়ান প্রশ্ন: কোন রাশিটি মাত্রা হলো -0
প্র প্রশ্ন: একটি স্কেলার রাশির নাম লেখো । উত্তর: বস্তুর ভর একটি স্কেলার রাশি। প্রশ্ন: ভেক্টর রাশির একটি উদাহরণ দাও । উত্তর: বল একটি ভেক্টর রাশি। প্রশ্ন: একটি স্কেলার রাশির নাম লেখো যা দুটি ভেক্টর রাশির
গুণফলের দ্বারা গঠিত। উত্তর: কার্য = বল × সরণ। বল ও
সরণের প্রত্যেকটিই ভেক্টর রাশি, কিন্তু কার্য স্কেলার রাশি। প্রশ্ন: একটি স্কেলার রাশি ও একটি ভেক্টর রাশির গুণফলের
দ্বারা উৎপন্ন একটি ভেক্টর রাশির নাম লেখো। উত্তর: ভরবেগ = ভর × বেগ। ভর
স্কেলার রাশি এবং বেগ ভেক্টর রাশি কিন্তু ভরবেগ একটি ভেক্টর রাশি। প্রশ্ন: CGS পদ্ধতিতে মৌলিক রাশির সংখ্যা কত? উত্তর: CGS পদ্ধতিতে
মৌলিক রাশিগুলির সংখ্যা তিনটি। প্রশ্ন: CGS পদ্ধতিতে মৌলিক রাশিগুলির নাম লেখো। উত্তর: CGS পদ্ধতিতে
মৌলিক রাশিগুলি হল—দৈর্ঘ্য, ভর এবং সময়। প্রশ্ন: SI-তে প্রাথমিক রাশির সংখ্যা কত? উত্তর: SI-তে প্রাথমিক
রাশির সংখ্যা সাতটি প্রশ্ন: SI-তে প্রাথমিক রাশিগুলির নাম লেখো । উত্তর: SI-তে প্রাথমিক
রাশিগুলি হল—(1) দৈর্ঘ্য, (2) ভর,
(3) সময়, (4) উষ্ণতা, (5) তড়িৎ প্রবাহমাত্রা, (6) দীপন প্রাবল্য এবং (7)
পদার্থের পরিমাণ । প্রশ্ন: এমন দুটি ভৌত রাশির নাম লেখো যাদের একক নেই। উত্তর:—(1) আপেক্ষিক গুরুত্ব
এবং (2) পারমাণবিক গুরুত্ব। প্রশ্ন: দুটি মৌলিক এককের নাম লেখো । উত্তর: মিটার ও সেকেন্ড মৌলিক একক। প্রশ্ন: কিলোগ্রাম, নিউটন এবং জুল—এদের মধ্যে কোটি মৌলিক একক? উত্তর: এগুলির মধ্যে কিলোগ্রাম হল মৌলিক একক। প্রশ্ন: চাপের CGS একক কী ? উত্তর: চাপের CGS
একক ডাইন/সেন্টিমিটার (dyn/cm2)। প্রশ্ন: চাপের SI একক কী? উত্তর: চাপের SI একক পাস্কাল (pascal, Pa ) । 1 Pa = 1 Nm2 | প্রশ্ন: কোন্ ভৌত রাশির একক মিটার/সেকেন্ড? উত্তর: ত্বরণ ও মন্দনের SI একক মিটার/সেকেন্ড। প্রশ্ন: একটি ভৌত রাশির নাম লেখো যার মাত্রা নেই, কিন্তু একক আছে। উত্তর: সামতলিক কোণ একটি ভৌত রাশি। এর মাত্রা নেই কিন্তু SI একক রেডিয়ান। প্রশ্ন: একটি স্কেলার রাশির নাম লেখো যার একক নেই। উত্তর: পারমাণবিক গুরুত্ব একটি স্কেলার রাশি। এর
একক নেই। প্রশ্ন: কিলোওয়াট ঘণ্টা কীসের একক? উত্তর: কিলোওয়াট ঘণ্টা SI-তে ব্যবহৃত তড়িৎ শক্তির একক। প্রশ্ন: আয়তনের একক মৌলিক না লব্ধ একক? উত্তর: আয়তনের একক = (দৈর্ঘ্যের একক)। সুতরাং আয়তনের একক লব্ধ
একক প্রশ্ন: 277 K উষ্ণতায় 1
কিলোগ্রাম বিশুদ্ধ জলের আয়তন কত ? উত্তর: 277 K উষ্ণতায় 1
কিলোগ্রাম বিশুদ্ধ জলের আয়তন - 1 লিটার। প্রশ্ন: স্টেরাডিয়ান কোন্ ভৌত রাশির একক? উত্তর: ঘনকোণের SI একক স্টেরাডিয়ান (sr) । প্রশ্ন: মোল কোন্ ভৌত রাশির একক? উত্তর: পদার্থের পরিমাণের SI একক মোল (mol) । প্রশ্ন: ক্যান্ডেলা কোন্ ভৌত রাশির একক? উত্তর: দীপন প্রাবল্যের SI একক ক্যান্ডেলা (cd) । প্রশ্ন: মিটারের আধুনিক সংজ্ঞা লেখো। উত্তর: এক সেকেন্ডের 299 792 458 ভাগ
সময়ের অবকাশে শূন্য মাধ্যমে আলো যে-দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে
1 প্রমাণ মিটার বলা হয়। প্রশ্ন: একই এককবিশিষ্ট দুটি ভৌত রাশির উল্লেখ করো যাদের একটি স্কেলার রাশি এবং
অপরটি ভেক্টর রাশি। উত্তর: দ্রুতি ও বেগ হল দুটি ভৌত রাশি যাদের প্রত্যেকের SI একক মিটার/সেকেন্ড। এদের মধ্যে দ্রুতি
স্কেলার রাশি এবং বেগ ভেক্টর রাশি। প্রশ্ন: ভর একটি ভেক্টর রাশি নয় কেন ? উত্তর: ভরের মান আছে কিন্তু
অভিমুখ নেই । কাজেই ভর একটি স্কেলার রাশি। এটি ভেক্টর রাশি নয়। প্রশ্ন: দ্রুতি স্কেলার রাশি না ভেক্টর রাশি? উত্তর: দ্রুতির মান আছে, অভিমুখ
নেই। কাজেই দ্রুতি একটি স্কেলার রাশি। প্রশ্ন: তিনটি মৌলিক একক দিয়ে গঠিত একটি স্কেলার রাশির উদাহরণ দাও । উত্তর: তিনটি মৌলিক একক দিয়ে গঠিত স্কেলার রাশি হল কার্য। এর SI একক জুল (J)। 1 J =1 kg ms-2 | প্রশ্ন: তিনটি মৌলিক একক দিয়ে গঠিত একটি ভেক্টর রাশির নাম লেখো। উত্তর: ভরবেগ একটি ভেক্টর রাশি যার একক তিনটি মৌলিক একক দিয়ে গঠিত। এর SI একক kg ms"। প্রশ্ন: মিলিলিটার কীসের একক? উত্তর: CGS পদ্ধতিতে
তরলের আয়তন মাপার একক মিলিলিটার। প্রশ্ন: কোন্ ভৌত রাশির একক স্টেরাডিয়ান । উত্তর: ঘনকোণের SI একক স্টেরাডিয়ান (sr) । প্রশ্ন: তিনটি ভিন্ন মৌলিক একক দিয়ে গঠিত একটি ভৌত রাশির
এককের উদাহরণ দাও। উত্তর: ভরবেগের একক প্রশ্ন: চাপ স্কেলার না ভেক্টর রাশি? উত্তর: চাপ স্কেলার রাশি। প্রশ্ন: দৈর্ঘ্যের বৃহত্তম এককের নাম কী? উত্তর: দৈর্ঘ্যের বৃহত্তম একক পারসেক (pc)। প্রশ্ন: বার্ন (barn) মৌলিক একক না লব্ধ একক? উত্তর: বার্ন একটি লব্ধ একক। প্রশ্ন: তড়িৎ প্রবাহমাত্রা কী ধরনের রাশি? উত্তর: তড়িৎ প্রবাহমাত্রা একটি স্কেলার রাশি। প্রশ্ন: দুটি ভিন্ন মৌলিক একক দিয়ে গঠিত একটি ভৌত রাশির
এককের উদাহরণ দাও । উত্তর: বেগের একক দুটি ভিন্ন মৌলিক একক (দৈর্ঘ্যের একক ও সময়ের একক) দিয়ে গঠিত। প্রশ্ন: লিটারের সংজ্ঞায় কোন্ উষ্ণতার উল্লেখ করা হয়? উত্তর: লিটারের সংজ্ঞায় 4°C বা 277 K উষ্ণতা উল্লেখ করা হয়। প্রশ্ন: কিলোওয়াট ঘণ্টা (kWh) কোন্ প্রাকৃতিক রাশির একক? উত্তর: কিলোওয়াট ঘণ্টা এককের প্রাকৃতিক রাশির নাম— তড়িৎ শক্তি। প্রশ্ন: জুল কোন্ ভৌত রাশির একক? উত্তর: কার্য এবং শক্তি উভয় ভৌত রাশির SI-একক জুল। প্রশ্ন: আলোকবর্ষ মৌলিক একক না লব্ধ একক? উত্তর: আলোকবর্ষ একটি মৌলিক একক। প্রশ্ন: 1 আলোকবর্ষ = কত কিলোমিটার? উত্তর: 1 আলোকবর্ষ = 9.46
× 102 কিলোমিটার। প্রশ্ন: ১ পারসেক সমান কত আলোকবর্ষ? উত্তর: 3.2 আলোকবর্ষ প্রশ্ন: 1 মাইক্রন = কত
মিটার? উত্তর: 1 মাইক্রন = 10
মিটার প্রশ্ন: কোন্ ভৌত রাশি পরিমাপ করার জন্য নটিক্যাল মাইল একক ব্যবহার করা হয়? উত্তর: জাহাজের অতিক্রান্ত দূরত্ব পরিমাপের জন্য নটিক্যাল মাইল এককটি ব্যবহার করা
হয়। প্রশ্ন: পারসেকের (parsec) পুরো নাম কী? উত্তর: পারসেকের পুরো নাম parallactic second। প্রশ্ন: পারসেকের সংজ্ঞা লেখো। উত্তর: পারসেক (pc) : যে-দূরত্বে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল একক (1
AU) দৈর্ঘ্যসম্পন্ন একটি বৃত্তচাপ বৃত্তের কেন্দ্রে এক সেকেন্ড (1")
মানের কোণ উৎপন্ন করে, তাকে 1 পারসেক বলা হয়। উত্তর: অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল একক (AU) : সূর্যের কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত গড় দূরত্বকে 1 অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল একক বলা হয়। প্রশ্ন: 1 পারসেক (pc) = কত কিলোমিটার? উত্তর: 1
পারসেক (pc) = 3.086 × 10^13 কিলোমিটার (km)। þ চন্দ্রশেখর সীমা (Chandrashekhar Limit বা CSL) : ভারতীয় বিশিষ্ট বিজ্ঞানী সুব্রষ্মনিয়াম
চন্দ্রশেখরের নাম অনুযায়ী এই একক চিহ্নিত। জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যায় বিশেষ অবদানের
জন্য 1983 খ্রিস্টাব্দে তাঁকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা
হয়। 1 CSL = 1.39 × সূর্যের ভর। ভারী নক্ষত্রসমূহের অন্তিম
অবস্থা সম্পর্কে এই সীমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন: হিরে বা সোনার ভর মাপতে কোন্ একক ব্যবহার করা হয়? উত্তর: হিরে বা সোনার ভর ক্যারাট (carat) এককে মাপা হয়। প্রশ্ন: 1 ক্যারাট = 0.2
g = 200mg | প্রশ্ন: বার্ন (barn) বলতে কী
বোঝায়? উত্তর: নিউক্লিয়াসের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল পরিমাপের একক বার্ন (barn)। প্রশ্ন: অ্যাভোগ্রাম কী? উত্তর: অতিক্ষুদ্র ভর পরিমাপের একক অ্যাভোগ্রাম
। প্রশ্ন: লিটার ও গ্যালনের সম্পর্ক কী? উত্তর: 1 লিটার = 0.22
গ্যালন বা 1 গ্যালন = 4.536 লিটার। প্রশ্ন: দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রের নাম কী ? উত্তর: যন্ত্রের নাম স্কেল। প্রশ্ন: সাধারণ স্কেলের সাহায্যে সর্বনিম্ন কত দৈর্ঘ্য
সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায়? উত্তর: সাধারণ স্কেলের সাহায্যে সর্বনিম্ন 1 mm বা 0.1 cm দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে পরিমাপ
করা যায়। প্রশ্ন: একটি যন্ত্রের নাম লেখো যার সাহায্যে 0.01 cm দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায়। উত্তর: ভার্নিয়ার স্কেল এরূপ একটি যন্ত্র। প্রশ্ন: একটি যন্ত্রের নাম লেখো যার সাহায্যে তরলের আয়তন পরিমাপ করা যায়। উত্তর: মাপনি চোঙের সাহায্যে তরলের আয়তন পরিমাপ করা যায়। প্রশ্ন: সাধারণ স্কেলের সাহায্যে কী 2.04 cm দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায়? উত্তর: সাধারণ স্কেলের লঘিষ্ঠ ধ্রুবক 1 mm বা 0.1 cm। সুতরাং, এই স্কেলের সাহায্যে 2.04 cm সঠিকভাবে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। প্রশ্ন: বস্তুর ভর কোন্ যন্ত্রের সাহায্যে মাপা হয়? উত্তর: সাধারণ তুলাযন্ত্রের সাহায্যে বস্তুর ভর মাপা হয়। প্রশ্ন: বস্তুর ওজন মাপার জন্য কোন্ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়? উত্তর: স্প্রিং তুলার সাহায্যে বস্তুর ওজন মাপা হয় । প্রশ্ন: ওজনের বাক্সে প্রমাণ বাটখারাগুলি কী অনুপাতে থাকে? উত্তর: অনুপাত = 5 : 2 : 2 : 1। প্রশ্ন: সাধারণ তুলাযন্ত্রের পাটাতন কীসের সাহায্যে
অনুভূমিক করা হয়? উত্তর: লেভেলিং স্ক্রু-এর সাহায্যে পাটাতন অনুভূমিক করা হয়। প্রশ্ন: তুলাযন্ত্রের রাইডারের কাজ কী? উত্তর: রাইডারের সাহায্যে 10 mg-এর কম ভর পরিমাপ করা যায়। প্রশ্ন: স্টপওয়াচের ব্যবহার লেখো। উত্তর: স্বল্পকাল স্থায়ী ঘটনা ঘটার সময় পরিমাপের জন্য স্টপওয়াচ
ব্যবহার করা হয়। প্রশ্ন: সাঁতার ও দৌড় প্রতিযোগিতায় কোন্ ঘড়ি ব্যবহার করা
হয়? উত্তর: সাঁতার ও দৌড় প্রতিযোগিতায় স্টপওয়াচ ব্যবহার করা হয়। প্রশ্ন: মেট্রোনোম কী? এটি কোন্ কাজে ব্যবহার করা হয়? উত্তর: মেট্রোনোম নির্ভুল সময় মাপার ঘড়ি। উপগ্রহ উৎক্ষেপণের
সময় এই ঘড়ির সাহায্যে নির্ভুলভাবে সময় পরিমাপ করা হয়। প্রশ্ন: উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সময় পরিমাপের জন্য কোন্ ঘড়ি
ব্যবহার করা হয়? উত্তর: মেট্রোনোম ঘড়ির সাহায্যে এই সময় নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা যায়। : সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন :
FM – 1,2 v ভৌত রাশি (Physical quantity) : পরিমাপযোগ্য যে-কোনো প্রাকৃতিক বিষয়কে ভৌত রাশি বা প্রাকৃতিক
রাশি বলা হয়। উদাহরণ—দৈর্ঘ্য, ভর, সময়, উষ্ণতা, আয়তন প্রভৃতি। v ভৌত রাশির প্রকারভেদ (Types of physical quantity) : ভৌত রাশি দু-প্রকার— (i) স্কেলার রাশি এবং (ii) ভেক্টর রাশি। v স্কেলার রাশি (Scalar quantities) : যেসব ভৌত রাশির শুধুমাত্র মান আছে, কিন্তু কোনো দিক বা অভিমুখ নেই, তাদের স্কেলার রাশি বলা হয়।
উদাহরণ—দৈর্ঘ্য, ভর, আয়তন, ঘনত্ব, দ্রুতি প্রভৃতি। v ভেক্টর রাশি (Vector quantities) : যেসব ভৌত রাশির মান ও অভিমুখ দুই-ই আছে, তাদের
ভেক্টর রাশি বলা হয়। উদাহরণ—সরণ, বেগ, ত্বরণ, ভরবেগ, বল প্রভৃতি। v মৌলিক বা প্রাথমিক রাশি (Fundamental quantities) : যেসব রাশি অন্য কোনো রাশির ওপর নির্ভর করে
না এবং যে-রাশিগুলির সাহায্যে বিভিন্ন ভৌত রাশি গঠিত হয়, তাদের
মৌলিক বা প্রাথমিক রাশি বলা হয় । উদাহরণ—দৈর্ঘ্য, ভর, সময়। v লব্ধ রাশি (Derived quantities) : যেসব রাশি এক বা একাধিক মৌলিক রাশির সমবায়ে গঠিত হয়, তাদের লব্ধ রাশি বলা হয়। উদাহরণ—ক্ষেত্রফল, আয়তন, ঘনত্ব, বেগ,
ত্বরণ, বল প্রভৃতি। v একক (Unit) : আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত কোনো ভৌত রাশির নির্দিষ্ট ও
সুবিধাজনক প্রমাণ পরিমাণ যার সাহায্যে ওই ভৌত রাশির পরিমাপকে সুবিধাজনকভাবে প্রকাশ
করা যায়, তাকে ওই রাশির একক বলা হয়। উদাহরণ—দৈর্ঘ্যের SI একক মিটার (m)। v সাংখ্যমান (Numerical measure) : কোনো রাশির মান তার এককের সঙ্গে তুলনা করে নির্ণয় করা হয়।
রাশিটি তার এককের তুলনায় যতগুণ বড়ো বা ছোটো, সেই সংখ্যাকে
ওই রাশির সাংখ্যমান বলা হয়। সুতরাং, কোনো রাশির পরিমাপ = রাশিটির সাংখ্যমান এবং সঙ্গে রাশিটির একক। উদাহরণ—একটি লোহার বলের ভর = 500 গ্রাম। এখানে ভৌত রাশি হল ভর, একক গ্রাম এবং সাংখ্যমান হল 500 v মৌলিক বা প্রাথমিক রাশি : যেসব রাশি অন্য কোনো রাশির ওপর নির্ভর করে না এবং
যে-রাশিগুলির সাহায্যে বিভিন্ন ভৌত রাশি গঠিত হয়, তাদের মৌলিক বা প্রাথমিক রাশি বলা হয় । উদাহরণ—দৈর্ঘ্য, ভর, সময়, উষ্ণতা, তড়িৎ প্রবাহমাত্রা ইত্যাদি। v লব্ধ একক (Derived Units) : এক বা একাধিক মৌলিক এককের সাহায্যে গঠিত এককগুলিকে লব্ধ একক
বলা হয়। উদাহরণ : ত্বরণের SI একক মিটার/সেকেন্ড। এটি লব্ধ একক। v এককবিহীন ভৌত রাশি (Physical quantities having no unit) : যে-সমস্ত ভৌত রাশি দুটি একই ধরনের রাশির
অনুপাত তাদের কোনো একক থাকে না। উদাহরণ : যন্ত্রের যান্ত্রিক সুবিধা, আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর, আপেক্ষিক আণবিক ভর, পদার্থের আপেক্ষিক গুরুত্ব,
যন্ত্রের কর্মদক্ষতা প্রভৃতি ভৌত রাশির কোনো একক নেই। v সিজিএস পদ্ধতি (CGS System) : এই পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্য, ভর ও সময় — এই
তিনটি প্রাথমিক রাশির এককগুলিকে যথাক্রমে সেন্টিমিটার (cm), গ্রাম
(g) এবং সেকেন্ড (s) ধরা হয়। Centimetre,
Gram এবং Second এই তিনটি এককের প্রথম অক্ষর
দিয়ে CGS পদ্ধতি নামকরণ করা হয়। v এসআই বা আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি
(International system of Units বা SI) : 1960 খ্রিস্টাব্দে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিমাপের ক্ষেত্রে সমতা আনার জন্য এই
পদ্ধতি গৃহীত হয়। এই পদ্ধতিতে সাতটি রাশির একক মূল একক হিসেবে গৃহীত হয়। প্রশ্ন: এককের প্রয়োজনীয়তা কী? উত্তর: বিজ্ঞান পরিমাপ নির্ভর। কোনো ভৌত রাশির পরিমাপের জন্য
এককের প্রয়োজন। একক ছাড়া কোনো প্রাকৃতিক রাশির পরিমাপ সম্পর্কে সঠিক ও পরিষ্কার
ধারণা করা সম্ভব নয়। একক ছাড়া পরিমাপ অর্থহীনও হতে পারে। উদাহরণ—(1) একটি বড়ো ঘর বললে ঘরটির সম্পর্কে কোনো সঠিক ধারণা করা যায় না। বিভিন্ন
ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর বিভিন্ন ধারণা হতে পারে। কিন্তু ঘরটির মাপ 5 মিটার × 3 মিটার বললে স্পষ্টই বোঝা যায় যে, ঘরটির দৈর্ঘ্য 5 মিটার এবং প্রস্থ 3 মিটার। এখানে ঘরটির সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে একটি
নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যকে 1 মিটার হিসেবে দৈর্ঘ্যের একক ধরা হয়
এবং এই একক ঘরটির আকার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা সৃষ্টি করে। (2) একটি বাড়ি তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছে বললে,
সময় সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না । কিন্তু যদি
বলা যায় যে, বাড়িটি তৈরি করতে 12 বছর
সময় লেগেছে, তাহলে সময় সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট ধারণা করা
যায়। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় 1 বছরকে সময়ের একক ধরা
হয় এবং এর দ্বারা বাড়ি তৈরির সময় সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: CGS এবং SI
পদ্ধতিকে দশমিক পদ্ধতি বলা হয় কেন? উত্তর: SI ও CGS পদ্ধতিতে কোনো নির্দিষ্ট রাশির যে-কোনো একক তার ঠিক পরের ছোটো এককের 10
গুণ বা তার ঠিক আগের বড়ো এককের 10 ভাগের এক
ভাগ বা 1/10 গুণ। তাই কোনো রাশির এক একক থেকে অন্য বড়ো বা
ছোটো এককে যেতে হলে শুধুমাত্র দশমিক বিন্দু সরালেই চলে, গুণ
বা ভাগের প্রয়োজন হয় না ৷ উদাহরণ – 1234.567 মিটার =
1.234567 কিলোমিটার = 123456.7 সেন্টিমিটার।
এজন্য SI ও CGS পদ্ধতিকে দশমিক পদ্ধতি
বলা হয়। প্রশ্ন: ভৌত রাশির মাত্রা বলতে কী বোঝায়? কোণকে মাত্রাহীন ভৌত রাশি বলা হয় কেন? উঃ- কোনো রাশির একক গঠন করার জন্য মৌলিক একক গুলিকে যে ঘাতে উন্নীত করার দরকার
হয়, তাকে সেই ভৌত
রাশির মাত্রা বলে। কোনো ভৌত রাশির মাত্রা 1 হলে তাকে মাত্রাহীন ভৌত রাশি বলে। কোণের ক্ষেত্রে মাত্রা নির্ণয় করার সময়
দুটি দৈর্ঘ্যের অনুপাত আসে, ফলে এর মাত্রা 1 । তাই কোণকে মাত্রাহীন ভৌত রাশি বলে। প্রশ্ন: সৌরদিন ও গড় সৌরদিন কাকে বলে ? উত্তর: পৃথিবীর কোনো স্থানের ভৌগোলিক মধ্যরেখাকে পরপর দু-বার একইভাবে সূর্যের সামনে
আসতে যে-সময় লাগে, তাকে সৌরদিন
এক বছরের সমস্ত সৌরদিনকে যোগ করে সেই যোগফলকে 365 দিয়ে ভাগ করলে সৌরদিনের যে-গড় মান
পাওয়া যায়, তাকে গড় সৌরদিন প্রশ্ন: লিটারের সংজ্ঞায় উষ্ণতা উল্লেখ করা হয় কেন? উত্তর: 4°C বা 277
K উষ্ণতায় 1 কিলোগ্রাম বিশুদ্ধ জলের আয়তনকে 1
লিটার বলা হয়। এই সংজ্ঞায় উষ্ণতা উল্লেখ করা হয়। 277 K উষ্ণতায় জলের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এই
উষ্ণতায় 1 কিলোগ্রাম বিশুদ্ধ জলের আয়তন 1 লিটার হয়। জলের উষ্ণতা 277 K-এর কম বা বেশি হলে
জলের ঘনত্ব কমে যায়। ফলে 1 কিলোগ্রাম জলের আয়তন 1 লিটারের থেকে বেশি হয়। এজন্য নির্দিষ্ট আয়তন বোঝাতে লিটারের সংজ্ঞায় 4°C
বা 277 K উষ্ণতার উল্লেখ করা হয়।
প্রশ্ন: স্কেলার রাশি এবং ভেক্টর রাশির মধ্যে পার্থক্য লেখো।
þ খুব ছোটো দৈর্ঘ্য মাপার একক : · ফার্মি বা ফেমটোমিটার : পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ব্যাস ও
ব্যাসার্ধ মাপার জন্য ব্যবহার করা হয়। · X-একক (X-Unit,
XU): পরমাণু ও অণুর
ব্যাস মাপার জন্য ব্যবহার করা হয়। · পিকোমিটার : পরমাণুর ব্যাসার্ধ বা আকার প্রকাশ করার জন্য এই একক
ব্যবহার করা হয়। · ন্যানোমিটার: তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং খুব ছোটো
দৈৰ্ঘ্য পরিমাপ করার জন্য এই একক ব্যবহার করা হয়। · মাইক্রন বা মাইক্রোমিটার: আণুবীক্ষণিক বস্তু, অণুজীব, অতিক্ষুদ্র
অণুজীবের দৈর্ঘ্য ও ব্যাসার্ধ এই এককে প্রকাশ করা হয়। · অ্যাংস্ট্রম (Angstrom, Å): আলো, X-রশ্মি,
Y-রশ্মি প্রভৃতি তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রকাশ করার
জন্য এই একক ব্যবহার করা হয়। þ খুব বড়ো দৈর্ঘ্য মাপার একক : · আলোকবর্ষ (Light year, ly): পৃথিবী থেকে নক্ষত্রের
দূরত্ব, নক্ষত্রের ব্যাস, নক্ষত্রপুঞ্জের
বিস্তৃতি প্রভৃতি মাপার জন্য এই একক ব্যবহার করা হয়। 1 আলোকবর্ষ (ly) = 9.46
× 10^15 m · অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল একক AU): পৃথিবী থেকে গ্রহ, উপগ্রহ এবং
নিকটবর্তী নক্ষত্রের দূরত্ব প্রকাশ করার জন্য এই একক ব্যবহার করা হয়। 1
AU = 149597870000 m · পারসেক (Parsec, pc ): এটি দৈর্ঘ্যের বৃহত্তম একক।
নক্ষত্রের ব্যাস, নক্ষত্রপুঞ্জের বিস্তৃতি প্রভৃতি পরিমাপের
জন্য এই একক ব্যবহার করা হয়। 1
pc = 3.26 আলোকবর্ষ| · মাইক্রোমিটার: অনুজীবের দৈর্ঘ্য ও ব্যাসার্ধ পরিমাপ এর ব্যবহার করা হয়। · ন্যানোমিটার: আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য পরিমাপের ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন: ভৌত রাশির মাত্রা কাকে বলে? উত্তর: কোনো একটি ভৌত রাশির লব্ধ একক কে প্রকাশ করতে দৈর্ঘ্য, ভর ও সময় ইত্যাদি মূল একক গুলিকে যে যে
ঘাত উন্নীত করতে হয় তাদের ওই ভৌত রাশিটির মাত্রা বলে। প্রশ্ন: মাত্রীয় সমীকরণ কাকে বলে? উত্তর: কোনো ভৌত রাশির
সমীকরণের দুপাশের রাশি গুলিকে কেবলমাত্র মাত্র মাত্রার সাহায্যে প্রকাশ করলে যে সমীকরণ পাওয়া যায়
তাকে মাত্রীয় সমীকরণ বলে। প্রশ্ন: মাত্রাহীন ভৌত রাশি কাকে বলে? উত্তর: যেসব ভৌত রাশি দুটি সমজাতীয় রাশির অনুপাত, সেইসব ভৌত রাশি কে মাত্রাহীন রাশি বলে। উদাহরণ: আপেক্ষিক
গুরুত্ব = কোন বস্তুর ভর
/ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় সম আয়তন জলের ভর ব্যতিক্রম: কোণ রাশিটি মাত্রাহীন হলেও এর
একক আছে। কোণের একক হল
রেডিয়ান। প্রশ্ন: প্রমাণ কিলোগ্রামের সঙ্গাই উষ্ণতার উল্লেখ করা থাকে না কেন? কারণ উষ্ণতার পরিবর্তনে বস্তুর ভরের কোন পরিবর্তন হয় না প্রশ্ন: মানক কিলোগ্রাম কাকে বলে? উত্তর: প্যারিসের আন্তর্জাতিক বুড়ো অফ ওয়েটস এন্ড মেজারস এ রাখা প্লাটিনাম
ইরিডিয়াম সংকর ধাতুর তৈরি একটি নিরেট চোঙের ভরকে এক কিলোগ্রাম ধরা হয় । একে মানব
কিলোগ্রাম বলা হয়। এই মানব ভরটি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় থাকা ১ লিটার
বিশুদ্ধ জলের সমান।
প্রশ্ন: সাধারণ স্কেল ধাতুর তৈরি না-হয়ে প্লাস্টিক বা কাঠের তৈরি হয় কেন ? উত্তর: ধাতুর তৈরি স্কেল যে-উষ্ণতায় অংশাঙ্কিত করা হয় কেবলমাত্র সেই উষ্ণতায় সঠিক
পাঠ দেয়। ধাতু তাপের সুপরিবাহী। তাই উষ্ণতা বাড়লে ধাতব স্কেলের দৈর্ঘ্য অর্থাৎ
প্রতি সেন্টিমিটারের দৈর্ঘ্য বাড়ে এবং উষ্ণতা কমলে স্কেলের দৈর্ঘ্য কমে যায়। এর
ফলে ওই স্কেল দিয়ে দৈর্ঘ্য মাপলে সঠিক পাঠ পাওয়া যায় না। পক্ষান্তরে প্লাস্টিক
বা কাঠ তাপের কুপরিবাহী। ফলে উষ্ণতার পরিবর্তনে প্লাস্টিক বা কাঠের বৃদ্ধি বা
হ্রাস নগণ্য। তাই সাধারণ স্কেল ধাতুর তৈরি না-হয়ে প্লাস্টিক বা কাঠের তৈরি হয়।
প্রশ্ন: সাধারন স্কেলের সাহায্যে একটি পাতলা পাতার গড় বেধের মান কীভাবে নির্ণয়
করা যায়?
প্রশ্ন: একটি সাধারণ স্কেলের সাহায্যে সরু তারের ব্যাস কীভাবে মাপা যাবে ? উত্তর: একটি সরু দণ্ড নিয়ে প্রদত্ত তারটিকে দণ্ডের ওপর এমনভাবে পাক দিয়ে জড়ানো হল
যাতে পাকগুলির ভিতর ফাঁক না-থাকে। স্কেলের সাহায্যে পাকগুলির মোট দৈর্ঘ্য মাপা হল
। এই দৈর্ঘ্যকে পাকের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে সরু তারটির ব্যাস পাওয়া যায়। তারের
পাক সংখ্যা n এবং পাকগুলির
মোট দৈর্ঘ্য m সেমি হলে, তারের গড়
ব্যাস m/n সেমি
প্রশ্ন: একটি সাধারণ স্কেলের সাহায্যে বক্ররেখার দৈর্ঘ্য কীভাবে মাপবে ? উত্তর: ধরা যাক, AB বক্ররেখার
দৈর্ঘ্য নির্ণয় করতে হবে। (1) বক্ররেখার থেকে বেশি
দৈর্ঘ্যের সুতো নিয়ে বক্ররেখাটির ওপর এমনভাবে রাখা হল যেন সুতোটি বক্ররেখার সঙ্গে
একদম মিলে যায়। (2) বক্ররেখাটির দুই প্রান্তে (A ও B)
সুতোর ওপর কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হল। (3) এবার
সুতোটিকে টেনে সোজা করা হল। (4) স্কেলের সাহায্যে কালির দুটি
দাগের মধ্যবর্তী দূরত্ব মাপা হল। বক্ররেখাটির দৈর্ঘ্য এই দৈর্ঘ্যের সমান। প্রশ্ন: সাধারণ স্কেলের সাহায্যে দৈর্ঘ্য মাপার সময় স্কেলের ওপর উল্লম্বভাবে
তাকাতে হয় কেন ? উত্তর: স্কেলের সাহায্যে পাঠ নেওয়ার সময় লম্বন ভ্রম এড়ানোর জন্য যে-বিন্দুর পাঠ
নেওয়া হচ্ছে সেই বিন্দুতে স্কেলের সঙ্গে উল্লম্বভাবে রাখা হয়। প্রশ্ন: লম্বন ত্রুটি / ভ্রম কাকে বলে? স্কেলের সাহায্যে পাঠ নেওয়ার সময় কীভাবে এই ত্রুটি এড়ানো
যায়? উত্তর: স্কেল থেকে পাঠ নেওয়ার সময় চোখ স্কেলের পাঠ বিন্দুর সঙ্গে উল্লম্বভাবে
না-থাকলে পাঠ নিতে ভুল হয় এবং চোখের বিভিন্ন অবস্থানে পাঠ বিভিন্ন হয়। এই
ত্রুটিকে লম্বন ভ্রম বলা হয়। প্রতিকারের উপায়: (i) স্কেলের যে-বিন্দুর পাঠ নেওয়া হচ্ছে সেই বিন্দুতে স্কেলের
সঙ্গে লম্ব বরাবর চোখ রেখে পাঠ নিলে নির্ভুল পাঠ মিটার স্কেল পাওয়া যায়। (ii) স্কেলটিকে সরলরেখার সঙ্গে খাড়াভাবে ধরলে স্কেলের দাগগুলি
সরলরেখাটির সংস্পর্শে থাকে। এভাবে ধরলে চোখের বিভিন্ন অবস্থানে পাঠ একই হয়। এভাবেও লম্বন ভ্রম
এড়ানো যায়। প্রশ্ন: সাধারণ স্কেলের সীমাবদ্ধতা কী? উত্তর: সাধারণ স্কেলে সবচেয়ে ছোটো ঘরের মান 1 মিলিমিটার। এজন্য এই স্কেলে 1 মিমি পর্যন্ত দৈর্ঘ্য নির্ভুলভাবে মাপা যায় ৷ কিন্তু 1 মিলিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের মাপ চোখের আন্দাজে করতে হয়। এজন্য নির্ভুল
পরিমাপ সম্ভব হয় না । প্রশ্ন: নির্ভুলভাবে সময় মাপার জন্য ব্যবহৃত কয়েক ধরনের ঘড়ির নাম লেখো । উত্তর: নির্ভুলভাবে সময় মাপার জন্য বর্তমানে ক্রনোমিটার, সিজিয়াম ঘড়ি, ইলেকট্রনিক
ডিজিট্যাল ঘড়ি প্রশ্ন: স্টপওয়াচের ব্যবহার উল্লেখ করো। উত্তর: পরীক্ষাগারে বিভিন্ন পরীক্ষার সময় এবং দৌড় ও সাঁতার প্রতিযোগিতার সময়
মাপার জন্য স্টপওয়াচ বা বিরাম ঘড়ি ব্যবহার করা হয় ।
প্রশ্ন: সাঁতার ও দৌড় প্রতিযোগিতায় কী ধরনের ঘড়ি ব্যবহার করা হয়? এক্ষেত্রে সাধারণ ঘড়ি ব্যবহারের অসুবিধা
কোথায় ? উত্তর: সাঁতার ও দৌড় প্রতিযোগিতায় স্টপওয়াচ ব্যবহার করা হয়। (1) স্টপওয়াচ প্রয়োজন অনুযায়ী ইচ্ছেমতো চালু বা বন্ধ করা
যায়। সাধারণ ঘড়িতে এই সুবিধা নেই। (2) সাধারণ ঘড়ির সাহায্যে ন্যূনতম 1 সেকেন্ড
সময় মাপা যায়। অপরপক্ষে, আধুনিক ডিজিট্যাল স্টপওয়াচের
সাহায্যে 1 সেকেন্ডের চেয়ে অনেক কম সময়ের ব্যবধানও পরিমাপ
করা যায় । প্রশ্ন: ওজনের বাক্সে বাটখারাগুলির ভরের অনুপাত 5 : 2 : 2 : 1 রাখা হয় কেন? ওজনের বাক্সে বাটখারাগুলি 5 : 2 : 2
: 1 ভরের অনুপাতে রাখলে কোনো নির্দিষ্ট ব্যবধানে ছোটো থেকে বড়ো
মানের যে-কোনো ভর সবচেয়ে কম সংখ্যক বাটখারার সাহায্যে নির্ণয় করা যায়। বিভিন্ন
ভর পরিমাপের জন্য আলাদা আলাদা বাটখারার প্রয়োজন হয় না ।
প্রশ্ন: ওজনের বাক্সের বাটখারা গুলির ভর 5 : 2 : 2 : 1 অনুপাতে রাখার কারন কী ?
প্রশ্ন: ‘নির্ভুল তুলা'
বলতে কী বোঝায়? তুলাকে কীভাবে নির্ভুল করা
যায়? উত্তর: তুলাদণ্ডের দুটি তুলাপাত্র খালি থাকলে বা তুলাপাত্র দুটিতে সমান ভরের বস্তু
রাখলে তুলাদণ্ডটি যদি অনুভূমিক থাকে, তবে সেই তুলাকে নির্ভুল তুলা বলা হয় ৷ তুলা নির্ভুল করার
উপায়: (1) তুলাদণ্ডের বাহু দুটির দৈর্ঘ্য ও ভর সমান হওয়া দরকার, (2) তুলাপাত্র ও স্টিরাপ দুটির ভর সমান হওয়া দরকার এবং (3) তুলাদণ্ডটি অনুভূমিক অবস্থায় থাকাকালীন তার ভারকেন্দ্র
আলম্বের ঠিক নীচে থাকা দরকার।
প্রশ্ন: তুলাযন্ত্র ব্যবহারের সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবে? উত্তর: (1) তুলাপাত্রে
ধুলোবালি লেগে থাকলে ব্যবহারের আগে পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার। (2) তুলাদণ্ডটি আলম্বের ওপর দোল খাওয়ার সময়
এর কোনো অংশ স্পর্শ করা উচিত নয়, চাবি ঘুরিয়ে তুলাদণ্ডটি
নামিয়ে যে-কোনো প্রয়োজনে এর কোনো অংশ স্পর্শ করা উচিত। না-হলে ক্ষুরধার
ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। (3) বস্তুর ভর মাপার সময় কাচের দরজা বন্ধ
রেখে কাজ করা উচিত যাতে বায়ুপ্রবাহের দ্বারা পাঠের বিঘ্ন না ঘটে । (4) বাটখারাগুলি চিমটার সাহায্যে ধরা উচিত।
হাত দিয়ে ধরলে হাতের ঘাম ও ধুলো লেগে বাটখারার ভর ঠিক নাও থাকতে পারে। (5) পাঠ নেওয়ার সময় তুলাদণ্ডকে ওপরে তোলা
এবং নীচে নামানোর সময় চাবিটি ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে তা করা উচিত। না-হলে ক্ষুরধারের
ক্ষতি হতে পারে। (6) তুলাযন্ত্রে খুব গরম, খুব ঠান্ডা ও খুব ভারী বস্তুর ভর মাপা উচিত নয়। এতে তুলাযন্ত্রের
সুবেদিতা নষ্ট হতে পারে ।
প্রশ্ন: একটি ভালো তুলাযন্ত্রের কী কী আবশ্যকীয় গুণ থাকা প্রয়োজন ? উত্তর: তুলাযন্ত্র (i) সুবেদী,
(ii) নির্ভুল, (iii) দৃঢ় এবং (iv) সুস্থিত হলে সেই তুলাযন্ত্রকে ভালো তুলাযন্ত্র বলা হয়। þ সুবেদীঃ যে তুলায় ভরের সামান্য পার্থক্য বোঝা যায় তাকে সুবেদী তুলা
বলে। অর্থাৎ যে তুলায় ভরের সামান্য পার্থক্য হলেই তুলাদণ্ডটি বেশি ভরের দিকে হেলে
যায় । তুলাযন্ত্র সুবেদী হবে যদি তুলাদণ্ড হালকা হয়, দণ্ডের বাহু দুটি লম্বা হয় এবং দণ্ডের ভারকেন্দ্র আলম্বের
কাছাকাছি থাকে। þ নির্ভুলঃ তুলাপাত্র দুটি খালি থাকলে অথবা সমান ভরের দুটি বস্তু দুই
তুলাপাত্রে থাকলে যদি তুলাদণ্ড অনুভূমিক থাকে, তাহলে সেই তুলাযন্ত্রকে নির্ভুল তুলাযন্ত্র বলে। তুলাযন্ত্র
নির্ভুল হওয়ার জন্য তুলাদণ্ডের দুই বাহুর দৈর্ঘ্য ও ভর সমান সমান হওয়া এবং
তুলাপাত্র দুটির ভরও সমান হওয়া প্রয়োজন। þ দৃঢ়ঃ তুলাযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ মজবুত হতে হবে এবং কোনো অংশ ঢিলে
থাকলে বস্তুর ভর সঠিক ভাবে মাপা যায় না। þ সুস্থিতঃ তুলাদণ্ডটি একবার আন্দোলিত হলে সেই দোলন যেন দীর্ঘক্ষণ
স্থায়ী না হয়, তুলাদণ্ডটি যেন
শীর্ঘই স্থির অবস্থায় ফিরে আসে।
প্রশ্ন: অসম আকৃতির অদ্রাব্য ভারী কঠিন পদার্থের আয়তন নির্ণয়: উত্তর: অসম আকৃতির কঠিন পদার্থের আয়তন নির্ণয়ের জন্য পরিমাপক চোঙে নির্দিষ্ট দাগ
পর্যন্ত তরল নেওয়া হয় (পাঠ R.)। এবার অদ্রাব্য ভারী কঠিন বস্তুকে তরলের মধ্যে ফেললে, তরলতল কিছুটা উপরে ওঠে । ধরি তরল তলের পাঠ R,
হল। এখন শেষের পাঠ (R.) থেকে প্রথম পাঠ (R.)
বাদ দিলেই বস্তুটির আয়তন পাওয়া তিন পাওয়া যায়। প্রতি ক্ষেত্রে
পরিমাপক চোঙকে একটি অনুভূমিক তলের ওপর রাখতে হয়। সতর্কতা হিসেবে কঠিন পদার্থটির
সঙ্গে তরল যেন কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া না ঘটায়, আর
নিমজ্জিত অবস্থায় কোনো বুদবুদ যেন বস্তুটির গায়ে না লেগে থাকে তা দেখা দরকার।
প্রশ্ন: আয়তন মাপার চোঙ ও স্টপওয়াচের সাহায্যে কল থেকে জল পড়া হার নির্ণয়: এক্ষেত্রে আয়তন মাপক চোঙ এবং স্টপওয়াচ যন্ত্র দুটি
ব্যবহার করে জলপ্রবাহের হার নির্ণয় করা যায়। আয়তন মাপক চোঙে একটি নির্দিষ্ট
সময়ের জন্য কলের মুখ থেকে জল সংগ্রহ করা হয়। মাপনি চোঙ (চিত্র 1.7) থেকে জলের আয়তন এবং স্টপওয়াচ থেকে
সময় জেনে আয়তনকে সময় দিয়ে ভাগ করলে জল পড়ার হার পাওয়া যাবে। ধরা যাক, জলের আয়তন =VmL এবং সময় = t সেকেন্ড। . এক্ষেত্রে জল পড়ার
নির্ণেয় হার = V/t mL/s
প্রশ্ন: সাধারণ তুলাযন্ত্র [ Common balance]: নীতি: (তুলাদণ্ডে কোনো ত্রুটি না থাকলে তুলাযন্ত্রের একপাশের তুলাপাত্রে বস্তু
রেখে, অন্য পাত্রে প্রমাণ বাটখারা চাপিয়ে তুলাদণ্ড অনুভূমিক
করলে বাটখারার মোট ভরকে পরিমেয় বস্তুর ভর বলে গণ্য করা হয়। এক্ষেত্রে তুলাদণ্ডটি
প্রথম শ্রেণির লিভার হিসেবে কাজ করে। প্রশ্ন: সুস্থিত তুলা কাকে বলে? তুলাকে কীভাবে সুস্থিত করা যায়? তুলাদণ্ডটি দুলিয়ে দিলে তুলাদণ্ডটি যদি খুব তাড়াতাড়ি স্থির অবস্থায় চলে
আসে, তাহলে সেই
তুলাকে সুস্থিত তুলা বলা হয় । þ তুলা সুস্থিত করার উপায়: (1) তুলাদণ্ডের বাহু দুটির দৈর্ঘ্য ছোটো ও ভারী হওয়া প্রয়োজন
। (2) তুলাপাত্র দুটি ভারী হওয়া প্রয়োজন। (3) তুলাদণ্ডের ভারকেন্দ্র আলম্বের অনেক নীচে হতে হবে। (4) সূচকটি ছোটো হওয়া প্রয়োজন। প্রশ্ন: স্কেলের সাহায্যে সরলরেখার দৈর্ঘ্য মাপার সময় স্কেলটিকে খাড়াভাবে রাখা
হয় কেন ? উত্তর: স্কেলের সাহায্যে দৈর্ঘ্য মাপার সময় স্কেলটিকে খাড়াভাবে না-রেখে চওড়াভাবে
রাখলে স্কেলের দাগগুলি সরলরেখাটির সংস্পর্শে না-থেকে একটু ওপরে উঠে থাকে। এজন্য
চোখের বিভিন্ন অবস্থানে পাঠ বিভিন্ন হয়। কিন্তু স্কেলটিকে সরলরেখাটির পাশে
খাড়াভাবে রাখলে দাগগুলি সরলরেখাটির সঙ্গে মিশে থাকে। তখন চোখের অবস্থান বিভিন্ন
হলেও পাঠের পার্থক্য হয় না, এভাবে লম্বন ভ্রম এড়ানো যায়। প্রশ্ন: 273 K উষ্ণতায়
একটি ইস্পাতের স্কেল দিয়ে একটি বইয়ের দৈর্ঘ্য মেপে দেখা গেল 20 cm । এই স্কেল দিয়ে 300 K উষ্ণতায় মাপা হলে পাঠ বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা
করো। উত্তর: 273 K উষ্ণতায়
দৈর্ঘ্য 20 cm 300 K উষ্ণতায় ওই স্কেল দিয়ে মাপলে পাঠ 20
cm-এর থেকে কম হবে । উষ্ণতা 273 K থেকে 300
K-তে বৃদ্ধি পেলে ইস্পাতের দৈর্ঘ্যও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বইয়ের
দৈর্ঘ্য একই থাকে। কাজেই 300 K উষ্ণতায় বইয়ের দৈর্ঘ্য
মাপলে দৈর্ঘ্যের মান 20 cm-এর কম হয়। প্রশ্ন: একটি বস্তুর ভর 7.8 kg, আয়তন 1000 cc হলে, বস্তুটির
ঘনত্ব কত? উঃ- 7.8 কেজি = 7800
গ্রাম | আমরা জানি,বস্তুর ঘনত্ব= বস্তুর
ভর/ বস্তুর আয়তন
∴বস্তুর ঘনত্ব=7800 / 1000gm/cc=7.8gm/cc |